doc_id
large_stringlengths
32
64
text
large_stringlengths
0
560k
type
large_stringclasses
3 values
929f7bb9f46e7271712d086d7b32f90684e94cd5
হিমালয় পর্বতমালার একটি চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট। এখন পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এই এভারেস্টের চেয়েও তিন-চারগুণ উঁচু পর্বতের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে এতদিন কেন এত উঁচু পর্বত দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পর্বত রয়েছে পৃথিবীর ভূগর্ভে। অ্যান্টার্কটিকার সিসমোলজি কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করে, বিশেষজ্ঞরা এই আশ্চর্যজনকভাবে সুউচ্চ এ পর্বত খুঁজে পেয়েছেন ভূগর্ভের কোর এবং ম্যান্টেলের সীমানায় প্রায় ১৮০০ মাইল গভীরে (প্রায় ২৯০০ কিলোমিটার)। বিবিসি জানিয়েছে, আল্ট্রা-লো ভেলোসিটি জোন নামে অভিহিত করা হয়েছে অঞ্চলটিকে। সম্প্রতি ভূগর্ভের বিষয়ে গবেষণা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। ভূমিকম্প ও পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া তরঙ্গের সিসমিক ডেটা বিশ্লেষণ করেন তারা। তখনই সুবিশাল ওই পর্বতমালার অস্তিত্বের কথা জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা। মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৫. ৫ মাইল (৮. ৮ কিলোমিটার), যেখানে ভূগর্ভস্থ পর্বতগুলোর উচ্চতা ২৪ মাইল (৩৮ কিলোমিটার) বেশি বলে প্রাপ্ত তথ্যাবলিতে ধারণা করা হয়। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জিওফিজিসিস্ট এডওয়ার্ড গার্নেরো একটি বিবৃতিতে বলেন 'অ্যান্টার্কটিকা থেকে ১০০০ এর সিসমিক রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে, আমাদের হাই-ডেফিনিশন ইমেজিং পদ্ধতি কোর-ম্যান্টল বাউন্ডারি মারফত আমরা অনুসন্ধান করে ভূগর্ভে এই অস্বাভাবিক অঞ্চল খুঁজে পেয়েছি। কোথাও কোথাও বস্তুর পুরুত্ব কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। যা কিছু জায়গায় মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে ৫ গুণ পর্যন্ত উঁচু। ' কীভাবে ভূ-গর্ভে এত উঁচু পর্বত হলো? এ প্রশ্নে বিজ্ঞানীদের প্রদত্ত একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হলো যে, এই প্রাচীন গঠনগুলো যখন তৈরি হয়েছিল তখন সেখানে সমুদ্র ছিল। টেকটোনিক প্লেটগুলোর অবস্থান পরিবর্তন এই গঠনের জন্য দায়ী। সমুদ্রের তল থেকে বেসাল্ট শিলা এবং পলির সংমিশ্রণ, তীব্র তাপ এবং চাপ দ্বারা রূপান্তরিত হয়ে কাঠামো পেয়েছে এই পর্বত।
web
ce6dd4bbe520f3d92935065478157261
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকাঃ পুঁজিবাজারে আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। এদিন উভয় বাজারেই সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশা বেধেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে দীর্ঘ নয় দিন বন্ধ থাকার পর টানা দুই দিন মন্দা ভাব ছিল শেয়ারবাজারে। বিশেষ করে প্রথম দিন রোববার বড় ধরনে ধ্বস হয়েছে। কিন্তু দুইদিন পর মঙ্গলবারের বেশির ভাগ শেয়ার দর উত্থান ধারায় ফেরায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশা সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া এদিন ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যোগদান করেছেন। বিশেষ করে এমডির যাত্রা শুভ বলেও মনে করছেন তারা। তবে লেনদেন স্থিতিশীল হলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। আর এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সব সময় সক্রিয় অংশ গ্রহন প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়াও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ১২২ কোটি টাকা বেশি। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৭২ কোটি টাকা। ডিএসইতে মোট ৩২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির শেয়ার দর। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৮ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ১০১ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৮৭৬ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসআই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৯৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে টাকা অংকে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট। এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। এর মধ্যে বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ৭২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।
web
ce3085464e3e70c0b376a25ccf9772cfb425530e
দ্য রিপোর্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো আম পেয়ে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠিতে মোদি লিখেছেন, আম পাঠানোর এ সৌজন্যতা তাকে ছুঁয়ে গেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিটি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,বাংলাদেশ থেকে আম পাঠানোর সৌজন্যতা আমাকে ছুঁয়ে গেছে। এটি সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে আমাকে যে অসাধারণ আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছিল, তা আবার স্মরণ করিয়ে দিল। করোনা মহামারির বাধার পরও ঢাকা-নয়া দিল্লির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সকল ক্ষেত্রে এগোচ্ছে বলেও চিঠিতে লিখেছেন নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে উভয় সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। গত ৪ জুলাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এক ট্রাক 'হাড়িভাঙা' আম উপহার হিসেবে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকেও পাঠানো হয় ৩০০ কেজি আম। আম পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শেখ হাসিনাকে পাঠানো ওই চিঠিতে মমতা লেখেন, ওই আমের মধ্যে আপনার যে স্নেহ এবং বাংলাদেশের যে সৌরভ মিশে আছে, তাকে আমি সম্মান জানাই। আমি সত্যিই আপ্লুত। এদিকে আম পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। (দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৯ জুলাই, ২০২১) পাঠকের মতামতঃ - "দুই একদিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে" - "খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে নিতে হবে" - মুখোমুখি পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা, এগিয়ে কারা?
web
cd8d7ead1a67cb7e037b9a3d37614ab3fccc521b
দীপক চৌধুরী : তথ্য সচিব মকবুল হোসেনের বাধ্যতামূলক অবসর নিয়ে কেউ কেউ ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। আসলে কিন্তু এটি একটি কঠিন সিগন্যাল বহন করছে। তথ্য সচিবের চাকরি হারানো যে একটি সিগন্যাল তা কিন্তু যারা বুঝবার তারা বুঝে গেছেন। রাজনীতিবিদেরা কিন্তু জনগণের দোরগোড়ায় যান। তারা ভোটারের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে নানাপ্রশ্নের মুখে পড়েন। জবাবদিহি করতে হয় ভোটারের কাছে। এরপর ভোট চাইতে হয়। জাতীয় সংসদেও জবাব দিতে বাধ্য করা হয় মন্ত্রীকে। অর্থাৎ মোদ্দাকথা যে, জনগণের কাছে যাওয়া ও ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয় না আমলাদের। কিন্তু শোনা যায় বা দেখা যায় মন্ত্রী ভালো কিছু করতে চাইলেও আমলারা মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে 'খেলা' শুরু করেন। নানাভাবে কালক্ষেপণ করা। তবে সবাই নয় এই সংখ্যা কম। শোনা যাচ্ছে চাকরি হারানো সচিবের বিষয়ে একাধিক সংস্থা আরো তদন্ত শুরু করেছে। একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে যৌক্তি কারণে এ রকম বাধ্যতামূলক অবসরে ৫ জন সচিব যেতে পারেন। এটা সরকার জানতে পেরেছে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জামায়াত-বিএনপির লোক ঠাসা। দীর্ঘ সময় এদেশের শাসনক্ষমতা ছিল সামরিক স্বৈরাচার, স্বৈরাচার ও বিএনপি-জামায়াতের হাতে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে চাকরি করছেন ঠিকই কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে যায় এমন কাজ করে আনন্দিত হন। এমনকি সরকারি অফিস শেষে দীর্ঘসময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বসে মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মত্ত থাকেন। অবিশ^াস্য হলেও এটাকে তারা চাকরির অংশ মনে করে থাকেন। আমরা জানি, চাইলেও এ সরকার 'আওয়ামী প্রশাসন' বানাতে পারবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনেপ্রাণে চান অবশ্যই প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হোক। জনগণ মনে করে, সুবিধাবাদী আমলাতন্ত্র নিয়ে একটা সত্যিকার অ্যানালাইসিস করার এখনই সময়। সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমলারা রাজনীতিদি নন। গ্রুপিং করা বা ক্ষমতা দেখানোর কাজ তাদের 'চাকরি' নয়। দক্ষ, মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেওয়া দরকার। সুতরাং জনস্বার্থে কাজটি করা উচিৎ। রাজনীতি করার জন্য মন্ত্রী আছেন। সরকার পরিবর্তনের পর যেকোনো কারণে জেল খাটেন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি। আমলারা জেল খাটেন না। বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এলে ষোলকলা পূর্ণ হবে। তবে জনগণের ভোটে যে সরকারই আসুক জনগণ বুকে টেনে নেবে। এ দেশের রাজনীতিতে আমরা দেখতে পাই, কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা নিজেদের দলের গণবহির্ভূত আদর্শ চাপিয়ে দিতে চান জনগণের ওপর। যেমন বর্তমান সরকার পতনের হুমকি দিয়েই চলেছে বিএনপি-জামায়াত। তত্ত্বাধায়ক কবেই চলে গেছে কিন্তু বিএনপি-জামায়াত 'তত্ত্বাধায়ক' নিয়েই পড়ে আছে। এটি তো সংবিধানেও নেই। এ কারণেই মানুষ চায় জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর সিদ্ধান্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আর এখন তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের বিশ^াস বেড়েই চলেছে। মানুষ মনে করে- তিনিই মানুষের আস্থায়। কোভিদ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে টালা-মাটাল দুনিয়া, বিশ^ অর্থনীতি অস্থির। এরপরও শেখ হাসিনা মানুষের আশা পূরণ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে চলছেন। এ কারণেই এদেশের জনগণ চায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর হতেই হবে। আর এটা মানুষ বিশ^াসও করে। কারণ, জনগণ দেখেছে দুর্নীতি ও নানা অভিযোগে দলের মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, দলের সংগঠকও ছাড় পায়নি তাঁর কাছে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন যেন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে "চ্যালেঞ্জ' ছুড়ে দিয়েছেন। তাকে কেন 'বাধ্যতামূলক' অবসরে পাঠানো হলো, তার কারণ অস্পষ্ট নয়। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে এভাবে বিদায় দেওয়া প্রয়োজন ছিল এবং সরকারকে তা করতে হয়েছে এটাই সত্য। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও আর্থিক কারণের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী, জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে সচিব মকবুল হোসেনকে অবসর প্রদান করা হলো। ওই ধারাতে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে। এটা আমরা অনেকেই জানি, বিধান আছে, চাকরি মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হলে কেউ স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে পারেন। আবার সরকার ইচ্ছা করলেও কাউকে অবসর দিতে পারে। বিধিবিধান মেনেই মকবুল হোসেনকে অবসর দেওয়া হয়েছে এটা জানার পরেও তথ্যসচিবের এমন 'সংবাদ সম্মেলন' নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অতি কৌশলে নাকি সাংবাদিকদের সম্মেলন ঘটিয়েছেন। সাংবাদিকদের ডেকে তিনি তার মনের কথাগুলো প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কী বিএনপি-জামায়াতের হাতে 'খাদ্য' তুলে দিতেই এমনটি করেছেন? বিএনপি সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার ঘটনা বহু ঘটেছে। কত সচিব আর পুলিশ কর্মকর্তাকে অকারণে অন্যায়ভাবে বিদায় করেছে বিএনপি-জামায়াত সরকার। সকল ক্যাডারেই সুনামি চলেছিল তখন। কর্মকর্তাদের আর্থিক দুর্নীতি ছিল না। দুর্নীতির অভিযোগে নয়, কেবল আদর্শের কারণে। আদর্শগত বিরোধের কারণে। 'অপরাধ' ছিল যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ। তারা মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী চেতনার মানুষ।
web
f01f330c48535045d4e0536a17adedbffbd47fe9
অভিনেতা ভাস্বর বরাবরই ব্যতিক্রমী কাজ করেন। অভিনয় গুণে এমনিতেই দর্শকদের মন জয় করে রেখেছেন, তেমনই সামাজিক কার্যকলাপে তিনি এক ধাপ এগিয়ে। তবে যখন যাই করেন তাতেই কিছু অংশের কাছে সমালোচিত হন। প্রত্যেকবার অবশ্য নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা জবাব দিয়েছেন। কখনো ইদে রেখেছেন রোজা তো কখনো পুজোয় কাশ্মীরি ভাইয়ের দেওয়া শাড়িতে মা দূর্গাকে সাজাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। অভিনেতা ভাস্বর এমনটাই ব্যতিক্রমী চালে জীবন সাজাচ্ছেন। এবারে আরেকটু অন্যরকম ভাবে পুজোয় মাতবেন অভিনেতা। চলতি বছরের এবং গত বছরেও ঘটে যাওয়া অতিমারির সময় যৌনকর্মীদের পাশে থেকেছেন তিনি। কালীঘাট, সোনাগাছি সহ বিভিন্ন জায়গার যৌনপল্লীতে একাধিকবার গিয়েছেন অভিনেতা ভাস্বর। বহুবার তাদের হাতে রেশন, খাবার তুলে দিয়েছেন তিনি। এইবছর পুজোতেও তাদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। অভিনেতার কথা অনুযায়ী, ( এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার) , "যাঁদের ঘরের মাটি ছাড়া প্রতিমা তৈরি হয় না, তাঁদের সম্মান জানাতে পাশে থাকতে চাই। কারণ, যে কোনও শুভ বা আনন্দ অনুষ্ঠানে এঁরা ব্রাত্য। বাঙালির সেরা উৎসবে তাঁদের জন্য কিছু করতে পারলে খুব ভাল লাগবে। " তাহলে কি কি করবেন তিনি? জানা গিয়েছে, সোনাগাছি অঞ্চলের যৌনকর্মীদের ১২০ জন সন্তানকে দুই সংগঠন মিলে উপহার হিসেবে নতুন পোশাক তুলে দেবে। এছাড়াও, ২০ জন যৌনকর্মীকে দেবে শাড়ি। ৪ অক্টোবর, মহালয়ার দু'দিন আগে এই উপহার পৌঁছে দেবেন তাঁরা। অভিনেতার এমন প্রয়াসে খুশি যৌনপল্লীর সকলে। এর আগেও তার ফাউন্ডেশন কাজ করেছে বহু যৌনপল্লীতে। এবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।
