source_link
stringlengths 11
485
⌀ | newspaper_name
stringclasses 19
values | published_date
stringlengths 9
34
⌀ | headline
stringlengths 12
253
| short_description
stringlengths 29
11.4k
| sentiment
stringclasses 2
values |
---|---|---|---|---|---|
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf12b77813" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | ভোটে কারচুপির অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর | ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে ভোটের ফলাফল ঘোষণায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস। তার অভিযোগ, ভোটগ্রহণ শেষে গত রবিবার বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ-১ আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। কাস্টিং ভোটের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ ছিল। কিন্তু ওই আসনের চূড়ান্ত ফলাফলে ৯ শতাংশ ভোট বেড়ে যায়। ফলাফলের তালিকায় মোট ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভোটের ফল ঘোষণায় এ ধরনের গরমিলের বিষয়ে আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে নজরুল ইসলামের পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়এবারের ভোটে নৌকার প্রার্থী এমপি আব্দুল হাই ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা, ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনের কাছে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন পাঠায়। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ছয়টি মামলা দায়ের করে এমপি আব্দুল হাই ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ভোটের দিনও আব্দুল হাইয়ের লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জালভোট দেয়। হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কেন্দ্রের পোলিং অফিসার রাজু আহমেদ নিজেই নৌকায় সিল মারেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা দেখে ফেললে এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে স্থানীয় হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাই সমর্থক ইকু শিকদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট প্রদানের ঘটনা ঘটেনা ঘটে। নৌকায় জালভোট প্রদানের সময় হাকিমপুর ইউনিয়নের দোহারো মডেল বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সাব্বির জোয়ার্দ্দার নামে একজনকে পুলিশ আটক করে।নজরুল ইসলাম দুলাল আরও অভিযোগ করেন, সারা দিন ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সবশেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের ফলাফলে ব্যাপক কারচুপি করে নৌকার পাল্লা ভারী করেন। বিকাল সাড়ে চারটায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কাস্টিং প্রতিবেদনে ঝিনাইদহ-১ আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে উল্লেখ করলেও চূড়ান্ত ফলাফলে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এ প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট। অন্যান্য প্রার্থী মিলিয়ে ওই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৯৪। আর আসনটিতে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬ জন।ঝিনাইদহ-১ আসনের মোট ২১টি কেন্দ্রে জালভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে আজ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করবেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল। তিনি এসব কেন্দ্রে আবারও ভোটগ্রহণের দাবি জানাবেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf1c8e156" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | নোয়াখালীতে ২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ছয়টি আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় ২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিতফলাফল শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।ফলাফল শিট থেকে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৩২ জন। এদের মধ্যে নোয়াখালী-১ আসনে সাতজন, নোয়াখালী-২ আসনে সাতজন, নোয়াখালী-৩ আসনে ছয়জন, নোয়াখালী-৪ আসনে চারজন, নোয়াখালী-৫ আসনে পাঁচজন এবং নোয়াখালী-৬ আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নোয়াখালী-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ছয়জন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৮৯ হাজার ৩২৫ জন। নির্বাচনে ১২৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৭১ হাজার ২১০টি। এর মধ্যে এক লাখ ৫৯ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এইচএম ইব্রাহীম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকত ফেডারেশনের একেএম সেলিম ভূঁইয়া ফুলের মালা প্রতীকে দুই হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো অন্যরা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক ডাব প্রতীকে দুই হাজার ৩৩৩, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের শাহ আলম চেয়ার প্রতীকে দুই হাজার ৯১, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মমিনুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীকে এক হাজার ৮৮৯, জাসদের হারুন অর রশিদ মশাল প্রতীকে এক হাজার ৮১০ ও গণফ্রন্টের খোরশেদ আলম মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭৭ ভোট পেয়েছেন।নোয়াখালী-২ আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ১০ হাজার ৭০৩টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরটিভি ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান লাঙ্গল প্রতীকে ৭৫২ ভোট, কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার হাতঘড়ি প্রতীকে ১৬১ ভোট, জাসদের নইমুল আহসান মশাল প্রতীকে ৩৬৫ ভোট, বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ টেলিভিশন প্রতীকে ২১৭ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৯ ভোট।নোয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন চারজন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৭৩ হাজার সাতজন। নির্বাচনে ১৪৯ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৯ হাজার ৪৬৭টি। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন চাকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩২ ভোট, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ লাঙ্গল প্রতীকে ৩৪৮ ভোট, জাসদের জয়নাল আবেদীন মশাল প্রতীকে ১৪৭ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১১৮ ভোট।নোয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন চারজন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন দুজন। এ আসনে মোট ভোটার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৯ জন। নির্বাচনে ১৯৬ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৭৮ হাজার ২২২টি। এর মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৭৬৪ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৭৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবদুল আলীম চেয়ার প্রতীকে ৯৬২ ভোট ও জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৯২৩ ভোট।নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন চারজন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ চার হাজার ৯৭৭ জন। নির্বাচনে ১৩২ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে এক লাখ ৯৬ হাজার ৭৪০টি। এর মধ্যে এক লাখ ৮১ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে ৯ হাজার ৭০২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া জাসদের মকছুদের রহমান মানিক মশাল প্রতীকে দুই হাজার ১৩২ ভোট, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী ছড়ি প্রতীকে দুই হাজার ১৩২ ভোট ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের শামছুদ্দোহা চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৪৯৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।নোয়াখালী-৬ আসনে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন দুই জন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ১৫ হাজার ১৩২ জন। নির্বাচনে ৯৬ কেন্দ্রে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে দুই লাখ চার হাজার ৩৮৬টি। এর মধ্যে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭১৫ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মুশফিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পাঁচ হাজার ৯৩৬ ভোট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোজাম্মেল হক ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf22698bd" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন: রিজভী | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দেশের জনগণ সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।আজ বুধবার বেলা ১১টায় গুলশান ১ নম্বর এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে রিজভী এসব কথা বলেন।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার প্রতারণার নির্বাচন করে, এক তরফার নির্বাচন করে গোটা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। আর আপনারা নির্বাচন বর্জন করে, প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছেন।’রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, বারবার কর্তৃত্ববাদী এ দুঃশাসন তারা আর মানবে না। এর বিরুদ্ধে সবাই আজ রুখে দাঁড়ান।এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন লিপি, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, আতাউর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, নাসরিন রহমান পপি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা কাজী মনজুর রহমান, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব মো. সজীব রায়হান, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল রানা, মৎস্যজীবী দলের সদস্য এ এইচ আবু সাঈদ, প্যাব দপ্তর সম্পাদক হাসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. মুনতাসির, আশরাফুল আসাদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা রফিক, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদল নেত্রী নিপা, মহানগর ছাত্রদল নেতা নাসির মিজি, রাকিব, জয়াসহ নেতৃবৃন্দ। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf20e18" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | বেআইনি ভোট গণনাসহ নানা অভিযোগ শম্ভুর | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের ১৮টি কেন্দ্রে বেআইনিভাবে ভোট গণনা, ফলাফল বিবরণী প্রস্তুত ও একত্রীকরণ প্রক্রিয়া এবং এজেন্টদের স্বাক্ষরবিহীন রেজাল্ট শিট প্রদানসহ নানা অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। গতকাল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ করেন তিনি।অভিযোগ দাখিলের সময় শম্ভুর সঙ্গে ছিলেন বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ ডজনখানেক জেলা আওয়ামী লীগের নেতা।নৌকার প্রার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন মামুন বলেন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, ফলাফল শিটে নৌকার এজেন্টদের স্বাক্ষর নেই। এজেন্টদের জোর আপত্তি উপেক্ষা করে আইনসঙ্গতভাবে প্রস্তুত না করায় ফলাফলে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।এ আসনে এবার প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পাঁচবারের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু (ঈগল), আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান (ট্রাক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকান (কাঁচি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2de193c" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে যা জানাল জাতিসংঘ | বাংলাদেশে মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ। আজ বুধবার সংস্থাটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই অবস্থানের কথা জানান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মহাসচিব স্টিফেন দুজারিক।ব্রিফিংয়ে দুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, ‘নির্বাচনের নামে বাংলাদেশে যেসব মানুষ নিপীড়িন ও বঞ্চিনার শিকারন হচ্ছেন তাদের ব্যাপারে জাতিসংঘে মহাসচিবের অবস্থান কী? আমরা জালভোট সম্বলিত একপাক্ষিক ডামি নির্বাচন দেখেছি যা বড় রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করেছে। এই ব্যাপারে মহাসচিবের অবস্থান কী?‘জবাবে দুজারিক বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি। জাতিসংঘ মহাসচিব সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করার এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। প্রত্যেকের আইনি অধিকারকে সম্মান দিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য এটা খুবই প্রয়োজন।বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে মহাসচিব উদ্বিগ্ন বলেও জানান দুজারিক। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf2da33fe" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার: তৈমূর | তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার। দেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে। আমাদের জন্য দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব না। আগামী প্রজন্মও পারবে না। তৃতীয় প্রজন্ম হয়ত পারবে।’ আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে অভিযোগ প্রদান শেষে এ কথা বলেন তিনি। তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি রাজনীতি করবে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তত্বাবধায়ক সরকারের কথা তুলে ধরেছিলেন। আমরা এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখব। আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাব না। আমাদের সকল প্রার্থীরা ঢাকা আসবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।’তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকারভাবে ক্ষমতা ছাড়লে আমাকে জেলে যেতে হবে। সেকারণেই ওরা নির্বাচন কুক্ষিগত করে। নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ। সিইসির সচিবের বক্তব্য শুনেছেন, সে বলেছে ডিসিদের কাছে মেসেজ চলে গেছে। সে অনুযায়ী রেজাল্ট হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় রাজপথে ছিলাম। বাকি জীবনও আমাকে রাজপথেই থাকতে হবে। যখন চোখের সামনে দেখলাম এই ব্যারিস্টার সুমনও বলেছে সরকার বনাম সরকার নির্বাচন। এটা তাদের মুখেরই কথা।’তৈমূর বলেন, ‘রূপগঞ্জের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী শমসের ডাকাত ও রীতা মেম্বার। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলে এসেছি। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে। আমরা বলেছি এরকম সিরিজ মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। নির্বাচনের দিন চনপাড়ায় রেজাল্ট ঘোষণার পর শমশের বাহিনী ও রিতা বাহিনী আমার কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আমি আজ এই পরিবারটিকে নিয়ে এসপি (পুলিশ সুপার) অফিসে এসেছি। যেহেতু তারা আমার নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসপি আশ্বস্ত করেছেন তারা নির্বিঘ্নে চনপাড়ায় বসবাস করতে পারবে। তিনি ওসিকে (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ফোনে নির্দেশনা দিয়েছেন।’ | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a59912" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | নিষেধাজ্ঞা আসার কোনো কারণ নেই | নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা। এ জন্য অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলো উন্মোচন করাসহ রাজস্ব সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো অন্যায় করেনি। ফলে বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণও নেই। সে রকম কেউ কিছু করলে সেটি হবে জোর করে করা। কেউ জোর করে করলে করতেই পারে। বাংলাদেশও সে রকম করতে পারে।অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার অনেক এলাকা আছে, যা এখনো পূর্ণ মাত্রায় উন্মোচন করা হয়নি। রিজার্ভ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ বছর সবসময় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার রাখব। দেশের বার্ষিক বৈদেশিক ঋণ বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সমান নয়। ফলে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তিনি বলেন, ব্যাংক খাত অনেক ভালো আছে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো আগামীতে দেখা হবে। খেলাপি ঋণ এখন কম। মূল্যস্ফীতি না হলে অর্থনীতি এগোবে না। যারা অর্থনীতি নিয়ে গভীরভাবে ভাবে না, তারাই মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৮-১০ বছর ৬ শতাংশের নিচে ছিল। এর থেকে ভালো অবস্থা হতে পারে না। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef2cf16319" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | ঝিনাইদহে নৌকা সমর্থককে হত্যা, শ্যামনগরে আহত ১৩ | ঝিনাইদহে নৌকা প্রার্থীর এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে রাজবাড়ীতে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আমাদের প্রতিনিধিরা আরও জানানÑঝিনাইদহ : শহরের হামদহ এলাকায় বরুণ কুমার ঘোষ (৪২) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘোষপাড়া মোড়ে এ হত্যাকা- ঘটে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য বরুণ ঘোষ ঝিনাইদহ শহরের ঘোষপাড়ারনরেন চন্দ্র ঘোষের ছেলে।জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘোষপাড়া মোড়ের একটি চায়ের দোকানে যান বরুণ। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় তাকে হত্যা করেছে ঈগল প্রার্থীর সমর্থকরা।ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন উদ্দীন বলেন, হামদহ এলাকায় একজনকে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা হত্যা করেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ১৩ জন আহত ও বসতঘর ভাঙচুর হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য মাস্টার আব্দুর রহিম ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ১৩ জন আহত ও ৩-৪টি বসতঘর ভাঙচুর হয়েছে।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলন নির্বাচিত হলে সোমবার সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে মিজানুর রহমান শ্যামনগরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে উপস্থিত হলে রহিম মাস্টারের সমর্থকরা তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- ‘ভোট দিস নাই, এখন আসছিস কেন?’ প্রতিবাদ করতে গেলে তার ওপর হামলা করে বলে জানান মিজান। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি মিজানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এদিকে মিজানকে মারধরের ঘটনায় তার কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে রহিম মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।রাজবাড়ী : আসিফুর রহমান আলমগীর (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বারবাকপুর গ্রামের সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে। আসিফুর নৌকা প্রার্থীর ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।আসিফুর রহমান আলমগীর বলেন, সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে এরশাদ নামে একজনের সঙ্গে তার বাগ্বিত-া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বারবাকপুর বাজারে সোহাগ, রিপন, এরশাদ, সাজিদসহ একদল যুবক মোটরসাইকেলে তার কাছে এসে হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে ফেলে দেয় ও পিঠের নিচের দিকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : নৌকার পক্ষে কাজ করায় যমুনা সারকারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক লীগ সরিষাবাড়ী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে মারধর করেছে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। গতকাল সকালে রূপালী ব্যাংক মোড় বিজয় ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মোয়াজ্জেম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থক।মাদারীপুর : মাদারীপুর-৩ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তাহমিনা বেগমের সমর্থকদের বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তাহমিনা বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি, কর্মী হত্যা, হামলা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। তা নির্বাচনের দিন ও ফলাফল ঘোষণার পরও চালিয়ে যাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করে।খুলনা : নির্বাচনপরবর্তী ব্যাপক সহিংসতার অভিযোগ করেছেন খুলনা ৪ ও ৫ আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন এবং খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এ অভিযোগ করেন। এর জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে দায়ী করেছেন তারা।টাঙ্গাইল : নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানার সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকা প্রতীকের কর্মীদের মারধর, বাড়িঘর-দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই তার সমর্থকরা গোটা ঘাটাইলে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায়।চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সংবাদ সম্মেলন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ট্রাক)। মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, নৌকার প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুলের লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।এমপিকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে লাঞ্ছিত ইউপি চেয়ারম্যানএদিকে আমাদের রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের পুনঃনির্বাচিত এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে পিটুনি খেয়েছেন মাসুদুল গনি নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সোমবার রাতে এমপির মালিকানাধীন মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকার থিম ওমর প্লাজার নিচতলায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নিজের ও পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন গোদাগাড়ী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল গনি। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়াী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cef7a60619" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি | বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। গত সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য বলেছে- বাংলাদেশের এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক হয়নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে- বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্রের প্রতি তাদের উচ্চাকাক্সক্ষা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তার দৃষ্টিভঙ্গিতে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করেনি বলে আমরা হতাশ। নির্বাচনের সময় ও আগের মাসগুলোতে যে সহিংসতা হয়েছে তার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র আরও জানায়, সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং এর হোতাদের জবাবদিহিতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করি। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমরা সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ওমুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক হয়নি উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বলেছে- গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্যতা, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি এসব মানদ-। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।নির্বাচনের আগে, নির্বাচনী প্রচার চলাকালে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি সব রাজনৈতিক দল। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মতভিন্নতা দূর করে জনগণের স্বার্থে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভিন্ন পথ বের করার আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য।পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে জাতিসংঘ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া বাংলাদেশে যা ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।’ স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সংস্থাপ্রধানের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো।ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। যদিও এমন এক পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে কি মনে করে জাতিসংঘ? জবাবে সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে তারা নজর রাখছেন। সেখানে যা ঘটছে, তার দিকে জাতিসংঘ মহাসচিবও নজর রাখছেন। বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তিনি জানেন। ভিন্নমত-সমালোচনা দমনসহ বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তারের সব অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত।সহযোগী মুখপাত্র আরও বলেন, নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিব স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন। তিনি সব পক্ষকে সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে বলেছেন। মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি যাতে পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখানো হয়, তা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেখানে গণতন্ত্র সুসংহত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য।বাংলাদেশ নিয়ে ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। সেখানে দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকও ছিলেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে পুরোপুরি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের নতুন সরকার ভবিষ্যতে জাতিসংঘের সঙ্গে তার সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায়। বাংলাদেশের নতুন সরকার নিয়ে সহযোগী মুখপাত্রের কিছু বলার আছে কি?জবাবে ফ্লোরেন্সিয়া সোতো বলেন, তারা সত্যিকার অর্থে যা বলতে চাইছেন, তা হলো- সরকার যা করছে, তা চলবে না। সেখানে তাদের গণতন্ত্রের পরিবেশ গড়ে তোলাটা অপরিহার্য। সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে হবে। মানবাধিকারের প্রতি যাতে শ্রদ্ধা দেখানো হয়, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf30682d5" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | ভোটের ফলাফল পুনরায় গণনা ও পুনর্নির্বাচনের দাবি ঈগলের প্রার্থী দোলনের | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের ভোট পুনরায় গণনা ও নির্বাচনী অনিয়ম হওয়া অর্ধশতাধিক ভোটকেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন।আজ বুধবার তথ্য-প্রমাণাদিসহ ফরিদপুর-১ আসনের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে নির্বাচনী নানা অনিয়ম তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এক আবেদনে দোলন এই দাবি জানান।৭ জানুয়ারির ভোটে ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল মার্কার প্রার্থী দোলন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলেন। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় আলোচিত হেভিওয়েট এই প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে এলাকায় জল্পনাও শুরু হয়।তবে ভোটের শেষ ঘণ্টায় অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও নৌকার পক্ষে জালভোটের খবর আসতে থাকে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় এসব কেন্দ্র থেকে ঈগল মার্কার এজেন্টদের বের করে দেওয়ার খবরও আসে গণমাধ্যমে।সিইসির কাছে অভিযোগে আরিফুর রহমান বলেন, ফরিদপুর-১ আসনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী অনিয়ম, নন-ভোটার দিয়ে ভোট প্রদান, অনেক কেন্দ্র থেকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনসহ ব্যাপক জালভোট দিতে দেখা গেছে একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে। মৃত ব্যক্তি প্রবাসীদের ভোটও নেওয়া হয়েছে।বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের অবগত করলেও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জানানোর পরেও প্রতিকার মেলেনি। নির্বাচন কমিশনের সচিবকে সরাসরি মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েও কোনো ফল হয়নি। জালভোট পড়ার বিষয়ে একাধিক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের ঈগল মার্কার এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকরা জানালে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রহস্যজনক আচরণ করেন।অভিযোগে আরিফুর রহমান দোলন আরও উল্লেখ করেন, ফরিদপুর-১ আসনের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোট কারচুপির উদ্দেশে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সমর্থকরা অবস্থান নেয়। কেন্দ্র এলাকায় তারা আমাদের (ঈগল মার্কার) কর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ওই প্রার্থীর লোকজন প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে অনেকগুলো কেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ব্যালট পেপারে ওই প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারে।ঈগল মার্কার এজেন্টদের ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় অভিযোগ করে দোলন আবেদনে বলেন, আবার বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হলে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের ভোট গণনার কক্ষে রেখে আমার এজেন্টদের ওই কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর আগেই ভোটের মনগড়া ফলাফল লেখা কাগজে জোর করে আমার এজেন্টদের স্বাক্ষর রাখা হয়। সেখান থেকে ওই বিশেষ প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়।নির্বাচন কমিশন চেয়েছিল একটি সুষ্ঠু ভোট করতে। নির্বাচন ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক এড়াতে। নির্বাচনী আইনের যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে প্রার্থীর অধিকার সুরক্ষায় নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করতে। তাই ফরিদপুর-১ আসনে আরও যে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গণনায় অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে সেখানেও পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান দোলন।অভিযোগে দোলন আরও বলেন, ভোট শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণার সময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট না বলে সরাসরি ওই প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। সেসময় বিষয়টি জানতে চাইলে সেই মুহূর্তে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা নেই বলে জানানো হয়। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা যদি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে না থাকে তাহলে ওই বিশেষ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো কিসের ভিত্তিতে। এতে বোঝা যায় নৌকার প্রার্থী দ্বারা তিনি প্রভাবিত।এমনকি একদিন পর ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভোটের ফলাফলে কারচুপি করতেই এসব নাটকীয়তার আশ্রয় নেওয়া হয় বলে অভিযোগ আলোচিত এ এমপি প্রার্থীর।নির্বাচনে নানা অনিয়ম এবং বিজয়ী নৌকা প্রার্থীর পক্ষে জালভোট পড়ার কারণে নির্বাচনে ভোটের সঠিক ফলাফল না পাওয়ার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলন। যে কারণে তিনি ফরিদপুর-১ আসনের ভোটের ফল পুনরায় গণনা এবং অনিয়ম হওয়া কেন্দ্রগুলোর ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://www.dainikamadershomoy.com/details/018cf34846e5" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হতাশ কানাডা | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে কানাডা। তারা জানিয়েছে, এই নির্বাচন স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আদর্শ অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অব কানাডা (জিএসি) এর এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।বিবৃতিতে কানাডা জানায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার আদর্শ অর্জন না হওয়ায় তারা হতাশা প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব দলের সঙ্গে স্বচ্ছভাবে কাজ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায় তারা।বিবৃতিতে বলা হয়, `গ্রহণযোগ্য বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতারসহ সুষ্ঠু নির্বাচন একটি সুস্থ ও শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।‘নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ও উসকানির নিন্দা জানায় জিএসি। এই সহিংসতার শিকারদের প্রতি তারা সমবেদনা জানিয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে কানাডা। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf9ed0a9e10" | আমাদের সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবৈধ : মাহমুদুর রহমান মান্না | নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, লোকজন ভোট না দিলেও তারা ৪০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখাবে বলে ধারণা ছিল। তাই ভোট কত শতাংশ পড়েছে, কারা ভোট দিয়েছে, কারা প্রার্থী হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনই অবৈধ। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে জনমতের বাইরে এই ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনাসভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন। ‘৭ জানুয়ারির প্রহসন ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা- সর্বত্র ভারতীয় লোক রয়েছে, যারা দেশকে ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায়। ৭ জানুয়ারি ফেলানি হত্যা দিবস, সেই দিন কেন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলো? আগে-পরেও তো করা যেত।’সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাসানী অনুসারী পরিষদ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও জেএসডি সদস্যসচিব শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf996bce33" | আমাদের সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবৈধ | নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, লোকজন ভোট না দিলেও তারা ৪০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখাবে বলে ধারণা ছিল। তাই ভোট কত শতাংশ পড়েছে, কারা ভোট দিয়েছে, কারা প্রার্থী হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনই অবৈধ। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে জনমতের বাইরে এই ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনাসভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন। ‘৭ জানুয়ারির প্রহসন ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাÑ সর্বত্র ভারতীয় লোক রয়েছে, যারা দেশকে ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায়। ৭ জানুয়ারি ফেলানি হত্যা দিবস, সেই দিন কেন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলো? আগে-পরেও তো করা যেত।’সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাসানী অনুসারী পরিষদ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও জেএসডি সদস্যসচিব শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf56046a64" | আমাদের সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচন বিশ^ গ্রহণ করেনি : জয়নুল আবদিন ফারুক | ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ভোটারবিহীন উল্লেখ করে নবগঠিত জাতীয় সংসদকে অবৈধ বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেন, ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। অতএব এই এমপিদের শপথও জনগণ গ্রহণ করবে না। গতকাল নির্বাচিত এমপিরা শপথ গ্রহণের পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলোও গ্রহণ করেনি। এটা অবৈধ সরকারের অবৈধ সংসদ।ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশের রাজনীতিতে লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোটারবিহীন নির্বাচনে তল্পিবাহক সিইসি ৪০% ভোট পড়েছে বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সাজানো। আমরা তথ্য-উপাত্তে দেখেছি, ২ থেকে ৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি।’এদিকে বিকালে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের জনগণকে আপনারা বারবার ধোঁকা দেবেন, তা হবে না। জনগণ সবই বোঝে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আন্দোলনে জনগণের সমর্থন রয়েছে। তামাশার নির্বাচনে যাকে ইচ্ছা তাকে জিতিয়েছেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf56045551" | আমাদের সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৪ | নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান | গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডম। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এ নির্বাচন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে পারবে না। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী যেসব দেশ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গ্রহণ করেনি তাদেরও একই আহ্বান জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।নির্বাচনে দেশের নাগরিকদের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরিকদের বেশির ভাগই নির্বাচনের দিন ঘরে থাকার অপশন বেছে নিয়েছেন। তবে এর উল্টো দাবি করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে মূল্যায়ন করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে কূটনৈতিক ও সহযোগিতামূলক সমর্থন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf996bfb49" | আমাদের সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | ‘ভুয়া নির্বাচনে সংসদ কুক্ষিগত হয়েছে’ | সরকার ৭ জানুয়ারির ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদকে কুক্ষিগত করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। এদিন এই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।বিএনপির অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর এই কার্যালয়ের সামনের মহাসমাবেশ পুলিশ প- করে দেওয়ার পর কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় এবং চাবি নিয়ে যায়। পুলিশের কাছ থেকে চাবি না পেয়ে গতকাল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে প্রধান ফটকেরতালা ভেঙে ৭৪ দিন পর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় কার্যালয়ের সর্বত্র ছিল ধুলার স্তর। প্রথমেই আসবাবপত্র সাফসুতরো করা হয়।