web
8c2d60a9a9aae07d8693943b47bf30830536eda1
নতুন বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রঙ্গিন পোশাকে দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এসে পৌঁছাবে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। এরপর সিলেটে গিয়ে তারা এক সপ্তাহের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে। সেখান থেকে অতিথিরা এবং ঢাকা থেকে টাইগাররা চলে যাবে চট্টগ্রামে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপ সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত সিরিজটির সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ওয়ানডে সিরিজ শেষে দুই দল ফিরে আসবে ঢাকায়। ২ এবং ৫ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ম্যাচগুলো শুরু হবে বেলা ৩টায়। এই সিরিজে ডিআরএস থাকছে। তবে দর্শক রাখা হবে কিনা- সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল আফগানিস্তান। সেই যাত্রায় খেলা একমাত্র টেস্টে তারা বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল। এর আগে ২০১৬ সালে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল আফগানরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি স্পিন আক্রমণে সমৃদ্ধ। তাদের অন্যতম সেরা স্পিনার মুজিব উর রহমান বিপিএলে খেলছেন। বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব কন্ডিশনে লড়াইটা স্পিনারদের মাঝেই হবে বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচিঃ
web
584f7fe913a521f11fd20a7ab1dc4758d84865a8
ভারতে বর্তমানে কোভিড-১৯ (Covid-19) পরিস্থিতি ভাল হলেও, দেখা দিল অ্যানথ্রাক্স (Anthrax) আতঙ্ক। আইআইটি-ম্যাড্রাস (IIT-Madras) ক্যাম্পাসে দুই দিনে মৃত চারটি হরিণ (Deer), আশঙ্কা মহামারির। মিঠুন জানিয়েছেন, ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষ তাঁর কাকা তপন কান্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার ফোন করেছিলেন। সেই অডিও তাঁর কাছে রেকর্ড করা রয়েছে। এবার তদন্তের জন্য সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করল ঝালদা থানার পুলিশ। আজ মিঠুন কান্দু নিজেই ঝালদা থানায় গিয়ে সেই মোবাইল ফোন পুলিশের কাছে জমা দেন। বসন্তে রঙিন হয়ে উঠেছে রুক্ষ বীরভূম। লাল মাটির এই জেলায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি। অশোক আর পলাশের আগুন রঙে আরও মোহময়ী হয়ে উঠেছে এই জেলা। এদিন সকাল থেকেই উৎসবে মুখর ছিল বীরভূম জেলা। বহু জায়গাতেই রঙের উৎসবে সামিল হন মানুষ। 'কাশ্মীর ফাইল' নিয়ে এবার দোল উৎসবের দিনে বিতর্ক ছড়াল বালুরঘাটে। বালুরঘাটে প্রথম শো'-তে কাশ্মীর ফাইলস চলাকালীন বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হল ছবি দেখানোর প্রদর্শন, চক্রান্তের অভিযোগ বিজেপির। হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন। আগেকার দিনে বয়স্করা হাঁটুর ব্যথায় ভুগলেও এখন আর কোনও বয়স লাগে না। এই ব্যথা সকলেরই হতে পারে। ব্যথার যেন কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই এই ব্যথা হতে পারে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথাটা যেন ক্রমশ বেড়ে যায়। হাঁটু বা গাটের ব্যথা র সমস্যা নিয়ে জেরবার হয়ে পড়ছেন। অনেকেরই সারা বছর এই ব্যথা কমবেশি হয়ে থাকে। ব্যথা বাড়লেই যেন পেইনকিলারের উপর প্রত্যেকেই যেন আসক্ত হয়ে যায়। কিন্তু বেশি পেনকিলার খাওয়া শরীরের জন্য মোটেই ঠিক নয়। তাই ওষুধ ভুলে বাড়ির টোটকাতেই ভরসা রাখুন। জেনে নিন হাঁটুতে ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়গুলি । তৃণমূল নেতা বলেন, "আমাকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে। বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে দলের বড় বড় রাঘববোয়াল জড়িয়ে আছে। প্রশাসন তদন্ত করছে। আইনের উপর আমার ভরসা আছে। আমি কোনও কেলেঙ্কারিতে জড়িত নই। তদন্তে কিছুদিনের মধ্যেই সব বেরিয়ে আসবে। " হাওড়ার ঘুসুড়িতে অতীতের প্রথা মেনেই হল হোলি খেলা। এদিন সকাল থেকেই মন্দির চত্ত্বরে ছিল মানুষের ঢল। শ্যামের পায়ে আবির দিয়েই ভক্তগণ মন্দিরের বাইরে মেতে ওঠেন হোলি খেলায়। ঘুসুড়ির শ্যাম মন্দিরে হোলি খেলতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। যোগী সরকার ২. ০ (Yogi Govt 2. 0) শপথগ্রহণের আগেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অপরাধীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অভূতপূর্ব ভয়। রীতিমতো গলায় 'অপরাধ করব না' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করছে তারা। এই কুঁড়ে মানুষদের জীবনে খুব বেশি কিছু হয় না। আসলে সব ক্ষেত্রেই তাঁরা উদাসীন হয়ে থাকেন। যেন কোনও সময়তেই কিছু ভালো লাগে না। কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেও তাঁদের আর ভালো লাগে না। এমন মানুষ বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়। শুক্রবার শুধুই দলীয় রং নয়, নানা রঙের মিশেলে মাতল শহরের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। দক্ষিণ থেকে উত্তর কলতাতায় দোল উৎসবে মেতে উঠল তৃণমূলের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বরা। সেই তালিকায় বেহালার রত্না চট্টোপাধ্যায় থেকে বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। চলুন ছবিগুলি দেখে নেওয়া যাক।
web
1e900a18ba170c61c4666a96e1a52837bfa700f6
"একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন", এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে বাঁধন নামক এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের এই সংগঠনটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেই বেড়ে উঠেছে এবং উঠছে। অসম্ভব প্রাণশক্তি নিয়ে মুমূর্ষের জন্য রক্তের প্রয়োজনে নিরলস খেটে যাচ্ছে এর শত শত কর্মী দেশের প্রধান শিক্ষাঙ্গনগুলোতে। যেভাবে বাঁধনের যাত্রা শুরুঃ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটির অবস্থান ঠিক যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকের মধ্যে। এ হাসপাতালটির আশপাশে রয়েছে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হলের অবস্থান। শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও বারডেমের অবস্থানও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন। সংগত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী পরিচিত-অপরিচিত অনেক রোগীর জন্য প্রায়ই স্বেচ্ছায় রক্তদান করত। এই রক্তদান হতো বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বা শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে। নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর্দের স্বেচ্ছায় রক্তদানের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ছিল না। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই তখন নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানত না বা জানার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ বোধ করত না। এ রকম পরিস্থিতিতে ১৯৯৭ সালের জুন-জুলাই মাসের দিকে শহীদুল্লাহ হলের ছাত্র শাহিদুল ইসলাম রিপনসহ কিছু উদ্যমী তরুণ স্বেচ্ছায় রক্তদানের একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। সংগঠনটির নাম ঠিক হয় 'বাঁধন'। ২৪ অক্টোবর ১৯৯৭ বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার মধ্য দিয়ে বাঁধনের যাত্রা শুরু। সেই থেকে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাঁধন নামক সংগঠনটির ছায়াতলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কেউ রক্ত দিয়ে, কেউ রক্তদাতার সন্ধান দিয়ে বাঁচিয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ মুমূর্র্ষুর জীবন। 'বাঁধন' শুরু পর থেকে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দেশব্যাপী ঘটেছে এই সংগঠনের বিস্তৃতি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসনাইন বলেন, সারাদেশে বাঁধনের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্যে ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এই পাঁচটি জোনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় ১০০ ইউনিট। এছাড়া রয়েছে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোয় স্বতন্ত্র ইউনিট। বাঁধনের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদানের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা, স্বল্পমূল্যে হেপাটাইটিস-এ হেপাটাইটিস-বি, টাইফয়েড, টিটেনাস ইত্যাদির টিকাদান কর্মসূচি, কর্মশালা আয়োজন, টেকনিশিয়ান ট্রেনিং এবং বিশেষ জাতীয় দিবস উদযাপন। রক্তদান ছাড়াও 'বাঁধন' দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণের কাজও করে থাকে। বাঁধনের আর্থিক জোগান সম্পর্কে বাঁধন সভাপতি বলেন, বাঁধনকর্মীদের চাঁদা, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্র্তৃপক্ষের অনুদান এবং সমাজের নানা ব্যক্তির অনুদান দিয়ে বাঁধনের কার্যাবলি পরিচালিত হয়। শুধু রক্তদাতা সংগ্রহ ও রক্তদানের উৎসাহিত করা নয়, স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য বাঁধনের রয়েছে স্বতন্ত্র রক্ত সঞ্চালন ইউনিট; যেখানে রক্ত সংগ্রহ করে মুমূর্ষু'র জন্যে রক্ত প্রেরণ করা হয়। গত এক বছরে বাঁধন প্রায় ৫০ হাজার ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করেছে। এ পর্যন্ত বাঁধন ১. ৯৩ লাখেরও বেশি ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করেছে। বাঁধন এ পর্যন্ত প্রায় ৬. ৭ লাখ মানুষের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়েছে। বাঁধনের কর্মকাণ্ডের ফলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডে এখন রক্তের গ্রুপ উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রক্তদানের মাধ্যমে বাঁধনের সদস্য হতে পারে। বাঁধনের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে পারে যে কোনো মুমূর্ষু রোগী। ক্ষেত্রঃ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্নাতকোত্তর কলেজ সমূহ। বৈশিষ্ট্যঃ ছাত্র-ছাত্রী দ্বারা পরিচালিত একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বাঁধন এর উদ্দেশ্যঃ * স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা। * বাংলাদেশের মোট রক্তের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা। * দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্নাতকোত্তর কলেজ বাঁধন এর কার্যক্রম সম্প্রসারন করা। স্বপ্ন দেখি সে'দিনের, যে'দিন.... . * বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তার নিজ রক্তের গ্রুপ জানবে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসবে। * রক্তস্নাত এই বাংলায় রক্তের অভাবে আর একটি জীবন প্রদীপও যেন নিভে না যায়। বাঁধন এর কার্যক্রমঃ * নিজে রক্ত দেয়া ও অন্যকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ। * বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা। * মুমূর্ষুর প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা করা। * স্বেচ্ছায় রক্তদানে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ মূলক অনুষ্ঠান। * স্বল্পমূল্যে (হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, টাইফয়েড, টিটেনাস ইত্যাদি) টিকাদান কর্মসূচী। * জাতীয় দূর্যোগ মূহুর্তে (বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, মঙ্গা ইত্যাদি) বিপন্ন মানবতার সেবায় কাজ করা। আর্থিক যোগানঃ * বাঁধন কর্মীদের চাঁদা। * সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের আর্থিক সহায়তা। * উপদেষ্টাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদান। সদস্য স্তরঃ সংগঠনের স্তরঃ বাঁধন এর বিস্তৃতিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জোন-এ ১৫টি ইউনিট। এছাড়াও দেশের মোট ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৯টি কলেজে মোট ৭৫টি ইউনিট নিয়ে সারা দেশে বাঁধন তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিকানাঃ টি. এস. সি. (নীচতলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। ফোন - ০২-৮৬২৯০৪২ (সন্ধ্যা থেকে রাত ৯. ৩০ টা পর্যন্ত)
web
79bab98b0d6d18675ffbc4f50f61d7455ac02794
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজঃ হায়দরাবাদে গণধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর ঘনিষ্ঠ এক টিআরএস নেতা তথা মন্ত্রীপুত্র-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই টিআরএস নেতার পুত্রই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে। ধৃত তিনজনের মধ্যে দু'জনই নাবালক বলে জানিয়েছে জুবিলি পার্ক থানার পুলিশ। বান্ধবীকে পাব থেকে ডেকে গাড়িতে তুলে ধৃত তিনজন গণধর্ষণ করে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই পাবের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ জনকে চিহ্নিত করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই নাবালিকা পাবের বাইরে অপেক্ষা করছিল। তখনই মার্সিডিজ গাড়িতে করে পাঁচ যুবক এসে ওই নাবালিকাকে লিফট দেওয়ার কথা বলেন। তারপরই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলা হয়। ইতিমধ্যেই সেই সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার জুবিলি হিলসের এক পাবে পরিচিত এক বন্ধুর নৈশ পার্টিতে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। সেই পার্টিতেই ওই ৫ যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তার। সেই পার্টি সেরে বাড়ি ফেরার পথে নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে লিফট দেয় ওই ৫ যুবক। মার্সিডিজ গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে জুবিলি পার্কের কাছে ওই নাবালিকাকে গাড়ির মধ্যেই তিন-চারজন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রথমে ওই ঘটনার কথা বাড়িতে জানায়নি নির্যাতিতা। কিন্তু তার ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। তারপরই মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। তারপরই গত বুধবার জুবিলি পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এবং পুলিশের কাছে ওই নির্যাতিতা স্বীকার করে যে তাকে তিন-চারজন মিলে গণধর্ষণ করেছিল। যাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, তাদের মধ্যে এক মন্ত্রীপুত্র ছিল বলে জানা গিয়েছিল। এদিন ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে ওই মন্ত্রীর নাবালক পত্রও রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডিজিপি-কে দ্রুত তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন টিআরএস-এর কার্যকরী সভাপতি তথা তেলঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামারাও।
web
a6209600b4c1918e996b6509159ff40f
"প্রথিতযশা প্রৌঢ় হওয়ার থেকে/অপমানিত বালক হওয়া ভালো"। সেই অপমানিত বালক যখন নিজের বাবা, ভালো লাগা ছাড়াও একটা গর্বের অনুভূতিও হয় বইকি। তার সঙ্গে একটা ভাগ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধও কাজ করে। এই পাঁচমেশালী ঝালমুড়ি ব্যাপারটা এই কারণে নয় যে আমার বাবার একজন শক্তিশালী লেখক হিসেবে নামডাক ছিল বা থাকবে। কারণটা আলাদা। এরকমও তো হতে পারত যে এ বাড়িতে আমার জন্ম হল না। সেই বাড়িতে কেউ বই পড়ত না। সেই বাড়ির ছেলেকে হয় ডাক্তার নয় মোক্তার হতে হত। রাজনৈতিক পরিবর্তনের চিন্তা ভোটের ইভিএম মেশিনে-ই বন্ধ হয়ে থাকত। সেটা যে হয়নি, এটা আমার বাপের ভাগ্যি। আমার বাবা আমায় কোন বেদবাক্য বা বাণী দিয়ে যায়নি। একটা জিনিস তাকে দেখে শিখেছি যে প্রথাগত ব্যাকরণ যদি ভাঙতে হয়, নিজের জীবনটা নিয়েও কিছুটা ছিনিমিনি খেলার প্রয়োজন। আমার জীবনের লক্ষহীনতা নিয়ে অনেকেই অনেক সময়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা এই নৈরাজ্যের সিস্টেমটা ধরতে পারেননি। আমার জীবনে আমার বাবা বা মা কোনওদিনও কোন লাগাম পরায় নি। পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল যা খুশি করার। বাবা শুধু একটাই কথা ছোটবেলায় বলে দিয়েছিল। এটা আমার দাদু বিজন ভট্টাচার্য বাবাকে বলে গিয়েছিলেন। আমার ছেলের বয়স নয়। সেও এটা জেনে গেছে। "জীবনে সবকিছু করবে। যা ইচ্ছে তাই। তবে এমন কিছু করবে না যে দিনের শেষে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমোতে পারছো না।" ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে যখন গ্রেপ্তার হই, অনেক সতীর্থরাই পুলিশের থেকে বাড়ির রোষের ভয়ে বেশি কেঁপেছিল। সৌভাগ্যবশত সেই চাপ আমায় নিতে হয়নি। বাবার পড়াশুনোর পরিধি ছিল অভাবনীয়। তার কিছুটা হয়তো একটা জৈব বা মৌলিক কারণে পেয়েছি। ওই চরিয়েই আমি খাই। এই একটা ব্যাপারে বাবার অনুপস্থিতি আমায় ভোগাবে। "এখন কি পড়ছিস?" এটা আর কেউ বোধহয় জিজ্ঞেস করবে না। বইয়ের পাঁজা নিয়ে আমার দিল্লীর বাড়ি থেকে ট্রেনে চেপে ফিরবে না। আমাকেও আমার গলফগ্রীনের বাড়ি থেকে বই নিয়ে যেতে কোন অনুমতি নিতে হবে না। বাবার একটা বড় আফশোষের জায়গা ছিল। বাংলা সাহিত্যে এই মিডিওক্রিটির মিছিলের মূল কারণ বাবা ভাবত বই না পড়ার ফল। পৃথিবী এবং ভারতের বিভিন্ন কোণে কি ধরনের ভাবনা-চিন্তা হচ্ছে এবং লেখকেরা কিরকম লেখাতে মন দিচ্ছেন, এ বিষয়ে বাবার গভীর পড়াশুনো ছিল। কিছুটা সেই জায়গা থেকেই ২০০৩ সালে আমরা 'ভাষাবন্ধন' পত্রিকা শুরু করি। বাবার লেখায় যে একটা সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রার আন্তর্জাতিক, আধুনিক ও নগরীয় স্বাদ আছে, তা অগাধ পড়াশুনো ছাড়া আসে না। ভালো সাহিত্য পড়লে একটা ব্যাপার হয়। নিজেকে যা-তা লেখার থেকে আড়াল করা যায়। বাবার লেখার মধ্যে লোকে প্রতিবাদকে বেশি করে খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যের স্বপ্নের মৌলিক ব্যাপারটা অনেকেই ধরতে পারেননি। একটা আমূল পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে যে বড় হয়েছিল, তার যখন স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, জীবনে বহু অপমান, প্রত্যাখ্যান, কষ্ট, দুঃখ যার সাথী, তার মধ্যে একটা পিছিয়ে পড়া বা কষ্ট পাওয়া মানুষদের জন্য একটা সহমর্মিতা তৈরি হয়। এই সহমর্মিতা আমাদের মজ্জাগত। এর জন্য আমাদের কোন প্রশিক্ষণ শিবিরে যেতে হয়নি। জীবনের নানা ছোট-বড় ঘটনা ও উপলব্ধি থেকে এটা আসে। এই সহমর্মিতা থেকেই তৈরি হয় ঠিক-বেঠিকের ধারণা। এর থেকেই তৈরি হয় ঋজু মেরুদণ্ড, না বিকিয়ে যাবার আত্মপ্রতিশ্রুতি। ওখান থেকেই বাবার লেখা আসত। আর তাই বাবা শব্দকে আতসবাজির মতো ফাটাতে আর কখনও ফুলের মতো ফোটাতে পারতো। আমার বাবার জীবনে আমার মার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা যদি না সামাল দিতেন, তবে বাবার চাকরি যাবার পরে আমরা খড়কুটোর মতো ভেসে যেতাম। তখন সংসারে আমাদের আর্থিক টান, আমি তখন স্কুলে পড়ি। বাবা মনের দিক থেকেও ভেঙে পড়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন বাবাকে অসম্ভব কষ্ট দিয়েছিল। রাতের পর রাত ঘুমোতে পারত না। ওই সাংঘাতিক বেদনার থেকেই 'হারবার্ট' এর জন্ম। বাবা লিখছে, হাউ হাউ করে কাঁদছে। এর থেকে একটা জিনিস আমি বুঝেছি। ভালো কোন কাজ নিরাপদ অবস্থান, আরাম ও মনের শান্তির থেকে আসেনা। ওসব ভাত-ঘুমের সাহিত্যচর্চা করা বাবার কাজ ছিল না। বাবা যেসব লেখকদের কদর করতেন, তারাও সেরকম সাহিত্যে বিশ্বাসী ছিলেন না। যে বই শেষ করে পাঠক নিশ্চিন্ত মনে আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, তার মলাটে তাই বাবার নাম কখনও দেখা যায়নি। বাবা এই সিস্টেমের অংশীদার হিসেবে নিজেকে কখনও দেখেনি। রাজনৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক মহল থেকে একাধিকবার সমঝোতার বার্তা এসেছে। সেগুলো বাবা কাউকে বলতও না। যে সিস্টেমে তার কোন বিশ্বাস ছিল না, তার থেকে কিছু পাওয়ার আশা বা নেওয়ার ইচ্ছে বাবার ছিল না। বাবা তাই শুধু সেই সিস্টেম বা তার দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কলম ধরেনি, তার লেখার মধ্যে দিয়ে গড়ে তুলেছিল এক "alternative reality" যেখানে লাথি-ঝাঁটা খাওয়া মানুষরা শুধু রুখে দাঁড়াতেই পারে না, বরং সিস্টেম এবং তার অংশীদারদের খলখলে করেও ছেড়ে দিতে পারে। এই স্বপ্ন চিরন্তন। এই স্বপ্ন ইতিহাসের পর্যায়ে পর্যায়ে ফিরে এসেছে। নবারুণ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে এই স্বপ্ন শেষ হবে না। তাই বাবা বেঁচে থাকবে। যতদিন সমাজের 'কেউ না রা' তাদের মর্যাদার লড়াই জারি রাখবে, বাবার লেখাও ততদিন থাকবে।
web
b4d9fb2f85da011fc33514c2ec7eb680
প্রচ্ছদ ফিচার আনন্দন অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন 'আমরাও পারি' এক টানা তবলা বাজিয়েই চলেছেন। এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এবং দিনের পর দিন। এভাবে বাজাতে বাজাতে ২০১৬ সালে তবলা বাজালেন একটানা ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট। শুরুতে অনেকেই ভেবেছিলেন এটা কি সম্ভব? তাই তারা তাকে উৎসাহ দেয়ার বদলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আবার অনেকেই তাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দেন, আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আর যখন তিনি ২৫ দিন তবলা বাজিয়ে নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন বিশ্বের অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তখন তিনি সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন 'আমরাও পারি'। তখন তার সাফল্যগাথা দেখতে ও প্রকাশ করতে ছুটে আসতে শুরু করলেন সবাই। এমনকি প্রথমে যারা তাকে সহযোগিতা করতে চাননি তারাও। তিনি মনে করেন উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা বাঙালিরাও বিশ্বে আমাদের তুলে ধরতে পারি সম্মানের সাথে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার পণ্ডিত সুদর্শন দাশ দৈনিক আজাদী'র প্রবীর বড়ুয়া'র কাছে এভাবেই তুলে ধরলেন তার সাফল্যের কাহিনী। শুধু একটি নয় গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে পরে আরো তিনটি অর্থাৎ মোট চারটি রেকর্ড গড়েছেন পণ্ডিত সুদর্শন। অন্য তিনটি রেকর্ড হলো ২০১৭ সালে একটানা ২৭ ঘণ্টা ঢোল, ২০১৮ সালে একটানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম রোল ও ২০১৯ সালে একটানা ১৪০ ঘণ্টা ৫ মিনিট ড্রাম সেট বাজানোর। তিনি প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ রেকর্ডটি গড়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় অবসর পান ৫ মিনিট করে। তৃতীয়টিতে অবসর নেয়ার কোনো সময় পাননি। তিনি ভারতের শান্তিনিকেতন থেকে পড়াশোনা করে এসে বৃত্তি নিয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করার জন্য যুক্তরাজ্য যান ২০০০ সালে। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনিচে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর মাস্টার্স করেন নর্দাম্ব্রিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে। তিনি সেখানে দেখলেন সেদেশে প্রতিটি স্কুলে ভারতীয় সংস্কৃতি শেখানো হয় যার মধ্যে ছিল তবলাও। লন্ডনের নেহেরু কালচারাল সেন্টারের মহাত্মা গান্ধী অডিটরিয়ামে তার তবলাবাদন দেখে ২০০১ সালের দিকে একদিন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কৃষ্ণা দিদি তাকে লন্ডনের ক্যাম্পডেন সেকেন্ডারি স্কুলে তবলা শেখানোর শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানান। কৃষ্ণা দিদি ছিলেন সেই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। সুদর্শন দাশ সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আইন বিষয়ে অধ্যয়নের পাশাপাশি তবলা, কঙ্গো, বঙ্গ ইত্যাদি শেখানোও চালিয়ে যেতে লাগলেন। এরই মধ্যে ২০০৩ সালে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে এমন সময় ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ সুদর্শনের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সহায়তা করে যেহেতু তিনি তাদের স্কুলে তবলা শেখাচ্ছিলেন অনেক দিন ধরে। তখন যুক্তরাজ্য সরকারের ডাক্তার, প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন পেশার দক্ষ মানুষদের ভিসা দেয়ার একটা প্রবণতা ছিল। এমন একটা সময়ে ছয় মাসের মধ্যেই তিনি যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়ে গেলেন। ইতোমধ্যে তার আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ হলেও ক্যাম্পডেন সেকেন্ডারি স্কুলে তার প্রশিক্ষণ দেয়া কিন্তু চলছিল। এমন অবস্থায় আরেক ব্যক্তির মাধ্যমে মার্কিন বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক টম ওয়ার্ড তার ছেলেকে তবলা শেখানোর জন্য সুদর্শনকে অনুরোধ করেন। টম এশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার নামে একটা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান চালাতেন তখন। ২০০৪ সালের এপ্রিলে সুদর্শন দাশ টম ওয়ার্ডের সাথে মিলে গড়ে তুললেন লন্ডন তবলা এন্ড ঢোল একাডেমি। তিনি হলেন অধ্যক্ষ আর টম কো-ফাউন্ডার। টমের ছেলেকে একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে নিয়ে যে সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান যাত্রা করেছিল ২০০৪ সালে সেটিতে এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৬৫ জনের মতো। এখন শুধু তবলাই নয় সেখানে শেখানো হয় গিটার, সেতার, হারমোনিয়াম সহ পশ্চিমা সঙ্গীতও রয়েছে সমৃদ্ধ সিলেবাস। সুদর্শন ও টম মিলে যে প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন সেটিতে এখন অনেক পরিচালক ও শিক্ষক সঙ্গীত প্রশিক্ষণের সাথে যুক্ত। ২০০৭ সালে আইন বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করার আগে ২০০৫ সালে তিনি সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনার করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেয়া শুরু করলেন। সেই কোর্স সম্পন্ন করলেন ২০০৮ সালে। ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া মানুষটি ধীরে ধীরে ঢুকে পড়লেন সঙ্গীতের জগতে। ২০০৮ সালে তিনি বিপিবি ল স্কুলে ব্যারিস্টারি পড়ার সুযোগও পেয়ে গেলেন। পড়াশোনা-সঙ্গীত সব একসাথে চলছে। এমন সময় ২০০৯ সালে তিনি ভারতের চেন্নাইতে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে জানতে পারেন ডা. কুঝালমানাম জি রামাকৃষ্ণান একটানা মৃদঙ্গ বাজিয়ে গিনেজ রেকর্ড করেছেন। ভাবলেন তার কাছে গেলে হয়তো গিনেজ রেকর্ডে নাম উঠানোর ব্যাপারে অনেক পরামর্শ পাওয়া যাবে। তাই অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে দু'জন লোক লাগালেন ডা. কুঝালমানামের ঠিকানা খুঁজে বের করার জন্য। একসময় ঠিকানা পাওয়া গেল। চেন্নাই শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি। ডা. কুঝালমানাম পণ্ডিত সুদর্শন দাশকে গিনেজ রেকর্ড করার ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা জানালেন। সেই সাথে কিছু পরামর্শও দিলেন। ইতোমধ্যে ২০১০ সালে সুদর্শন ব্যারিস্টার হয়ে গেলেন। গিনেজ রেকর্ডের কাছে চারটি বিষয়ে আবেদন করলেন ২০১২ সালে। গিনেজ রেকর্ডে শুধু আবেদন করলেই হবে না, রেকর্ড করার জন্য আবেদনকারীকে অনেক অর্থও খরচ করতে হয়। প্রথমে নিজের খরচে ডেমো দেখাতে হয়। আর সেজন্য সুদর্শনের খরচ হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার পাউন্ড। আর মূল সেশনে খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার পাউন্ডের মতো কারণ উভয়টিতেই ডাক্তার, এম্বুলেন্স, ভিডিওগ্রাফার ইত্যাদি নানা পেশার লোককে জড়িত রাখতে হয়। ডেমো এবং মূল সেশনের মধ্যে সময় ছিল মাত্র ৬ মাস। এ স্বল্প সময়ে তিনি এই খরচের মধ্যে ১৫ হাজার পাউন্ড স্পন্সরদের কাছ থেকে পেলেও বাকি টাকাটা নিজের ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয় ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাড় করেন। দেশ-বিদেশের অনেকে তাকে স্পন্সর করলেও কেউ কেউ তার সাফল্যের ব্যাপারে ছিলেন সন্দিহান। অনেকে 'সে আর এমন কী করবে। দশদিনের মাথায় মাথা ঘুরে পড়ে যাবে' এমন মন্তব্যও করেছিলেন। কেউ কেউ তাকে রেকর্ড করার চিন্তা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শিল্পী নিয়ে গিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করার প্রস্তাবও দেন তখন। গিনেজ রেকর্ডে সুদর্শনের তবলা বাজানোর মূল সেশনের প্রথমদিকে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম থাকলেও তিনি গিনেজ রেকর্ডের কঠিন সব নিয়ম-কানুন মেনে তবলা বাজিয়েই চলেছেন। তখন ১৮ দিন পর মিডিয়াগুলো আসতে শুরু করল তার সংবাদ প্রচার করার জন্য। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আসলেন নামীদামি ব্যক্তিত্বরাও। এভাবে একটানা ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট তবলা বাজানোর পর তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে যাবতীয় পরীক্ষার পর থাকতে হয় প্রায় দেড় মাসের মতো। এত কষ্টের পর তার অর্জিত সাফল্য তার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি জাগিয়ে তুলল দেশের জন্য এমন একটা সম্মান আনতে পেরেছেন তাই। বিশ্বের সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ এ রেকর্ডে তার নামের পাশাপাশি বাংলাদেশের নামটিও লেখা হওয়াতে গর্ববোধ করেন পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। যারা গিনেজ রেকর্ডে নাম লেখানোর স্বপ্ন দেখেন তাদের প্রতি তিনি ধৈর্য ধরে নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জেনে কঠোর পরিশ্রম করে প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দেন। পণ্ডিত সুদর্শন দাশ তার তবলা বাজানোর গিনেজ রেকর্ডটি উৎসর্গ করেছিলেন তার মা-বাবাকে, ঢোল বাজিয়ে দ্বিতীয় রেকর্ডটি উৎসর্গ করেছিলেন তার তবলা এন্ড ঢোল একাডেমিকে। ড্রাম রোল বাজিয়ে করা তৃতীয় রেকর্ডটি উৎসর্গ করেছিলেন রোহিঙ্গা শিশুদের এবং ড্রাম সেটের চতুর্থ রেকর্ডটি উৎসর্গ করেন শরণার্থী শিশুদের জন্য। রেকর্ডগুলো উৎসর্গ করার পর বিভিন্ন সূত্রে যে আয় হয় সেটি তিনি সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন সামগ্রীর মাধ্যমে দিয়ে দেন। এখন তার প্রতিষ্ঠিত লন্ডন তবলা এন্ড ঢোল একাডেমির শাখা রয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতে। এ শাখাগুলোতে সঙ্গীতের ভিন্ন ভিন্ন বিষয় শেখানো হয়ে থাকে। ভারত ও চট্টগ্রামের শাখাগুলোতে মেধাবী ও দরিদ্রদের বিনামূল্যেও পড়ানো হয়। তবলা শিখতে আগ্রহীদের জন্য পণ্ডিত সুদর্শন দাশ তবলার দু'টি ডিভিডিও প্রকাশ করেছেন। একটি 'লার্ন টু প্লে তবলা' এবং অন্যটি 'লার্ন টু প্লে তবলা উইথ সিঙ্গিং'। এ দু'টি ডিভিডিই এখন পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববাজারে। কৃতী এ শিল্পী এবারের গিনেজের ওয়ার্ল্ড মিউজিক ট্যুরে সিঙ্গাপুর ও ভারতে পরিবেশনা শেষে নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আয়োজনে অংশ নেবেন আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে। তার সঙ্গে কী-বোর্ডে থাকবেন যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত কী-বোর্ড বাদক মাইকেল বোর্ড। ছোটদের সাংস্কৃতিক জগত শিশুমেলা'র আমন্ত্রণ ও আয়োজনে চারটি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার পণ্ডিত সুদর্শন দাশের এ পরিবেশনা সবার জন্য উন্মুক্ত। শিশুমেলা ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ জাতীয় শিশুদিবসে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর আয়োজন করে আসছে নবান্ন উৎসব, ছোটদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক আবহ বিকাশে গঠিত সংগঠনটি ২০১৭ সালে শুরু করেছে মাতৃ সম্মাননা প্রদান এবং শিশু উৎসব ও শিশুমেলা সম্মাননা। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে পণ্ডিত সুদর্শন দাশের আজকের পরিবেশনার পর ভবিষ্যতে ওস্তাদ জাকির হোসেন সহ অন্যান্য শিল্পীদের অনুষ্ঠান আয়োজনেরও উদ্যোগ নেবেন বলে জানান শিশুমেলা'র পরিচালক রুবেল দাশ প্রিন্স। আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য একদিন যে মানুষটি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য গিয়েছিলেন সেই বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হওয়ার পরও ধীরে ধীরে তার জীবন জড়িয়ে গেল সঙ্গীতের সাথে। সঙ্গীতের চারটি বিষয়ে গিনেজ রেকর্ডে নাম লিখিয়ে দেশের জন্য বয়ে আনলেন অনন্য সম্মান, মর্যাদা ও গৌরব। সঙ্গীত জগতে দেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানের সাথে তুলে ধরার পাশাপাশি তার জীবনও হয়ে উঠল সঙ্গীতময়।
web
5425a1d0802d9c6eab795bb203a63305c6bcc07f
মাত্র ৮ দিন বয়েসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল একরত্তি। কিন্তু ভালো খবর এই যে ১৫ দিনের মধ্যেই করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলো সেই সদ্যজাত। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে আট দিনের নবজাতক সংক্রমিত হয়েছিল করোনায় আক্রান্ত মায়ের থেকে। এরপর দিন পনেরো করোনার সঙ্গে লড়াই চালাল একরত্তি শিশুটি। গাজিয়াবাদের যশোদা হাসপাতালে চলে চিকিৎসা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সন্তান প্রসবের আগে মহিলা কোভিড নেগেটিভ ছিলেন। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এরপরই করোনা সংক্রমিত হন। ৮ দিনের বাচ্চাটিও পজিটিভ হয়। ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এখানেই চিকিৎসা করা হয়। এখন বাচ্চাটি কোভিড মুক্ত। বাড়িও ফিরে গিয়েছে। অপরদিকে উত্তরপ্রদেশে করোনা সংক্রমণ দিন দিন মাত্রা ছাড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪,৩৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৮৩ জন সক্রিয় রোগী চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যাও প্রচুর। এরমধ্যেই ৮ দিনের শিশু করোনা জয় করায় কিছুটা হলেও ভালো খবর বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। (প্রতিকী চিত্র. . . )
web
0cdc8584d46765d4dcdf9b908502daeaee8b57d0
ডা. সাঈদ এনাম : তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে ঘরে বসে দেখা পুরো পৃথিবী।এছাড়া জানার জন্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রযুক্তির জুড়ি নেই। প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে নেমে আসতে পারে নানা বিপত্তি। খুব সহজে আপনার সন্তান জড়িয়ে পড়তে পারে বিভিন্ন নেশা জাতীয় জিনিসে।এছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার পরে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে মিশছে, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছে। সব বিষয়গুলো আপনাকে যত্নসহকারে দেখতে হবে। বর্তমানে বেশিরভাগ অভিভাবক দুজনই চাকরীজীবী হওয়ায় সন্তানের যত্ন নেয়া তাদের পক্ষে কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সন্তানকে নিরাপদে রাখতে খোঁজ আপনাকে নিতেই হবে।কারণ আপনার অসাবধনাতার কারণেই আপনার সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে পারে। যার কারণে আপনার পরিবারে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ পরিণতি। * ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যাওয়া বা একটা বিশেষ খাবার (মাংস, চানাচুর, কোল ড্রিংক) অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া। * ধর্মীয় আচার আচরণ বা সোশ্যাল নর্মসকে অবজ্ঞা করা বা ইত্যাদি বিষয়ে অদ্ভুত যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করা বা ঠাট্টা তামাশা করা। তবে সন্তানের যে কোন মাদকাসক্তি সাধারণত ধুমপান দিয়ে শুরু হয়, তাই মা-বাবা কেউ ধুমপায়ী হলে অবশ্যই নিজে আগে ধুমপান ত্যাগ করবেন আর তা না পারলে অবশ্যই নিজ বাসাবাড়িতে সন্তানের সামনে ধুমপান করবেন না। পরিবারের মাদকাসক্ত লুকানো বা লজ্জার বিষয় নয়, হত্যা, আত্মহত্যা, গুপ্তহত্যা, ইত্যাদি যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে ব্রেইন, মানসিক ও ড্রাগ এডিকশন স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসায় ড্রাগ এডিকশন বা মাদকাসক্তি সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। লেখকঃ ডা. সাঈদ এনাম, সাইকিয়াট্রিস্ট অ্যান্ড ড্রাগ এডিকশন স্পেশালিস্ট, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিলেট।
web
6be0ed76423575beca93cfd3dd804799
পিংকী রানী পাল জানান, হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি কেন্দ্রে যাই। পরীক্ষা শেষে আবার হাসপাতালে আসি। এই সময়ের মধ্যে আমার সন্তান একাধিকবার কেঁদে উঠলেও আমি তাকে নিয়ন্ত্রণ করি। এতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। আমি চাই পড়ালেখা শেষ করে সরকারি চাকরি করতে। তাই কোনো বাধাই মেনে নেইনি।
web
084316ead4bc9145ad08425f50e9ab5f9d934bae
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত 'গ' ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৬টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা হচ্ছে। ঢাবি প্রশাসন আগেই জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনিয়ম ঠেকাতে বেশ সতর্ক তারা। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন পরিবর্তন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো, কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত দুই বছর প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় এবার সর্বোচ্চ সতর্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকছে ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ১. ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০. ২৫ নম্বর। লিখিত অংশে প্রশ্নের মান ২ থেকে ৫-এর মধ্যে হবে। পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ এবং লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হবে। বিষয়ভিত্তিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের পাস করতে হবে। এ বছর 'গ' ইউনিটে ১২৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৮জন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সমান সংখ্যক আসনের বিপরীতে ২৭ হাজার ৫৩৪ জন আবেদন করেছিলেন। গতবার প্রতি আসনে লড়েছিলেন ২২ জন ভর্তিচ্ছু। এবার আসন প্রতি একজন বেড়েছে। এদিকে চারুকলা অনুষদভুক্ত 'চ' ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ বিএফএ (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা অনুষদসহ ক্যাম্পাসের ১৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার আসন বণ্টন admission. eis. du. ac. bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
web
f7328c64d75bf5f94b1d1d67e800c05f2ce1a19e
আমাদের কাছে কাজাখস্তান খুব পরিচিত দেশ নয়, কিন্তু অতি সম্প্রতি দেশটি সারা পৃথিবীর মতো আমাদের অনেকের নজর কেড়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে কাজাখস্তানের হাজারো মানুষের রাস্তায় নেমে আসা আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের অনেকের মনে একধরনের চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। কাজাখ জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের এই অনুরণনের কারণটা অনুমেয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রাথমিক কারণ হলেও কাজাখ মানুষের মনে আছে দীর্ঘ সময়ের অপশাসনজনিত পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান বিশাল দেশ, যা আয়তনে পৃথিবীর নবম বৃহত্তম (ভারতের চেয়ে সামান্য ছোট)। মাত্র ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের আবাসভূমি দেশটি জ্বালানি তেল, বিশেষ করে, প্রাকৃতিক গ্যাসে দারুণ সমৃদ্ধ। গ্যাসের প্রাচুর্যের কারণে সেই দেশের জনগণ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে তাঁদের গাড়ি চালান। তেল বা গ্যাসে সমৃদ্ধ অনেক দেশের মতো কাজাখস্তানেও এই গ্যাসের দাম বৈশ্বিক মূল্যের তুলনায় অনেক কম রাখা হয়। কিন্তু সম্প্রতি সরকার এই ছাড় দেওয়া মূল্য থেকে সরে এসে মূল্য দ্বিগুণ করে ফেলে। এটাই মানুষকে প্রাথমিকভাবে ক্ষুব্ধ করে তোলে। পুরো দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। প্রধান বাণিজ্যিক শহর আলমাটিও বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ খুব দ্রুতই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। কিন্তু মানুষ শান্ত হয়নি, মানুষ চায় সরকারের পতন। মানুষের ক্ষোভকে প্রশমিত করতে তিনি তাঁর মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। ব্যাপারটা অনেকটা এ রকম - তোকায়েভ অসাধারণ প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রিসভার লোকজন তাঁকে 'ভুল বুঝিয়েছে'। এ ছাড়া তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবাইয়েভকে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরিয়ে দেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কাজাখস্তান স্বাধীন হওয়ার পর একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একচেটিয়া ক্ষমতায় থাকার পর মানুষের আন্দোলনের মুখে প্রথম প্রেসিডেন্ট নাজারবাইয়েভ পদত্যাগ করেন, যদিও ভীষণ ক্ষমতাবান থেকে যান নাজারবাইয়েভ। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের ঘোষিত ক্ষমতা ছাড়াও অনেক 'অঘোষিত' ক্ষমতা ছিল তাঁর হাতে। নতুন প্রেসিডেন্টও যে নাজারবাইয়েভকে সব রকমভাবে খুশি রাখতে চান, তার প্রমাণ দেন রাজধানী 'আস্তানা' এর নাম পাল্টে 'নুরসুলতান' রাখার মাধ্যমে। কাজাখস্তানের জনগণ দেখল কাগজে-কলমে প্রেসিডেন্ট পাল্টেছে, কিন্তু ব্যবস্থা রয়েছে হুবহু একই। তাই তাদের ভেতর থেকে অসন্তোষ যায়নি। কিন্তু শুরুতে যেমন বলেছিলাম এবারকার এই আন্দোলন ঠিক স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ না-ও হতে পারে। এটা নাজারবাইয়েভ এবং তোকায়েভের পারস্পরিক ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ফলও হতে পারে। আবার নানা এলাকায় চীন-রাশিয়ায় এক ধরনের সহযোগিতার সম্পর্ক থাকলেও কাজাখস্তানে আছে কিছুটা উত্তেজনা-টানাপোড়েন। সাম্প্রতিক আন্দোলনে এই মিথস্ক্রিয়ার প্রভাবও থাকতে পারে। আমাদের অনেককে হতাশ করে দিয়ে আন্দোলনটি ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো আমাদের আলোচনার জন্য সেটাই জরুরি। আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনার আগে এর কিছুকাল আগে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের আরেক অংশ বেলারুশের সত্যিকার, অসাধারণ এক গণ-অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলা যাক। 'ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক' বলে পরিচিত বেলারুশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় (২৭ বছর) ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। তাঁর অধীন প্রতিটি নির্বাচন ছিল ভীষণভাবে কারচুপিতে পূর্ণ। আর সর্বশেষ যে নির্বাচনটি হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্টে, সেটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল অতীতের সব নির্বাচনকে। এই নির্বাচনটিতে সবচেয়ে বেশি কারচুপির প্রয়োজন হয়েছিল, কারণ, এতেই ক্ষমতা ধরে রাখার পথের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল তাঁর জন্য। সার্গেই তিখানোভস্কি অনলাইনে বিশেষ করে ভিডিও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বেলারুশের গণতন্ত্রকামী প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। ২০২০-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। পরে এমন দেশগুলোতে যা হয়, প্রার্থিতা ঘোষণার পর তাঁর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এরপর তিখানোভস্কির স্ত্রী সাভিতলানা তিখানোভস্কয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। লুকাশেঙ্কোর অপশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে থাকা মানুষ মুহূর্তেই একেবারেই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন গৃহিণী তিখানোভস্কয়ার পেছনে দাঁড়িয়ে যায়। কত মানুষ তাঁর পক্ষে আছে, সেটার প্রমাণ রাখার জন্য তিখানোভস্কয়া আহ্বান জানান, নির্বাচনের দিন ভোটাররা যেন তাঁর প্রতি সমর্থনসূচক সাদা ব্যান্ড হাতে পরে আসেন। ভোটের দিন সাদা ব্যান্ডের কারণে একেবারে স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছিল তাঁর পক্ষে জনস্রোত মাঠে নেমেছে। কিন্তু তিখানোভস্কয়া নন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন লুকাশেঙ্কো; সেটাও রীতিমতো ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে। ভয়ংকর রকম কারচুপির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় নেমে আসেন জনগণ। রাজধানী মিনস্কে তো বটেই, পুরো বেলারুশে হাজারো মানুষ প্রচণ্ড বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভটি চলে কয়েক মাস ধরে। ইউরোপের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সরকার পতনের দাবিতে এত মানুষের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার উদাহরণ বিরল। কিন্তু না, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো টিকে থাকলেন এবং এখন সেই আন্দোলন একেবারেই শেষ হয়ে গিয়ে তিনি দেশ শাসন করছেন একেবারেই নির্বিঘ্নে। তিনি রীতিমতো স্বপ্ন দেখছেন, ২০ বছর পর বর্তমানে ১৫ বছর বয়সী পুত্রের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যাবেন। বেলারুশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হওয়ার ন্যূনতম বয়স ৩৫। কাজাখস্তান, বেলারুশে দীর্ঘকালীন কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার ক্ষমতায়। নির্বাচন একেবারেই কারসাজিতে পূর্ণ। দেশগুলোতে দুর্নীতি সেই অঞ্চলের মানে, অনেক বেশি। সেখানকার ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসকের দল এবং আরও কিছু এলিটের হাতে রাষ্ট্রের প্রধান প্রধান সব ব্যবসা কুক্ষিগত। তাঁদের ব্যবসার স্বার্থেই রাষ্ট্রীয় আইন প্রণীত হয়। শুধু সেটাই নয়, অপরাধ করেও দেশগুলোর বিচারব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারেন তাঁরা। এসব এলিটের সঙ্গে কোনো সংঘাতের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের ন্যায়বিচার পাওয়া তো দূরে থাকুক, প্রচণ্ড হয়রানির শিকার হন তাঁরা। দেশগুলোতে ধনী-গরিবের বৈষম্য প্রকট। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এসবই সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্রমাগত ক্ষুব্ধতা তৈরি করেছে, যেটা তাদের একদিন রাস্তায় নামতে প্রলুব্ধ করেছে। আন্দোলন শুরুর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সদস্য হিসেবে কাজাখস্তান সংস্থাটির সৈন্য আহ্বান করে। তখন এই সংস্থা সৈন্য (অল্প কিছু বাদে প্রায় সবাই রাশিয়ান) পাঠিয়েছিল সরকারকে রক্ষা করার জন্য। এই আলোচনায় খুব জোরেশোরে আছে রাশিয়া। মূলত তার অনুগত তোকায়েভকে দিয়ে একটা লোক দেখানো আহ্বান জানিয়ে সৈন্য পাঠিয়েছে তার নিজের ইচ্ছায়। রাশিয়ান সৈন্যদের নেতৃত্বে জোট এবং কাজাখ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ১৬০ জনের হত্যাকাণ্ড, কয়েক হাজার মানুষ আহত হওয়া আর কয়েক হাজার গ্রেপ্তার হওয়ার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি আপাতত তোকায়েভের নিয়ন্ত্রণে আছে। মজার ব্যাপার, এই সংস্থার অন্যতম সদস্য এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্মেনিয়া কিছুদিন আগেই নাগোর্নো কারাবাখ নিয়ে সরাসরি যুদ্ধে আজারবাইজানের কাছে প্রচণ্ড নাকাল হওয়ার পরও আর্মেনিয়াকে রক্ষার জন্য সেখানে সৈন্য পাঠায়নি সিএসটিও (পড়ুন রাশিয়া)। এই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে গণতন্ত্রকামীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি এবার বলা যাক। এই সমস্যার মধ্যেই সিএসটিও এর সদস্য দেশগুলোর (রাশিয়া, কাজাখস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান) সরকার প্রধানগণ এক ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে বসেন। এতে ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে দেন - এই এলাকায় কোনো গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল হতে দেওয়া হবে না। পুতিনের এই গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল হতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তই বেলারুশের অভূতপূর্ব স্বতঃস্ফূর্ত গণ-আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ। বিক্ষোভকারীরা যখন বেলারুশের রাস্তায় নেমে আসেন, তখন প্রথম দিকে লুকাশেঙ্কো তুলনামূলকভাবে নমনীয় ছিলেন। তিনি বেশ কিছু সংস্কারের কথা বলছিলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এরপরই তিনি রাশিয়ায় যান এবং পুতিনের 'আশীর্বাদ' নিয়ে আসেন। তারপর নির্মমভাবে চড়াও হন বিক্ষোভকারীদের ওপর এবং শেষ পর্যন্ত আন্দোলনটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। শুধু সেটাই নয়, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের কোনো দেশ তাঁর মতো করে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় যেতে চাইলে তাঁকেও সর্বস্ব দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুতিন। ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের ওপর সম্ভবত শিগগিরই একটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে যাচ্ছেন তিনি। যেটা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো ইউরোপ, এমনকি বিশ্বজুড়ে। ইউরোপে যেভাবে রাশিয়া কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, এশিয়া এবং আফ্রিকায় সে একই ভূমিকা পালন করছে চীন। চীন এই ভূমিকা কীভাবে পালন করছে, আশা করছি, সেটা নিয়ে একটি পৃথক কলাম লিখব শিগগিরই। এই বিশ্বে যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের এই বাস্তবতা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। একেবারে স্বতঃস্ফূর্ত কিংবা রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত গণজাগরণ তৈরি হলেও সেখানে চরম শক্তিশালী কর্তৃত্বপরায়ণ দেশগুলোর প্রভাবে, এমনকি সরাসরি হস্তক্ষেপে সেই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে। এটা শুধু আন্দোলনের ক্ষেত্রেই নয়, ঘটতে পারে নির্বাচনের নামে স্রেফ একটা প্রহসন করে সরকারের ক্ষমতায় টিকে যাওয়ার ক্ষেত্রেও। কাজাখস্তান এবং বেলারুশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের সামনে এই শঙ্কাই তৈরি করে। আবার ওদিকে গণতন্ত্রকামীরা যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমান এবং বাস্তববাদী হন, তাহলে এই শঙ্কাই আবার হয়তো তাঁদের ভূরাজনীতি বুঝতে শেখাবে, যেটা কাজে লাগবে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার পথে সঠিক কর্মকৌশল ঠিক করার ক্ষেত্রে। তাই পরিস্থিতি শুধু শঙ্কা এবং হতাশারও নয়, হতে পারে আশারও।
web
b62dbc5a9984d6cca25ec405d496b8bb03a478f5
শাস্ত্র মতে এই পানীয় পান করার সময় ব্যক্তির মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। পুজোয় চরণামৃত উৎসর্গ করা হয়। অভিষেকের সময় ব্যবহৃত হয়। প্রায় প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোঅর্চনা করা হয়। ধর্মীয় আচারগুলি আপনার বাড়িতে বা কাছাকাছি মন্দিরে পালন করা হয়। পূজার পর পুরোহিত একটি পাত্রে জল আনেন। এগুলি অনুষ্ঠানের সময় উপস্থিত সবাইকে দেওয়া হয়। একে বলা হয় চরণামৃত, যার অর্থ পায়ের অমৃত। চরণামৃত বা পঞ্চামৃত-এর আক্ষরিক অর্থ হল পাঁচ অমৃত। যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন পার্বণ ও মাঙ্গলিক কাজে ব্যবহার করা পাঁচটি উপাচারের এক মিশ্রণ। যেগুলি হল প্ৰধাণত মধু, তরল গুড়, গরুর দুধ, দই ও ঘি। বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই মিশ্রণ প্রক্রিয়া ভিন্ন হতে দেখা যায় এবং এর সঙ্গে অন্য খাদ্যও মিশ্রিত করতে দেখা যায়। দক্ষিণ ভারতের বহু জায়গায় পাকা কলা দেওয়া হয় করা হয় চরণামৃতে। ধর্মের পাশাপাশি এই চরণামৃতের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও রয়েছে। আসুন আমরা আপনাকে বলি এটি কী। আমাদের সনাতন ঐতিহ্য অনেক পুরনো। আজ যে ঘটনাগুলো সামনে আসছে তা আমাদের ঋষিরা আগেই বলে গেছেন। আমরা তাকে অনুসরণ করে চলেছি। বিজ্ঞানীরাও এসব মানতে শুরু করেছেন। শাস্ত্র মতে এই পানীয় পান করার সময় ব্যক্তির মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। পুজোয় চরণামৃত উৎসর্গ করা হয়। অভিষেকের সময় ব্যবহৃত হয়। আবার বিবাহকাৰ্যেও ব্যবহার করা হয়। ধর্মীয় তাৎপর্য থাকলেও এর আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। বিজ্ঞানীরাও বিশ্বাস করেছেন যে প্রভুর পবিত্র চরণে লুকিয়ে আছে কিছু রহস্য। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগবত ভক্তির পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আমাদের সুবিধা রয়েছে যে, শালিগ্রাম মূর্তি পাথরের তৈরি হওয়ায় তাতে সোনার একটি অংশ রয়েছে। সেই শালিগ্রামের মূর্তিকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয়, তাতে চন্দন ও জাফরান ইত্যাদির মিশ্রণ রাখা হয়, তুলসী নিবেদন করা হয় - এইভাবে সোনা, চন্দন, তুলসী, জাফরান এবং গঙ্গাজলের সমন্বয়ে এক অনন্য শক্তি রয়েছে। এটিতে প্রণয়ন করা হয় যা বয়স বৃদ্ধিকারী এবং নিরাময়কারী। রস, রক্ত, মাংস, চর্বি, হাড়, মজ্জা এবং শুক্র বৃদ্ধি করে দেহ শক্তিশালী হয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রামক প্রতিরোধ করতে পারে। শালিগ্রাম গন্ডকী নদীর একটি পদার্থ যাতে সোনার ছোট কণাও থাকে। যাই হোক, সোনার জীবন বর্ধক, সতেজ শক্তি আছে, তাই চিকিৎসকরা সোনার ছাই ইত্যাদি ব্যবহার করেন। এছাড়া তামার পাত্রে চরণামৃত রাখা হয়। তামার নিরাময়কারী, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাও বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত এবং বিখ্যাত। এছাড়া পঞ্চমৃত সব সময় কাঁচের বা রৌপ্যের পাত্রে রাখলে এটি বহু রোগকে পরাস্ত করতে পারে। এতে থাকা তুলসী পাতা তার গুণমানকে আরও বাড়ায়।
web
049a95cbcad43caf5084b75554bcf7a4e5f9633e
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাস চাপায় আলী আজম (৩৫) নামে এক পশু চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ-তাড়াশ সড়কের চন্ডিভোগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আজম উপজেলার ছোট মাঝদক্ষিণা গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ভ্যাকসিনেটর পদে চাকুরী করতেন। তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফজলে আশিক জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এক প্রকল্পে ইউনিয়ন ভ্যাকসিনেটর হিসেবে কর্মরত আলী আজম সোমবার দুপুরে ভাটারপাড়া এলাকায় কাজ শেষে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। পথে সিরাজগঞ্জ-তাড়াশ সড়কের চন্ডিভোগে একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি ফজলে আশিক।
web
0f7984bc891200d51d57d48bdde746116cb8cc91
দখলদার ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় নাহারিয়া শহরে দুই ইহুদিবাদী পুলিশকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আহত দুই পুলিশের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এসব তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিউত আহারোনোত। পত্রিকাটি আর জানিয়েছে, শহরের একটি পুলিশ চেকপোস্টেই কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি ইসরাইলি পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ হেলিকপ্টারও ব্যবহার করছে। ইসরাইলের টিভি চ্যানেল-টুয়েলভ জানিয়েছে, পুলিশের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েই দ্রুত পালিয়ে গেছে গাড়ির চালক। এর আগে গত বুধবারও পশ্চিম বায়তুল মুকাদ্দাসে ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি সূত্রগুলো খবর দিয়েছে। বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