বিকাল তিনটায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, জয়নুল আবেদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, তাইফুল ইসলাম টিপু, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ প্রমুখ। এরপর ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের নানা অনিয়ম তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে ভোট কারচুপির ওপর দলের তৈরি সচিত্র তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। কীভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে; ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে; ভোটারবিহীন কেন্দ্রে সরকারদলীয় লোকজন কীভাবে ভোট বাক্সে ব্যালট পেপার ঢুকিয়েছেÑ এসবের পাশাপাশি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অপতৎপরতা এবং দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত রিপোর্টসমূহ তুলে ধরা হয়।সংবাদ সম্মেলনে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এ সরকার সমস্ত সংসদকে নিজেদের ইচ্ছামতো কুক্ষিগত করে নিয়েছে। ভুয়া প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। জাতীয় সংসদের তিনশ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে কে বিজয়ী বা কে পরাজিত, তা নির্বাচনে নির্ধারিত হয় নাই। এগুলো নির্ধারিত হয়েছে ঢাকার সর্বোচ্চ একটি টেবিলে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আগে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে কে কত ভোট পাবে, কে কত শতাংশ ভোট পাবে এবং কোন সিট থেকে কে নির্বাচিত হবে। এটা আর এখন আমাদের কথা নয়, দেশে বিদেশে সমস্ত প্রমাণসহ আজকে এটা বিশ্ববাসীর কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে দুঃখজনক, লজ্জাজনক, কলঙ্কজনক বিষয় হচ্ছে এই যে, মানুষ ভোট চুরি করে গোপনে। এই সরকার ভোট ডাকাতি করেছে প্রকাশ্যে। তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করেছে, সিট ভাগাভাগি করেছে কে কোন সিটে নির্বাচিত হবে সেটা নির্ধারণ করেছে প্রকাশ্যে। এই সরকার কোথায় নেমেছেÑ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দীর্ঘ ৭৪ দিন পরে আমাদের নয়াপল্টনের অফিস খোলা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর ক্র্যাকডাউনের পরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসটি সরকার বেদখল করে নিয়েছিল। আমরা রাজনীতি করি জনগণের মঙ্গলের জন্য। তিনি বলেন, বিএনপি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আছি। যেভাবে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং যেভাবে বেগম খালেদা জিয়া এ দেশে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই আদর্শে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে আন্দোলনে আছি, থাকব।৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণিত হয়েছে, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সরকার একদলীয় বাকশালী শাসনে বিশ^াসী। আমরা অতীতে বলেছি, এটা হচ্ছে অলিখিত বাকশাল। এবারের নির্বাচনের পর ?যা দাঁড়িয়েছে, তা হলো অলিখিত বাকশাল ওয়ান।বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা জানেন অতীতে সরকার একটি গৃহপালিত অপজিশন তৈরি করেছিল। এবার তারা গৃহপালিত অপজিশন তৈরি করতে গিয়ে একটা বোঝাপড়া করেছিল যে, ২৬টি আসন নাকি তারা তৃতীয় পার্টি জাতীয় পার্টিকে দেবে। বাস্তবে তারা ১১টি আসন পেয়েছে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cff1b1fe47" | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পূরণ হয়নি | সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন এবং সহিংসতা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের অঙ্গীকার ক্ষুণ্ন করেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের ২০২৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটপ্রক্রিয়ার বিষয়ে আস্থা না থাকায় প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে।এইচআরডব্লিউ বলেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচনের আগে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আট হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্দেশ্য ছিল তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন আর বিরোধী নেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করা যায়। অনেককেই ‘নিখোঁজ’ বলে দাবি করা হয়েছিল, যখন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেও শেষপর্যন্ত আদালতে হাজির করার আগে তাদের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়।বাংলাদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৯ সাল থেকে ৬০০টির বেশি গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র র?্যাবকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসার পর গুম হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের উচিত তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখার শর্ত হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিপীড়নের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য জোর দেওয়া।মীনাক্ষী গাঙ্গুলি আরও বলেন, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহির অভাব একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্কৃতিকে উসকে দিচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য, এমনকি ঘুষ দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত বা নিখোঁজ হওয়ার ভয়ে থাকেন বাংলাদেশিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশে সাংবাদিকরা ক্রমবর্ধমান আক্রমণের শিকার হয়ে আসছেন। নির্বাচনের আগে হওয়া বিক্ষোভে সহিংসতায় কয়েক ডজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনে রদ হওয়া আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেক বিষয় রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন ও সরকার সমালোচকদের শায়েস্তা করতে এই আইন ব্যবহার করা হয়েছে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cff8c59182" | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবি | বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক সংগঠন। বিবৃতিতে রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি।বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হলো- এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেনপার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস),ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যানরাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)। গতকাল শুক্রবার এই যৌথ বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনগুলো।যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন বহু খবর ও তথ্য-প্রমাণ আছে, যেগুলো নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেয়। এর মধ্যে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ এবং ভোটের ফলাফলে কারচুপির মতো বিষয়ও রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ এবং রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের ঘটনা ছিল উদ্বেগজনক।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু সরকারপন্থি দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রক্ষিত হয়েছে। পক্ষান্তরে বিরোধী নেতাকর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ক্ষেত্রে এসব মৌলিক অধিকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে সীমিত রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চসহ প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পক্ষপাতমূলক অবস্থান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট পক্ষপাত এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।নির্বাচন কমিশন ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। একটি অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cff1b19986" | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে -গণতন্ত্র মঞ্চ | গত ৭ জানুয়ারির ‘প্রহসনের ডামি’ নির্বাচন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে মঞ্চের নেতারা এ দাবি জানান।এতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সারের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব।মঞ্চের নেতারা বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল বিরানভূমি। ৫ বা ৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে কিনা সন্দেহ। সিইসি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাকে জাগিয়ে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণ করা দলও সাক্ষ্য দিচ্ছে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। সরকারি দলের জোটসঙ্গী এবং নিজ দলের লোকেরাও সাক্ষ্য দিচ্ছেন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। ফলে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মানুষ বলছে ডামি লীগ। মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ৩ বার তামাশা করেছে।৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ভেতর দিয়ে দ্বিতীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। তারা বলেন, ৭ জানুয়ারি মানুষ ভোট বর্জন করে নৈতিক যে শক্তি দেখিয়েছে- এটা গণতন্ত্রের শক্তি, মানবিক মর্যাদার শক্তি, ন্যায়বিচারের শক্তি। জনগণের আন্দোলনের মুখেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল দলের সাথে আলোচনা করে নতুন করে ভোটের আয়োজন করার দাবিও জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cfe4124f5" | আমাদের সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | বাংলাদেশের নির্বাচন ‘বাইরে থেকে’ প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল | বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বাইরে থেকে’ প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তোলা হয়। আজ শুক্রবার বিবৃতিটি ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।বিবৃতিতে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশের জনগণকে আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই। তবে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল দুঃখজনকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। বাইরে থেকেও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা গত বছরের ২২ নভেম্বর এবং ১৫ ডিসেম্বরও বিষয়টি উল্লেখ করেছি। ’তিনি বলেন, ‘কিছু দলের বর্জন ও বিদেশ থেকে হস্তক্ষেপ করার পরিস্থিতিতে ভোটারদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করা উচিত। রাশিয়াসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ওই নির্বাচনের বৈধতা ও গৃহীত মান পূরণ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ’রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনা আগেও এই পদে ছিলেন।’তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রুশ ফেডারেশন সরকারের চেয়ারম্যান মিখাইল মিশুস্টিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cfe1858ef" | আমাদের সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | নতুন নির্বাচনের দাবি নুরের | ডামি নির্বাচনের ডামি সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পুরানা পল্টন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই দাবি জানায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। পরে সমাবেশ শেষে গণমিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি পল্টন মোড়,প্রেসক্লাব ,হাইকোর্ট কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন মোড়,নাইটিংগেল মোড় হয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সড়ক ঘুরে বিজয়নগর মোড়ে এসে শেষ হয়।নুর বলেন, ‘পশ্চিমারা নির্বাচনের আগে যেভাবে অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছে, নির্বাচনের পরও নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি স্পষ্টভাবে সে কথা বলছে। এ নির্বাচন দেশে বিদেশে কোথায় গ্রহণযোগ্য হয়নি। বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী,আন্তর্জাতিক সংগঠন তারা যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতেও তারা বলছে ৫-৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। তার মানে ৯৫-৯৩ ভাগ মানুষ এই সরকারকে সমর্থন করছে না।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও ভুয়া ভোট বর্জন করায় আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন আপনারা নিজেরাও জানেন। অনতিবিলম্বে এই ডামি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। আপনাদেরকে জনগণ পার্লামেন্টে বসতে দেবে না। রাষ্ট্রের ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনী উৎসব করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সেটা প্রহসনে পরিণত হয়েছে। জনগণ আপনাদের এই সাজানো নির্বাচন বয়কট করেছে।’গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘বিদেশিরা স্পষ্ট বলছে, হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে, জেলে ভরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। এ সংগ্রাম আমরাই জয়ী হব।’দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সংসদ গঠিত হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে ডামি এমপি- মন্ত্রীরা ডামি শপথ নিল। কিন্তু এভাবে ক্ষমতার গদি টেকান যাবে না। এই যে এখানে রিকশাচালকরা আছে, আমাদের বক্তব্য শুনছে, স্লোগান দিচ্ছে। তারাও ভোট দিতে যায়নি। তাহলে ভোট দিল কারা? ভোটকেন্দ্রে কুত্তা-বিড়াল ও ভেড়ার পালেরা ঘুরঘুর করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাকি ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি ঘুমের ঘোরে কখনো বলেছেন ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে, কখনো ৪০ শতাংশ। আবার এখন বলছে ৪১ শতাংশ। এই ইন্তেকাল কমিশন এখন ঘুমন্ত কমিশনে পরিণত হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ডামি সংসদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে আমেরিকা- ইউরোপ নাকি সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে, অভ্যর্থনা জানিয়েছে। অথচ আমরা দেখলাম, পুরো বিশ্ব ধিক্কার জানিয়েছে। আমেরিকা বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ৭ তারিখে নির্বাচন করতে পেরেছে বলেই, ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে, বিষয়টি এমন না। জনগণ ফুঁসে উঠেছে, রাজপথে জনতার উত্তাল ঢেউ নেমেছে, সুতরাং কে নামল, কে নামলনা, কে আন্দোলনের ঘোষণা দিল, কে দিলনা, সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন, এই আন্দোলনে কোনো নেতা নেই, প্রতিটি কর্মীই নেতা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে, ইনশাআল্লাহ।’গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান,যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান,ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুুর রহমানসহ আরও অনেকে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018d036bf488" | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে: আ স ম রব | নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ শনিবার উত্তরার নিজ বাসভবনে জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।আ সম আবদুর রব বলেন, ‘৯০ শতাংশের বেশি মানুষ নির্বাচন বর্জন করায় ‘‘ডামি নির্বাচনে’’ ‘‘ডামি সংসদ’’ এবং ‘‘ডামি সরকার’’ গঠিত হয়েছে। সুতরাং জনগণের সম্মতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে অবিলম্বে ‘‘ডামি সংসদ’’বাতিল করতে হবে এবং তার সঙ্গে ‘ডামি সরকারকেও’’ পদত্যাগ করতে হবে।’জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘অসাংবিধানিক চর্চার মাধ্যমে সংবিধানকে হাতের খেলনা করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে গিয়ে রাষ্ট্র আইনগত ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে। নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতির মাধ্যমে রাষ্ট্র থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, নৈতিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ না করায়, ক্ষমতাসীনদের লোভ-লালসায় সমাজটা হাতছাড়া হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলতান্ত্রিক করতে গিয়ে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে, এই ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশকে পুনরুদ্ধার করা আর সম্ভব হবে না।’সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কে এম জাবের প্রমুখ। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018d020717b9" | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা | নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মণ্ডল। নির্যাতিত রামপাল ও মোংলাবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনার পর থেকেই বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে বিশেষ করে পুরো মোংলা উপজেলায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর নাহারের সশস্ত্র ক্যাডাররা ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে।আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা বিধান চন্দ্র রায়, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, ইউপি সদস্য আশীষ মন্ডল, নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য পিন্টু রায়, নয়ন কুমার মন্ডল, সঞ্জয় বাছাড়, নির্মল সরকার, দেবাশীষ মন্ডল, তপন ফকির, দীপা ফকির, তাপস সরকার, বিবেক মন্ডল, অমিত সরকার প্রমুখ।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারের কতিপয় নেতা ও ক্যাডার বাহিনীর ধারাবাহিক জুলুম, অত্যাচার, হামলা, মারধর, দখল, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকার সাধারণ মানুষ জীম্মি হয়ে পড়েছে। বিপুল সংখ্যক হিন্দু পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে বন্দী জীবনযাপন করছে।ইতিমধ্যে কয়েকশ’ পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে মোংলা থেকে পালিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। শুধুমাত্র হাবিবুন নাহারকে ভোট না দেওয়ার কারণে এলাকায় এ ধরনের অস্থিতীশীল ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।এতে আরও বলা হয়, বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় হাবিবুন নাহার অনেক সহজেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু এবার দলীয় কোনো বাধা না থাকায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোংলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়। নির্বাচনের শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের সমর্থক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মী ও নেতাদের নানাভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এরপর ভোট গণনা শেষ হতেই সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালায়। বসতঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানে ভাঙচুর করে। মাছের ঘের জবর দখল করে ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধ মহিলারা। এমনকি তাদের সশস্ত্র দুজন মুক্তিযোদ্ধাও মারাত্মক আহত হয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা, মিঠাখালী, সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে। এসব তাণ্ডবের নেপথ্যে রয়েছে মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও তার সহযোগী আহাদুল মেম্বর, মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ইস্রাফিল হাওলাদার, চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই হাফিজুল ও তার সহযোগী সেলিম। তারা ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নিয়াতন ও জুলুম চালালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যে কারণে আমরা নিরূপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ওইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। | Negative |
https://dainikamadershomoy.com/details/018d03f79f672 | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ডামি নির্বাচন ও মন্ত্রিসভায় আগ্রহ নেই জনগণের : ফয়জুল করীম | ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশ এক অগ্নিগর্ভে নিপতিত। রিজার্ভ শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশ দেউলিয়ার পথে। এর মধ্যে সম্প্রতি সমাপ্ত হলো একতরফা প্রহসনের ডামি নির্বাচন। ডামি নির্বাচনের পর তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিসভা গঠন করে বর্তমান সরকার জাতিকে কী ম্যাসেজ দিয়েছে? জনগণের ডামি নির্বাচন ও ডামি মন্ত্রিসভার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি ২৭ কেন্দ্রে কোনো ভোট না পড়ায় প্রমাণিত এই নির্বাচন আওয়ামী লীগও বর্জন করেছে।গতকাল শুক্রবার বিকালে বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আওয়ামী লীগ নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করেছে। এবার তারা ডামি নির্বাচন ও ডামি মন্ত্রিসভা আবিষ্কার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার করে থাকেন। এবার তার নতুন ফর্মুলা হলো ‘বিরোধী দল ছাড়াও গণতন্ত্র হয়’। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলছেন। অপরদিকে, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। এভাবে জনগণের সঙ্গে তামাশার কোনো মানে হয় না। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cff96af4213" | আমাদের সময় | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | দ্বাদশ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি কোথাও : গণঅধিকার পরিষদ | গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে ও বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। ডামি নির্বাচনের ডামি সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে পরিষদের নেতারা এ মন্তব্য বরেন। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘পশ্চিমারা নির্বাচনের আগে যেভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছে, নির্বাচনের পরও নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি স্পষ্টভাবে সে কথা বলছে। এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। বুদ্ধিজীবীরা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো যে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে, তাতেও তারা বলছে ৫%-৭% এর বেশি ভোট পড়েনি।’প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও ভুয়া ভোট বর্জন করায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান নুর। সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে এই ডামি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন।দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সংসদ গঠিত হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে ডামি এমপি-মন্ত্রীরা ডামি শপথ নিলেন। কিন্তু এভাবে ক্ষমতার গদি টেকানো যাবে না।গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018d03f79f253" | আমাদের সময় | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | আন্তর্জাতিক অঙ্গনও নির্বাচন বাতিল চায় | তামাশার নির্বাচন বাতিল ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ধ্বনিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী।রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিশ্বের সব খ্যাতিমান পত্রপত্রিকা, অনলাইন ভিজুয়াল মিডিয়া ভোট বর্জনের এই তথাকথিত নির্বাচনের নামে কী কেলেংকারি ঘটিয়েছেন একনায়ক শেখ হাসিনার মাফিয়াচক্র তা প্রামাণ্য চিত্রসহ তুলে ধরছে প্রায় প্রতিদিন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন- হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের প্রায় সব মানবাধিকার সংগঠন, অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শুব্রিজসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা শেখ হাসিনার নির্বাচনকে কারচুপিপূর্ণ নির্বাচন বাতিল করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। সুতরাং তামাশার নির্বাচন বাতিল ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ধ্বনিত হচ্ছে।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ৬১ জন নেতাসহ মোট সাড়ে ২৭ হাজার নেতাকর্মী কারাবন্দি অবস্থায় আছে জানিয়ে তাদের সবার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী। এ সময় তিনি কারাবন্দি অনেক বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নামও বলেন। নিজস্ব প্রতিবেদক | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018d03f79f672" | আমাদের সময় | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ভয় পেয়ে বিএনপির নির্বাচন বর্জন | আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপিকে জনগণ বিশ্বাস করে না বলেই তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি জানে, তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে; মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে, কারণ তারা জানে যে এই অপরাধীদের মানুষ কোনোদিনও ভোট দেবে না। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে যেতে ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। গতকাল শনিবার বনানী মডেল স্কুল মাঠে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দেশব্যাপী অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। সেই উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথমে দ্রব্যমূল্য কমানোর অঙ্গীকার করা হয়েছে।কর্মসূচিতে আটশ অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। আরও ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন ও ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। নিজস্ব প্রতিবেদক | Negative |