web
26c770891e588410ace2e5d9ed03ed9b1a7492f6e5dae47d3b96c0ac9de763b3
হইবে সেখানে আমরা কোনক্রমেই দেশের স্বার্থকে খর্ব্ব হইতে দিব না। যেমন ধরুন ইংরাজীতে যাকে "কী ইন্ডাষ্ট্ৰী" বলে সেগুলিকে বাচাইয়া রাখিবার জন্য অথবা উন্নত করিবার জন্য আমাদের বিশেষ আইনের দরকার হইতে পারে। সে ক্ষেত্রে বৃটিশ বণিকেরা সমতুল্য ব্যবহার পাইবার দোহাই দিলে চলিবে না। আমরা কনফারেন্সে স্পষ্ট করিয়া এই কথাই বলিতে চাহিয়াছিলাম যে, তোমাদের স্বার্থ ও আমাদের স্বার্থ ততক্ষণ পর্য্যন্ত সমানভাবে সংরক্ষিত হইবে যতক্ষণ পর্য্যন্ত দেশের বৃহৎ স্বার্থ না আহত হইতেছে, কিন্তু দেশের মঙ্গলকে খর্ব্ব করিয়া আমর। বৃটিশ স্বার্থের প্রাধান্য স্বীকার করিতে রাজী নই। বস্তুতঃ, ডোমিনিয়ান ষ্ট্যাটাস্ পাইয়াও যদি ভারতবাসীর বাণিজ্যিক সুবিধা না বাড়ে ও ভারতের দারিদ্র্য দূর না হয় তবে ডোমিনিয়ান ষ্ট্যাটাস্ পাওয়ার সার্থকতটা কি ? প্রঃ। এ ত গেল 'আপনাদের কথা। কিন্তু বৃটিশ বণিকদের যুক্তিটা কি ? উঃ । বৃটিশ বণিকদের পক্ষ হইতে প্রথম গোল উঠিল "বর্তমান" কথাটি লইয়া। বর্ত্তমান কথাটি দ্বারা কাহাকে বুঝাইতেছে ? বৃটিশ বণিক্ সম্প্রদায়কে না অধিকার সমূহকে ? ভারত সচিব বলিলেন যে বর্তমান বণিক্ সম্প্রদায়ের অধিকার-সমূহ অটুট, রহিল। ভবিষ্যতের সম্পর্ক ভবিষ্যতে নির্ণীত হইবে। তখন তাঁহারা বলিতে লাগিলেন, সে কেমন কথা ? এই আইন বিধিবদ্ধ হওয়ার পরদিন যদি কোন বৃটিশ বণিক্ ভারতে পদার্পণ করেন তবে এই আইনের সাহায্য তিনি পাইবেন না ! তাঁহারা বলিলেন, আমরা এ যাবৎ যে অধিকার ভোগ করিয়া আসিয়াছি, ভবিষ্যতেও ঠিক সেই ভাবে সেগুলি ভোগ করিবার ক্ষমতা আমাদের থাকা চাই। এই সব অধিকারকে আমরা কোনক্রমেই ছাড়িয়া দিতে বা ভবিষ্যতের বা বর্তমান রফার অন্তর্গত করিতে রাজী নই। প্রঃ । সুতরাং এইখানে নৌকা চরে আসিয়া ঠেকিল। কিন্তু রিপোর্টে দেখিতেছি শেষকালে উভয় পক্ষের মনঃপূত তৃতীয় এক খড়া করা হইয়াছিল । তাহা কিরূপে সম্ভবপর হইল ? উঃ। প্রধান মন্ত্রী মহাশয় বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়া বলেন যে, বৈকালের বৈঠকের পূর্ব্বে যদি এ বিষয়ে একটি আপোষ মীমাংসা হয় তবে সেইভাবে প্রস্তাবটিকে পরিবর্তিত করা হইবে। বৃটিশ বণিগণ বারে বারে বলিতে লাগিলেন, "আমাদের বাণিজ্যিক অধিকারসমূহ কোন প্রকার রফা বা চুক্তির অন্তর্গত হইতে পারে না। এই সব অধিকার আপনারা অনুমোদন করুন। সরকার জোর করিয়া বলিতে পারেন, "দেখ, অমুক কোম্পানীর ডিরেক্টারদের শতকরা ৫০ জন ভারতীয় হওয়া চাই। নহিলে উহাকে অচল করিয়া দিব।' আমরা কোনক্রমেই স্বীকার করিয়া লইতে পারি না যে, সরকারের সে কথা বলিবার ক্ষমতা আছে। আমরা চাই আমাদের (বৃটিশ বণিক্দের) অধিকারসমূহ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকিবে।" বৃটিশ বণিকদের বক্তব্য ছিল এই যে, "এই কনফারেন্সে আমরা আপনাদের বহু প্রকার রাষ্ট্রীয় দাবীর সমর্থন করিয়াছি। যেমন সকল প্রদেশে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ( আইন ও শৃঙ্খলা বিভাগও বাদ যায় নাই) এবং কেন্দ্রীয় শাসন যাহাতে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার নিকট কয়েকটি বিষয় ব্যতীত দায়ী থাকে, সেজন্য চেষ্টা করিয়াছি। আমরা এই সমস্ত সমর্থন করিয়াছি এই বিশ্বাসে যে, আপনারা আমাদের বাণিজ্যিক অধিকারসমূহকে স্বীকার করিবেন। কিন্তু আপনারা যদি তাহা না করেন তবে আপনাদের দাবীসমূহ সমর্থন করা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হইবে না।" প্রঃ। এর পর কি হইল? উঃ। এর পর উভয় পক্ষের মধ্যে যে আপোষ রফা হইবে তার সম্ভাবনা প্রায় রহিল না। বৃটিশ বণিক্ সম্প্রদায় বলিলেন, "এ অবস্থায় কেমন করিয়া মতের মিল হইতে পারে?" হাওয়াটা কতক ফিরিল যখন নেহরু রিপোর্টের উল্লেখ করিয়া দেখান হইল যে, প্রজা বা নাগরিক বলিতে আমাদের মতে কি বুঝায়। স্যর তেজ বাহাদুর সপ্রু বলিলেন, "আপনারা এত ভয় পাইতেছেন কেন ? কংগ্রেসের সহিযুক্ত নেহরু রিপোর্টে নাগরিক বলিতে কি বুঝায় একবার চাহিয়া দেখুন । আপনাদের ত এইরূপ প্রজা হইবার ও প্রজার অধিকার দাবী করিবার কোন বাধা নাই।" স্যর তেজ বাহাদুরের কথায় কিছু ফল ফলিল। তখন এই বিষয়টি মুলতুবি থাকে। তারপর ১৯শে জানুয়ারী উভয় পক্ষে বহু বেসরকারী আলোচনার পর প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত আকারে গৃহীত হয়, "বৃটিশ বণিক্ সম্প্রদায়ের কথায় এই মূলনীতি সাধারণভাবে মানিয়া লওয়া হইল যে, ভারত-জাত প্রজাদের এবং ভারতে বাণিজ্য করিতেছে এমন বৃটিশ বণিক সম্প্রদায়, হৌস্, এবং কোম্পানীর মধ্যে অধিকারগত পার্থক্য করা হইবে না এবং এই সব অধিকারকে নিয়ন্ত্রিত করিবার জন্য তুল্য ব্যবহারমূলক এক যথোপযুক্ত সমঝোতা কায়েম করা হইবে।" আর্থিক উন্নতি প্রঃ। এই রফাটা কি করিয়া সম্ভবপর হইল ? উঃ। আপনারা রিপোর্ট পড়িয়া অথবা খবরের কাগজ হইতে জানিতে পারেন নাই এজন্য কি প্রকার কাঠখড় পোড়াইতে হইয়াছে। উভয় পক্ষের লোক নানা উপলক্ষ্যে পরস্পর মেলামেশা করিয়া পরস্পরের মনোভাব বুঝিতে ও বুঝাইতে চেষ্টিত ছিলেন। এই সব কাজ শুধু বক্তৃতা করিয়া সম্পন্ন করা যায় না, এটা আমরা গোড়া হইতেই বুঝিয়াছিলাম বলিয়া আমরা যাকে বলে সাম্ৰাসানি বেসরকারীভাবে কথাবার্ত। কওয়া তাহাই বেশী অবলম্বন করিয়াছিলাম ; এবং তাহাতে ফল মন্দ হয় নাই। এই প্রস্তাব যখন কনফারেন্সে উপস্থিত করা হয়, তখন কনফারেন্স প্রায় শেষ হইয়াছে । অথচ এই একটা বিষয়ে [ ৫ম বর্ষ - ১২শ সংখ্যা কোন প্রকার রফা না হওয়ায় সব পণ্ড হইয়া যাইতে বসিয়াছিল। এই সময়ে কি প্রকার প্রতিকূল অবস্থার সহিত আমাদের সংগ্রাম করিতে হইয়াছিল তাহা বুঝানো দুষ্কর। ভারতীয় বৃটিশ বণিক্ সম্প্রদায়ের স্বার্থ-সংরক্ষণের জন্য চার্চিল প্রমুখ রক্ষণশীল দলের কয়েকজন, বিলাতের কতিপয় নামজাদা খবরের কাগজ এবং বৃটিশ ডেলিগেশন সকলে এককাট্টা হইয়া লড়িতেছিলেন। এইরূপ অবস্থায় আমাদের পক্ষে ইহার বেশী আর কিছু করা সম্ভবপর হয় নাই। আমি জানি, এই প্রস্তাবটিকে আমাদের বাণিজ্যিক স্বার্থরক্ষার পক্ষে আরো অনুকূল করিয়া লইতে পারিলে 'ভাল হইত। কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবের 'নিয়ন্ত্রিত' (রেগুলেটেড্) কথাটি ভাল করিয়; বুঝিয়া দেখা দরকার। কারণ ঐ কথাটার প্রয়োগের উপরেই আমাদের স্বত্ব স্বার্থের রক্ষা অনেকখানি নির্ভর করিতেছে। ধরুন যদি কোন ভারতীয় ব্যবসার জন্য সাবসিডি ইত্যাদির দরকার হয়, তবে তখন ইহার প্রয়োগ দ্বারা বুঝা যাইবে আমরা বাস্তবিক কিছু লাভ করিলাম কি না। আশা করি, এই সমঝোতা দলিলে লিপিবদ্ধ করিবার কালে এ সম্বন্ধে সর্ভটি এইরূপ হইবে যাহাতে ভারতীয়গণের বিভিন্ন প্রকার আর্থিক, শিল্পসংক্রান্ত ও বাণিজ্যিক প্রচেষ্টায় কোন বাধা না ঘটে। এটি 'অত্যাবশ্যক ; ইহা না হইলে ডোমিনিয়ন ষ্ট্যাটাস্ কথার কথা মাত্র থাকিয়া যাইবে । "দি ইন্বেষ্টরস্ রিবিউ" (৭ই মার্চ, ১৯৩১) রবারের চাষ নিয়মিত করার কথা ভারতে ওলন্দাজ সরকারের এলাকাভুক্ত জমিতে মোটা রকমে রবার আবাদ করা হয়। সুতরং রবারের দর ওঠা-নামা করিলে ওলন্দাজ সরকারকেই বেশী বেগ পাইতে হয়। তথাপি আদিম অধিবাসীদিগের সহিত সংঘর্ষ লাগিবার ভয়ে সরকার রবার আবাদী জমির পরিমাণ কম করিতে চাহেন না। শার জর্জ ম্যাক্সওয়েল করের মাত্রা বাড়াইয়া আবাদী জমির পরিসর খাটো করিয়া আনিতে চাহেন ; কিন্তু ওলন্দাজ সরকার সে কথাতেও কান দেন না এই কারণে যে, তাহা হইলে 'অবৈধভাবে রবার উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়া যাইবার সম্ভাবনা। সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, রবারের জন্য আবাদী জমির পরিমাণ থাটো করিবার দিকে ওলন্দাজ সরকার মোটেই মাথা ঘামান না! অতএব তাঁহাদের সহায়তা ছাড়া আবাদী জমির পরিমাণ কম করিয়া রবারের দর চড়াইয়া দেওয়া যায় কিনা তাহা বিবেচ্য। এ ডাব্লুউ ষ্টিল বলেন যে, আবাদী জমির পরিসর খাটো না করিলে ভবিষ্যতে রবার-ব্যবসায়ীদের বিশেষ ক্ষতি স্বীকার করিতে হইবে। ১৯৩০ সনে আন্দাজ করা হইয়াছিল যে, ওলন্দাজ সরকারের জমি হইতে অন্যূন ৪৮১,০০০ টন রবার পাওয়া যাইবে; কিন্তু দেখা যায় যে, উৎপাদন তাহা অপেক্ষাও ১৩,০০০ টন অধিক হইয়াছে । সমস্ত দুনিয়ার রবারের যোগান অনুমানের চেয়ে ৫৩০,০০০ ত্রিকা জগ টন অধিক হইয়াছে। সুতরাং যদি পরে ইহা অপেক্ষা অধিক উৎপাদন নাও হয়, তবু ব্যবসাদারদিগের পক্ষে লাভ করা অসম্ভব হইয়া দাড়াইবে। সিমিংটন ও সিনক্লেয়ার কোম্পানী বলেন যে, বাজার যদি ভাল না হয়, তবে মাত্র ৬৯০,০০০ টন রবার বিক্রয় হওয়াই মুস্কিল হইবে; এমন কি ১৯৩০ সনের মত ৬৭৬,০০০ টন বিক্রয় করাও কষ্টকর হইবে । ষ্টি বলেন যে, বিচক্ষণ হিসাবনবীশগণের মতে ১৯২৯ মনে রবার উৎপন্ন হইবার কথা ছিল ৮৪৩,০০০ টন ; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দাড়াইয়াছিল ৮৬১,০০ টন। বাড়তি অংশটা নাকি ১৯২৮ সনের বাড়তি ষ্টক্ । তাঁহারাই আবার হিসাব করিয়া বলিয়াছেন যে, ১৯৩৫ সনে মোট উৎপাদন দাঁড়াইবে ১,২৯৫,০০০ টন। যদি এ কথার মধ্যে একটুও সত্য থাকে তবে আগামী কয়েক বৎসর ব্যবসায়ীদের পক্ষে বড় দুর্ব্বৎসর হইবে । সুতরাং কোন উপায়ে উৎপাদনটাকে নিয়মিত করিতে পারা যায় কিনা দেখা দরকার। হিসাবনবীশেরা হিসাব করিয়াছিলেন যে, ১৯২৯ সনে ( বন্য উৎপাদন বাদদিলে) মোট উৎপাদন হইবে ৮১৩,০০০ টন। ইহার মধ্যে ১১০,০০০ টন হইবে ওলন্দাজ-অধিকৃত স্থানে । আর ১৯৩৫ সনের মোট উৎপাদন হইবে ১২৩০,০০০ টন। তার মধ্যে ৩৫০,০০০ টন হইবে ওলন্দাজ-অধিকৃত স্থানে। তাহা হইলে ওলন্দাজঅধিকৃত স্থান ব্যতীত অন্য স্থানসমূহের উৎপাদন দাড়ায় ৮৮০,০০০ টন। এই হিসাবটাকে ছয় বৎসরের গড় হিসাবে ভাগ করিলে নিম্নরূপ দাড়ায়
pdf
14fa804bed837d98f55f0390971be7d25ffe7a53
প্রতি বছরের মত এবারও করবা চৌথ (স্বামীর মঙ্গল কামনা) পালন করেছেন বলিউড তারকারা। ঐশ্বরিয়া, শিল্পা শেঠি, কারিনা কাপুর, কেউই বাদ যাননি এই তালিকা থেকে। তবে এবারের করবা চৌথটা বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার জন্য ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম করবা চৌথ। স্বামীর মঙ্গল কামনায় এদিন অন্যান্য ভারতীয় নারীর মতো করবা চৌথের ব্রত রেখেছেন অনুশকা। গত শনিবার ছিল সেই দিন। এ দিন হলুদ রঙের শাড়িতে দেশি অবতারে বিরাট ঘরণীকে ভীষণই গর্জিয়াস দেখাচ্ছিল। আর বিরাটের পরনে ছিল কালো রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামা। করবা চৌথের দিন রাতে চাঁদের আলোর নিচে দাঁড়িয়ে কাছের মানুষটির সঙ্গে ছবি তুলেছেন আনুশকা। জ্যোৎস্নার আলোয় এদিন বিরাটের পাশে আনুশকাকে দেখাচ্ছিল আরও বেশি মোহময়ী। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বিরাট স্বীকার করে নিয়েছেন যে আনুশকাই তার জীবন ও ব্রহ্মাণ্ড। একই ভাবে অনুশকাও বিরাটকে তার জীবনের সূর্য, চন্দ্র, তারা এবং সমস্তকিছু বলে উল্লেখ করেছেন।
web
29e380dd53b0569e606915ada608f52291b2c7ec
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক কিছু প্রভাব পরবে এটা আমার ধারনা । ভারতে ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধা হবে। তবে দেশ থেকে বেশি বেশি লোক ভারতে বেড়াতে ও চিকিৎসা করতে যাবে । তবে ভ্রমণকারী ও চিকিৎসা প্রত্যাশীদের আর ডলারের বিরম্বনা যদি না পোহাতে হয় তাহলে এর ইতিবাচক দিক রয়েছে । Thank you for your email regarding the recent demonstration in Stockholm. In regards to this we would like to underline that the Government of Sweden fully understands that Muslims have been offended by the Islamophobic acts committed by individuals during the demonstration. We strongly reject these acts, which in no way reflect the opinions of the Swedish Government. Racism, xenophobia and related intolerance have no place in Sweden or in Swedish society. আপনারা অনেকেই জানেন আমার বাসা ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের সাথে। গত বছর মে মাসে আমাদের মাষ্টার্স পরীক্ষা চলছিলো। সে জন্য আমি একমাস বাড়িতেই ছিলাম। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি। আমি এসএসসি থেকে মাষ্টার্স পযর্ন্ত পাশ করি নানীর বাড়িতে। এখন আসল কথায় আসি। বাড়িতে আমাদের আম ও কাঠাল গাছ আছে। আমি কি করতাম জানেন? আম খেয়ে ও কাঠাল খেয়ে বীজ গুলো রেখে দিতাম। পরে বিকালে বা অবসর সময়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়ক এর পাশে ঐ বিচি গুলো ফেলে দিতাম।
web
91a8015846948002283840bb6af7fdbc6519755fef7dc9dae4b54c4b8c0095d2
মহত্তম দেশপ্রেমিক ম্যানিলা হোটেলে ছিল আপনার চায়ের নেমন্তন ? এই হোটেলটি যে আমাদের তীর্থস্থান! ম্যানিলা হোটেলের অডিটোরিয়ামেই তো নেতাজী দিয়েছিলেন তাঁর ভাষণ। ফিলিপিন প্রবাসী ভারতীয়দের সভার দিকে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করলেন আমাকে সিন্ধী ব্যবসায়ী, শ্রীভাসোয়ানী, - ফিলিপিন ভারতীয় চেম্বার অব কমাসের সভাপতি। সংবাদটি যেন তড়িৎস্পর্শের মত ঝাঁকি দিয়ে গেল আমাকে। নেতাজী যে ম্যানিলায়ও এসেছিলেন সেকথা আমার জানা ছিল না । শুধু জানতাম ফিলিপিনের প্রবীণ জননেতা ডঃ লরেল ছিলেন নেতাজীর যুদ্ধকালীন বন্ধু । যে হোটেলে কিছুক্ষণ আগেই ফিলিপিনের সিনেটর, আইনজীবী ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকী সভায় চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে এলাম, সেখানেই এসেছিলেন নেতাজী ? ভাষণও দিয়েছিলেন এখানেই ? যদি একটু আগে জানতাম, হয়ত তা'হলে নেতাজীর প্রসঙ্গ নিয়ে ফিলিপিন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ হত। মনোরম ম্যানিলা হোটেল। দিগন্তহীন সমুদ্রসৈকতে সুরম্য একটি অট্টালিকা। ম্যানিলার শ্রেষ্ঠ আবাসিকা। এখানেই নেতাজী এসেছিলেন এক জনসভায়। সেই সভার বিবরণ দিতে দিতে নেতাজীর স্বপ্ন ও সাধনা শ্রীভাসোয়ানী বললেন : সে কী ভাষণ ! না, ঠিক ভাষণ নয়, যেন ম্যানিলা সাগরের দুর্দম গর্জন। তিন ঘণ্টারও বেশী বক্তৃতা করলেন নেতাজী। · কেন তিনি ভারত থেকে পালিয়ে এলেন, কি তিনি চান, এই যুদ্ধের সুযোগে কিভাবে ভারত স্বাধীনতা লাভ করবে, জাপানীদের সহায়তা নেওয়ার অর্থ কি, - সব তিনি একে একে নিখুঁত, নির্দিষ্ট, নির্ভীক ভাষায় বলে গেলেন। শেষে তিনি আহ্বান জানালেন ভারতীয়দের কাছে, - 'ভারতীয় স্বাধীনতার জন্য তাজা রক্ত চাই, প্রাণ চাই, চাই সর্বস্ব ত্যাগ।' ব্যবসায়ীদের তিনি বললেন অর্থ দিতে হবে। জানালেন, জাপানের কাছ থেকে তিনি 'সামরিক সাহায্য নেবেন খয়রাতি হিসাবে নয়, অর্থের বিনিময়ে, খরিদ করে। তাই ভারতবাসীদের দিতে হবে আজাদ হিন্দ সরকারকে আর্থিক সাহায্য।' প্রবাসী ভারতীয়দের সভায় আলেচ্য বিষয় ছিল চীন-তিব্বত সংঘাত এবং ভারতের সীমান্ত সমস্যা। কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই আলোচ্য প্রসঙ্গ যেন সবার অলক্ষ্যেই পালটে গেলো । নেতাজীর দলে এবং নেতাজীর সঙ্গে কাজ করবার সৌভাগ্য হয়েছে শুনে ভারতীয়েরা শুরু করলেন নেতাজীর কথা, বিশেষ করে সে দিনের সেই ভাষণের কথা। শ্রীভাসোয়ানী বলে চল্লেন : জানেন তো আমরা হলাম ব্যবসায়ী। কয়েক বংশ ধরে আমরা ব্যবসা করছি এখানে। অর্থ উপার্জনের কথা ছাড়া স্বরাজ, স্বাধীনতা, রাজনীতি - এসব কথা কোন দিন আমাদের মনে তেমন করে স্থান পায়নি। কিন্তু সেদিন নেতাজীর যাদুস্পর্শে মন্ত্রমুগ্ধের মত যেন জেগে উঠলাম আমরা, মনে হলো কোন্ দেবদূত যেন এসেছেন আমাদের জাগিয়ে দিতে। শ্রীভাসোয়ানীর কথা কেড়ে নিয়ে এক আমার সন্দেহ নিরসনের জন্য সগর্বে বলতে শুরু প্রৌঢ় ভারতীয় যেন করলেন : আমরা
pdf
615cc1f7e17072b227534376e9bf7ed109cdfacd6af80290902cf7c4298c950b
একক দশক শতক ফোনের সামনে দাড়িয়ে ঘোষণা করলেন - আজকের শ্রদ্ধেয় অতিথি শ্রীযুক্ত শিবপ্রসাদ গুপ্ত 'কর্ণাট-রাজকুমারী'র অভিনয় দেখে অত্যন্ত খুশী হয়ে লাগৰতীয় ভূমিকার জন্যে কুমারী কুম্ভি গুহকে একটা স্বর্ণ-খচিত মেডেল দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনএকবার বাংলায় একবার ইংরিজিতে ঘোষণা করতেই সারা অভিটোরিয়াম হাততালিতে ফেটে পড়লো । কুম্ভি এতক্ষণ বুঝতে পারে নি। কিন্তু শিবপ্রসাদ গুপ্তর নামটা কানে যেতেই যেন আচমূকা বিদ্যুতের ছোঁয়াচ লাগলো সারা শরীরে। নজরে পড়লো সামনেই বসে আছে সদাব্রত গুপ্ত, পাশেই বিরাট খোঁপা মাথায় মনিলা বোস। তার কোলে কুকুর। সেই কুকুরটাকেই আদর করবার চেষ্টা করছিল সদাব্রত গুপ্ত। মেয়েটার মোমের মত সাদা মুখটায় যেন কুণ্ঠ হয়েছে। শ্বেত-কুণ্ঠ। কুস্তির মনে হলো আলকাতরা দিয়ে মেয়েটার সমস্ত মুখখানাকে কালো করে দিলেই যেন তার ভেতরকার জালা জুড়োয়। ওয়া বাপ ছেলে বউ মিলে মুখে শান্তিতে বাস করবে। অথচ ওদের শান্তি দেবার কেউ নেই। ওদের সমস্ত পাপের শাস্তি মাথা পেতে নেবার জন্যেই যেন জন্মেছে কুন্তিরা, বন্দনারা, হামলীরা... কুঞ্চি হঠাৎ মাইক্রোফোনের সামনে মুখটা নিয়ে গিয়ে চীৎকার করে বললে -এ মেডেল আমি নিতে অস্বীকার করছি। শিবপ্রসাদ গুপ্তর মেডেল দেবার যেমন অধিকার আছে, সে মেডেল নিতে তেমনি আমার অস্বীকার কেউবারও অধিকার আছে। যে আমার বাবাকে খুন করেছে, তার কাছ থেকে মেডেল নিতে আমি ঘৃণা বোধ করি -আমি খুনীকেও ঘৃণা করি, এমীর মেডেলকেও ঘৃণা করি - অনেক রাত্রে বুড়ির ঘুম ভেঙে গেল। ধড় -দরজাটা তখনও ঠেলছে দিদি। করে উঠে পড়েছে বিছানা থেকে। - কী রে? ঘুমিয়ে পড়েছিলি নাকি? অন দিন দিদি যখন ঘরে ঢোকে তখন মুখটা কেমন গম্ভীর দেখায়। দিদিকে ভয় করে। দিদির দিকে চাইতেই ভয় করে তার। দিন রাজ যতক্ষণ সামনে থাকে ততক্ষণ কেবল বকে দিদি। কেবল মন দিয়ে লেখাপড়া করতে বলে। এ-সংসারে জন্মে পর্যন্ত বুড়ি শুধু দারিদ্র্যই দেখেছে। কুস্তির মতন শুধু ঐশ্বর্যের আশে-পাশেই ঘুরে বেড়িয়েছে। কখনও ঐশ্বর্যের স্পর্শ পেয়ে ধন্য হবার সৌভাগ্য হয় নি। দেখেছে কলকাতা এত বড় শহর, এখানে এত বড় বড় বাড়ি। বাড়ির ভেতরের ঐশ্বর্যের আভাস কিছু কিছু বাইরের জানালা দিয়ে উকি দিয়েও দেখতে পেয়েছে। কিন্তু কখনও ভেতরে ঢুকতে অধিকার পায় নি। পাবার আশাও কখনও করে নি। দিদি তাই বার-বার কেবল উপদেশ দ্বিতো ভাল করে লেখাপড়া করলে তোরও ভাল জায়গায় বিয়ে হবে, তখন তোরও বাড়ি হবে, গাড়ি হবেকিন্তু বুড়ি নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে দেখেছে তার দিদিমণিরা যারা তাদের স্কুলে পড়ায়, যে দিদিমণি তাকে মাসে চল্লিশ টাকা মাইনে নিয়ে বাড়িতে রোজ পড়াতে আসে, তাদের বাড়ি হয় নি, গাড়ি হয় নি। অনেকের বিয়েই হয় নি। অথচ সবাই তো বি-এ এম-এ পাস করেছে। দিদিমণিরা তো সবাই গরীব। শুধু টাকার জন্যে স্কুলে পড়াতে আসে। তা হলে লেখাপড়া শিখে কী হলো? এত পরিশ্রম করে লেখাপড়া শিখে যদি শেষ পর্যন্ত স্কুলমাস্টারিই করতে হয় তো লেখাপড়া শেখবার দরকারটা কী? অথচ দিদি তো লেখাপড়া শেখে নি। দিদি তো তার বই পড়েও কিছু বুঝতে পারে না। তা হলে দিদি এত টাকা উপায় করে কী করে? দিদি কী করে তার জন্যে চল্লিশ টাকা দিয়ে নৌকার রাখে! লেখাপড়া না শিখেও দিদি তো অনেক টাকা উপায় করে()) তাদের বাড়ি ভাড়া, তাদের খাওয়া-খরচ, কত কী আছে। তার হাসপাতালেই তো পাঁচ শো টাকা খরচ হয়ে গেছেন ভৗ-সব টাকা এলো কোত্থেকে? ঘরের ভেতর ঢুকেই কিন্তু দিদি কেমন যেন বড় ভাল ব্যবহার করতে - - কী রে, খেয়েছিস? এমন গলায় কথনও কথা বলে না দিদি। দিদির বোধ হয় খুব পরিশ্রম হয়েছে। মুখে গালে তখনও সামান্ন সামান্য রং লেগে আছে । দিদি আছে আস্তে মাথার ফলস্-খোঁপাটা খুলে ফেললে। আগে আগে অনেক চুল ছিল দিদির। এখন আর সে-চুলে কুলোয় না। এখন দোকান থেকে নাইলনের চুল কিনে
pdf
bc4e89d8bb1dc8257f29921f40549fdf273cfb930fffc15e454af1581428c29d
'আমির জন্তুর তর্জন-গর্জনকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে উপরোক্ত আয়াতটি বার বার আওড়াতে লাগলেন। হামামা বললেন : ওহে 'আমির! এই মারাত্মক বিপদ কি আপনি লক্ষ্য করছেন না? 'আমির : মহান আল্লাহ রাব্বুল 'আলামীনকে ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় করতে আমার লজ্জা হয়। আমি আল্লাহকে এত গভীরভাবে ভালোবাসি যে তা আমার সব বালা-মুসীবতকে সহজ করে দিয়েছে। আমার মধ্যে তাঁর ভালোবাসা থাকতে আমার সকাল-সন্ধ্যা কেমন কাটলো সে ব্যাপারে আমার কোন পরোয়া নেই। আমর বিল মা'রূফ ও নাহি 'আনিল মুনকার বা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের ক্ষেত্রে তাঁর জিহ্বার তরবারি সব সময় কোষমুক্ত থাকতো। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধি-বিধান লংঘিত হতে দেখলে তিনি ক্রোধে, উত্তেজনায় ফেটে পড়তেন। একবার তিনি আল্লাহর তাসবীহ ও তাহমীদ পাঠ ও শুকরিয়া আদায় করতে করতে রাস্তা দিয়ে চলছেন। এমন সময় দেখতে পেলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্য পুলিশ অন্য এক ব্যক্তির গলা এমনভাবে চেপে ধরে রেখেছে যে, লোকটির দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে আরেকজন পুলিশ তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। দু'জনে মিলে জোর-জবরদস্তী লোকটিকে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। 'আমির লোকটির দিকে এগিয়ে গিয়ে শুনতে পেল, সে চিৎকার করে বলছে : ওহে মুসলিমগণ, আমাকে বাঁচান! আমি একজন অমুসলিম যিম্মী, আমাকে বাঁচান! 'আমির তাঁর কাছে গিয়ে বললেন : ওহে, আপনার কাছে কি জিযিয়া পাওনা আছে? লোকটি বললো : না । আমি সব পরিশোধ করেছি। আপনি আমাকে এই পুলিশের হাত থেকে বাঁচান। এবার 'আমির পুলিশের প্রতি তাকিয়ে বললেন : তাকে ছেড়ে দিন। পুলিশ তাঁর কথায় কান না দিয়ে বললো : আমরা তাকে ছাড়বো না। তাকে বসরায় পুলিশ বাহিনীর প্রধানের উদ্যানে যেতে হবে এবং পরিচ্ছন্ন করতে হবে। 'আমির যিম্মী লোকটিকে বললেন : তুমি তাদের সাথে গিয়ে তারা যা বলছে তা শুনছো না কেন? লোকটি বললোঃ আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার কাঁধে অনেকগুলো শিশু সন্তানের দায়িত্ব রয়েছে। তাদের জীবিকার জন্য আমাকে কাজ করতে হয়। এ কাজ করলে আমি আমার সন্তানদের জীবিকার জন্য কাজ করতে পারিনে। কারণ, এদের কাজে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এবার 'আমির পুলিশের লোকটিকে নির্দেশ দিলেন : তাকে ছেড়ে দাও। কিন্তু পুলিশ সে নির্দেশ মানলো না । 'আমির এবার পুলিশকে লক্ষ্য করে বললেন : ওহে, তুমি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদের (সা) অঙ্গীকার ভঙ্গ করছো? আল্লাহর কসম! আমি জীবিত থাকতে তুমি মুহাম্মাদের (সা) অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে পারবে না। তারপর 'আমির পুলিশটির হাত থেকে জোর করে লোকটি ছিনিয়ে নেন এবং তাকে ছেড়ে দিয়ে বলেনঃ তোমার পরিবারের লোকদের জীবিকার অন্বেষণে চলে যাও। ২৭ ২১০ তাবিঈদের জীবনকথা বসরার ওয়ালী, যিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন, তাঁর কাছে এ সংবাদ পৌঁছানো হয়। 'আমিরের একাজকে সরকার-বিরোধী কর্মতৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমীর-উমারা ও রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর উদাসীন ও বেপরোয়া ভাব অসন্তুষ্টির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি ঐসব লোকদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও মেলামেশাও পছন্দ করতেন না। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছিল তার মধ্যে আমীর-উমারা ও শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা না করার অভিযোগও ছিল । তার জবাবে তিনি একথা বলেছিলেন যে, আপনাদের কাছে সব সময় অভাবী ও প্রয়োজনীয় কাজের লোকদের ভীড় জমে থাকে। আপনারা তাদের প্রয়োজন পূরণ করুন। আর আপনাদের কাছে যাদের কোন প্রয়োজন নেই তাদেরকে নিজ নিজ অবস্থায় থাকতে দিন। ২৮ তিনি খলীফা ও আমীর-উমারা কাউকে ভয় ও পরোয়া করতেন না । হযরত উছমানের (রা) সামনে তিনি যে সাহস ও নির্ভিকতার সাথে অকপটে নিজের চিন্তা ও ধ্যান-ধারণার কথা প্রকাশ করেন তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত মু'আবিয়ার (রা) খিলাফতকালে বসরার কারীদের একটি প্রতিনিধিদল শামে পাঠানো হয়। তাতে 'আমিরও ছিলেন। মুদারিব ইবন হান, যিনি প্রতিনিধিদলটি পাঠিয়েছিলেন, একদিন আমীর মু'আবিয়াকে (রা) জিজ্ঞেস করলেন : আমরা কারীদের যে দলটি পাঠিয়েছিলাম তাদের কেমন দেখলেন? তিনি জবাব দিলেন : একজন ছাড়া বাকী সবাই মিথ্যা প্রশংসা করে ও বেশী কথা বলে। মিথ্যা নিয়ে আসে এবং আস্থাহীনতা নিয়ে ফিরে যায়। শুধু এক ব্যক্তি স্বাভাবিক মানুষ ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : আমীরুল মু'মিনীন! সেই লোকটি কে? বললেন : 'আমির। ১ যদি কোন আমীর অথবা সরকারী পদস্থ কর্মকর্তা কখনো নিজেই তাঁর কাছে আসতেন তখন তাঁর সাথেও তিনি একই রকম আচরণ করতেন। একবার কোন এক যুদ্ধে গেছেন। পথে যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়। 'আমির একটি গীর্জার সীমানায় ঢুকে পড়েন এবং একজন লোককে দাঁড় করিয়ে দিয়ে নির্দেশ দেন, কেউ যেন ভিতরে প্রবেশ না করে। কিছুক্ষণ পর সেই লোকটি এসে বলেন, আমীর ভিতরে আসার অনুমতি চাচ্ছেন। আমীরকে তিনি ভিতরে ডেকে নেন এবং তাঁকে বলেন : আমি আপনাকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে বলছি, আপনি আমাকে দুনিয়ার প্রতি প্রলুব্ধ করবেন না এবং আখিরাতকে অমাাার কাছে ছোট করে দেখারেন না। প্রকৃত বাস্তবতা এই যে, 'আমিরের অবস্থান যে জগতে ছিল সেখানে পার্থিব কোন প্রকার বন্ধন, সম্পর্ক ও রীতি-পদ্ধতির কোন বালাই ছিল না। এ কারণে, শুধু আমীর-উমারা কেন কারো সাথে কোন রকম বন্ধন ও সম্পর্ক তাঁর ছিল না। দুনিয়ায় তাঁর কেবল তাবিঈদের জীবনকথা ২১১ মুতাররিফ বসরীর সাথে অন্তরের সম্পর্ক ছিল। আর মহিলাদের মধ্যে একজন অতি সাধারণ ছাগলের রাখাল মহিলার প্রতি তাঁর অন্তরে দয়া ও সমবেদনার উদ্রেক হয়। কিন্তু তাঁর সাথে কোন রকম সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগেই মহিলাটি মারা যায় । মুতাররিফের সাথে তাঁর অপ্রকৃতিস্থ বা দিওয়ানা ধরনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি বসরা ত্যাগের সময় তাঁর নিকট থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য এক রাতে কয়েকবার মুতাররিফের গৃহে যান। প্রত্যেক বারই তিনি মুতাররিফকে বলেন : 'আমার বাবা-মা তোমার জন্য কোরবান হোক! আল্লাহর কসম! তোমার ভালোবাসা আমাকে বার বার তোমার কাছে নিয়ে আসছে।" আর মহিলাটির ঘটনা এই রকম। একজন অতি গরিব ও 'আবিদা মহিলা কয়েকজন বেদুইন লোকের ছাগল চরাতো। সে তাদের সব রকমের নির্যাতন সহ্য করতো। 'আমিরের সাথে তাঁর গুণের দিক দিয়ে অনেক মিল থাকায় লোকেরা 'আমিরকে বলতো, অমুক মহিলা আপনার স্ত্রী এবং সে একজন জান্নাতী মহিলা। 'আমির তার সন্ধানে বের হলেন। সে মহিলার জীবন ছিল এই রকম যে, সারাদিন অসভ্য ও বর্বর বেদুইনদের ছাগল চরাতো। দিন শেষে যখন ছাগলের পাল নিয়ে বাড়ী ফিরতো তখন বেদুইনরা গালাগালির মাধ্যমে তাকে স্বাগতম জানাতো। আর সামনে শুকনো রুটির দু'টি টুকরো ছুড়ে মারতো। সে তা কুড়িয়ে নিয়ে একটি টুকরো বাড়ীর লোকদের দিত। সারাদিন সে রোযা রাখতো। তাই দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে সে সন্ধ্যায় ইফতার করতো। 'আমির তাকে খুঁজে বের করেন। যখন সে ছাগল চরানোর জন্য বেরিয়ে যায় তখন 'আমিরও সংগে যান। এক স্থানে পৌছে সেই মহিলা ছাগলগুলো ছেড়ে দিয়ে নামাযে দাঁড়িয়ে যায় । 'আমির তাকে বললেন, তোমার কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে বলতে পার । সে বললো : আমার কোন প্রয়োজনই নেই। 'আমির যখন বেশী পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন তখন সে বললো, আমার শুধু এতটুকু ইচ্ছা যে, আমি যদি দুই টুকরো সাদা কাপড় পেতাম যা আমার কাফনের কাজে আসতো। 'আমির তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এই বেদুইনরা তোমাকে গালি দেয় কেন? সে উত্তর দিল : এতে আমি আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করি। এই সংলাপের পর 'আমির তার মনিবদের নিকট যান এবং তাদেরকে প্রশ্ন করেন : তোমরা এই মহিলাকে গালি দাও কেন? তারা উত্তর দিল : আমরা যদি এমনটি না করি তাহলে সে আমাদের কাজের উপযুক্ত থাকবে না । 