https://dainikamadershomoy.com/details/018cf4d798689 | আমাদের সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৪ | কুষ্টিয়া-৩ আসনে পুনর্নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন | ভোট ডাকাতি ও কারচুপির অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর সমর্থকরা। বুধবার দুপুরে কালেক্টরেট চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তনুর সমর্থকরা।এ সময় বক্তব্য রাখেন তনুর বাবা কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পাঁচ বারের নির্বাচিত পৌর মেয়র আনোয়ার আলীসহ অন্যরা। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এহেতেশাম রেজার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।মানববন্ধনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ আনোয়ার আলী বলেন, কুষ্টিয়ায় নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছে। এখানে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মাহবুব-উল আলম হানিফ ভোট ডাকাতি করেছেন। এ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাই।কুষ্টিয়া-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের মাহবুব-উল আলম হানিফ ১,২৮,৫৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু পেয়েছেন ৪৩,৭২৬ ভোট।কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, পারভেজ আনোয়ার তনুর পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তবে কুষ্টিয়ায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ছিল। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf486ff799" | আমাদের সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৪ | আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাব না -তৈমূর আলম খন্দকার | তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তৃণমূল বিএনপি রাজনীতি করবে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা তুলে ধরেছিলেন। আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। এবার নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার। আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাব না। আমাদের সব প্রার্থী ঢাকা আসবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।তৈমূর আলম বলেন, দেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে। আমাদের জন্য দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব না। আগামী প্রজন্মও পারবে না। তৃতীয় প্রজন্ম হয়তো পারবে। সরকারি দলের লোকজন ভাবে, ক্ষমতা ছাড়লে জেলে যেতে হবে। সে কারণেই ওরা নির্বাচন কুক্ষিগত করে। নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ। সিইসির সচিবের বক্তব্য শুনেছেন? সে বলেছে, ডিসিদের কাছে মেসেজ চলে গেছে। সে অনুযায়ী রেজাল্ট হবে।তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, রূপগঞ্জের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী শমসের ডাকাত ও রীতা মেম্বার। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলে এসেছি। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে। আমরা বলেছি, এ রকম সিরিজ মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। নির্বাচনের দিন চনপাড়ায় রেজাল্ট ঘোষণার পর শমসের বাহিনী ও রিতা বাহিনী আমার কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আমি আজ এ পরিবারটিকে নিয়ে এসপি অফিসে এসেছি। যেহেতু তারা আমার নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসপি সাহেব আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা নির্বিঘ্নে চনপাড়ায় বসবাস করতে পারবে। তিনি ওসিকে ফোনে নির্দেশনাও দিয়েছেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf1a939cd" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে যা জানাল জাতিসংঘ | বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রধান দল অংশ না নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মাধ্যকার সম্পর্ক গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের মূল্যবোধ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত রবিবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের তদন্ত করা প্রয়োজন।’এতে বলা হয়, ‘ইইউ নির্বাচনকালীন সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। নির্বাচনকালে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে ইইউ সম্মান করে এবং সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে।’এ ক্ষেত্রে বিরোধী নেতৃত্বকে আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করে ইইউ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের জন্য ইইউ সব পক্ষকে আহ্বান জানায়। গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো কোনো ধরনের ভয়ভীতি ও বাধা ছাড়াই যেন তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইইউ।’জিএসপি প্লাস অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য প্রকল্পে দেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ অ্যাক্সেসসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে- এমন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ কাজ করে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf1eb5c6b" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | গণতান্ত্রিক মূলনীতি পূরণ হয়নি বাংলাদেশের নির্বাচনে, হতাশ কানাডা | যে গণতান্ত্রিক মূলনীতি ও স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ, তা পূরণ হয়নি সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এজন্য হতাশা প্রকাশ করেছে কানাডা। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মৌলিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের পথে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সব দলের প্রতি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।গতকাল মঙ্গলবার কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে কানাডা। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং নির্বাচন চলাকালীন যে ভীতি প্রদর্শন ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানায় তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি। গণতন্ত্রের যে মূলনীতি ও স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা পূরণ করতে পারেনি এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া। এজন্য হতাশা প্রকাশ করছে কানাডা।’একটি শক্তিশালী ও সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি কার্যকর বিরোধী দল, নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।এতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশকে প্রথমে যে কয়েকটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল কানাডা তার অন্যতম। এখনো একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যে আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে তাতে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018ce7cd1e88" | আমাদের সময় | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া | নির্বাচন নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘জনগণ গতকাল ভোট বর্জন করে এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বর্তমান সরকার, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এবং সর্ব শেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব কিছুই হচ্ছে ভুয়া।’আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ গতকাল এই সরকারকে বর্জন করেছে। তারা শুধু ভোট বর্জন করেনি, গতকাল তারা যে কাজটি করেছে তারা বিদ্যমান আওয়ামী লীগের এই একদলীয় বাকশাল সরকারকে বর্জন করেছে।’সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছেন ভোটের কেন্দ্রের সামনে কৃত্রিম লাইন তৈরি করা হয়েছে। স্কুল ছাত্র, এমনকি শিশুরাও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব আমরা দেখতে পেরেছি। সুতারাং এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে বর্তমান একদলীয় বাকশালি সরকারের অধিনে কোন ভাবেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে, ভোট ডাকাতি আর ভোট জালিয়াতি।’তিনি জানান, ডামি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি ও সমমনা দল।নতুন করে বড় কোনো কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপি গণসংযোগ অব্যাহত রাখবে এবং জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করবে বলে জানান তিনি। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cedc523bb" | আমাদের সময় | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন পিটার হাস | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ব্রিফ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ ব্রিফিং শুরু হয়।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করে।অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সে কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cf3209437" | আমাদের সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | ওবায়দুল কাদের বললেন, ‘খেলা শেষ’ | বিএনপিকে ভুয়া দল হিসেবে আখ্যায়িত করে ‘খেলা শেষ’ বলে জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জসভায় তিনি এ কথা বলেন।গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পর এটিই আওয়ামী লীগের প্রথম জনসভা। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জনসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বক্তৃতা করব না। নির্বাচনের খেলা শেষ। এখন খেলা, রাজনীতির খেলা। এখন খেলা হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, খেলা হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।’বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা শেষ হয়ে গেছে ৭ জানুয়ারি। বিএনপি ভুয়া দল। ওদের কর্মসূচি ভুয়া। ওদের নেতা ভুয়া। তাদের একদফা ভুয়া। তাদের ভবিষ্যৎ ভুয়া। তাদের ভবিষ্যৎ শুধু অন্ধকার।’তিনি বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি। এই দিনে মনে পড়ে আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক, মহাবীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যে মহামানবের আজন্ম সাধনার মহামূল্যবান কীর্তি আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ।’ | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cee364589" | আমাদের সময় | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ঢাকা-৪ আসনের ফল স্থগিত | অনিয়মের অভিযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।এই আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম সকালে অনিয়মের অভিযোগ এনে একটি রিট করেন। শুনানি শেষে বিকেলে উচ্চ আদালত এই রায় দেন।সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭), ডেমরা (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯) উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন।নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে এই আসনে সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট। আর সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন সাত হাজার ৭৯৮ ভোট।গত ৭ জানুয়ারি দেশের ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেদিন নওগাঁ-২ আসনে ভোট হয়নি। আর একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল পাওয়া যায়নি।২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন। এছাড়া কল্যাণ পার্টি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018ce2f95e93" | আমাদের সময় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ | দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের ভোট বর্জন | ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. এনায়েত হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। আজ রবিবার বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছেন অভিযোগ এনে তিনি ভোট বর্জন করেন।এনায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও তারাকান্দা ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকরা জাল ভোট দিয়েছেন। এছাড়া ফুলপুর ও তারাকান্দার প্রায় সব কেন্দ্র থেকে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়।’এবিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবগত করলেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন লাঙ্গলের এজেন্টরা।এছাড়া অনিয়ম ও পেশিশক্তির জোরে ভুয়া ভোট প্রদানের অভিযোগে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন রংপুরী। তিনি দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এ ঘোষণা দেন।এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম হয়ে আসছিলো। পেশিশক্তির জোর দেখিয়ে ও অর্থের লেনদেন করে নৌকা মার্কায় ভুয়া ভোট প্রদানের চিত্রও দেখেছি। আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজে তার বিড়ি ফ্যাক্টরি থেকে মহিলা কর্মীদের এনে ভুয়া ভোট দিয়েছেন।’একই ভাবে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নরসিংদী-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রফিকুল আলম সেলিম।তিনি পলাশ উপজেলায় চরসিন্দুরের দলীয় কার্যালয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।এর আগে সকালে কারচুপির অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) সংসদীয় আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. আবুল হোসেন দীপু ও অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ।এছাড়া কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচনে কারচুপি, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুর ১২টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সকাল থেকে কেন্দ্রে অবস্থান করে জাল ভোট দিয়েছেন অবাধে।’অপরদিকে, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৫৫টি কেন্দ্র দখলের অভিযোগে এনে ভোট বর্জন করেছেন যশোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। তিনি বেলা ১১টায় বেনাপোল মাদ্রাসা কেন্দ্রের পাশে নিজের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেন।লিটন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র।নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুর সমর্থকদের সঙ্গে জাতীয় পার্টি–মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে দুজন বিদ্ধ হয়েছেন।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আলমগীর সিকদার। সংঘর্ষের পর ওই বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ কেন্দ্র দুটির ভোট গ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হয়।এবারের নির্বাচনে রয়েছে আওয়ামী লীগসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল। তবে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি ও সমমনারা। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৬৬টিতে লড়ছে ক্ষমতাসীনরা। যাতে নৌকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী, আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী।নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ফলে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮ দল ভোটে অংশ নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018ce2679a7f" | আমাদের সময় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ | নৌকা ছাড়া কারও এজেন্ট নেই: সিইসি | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমি যে কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে সবাইকে একই দলের পেয়েছি। বাদ বাকিদের কোনো পোলিং এজেন্ট পাইনি।’আজ রবিবার নির্বাচন ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটগ্রহণ মাত্র শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি আশা করি আরও বাড়বে। প্রত্যেকটা সেন্টারে আমি খোঁজ নিয়েছি। ভোট হয়েছে অল্প। কোথাও ২৫টি কোথাও ৪০টি।’হরতাল ও সহিংসতার কারণে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারবো না। আমরা শুধু ভোটটা ম্যানেজ করছি। ভোটাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।’তিনি বলেন, ‘আমি যে কেন্দ্রে গিয়েছি, আসলে মনে হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ প্রার্থী যারা তাদের পোলিং এজেন্ট দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আমরা খুব জোর দিয়ে বলেছিলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হতে হলে কেন্দ্রে অবশ্যই প্রত্যেকটা প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকতে হবে। আমি যেগুলো পেয়েছি সবাই একই দলের। নৌকা পক্ষে বা ইয়ে, বাদ-বাকি প্রার্থীদের কোনো লোকজন দেখি নাই।’কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এ ছাড়া সারাদেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cab9b492d" | আমাদের সময় | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ইইউ প্রতিনিধিদের কাছে যেসব ‘অভিযোগ’ করল বিএনপি | বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠক শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে।প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান অংশ নেন। ইইউ প্রতিনিধিদলে ছিলেন রেবেকা কক্স ও শার্লোট সুয়েবেস।বৈঠক শেষে একটি গণমাধ্যমকে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা যতটুকু বুঝেছি, ওনারা নির্বাচন পরিস্থিতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবেন। সেটার তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। আমরা বাস্তবতাটা তুলে ধরেছি, এটা কোনো নির্বাচন নয়, নাটক হচ্ছে।’তবে বৈঠকের বিষয়ে উপস্থিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম সারির একটি গণমাধ্যম জানায়, ‘বিএনপি নেতারা ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন কত প্রকাশ্যে সাজানো ও পাতানো। যাঁকেই ভোট দেওয়া হবে, তিনি হয় নৌকার প্রার্থী, না হয় ডামি প্রার্থী, না হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। আর বিরোধী দল হিসেবে যাঁদের দেখানো হচ্ছে, তাঁরা কীভাবে সরকারের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া এই পাতানো নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা কে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে।’এর আগে আজ দুপুর ১২টায় সিলেট বিভাগীয় বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধিদল। সিলেটের স্থানীয় এক হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট বিএনপির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী।এ ছাড়া গত ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন অংশ নেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018ca5afd031" | আমাদের সময় | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | নির্বাচন সফল করতে পুলিশদের নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে: গণতন্ত্র মঞ্চ | সরকার ডামি নির্বাচন সফল করতে বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে পুলিশকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর মতিঝিলে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নেতারা এই মন্তব্য করেন।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির মিছিলে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে উৎসব করে ভোট দিতে যায়। সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছ। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে চায়। স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’নেতারা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১৫ বছরে কয়েক কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। বাজেটের পর থেকে অর্থমন্ত্রীর দেখা নাই। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরও বিপদে পরবে। এর জন্য দায়ী থাকবেন বর্তমান সরকার।’নেতারা স্পষ্ট করে বলেন, ‘অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিন। সকল দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না।’সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।গণতন্ত্র মঞ্চের ধারাবাহিক প্রতিবাদী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী গণসংযোগে আগে সমাবেশে নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তব্য শেষে মঞ্চের নেতারা মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ ঘটনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশসহ আরও অনেকে। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018c9c871c21" | আমাদের সময় | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে ভোটে: নসরুল হামিদ | দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ৭ জানুয়ারির প্রতিটি ভোটে হবে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।আজ রবিবার তেঘরিয়া ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের কদমপুর এলাকায় উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।নসরুল হামিদ বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ভোট দিতে হবে। আমাদের এ ভোট হবে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আমার প্রার্থী পাশ করবে এটা ভেবে ঘরে বসে থাকলে হবে না। কে পাশ করবে আর কে পাশ করবে না এটা আল্লাহ তালা জানেন। ভোটটা দেওয়া মানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এটা মাথায় রাখতে হবে।এসময় তেঘরিয়ায় বিগতদিনের উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের আরও বেশি যেতে হবে। কারণ, বিগত দিন সব থেকে বেশি কাজ এই তেঘরিয়া ইউনিয়নে হয়েছে। ৬০০ বিঘার ওপর এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে। এটা শেষ হলে দেখবেন এই এলাকার চেহারা আরও পরিবর্তন হয়ে গেছে। আপনাদের পাশের কান্ডা ইউনিয়নে রেলস্টেশন হয়েছে৷ এখান থেকে চাইলে আপনি ট্রেনে চড়ে যশোর-খুলনা-বেনাপোল হয়ে কলকাতা চলে যেতে পারবেন। আবার কমলাপুর হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যেতে পারবেন। এটা সম্ভব হয়েছে কেন? এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে।এসময় বিএনপি ও তারেক জিয়ার সমালোচনা করে নসরুল হামিদ বলেন, এই কয়েকদিন আগে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়েছে। বাচ্চাসহ চারজন মারা গেছে৷ এদের বুক কাঁপে না। লন্ডনে বসে নির্দেশ দেয় বুক কাঁপে? মানুষ হত্যা করে শান্তি চায় এটা হতে পারে! ২০১৪ সালেও আমরা দেখেছি। শান্তির কথা বলে সারা বাংলাদেশে নৈরাজ্য করেছে। আপনাদের এ কথাগুলো স্মরণ রাখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে লুটপাটের রাজনীতি করেছে দাবি করে ঢাকা-৩ এর এ নৌকার মাঝি বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে। নিজেরা আসতে পারবে না দেখে এখন বিদেশিদের কাছে হাত পেতেছে। সকল ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে গেছে। সব চুপ, হায় হায় হলো কি! কেউ তো কথা শুনে না। বিদেশিরাও কান বন্ধ করে দিয়েছে। যেগুলোর পক্ষ নেবে সেগুলো তো সন্ত্রাসী করেছে। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ এ নেতা। বলেন, বলছে না যে ২৮ তারিখে দেশ শেষ? ওরাই শেষ। একটাকেও খুজে পাওয়া গেলো না ২৯ তারিখে, কোই জানি গায়েব হয়ে গেছে। আরও বেশি দেউলিয়া হয়ে গেছে। এবার নির্বাচনে না এসে যে ভুল করলো বিএনপি-জামায়াত জোট, ওরা সারাজীবনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো।এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহর চান মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/00000006D0EE" | আমাদের সময় | ১২ জুন ২০২৩ | নির্বাচনে টাকা বিতরণ প্রার্থীর কর্মীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা | কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ সোমবার। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ভোট হবে ইভিএমের মাধ্যমে। গতকাল দুপুরে পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশ, আনসার ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে গভীর রাতে টাকা বিতরণ করার সময় এক কর্মীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাজের পাড়া এলাকায় স্টেডিয়ামের কাছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়রপ্রার্থী মাশেদুল হক রাশেদের পক্ষে টাকা বিতরণের খবর পেয়ে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় মো. ইসমাইল হোসেন নামে বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং তার কাছে থাকা ২২৬০ টাকা ও টাকা বিতরণের লিস্ট জব্দ করেন। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১২টি ওয়ার্ডে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্বে থাকবে ১৫ ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র?্যাব টিম ও ৭৯০ জন পুলিশ। ৪৩টি ভোটকেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন। পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯৪ হাজার ৮০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯ হাজার ৮৭৯ জন ও নারী ৪৪ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র পদে পাঁচজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cd86f5b03" | আমাদের সময় | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না: আইজিপি | ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।আইজিপি বলেন, যে বা যারা নাশকতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018cd82a6f47" | আমাদের সময় | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ | নির্বাচনের আগে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সহিংসতা হতে পারে এমন শঙ্কায় বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। এই অবস্থায় দূতাবাস মার্কিন নাগরিকদের চলাফেরার বিষয়ে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে দূতাবাস বন্ধ থাকবে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সেদিন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত হবে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন যদিও শান্তিপূর্ণ হবে বলেই আয়োজন করা হয়েছে, তবে তা সহিংস রূপও নিতে পারে। ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন বা পরের দিন বা সপ্তাহগুলোতে সামান্য বা কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।বিবৃতিতে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, ‘মার্কিন নাগরিকদের যেকোনো বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত। স্থানীয় ঘটনাসহ আপনার আশপাশের পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং কী ঘটছে সে বিষয়ে অবহিত থাকার জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।’ এ ছাড়া, মোবাইল ফোনে সব সময় চার্জ রাখা এবং যেকোনো জায়গায় চলাফেরার ক্ষেত্রে বিকল্প সবগুলো পথের খোঁজ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা কঠোর নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী বসবাস, কাজ এবং ভ্রমণ করেন। তাদের চলাচল ও ভ্রমণ বিধিনিষেধের অধীন। বিক্ষোভ ও নাগরিক অস্থিরতার সময় এই ভ্রমণ বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে।’সর্বশেষ নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্যের জন্য ভ্রমণকারী মার্কিন নাগরিকদের নিয়মিতভাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই সতর্কবার্তায়। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018c7d0c3a62" | আমাদের সময় | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | নির্বাচন বানচালে গোপন তৎপরতা ও নাশকতা: ১৫৪ বিশিষ্টজনের উদ্বেগ | আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিকসহ মোট ১৫৪ জন এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।আজ সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন এই বিবৃতি পাঠান।বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করে ঘোলাজলে মাছ শিকারের জন্য দেশি-বিদেশি মহলের অপতৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অতীতের ন্যায় নির্বাচন বানচালের সব ধরনের অপচেষ্টা মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাই।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্যের ফলে ১৯৭১ সালে বিশ্বমানচিত্রে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিলাম। পরিতাপের বিষয় হলো, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদেরকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে। এই অপশক্তির হাতে আমরা রাষ্ট্রের স্থপতিকে হারিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সামরিক বাহিনীর অগণিত বীর সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে বা গোপন কিলিং মিশনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে ধারাবাহিকভাবে। লক্ষ প্রাণের আত্মত্মত্যাগ আর মা- বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখনো ছিনিমিনি খেলছে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র এবং সমতা। পাকিস্তানের পরাজিত এই শক্তি সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের মৌলচেতনাকে পদদলিত করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনও আসতে চাইছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গণতন্ত্রের আবরণ অঙ্গে ধারণের চেষ্টা করলেও এরা এদের আসল চেহারা ঢেকে রাখতে পারেনি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যেভাবে এরা অগ্নিসন্ত্রাস আর ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত ছিল, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে একইভাবে গুপ্তঘাতক চক্রের ন্যায় এরা গোপন স্থান থেকে হরতাল অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের জানমাল, গণপরিবহন, ট্রেন ইত্যাদির ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। রেললাইন উপড়ে ফেলে, অগ্নিসংযোগ করে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে এরা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে চায়। বিদেশি সাহায্যনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে বিদেশি শক্তির দোসররা অর্থনীতি ধ্বংসের মরণখেলায় মেতে উঠেছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা নাশকতা করছে, তারা চিহ্নিত অপশক্তি। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, চিহ্নিত এই দানবদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দেবেন সে প্রত্যাশা করি। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সফল হলে বাংলাদেশ ইরাক, সিরিয়া, লিরিয়া কিংবা আফগানিস্তানের পরিণতি ভোগ করবে। কাজেই দেশি-বিদেশি এসব মহলের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নাগরিক সমাজ ১৯৭১ সালের ন্যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অবাধ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করবে। ভোটারদের প্রতি সনির্বন্ধ আহ্বান- বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহকারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং আপনার পছন্দের সরকার গঠনে ভূমিকা রাখুন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, শিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হাশেম খান, শিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুন নবী, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, কবি ও লেখক কামাল চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও বিশ্ব শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, নাট্যাভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও সংগঠক আতাউর রহমান, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, কবি ও লেখক অসীম সাহা, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্ আলভী, শিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান, অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যেপাধ্যায়, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ এর সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, কার্টুনিস্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য, বিএফইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, শিল্প সমালোচক অধ্যাপক মইনুদ্দিন খালেদসহ ১৫৪ বিশিষ্টজন। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018c95ce6b7d" | আমাদের সময় | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ইশরাকের লিফলেট বিতরণ | নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রাজধানীতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।আজ শনিবার দুপুরে দয়াগঞ্জ মোড় থেকে যাত্রাবাড়ীর শহিদ ফারুক রোড়ের মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ, রাম সাহা, মো. মনিরুজ্জামান, আমির হোসেন, নুরু মাদবর, মোহাম্মদ মুখলেস, সূত্রাপুর থানা নেতা দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, ৪২ নং ওয়ার্ড সভাপতি কাজী কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক মুখলেসুর রহমান, ৪৩ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফয়েজ, ৪৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি তারেক আহমেদ জন, সাধারণ সম্পাদক হাসান খান প্রদীপ প্রমুখ।ইশরাক হোসেন লিফলেট বিতরণের সময় তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জনসাধারণকে রাজপথে নামার আহবান জানান। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018c95ce6b7d" | আমাদের সময় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ | ভোট বর্জন করলেন হিরো আলম | বিভিন্ন অনিয়মের কারণ দেখিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছেন আলোচিত কনেটেন্ট ক্রিয়েটর ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আজ রবিবার সন্ধ্যার পর নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম নিজেই। এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান জানান, ভোটের রেজাল্ট নিয়ে আজ রাত ৮টায় তার নিজ বাসায় এরুলিয়া আরজি পলিবাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন হিরো আলম।বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী হলেও তিনি বগুড়া-৬ (সদর) আসনের ভোটার। সকালে নিজ বাড়ির পাশে সদর উপজেলার এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর আগে তিনি সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রে আসেন।আশরাফুল আলম বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী। দলটির ডাব মার্কা নিয়ে এবার তিনি নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। এছাড়া বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ আরও চার প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরআগে সকালে ভোট দেওয়া শেষে হিরো আলম জানান, ‘বগুড়া-৬ আর বগুড়া-৪ আসন কাছাকাছি। আমি এই আসনে ভোট প্রদান করে গর্বিত। নিজেকে ভোট দিতে পারিনি এতে দুঃখ নেই। ভোটের পরিবেশ ভালো আছে, তবে উপস্থিতি কম।’তিনি বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু যদি কারচুপি হয় তাহলে সেখানে আর কিছু বলার থাকে না। কাল আমার বাড়ির ২০০ গজ সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমি এতে ভয় পাইনি। কারণ আমি ভয় পেলে ভোট করবে কে?’হিরো আলম ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এরমধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। | Negative |
ERROR: type should be string, got " https://dainikamadershomoy.com/details/018c2b349691" | আমাদের সময় | ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | বাংলাদেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে: বিএনপি | শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মাত্র একজন ব্যক্তির অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার উগ্র লিপ্সার কারণে বাংলাদেশ এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে তাদের লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে।’আজ শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লুটেরা চক্র শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে দেউলিয়া করেনি, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতাও বিপন্ন করে দিয়েছে। এই লুটেরা চক্র শুধু বর্তমান প্রজন্মকেই নয় দেশের ভবিষৎ প্রজন্মকেও ঋণে ডুবিয়েছে। ভবিষৎ প্রজন্মের উজ্জল সম্ভাবনার পথও কঠিন করে দিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘গণঅভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে নৌকা, ডামি আওয়ামী লীগ এবং কতিপয় নাম গোত্রহীন ভূঁইফোড় দলছুট লোকজনকে নিয়ে ডামি নির্বাচন নাটক মঞ্চায়ন করার জন্য জনগণের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনষ্টের হিসাব মাফিয়াচক্রের দোসর সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল গংকে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রীরাও বলতে শুরু করেছে এই পাতানো প্রতিযোগিতাহীন ভুয়া নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে তারা ঘোরতর সন্দিহান।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এক সভায় বলেছেন, ‘‘আমরা বিশাল ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছি, আমাদের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, আমরা এখনো জানিনা সেটা হবে কিনা? একটা অনিশ্চিত অবস্থা।’’ বাস্তবতা হলো- দেশের ১৮ কোটি জনগণ এই নির্বাচন করতে দিবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মাটিতে হবে না।’বাংলাদেশেও স্বৈরাচার কবলিত কম্বোডিয়ার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমস্ত হুঁশিয়ারি ও আহ্বান উপেক্ষা করে পাতানো ডামি নির্বাচনের সার্কাস করছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই নির্বাচনী প্রহসন জেনে গেছে গোটা বিশ্ব। দেশের জনগণের আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নেমেছেন শেখ হাসিনা। অচিরেই তার ক্ষমতায় থাকার সাধ চূর্ণ-বিচূর্ণ হবেই। এখন একমাত্র করুণ পতনই শেখ হাসিনার নিয়তি।’রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কম্বোডিয়ার ৩৮ বছরের একনায়ক হুন সেনের ‘রাজ্যাভিষেক’ মডেলের নির্বাচনের পথে হাঁটছেন বাংলাদেশের একনায়ক শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ায় যেভাবে বছরের পর বছর নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে স্বৈরাচার হুন সেন নিপীড়ন- দুঃশাসন চালিয়েছে, শেখ হাসিনার তার চেয়ে অনেক বেশি অত্যাচার চলাচ্ছেন। কম্বোডিয়ার মতোই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একমাত্র আস্থাভাজন সর্বাধিক জনপ্রিয় বিরোধী দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। আইনের ম্যারপ্যাঁচে ফেলে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে হুন সেন। গত জুলাইয়ের নির্বাচন হয়েছে সেদেশে।’তিনি বলেন, ‘বিশেষ বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে মামলা, হামলা এবং গণগ্রেপ্তার করে বিএনপিসহ ৬০টির বেশি রাজনৈতিক দলকে মাঠ ছাড়া করতে চালানো হচ্ছে অমানুষিক নিপীড়ন। রাজবাড়ীসহ জেলায় জেলায় লাল বাহিনী তৈরি করে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে দণ্ড দিয়ে বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, বিএনপি চাইলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই পাতানো-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করা এবং তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশে বিরোধীদলের ওপর জুলুম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরছে। গতকাল জাতিসংঘ পুনরায় বলেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে এক সর্বনাশা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন। এর পরিণতি তার জন্য শুভ হবে না।’ | Negative |
Subsets and Splits