'আমির বললেন : তোমরা ওকে আমাদের কাছে বিক্রী করে দাও। তারা বললো : যত মূল্যই দাও না কেন আমরা তাকে আমাদের থেকে পৃথক করবো না । এ উত্তর শুনে 'আমির ফিরে যান এবং মহিলার ইচ্ছা অনুযায়ী দুই প্রস্থ কাপড় সংগ্রহ করে তার কাছে যান । কিন্তু কী অবাক ব্যাপার! সেই মহিলা তখন এই দুনিয়া ছেড়ে পরলোকে যাত্রা করেছে। 'আমির তার মনিবদের অনুমতি নিয়ে তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করেন। এভাবে এ ২১২ তাবি'ঈদের জীবনকথা দুনিয়ায় 'আমিরের একজন মহিলার সাথে সহমর্মিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তা শেষ 'আমির একজন বড় মাপের দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। মুজাহিদদেরকে আর্থিক সাহায্য দানের বিষয় পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। দু'হাজার দিরহাম ভাতা পেতেন । সেই ভাতা যখনই পেতেন তখন গরিব-মিসকীন যাকে পথে পেতেন তাদের মধ্যে বিলাতে বিলাতে ঘরে ফিরতেন। বসরা ত্যাগের পর 'আমির আর কোন দিন বসরায় ফিরে আসেননি। মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের প্রথম কিবলা 'বাইতুল মাকদিস'কে কেন্দ্র করে তার আশে-পাশে বসবাস করতে থাকেন। আমীর মু'আবিয়া (রা), যিনি ছিলেন তৎকালীন শামের ওয়ালী এবং পরবর্তীকালে মুসলিম জাহানের খলীফা, তাঁর প্রতি সীমাহীন সম্মান প্রদর্শন করতেন । সব সময় তাঁর খোঁজ-খবর রাখতেন। দিনের পর দিন পেরিয়ে বহু বছর গড়িয়ে গেল । 'আমিরের শক্তি নিঃশেষ হয়ে চললো। অবশেষে তিনি রোগাক্রান্ত হয়ে শয্যা নিলেন। রোগের তীব্রতা বেড়ে গেল। তাঁর শুভানুধ্যায়ী ও গুণমুগ্ধরা বুঝতে পারলেন এ তাঁর অন্তিম রোগ। তাঁরা তাঁকে দেখার জন্য গেলেন। তাঁদেরকে দেখে তিনি কান্না শুরু করলেন। অশ্রু গড়িয়ে তাঁর দাড়ি ভিজে গেল। একজন বললেন : 'আমির! আপনি তো একজন নেক্কার, দুনিয়া বিরাগী, খোদাভীরু 'আবিদ মানুষ ছিলেন। আপনি এভাবে কাঁদছেন কেন? 'আমির বললেন : আল্লাহর কসম! আমি দুনিয়ার প্রতি লোভের বশবর্তী হয়ে অথবা মৃত্যুর ভয়ে কাঁদছিনে। আমি কাঁদছি দীর্ঘ ভ্রমণ ও স্বল্প পাথেয়-এর কথা চিন্তা করে। ঊর্ধ্বে আরোহণ ও নিম্নে পতনের মাঝ দিয়ে আমার জীবন কেটেছে। এরপর আছে জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আমি জানিনে কোথায় হবে আমার ঠিকানা।" একথা বলতে বলতে তাঁর রূহটি তাঁর সর্বোচ্চ বান্ধবের নিকট পৌছে গেল। তখন হযরত মু'আবিয়ার (রা) শাসনকাল । বাইতুল মাকদিসে তাঁকে দাফন করা হয়। ৩৪ 'আমির-এর সম্পর্কে এক ব্যক্তির একটি স্বপ্ন উল্লেখ করার মত। এ স্বপ্নের দ্বারা তাঁর আধ্যাত্মিকতা কোন স্তরের ছিল তা অনুমান করা যায়। সাঈদ নামের এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন। একবার এক ব্যক্তি স্বপ্নে নবীর (সা) অপরূপ সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করেন । সেই ব্যক্তি আবেদন জানায় : হুজুর! আমার গুনাহ মাফের জন্য দু'আ করুন। তিনি বলেন : তোমাদের জন্য 'আমির দু'আ করছেন। সেই ব্যক্তি 'আমিরের নিকট এই স্বপ্ন বর্ণনা করলে তিনি প্রবল আবেগে এত বিগলিত হয়ে যান যে, তাঁর কণ্ঠরোধ হবার উপক্রম হয়। ৩৫ হযরত আবূ মূসা আল-আশ'আরী (রা) ছিলেন 'আমিরের অতি শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক। ৩৩. সিফাতুস সাফওয়া-৩/২১১ তাবি ঈদের জীবনকথা ২১৩
pdf
48bbb05f5d582b99fa3d0c4b103c54ae547ffaf9
সময় জার্নাল রিপোর্ট : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর থেকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নতুন কারিকুলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। দীপু মনি বলেন, ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলামে পাঠদান করা হবে। এটা সফল হলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। আর ২০২৪ সাল থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, আমরা দেখব নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দক্ষতাসম্পন্ন হচ্ছেন কি-না। যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের থেকে ফিডব্যাক পাবো, তখন নিজেদের সার্থক মনে করবো।
web
8902826c5c12b0185c3232d1a891568c
এখন জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এই জ্বর সাধারণ ভাইরাসের কারণে নাকি ডেঙ্গু! আবার চিকুনগুনিয়া নয়তো? মে থেকে সেপ্টেম্বর - বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বর মশার মাধ্যমে ছড়ায় না। কিন্তু ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরের জীবাণু বহন করে মশা এবং তা একই প্রজাতির। দুটোই এডিস মশার কারণে হয়। এই দুটি রোগের লক্ষণে নানা মিল যেমন রয়েছে, তেমনি ভিন্নতাও আছে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কাউকে কামড়ালে তিনি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার আক্রান্তকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা শরীরে লালচে দানা দেখা যায়। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমি হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করেন এবং তাঁর রুচি কমে যায়। এই অবস্থা যেকোনো সময় জটিল হয়ে উঠতে পারে। যেমন অন্য সমস্যার পাশাপাশি যদি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমনঃ চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে ও চোখের বাইরে রক্ত পড়তে পারে। মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেক দিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি হতে পারে। এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়। ডেঙ্গু জ্বরটা আসলে গোলমেলে রোগ, সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। * জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। * ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরে সাধারণত ঠান্ডা-কাশি হয় না; নাক দিয়ে পানি ঝরে না। তবে সাধারণ ভাইরাসের কারণে হওয়া জ্বরে এগুলো হয়। * ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে কাঁপুনি, ঘাম ও তীব্র অবস্থায় রক্তক্ষরণ হয়। তবে চিকুনগুনিয়া জ্বরে সাধারণত এগুলো হয় না। * হাতের আঙুলের জোড়ায়, পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে চিকুনগুনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর মাংসপেশিতে ব্যথা হলে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। * ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অণুচক্রিকার সংখ্যা অনেক কমে যায়। তবে চিকুনগুনিয়ায় রক্তের অণুচক্রিকার সংখ্যা ততটা কমে না। * চিকুনগুনিয়া জ্বরের অস্থিসন্ধির ব্যথা জ্বর কমে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে অস্থিসন্ধির ব্যথা জ্বর কমে যাওয়ার পর কমে যায়। চিকুনগুনিয়া জ্বর ভালো হলেও রোগটি অনেক দিন ধরে রোগীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্য কোনো ভাইরাল জ্বরে এতটা ভোগান্তি হয় না। * একই মশা দিয়ে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর হলেও ডেঙ্গুতে ঝুঁকি হয়। চিকুনগুনিয়া হলে কারও মৃত্যু হয় না। আর একই ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু জ্বর চারবার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু চিকুনগুনিয়া একবার হলে সাধারণত আর হয় না। * যেহেতু এটি একটি মশাবাহিত রোগ সেহেতু মশার বংশবৃদ্ধি রোধ, নিধন ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। * ঘর-বাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা ও এ-জাতীয় পানি ধারণ করতে পারে এমন পাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে। গোসলখানায় বালতি, ড্রাম, প্লাস্টিক ও সিমেন্টের ট্যাংক কিংবা মাটির গর্তে চার-পাঁচ দিনের বেশি কোনো অবস্থাতেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিষ্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবাণু বেশি জন্মায়। * ঘরের আঙিনা, ফুলের টব, বারান্দা, বাথরুম, ফ্রিজের নিচে ও এসি এর নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা যাতে বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। * মশা মারার ওষুধ দিয়ে মশা নিধন করা। দিনের বেলায় এডিস মশা কামড়ায় বলে দিনের বেলাতেও মশারির নিচে ঘুমান। বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুল প্যান্ট পরানো। আক্রান্ত রোগীকে পৃথক বিছানায় মশারির ভেতর রাখতে হবে। ঘরের দরজা, জানালায় ও ভেন্টিলেটরে মশানিরোধক জাল ব্যবহার করুন।
web
a785bbf69d2674de64777c3abf6a90af2d052b2c
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে ১২০ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - বসুরহাট পৌরসভার্র রামদি এলাকার শাহদাত হোসেন শাহেদ (২২), একই বাড়ির ইসমাইল হোসেন সুমন (৩৮) ও ইমদাদুল হক নাপি (১৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত তিন জন ও অজ্ঞাত ১ জনসহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অবস্থান রয়েছে। মাদক উদ্ধার ও নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
web
e579a0fce930520b0eefa6f90bca17e3bf580394
যথাযথ মর্যাদা, বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সাতক্ষীরায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে আজ সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বেলুন-ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত ও সালাম গ্রহণ করেন। এরপর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ. এন. এম মঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান, জাতীয় নিরাপত্তার গোয়েন্দা শাখা সাতক্ষীরা জেলার উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ। এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোছনা আরা, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
web
2f508897a26d3aabe9088d3828b25e5f828698bb
শ্যামনগর অফিসঃ ১ জুলাই থেকে সুন্দরবনে বনজীবিদের প্রবেশাধিকারে বিএলসি নবায়ন শুরু হয়ে তা চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশনে বুধবার পর্যন্ত ৩২০০ বিএরসি নবায়ন হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ১ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে আর অসাধু বনরক্ষীর পকেটে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ। প্রত্যক্ষদর্শী জেলে বাউয়ালী এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতি বিএলসি নবায়নে সরকারি রাজস্ব নৌকা প্রতি ৬-২৫ টাকা পর্যন্ত কিন্তু, পশ্চিম সুন্দরবনের এই ৪ স্টেশন কর্মকর্তা যথাক্রমে কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম, বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান ও কোবাতক স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন প্রতি বিএলসিতে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা ক্ষেত্র বিশেষে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করেছেন। ৪ স্টেশনে সারকারি রজস্ব দাঁড়িয়েছে লক্ষাধিক টাকা। আর নিরীহ বনজীবিদের কাছ থেকে অসাধু বনকর্তারা নিজেদের আখের গোছাতে ঘুষ আদায় করেছেন ২০ লক্ষাধিক টাকা। এ অভিযোগ বনজীবীদের।
web
a552e8b7b3058e8c1b182e274f99409a09e23c8fd533b7a15f78a6525648bdcb
করুন। রায় মার তখন বছর পাঁচেক বয়স। কাশীতে থাকতাম। রোজ ভোরবেলা ঠাকুমাকে নিয়ে গঙ্গাস্নানে যেতাম । যেতে যে খুব ইচ্ছে করত তা নয়; কিন্তু ঠাকুমা বুড়ো হয়েছিলেন, চোখে ভালো দেখতে পেতেন না - আমি তাঁর চশমা হয়ে যেতাম। স্নান সেরে ছোট্ট সাজিতে পুজোর ফুল, বিল্বপত্র, তুলসীপাতা ইত্যাদির ভিতর দু-চারটে চমচম, বাতাসা, শাঁকালু, কলা প্রসাদ নিয়ে বাড়ি ফেরা হত। এই ছিল ঠাকুমার ব্রেকফাস্ট । অবশ্য আমরাও কিছু কিছু ভাগ পেতাম । বাড়ির পথে বাঁদরে পথ আটকাত। একহাতে সাব্জি চেপে ধরে আরেক হাতে ফুল-বেলপাতার তলা থেকে বেছে বেছে ফল মিষ্টি তুলে নিয়ে টপাটপ মুখে পুরে দিত। ঠাকুমা একটানা অনুনয়-বিনয় করে যেতেন : 'আর খাস নি বাবা, গোপাল আমার, দুটো-একটা বুড়ির চিবোবার জন্যেও রাখিস। কাল একাদশী গেছে, আজ দুটো বাতাসা দিয়ে জল খেতে দিস বাবা!' কে শোনে কার কথা! বাবাজী ততক্ষণে সাজি প্রায় খালি করে ফেলেছেন। এক-আধ দিন নয় - বারো মাসই ওই এক কাণ্ড। আমাদের উঠোনটা ছিল বেশ বড় আর ঝকঝকে তকতকে। দক্ষিণ দিকে শোবার ঘর, একপাশে রান্নাবাড়ি, আরেক পাশে জেঠামশাইয়ের লাইব্রেরি। বাকী দিকটায় খাড়া পাঁচিল। রান্নাবাড়ির চওড়া দাওয়ায় কলার কাঁদি ডাব থোড় এঁচোড় গাদা করা থাকত। বাঁদরের হাত থেকে.এসব আগলে রাখা ছিল এক ঝকমারি। ফাঁক পেলেই ছে। মারে। একদিন হয়েছে কী - একটা বাঁদর দু-তিন বার তাড়া খেয়ে ধাঁ করে উঠোন থেকে কী একটা বগলদাবা করে রান্নাঘরের মাথায় উঠে বসল। সঙ্গে সঙ্গে কাকীমার আর্ত চিৎকার - 'ও মা গো, ও দিদি গো, খোকাকে নিয়ে গেল যে! এই শনিচর, ও গুলাবিয়া, দেখতা ক্যা খাড়া খাড়া ? খোকাকে আন্ দেও না!' শীতের সকাল, উঠোনে রোদ এসে পড়েছে, কাকীমার দু মাসের খোকা সেই রোদে শুয়ে হাত-পা ছুঁড়ে খেলা করছিল, বাঁদরভায়। তাকে তুলে নিয়ে মজা দেখছে। কাকীমার কান্নাকাটি, বাকীদের তাড়াহুড়ো/ - কিছুতেই কিছু হয় না, সে দিব্যি কচি মানুষটিকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে রান্নাবাড়ির মাথা থেকে লাইব্রেরির ছাদ, সেখান থেকে শোবার ঘরের মাথায় লাফিয়ে বেড়ায় আর মাঝে মাঝে সকলের দিকে ফিরে মুখ ভেংচায়। শেষে ঠাকুমা এলেন। এক কাঁদি কলা উঠোনের মাঝখানে নামিয়ে রেখে বললেন, 'ও বাবা, মানিক আমার, মাথা খাও বাবা, কলা নিয়ে খোকাকে দিয়ে যাও!' কী আশ্চর্য, সত্যি বাঁদরটা খোকাকে সন্তর্পণে তার বিছানায় নামিয়ে দিয়ে কলার কাঁদি নিয়ে উধাও হরিদ্বারে যখন প্রথম যাই, প্রথম রাত্তিরটা কী ভয়ই পেয়েছিলাম। রাতদুপুরে মনে হল, ঘরের মধ্যে বরফগলা হাওয়া ঢুকছে কোথা থেকে, লেপকম্বল ফুঁড়ে হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এক এক করে সকলেরই ঘুম ভেঙে গেল, আর সঙ্গে সঙ্গে পাশের ঘর থেকে ঘট-ঘট-ঘটাং ঠন-ঠন-ঠনাত ইত্যাদি নানারকম শব্দ কানে এল । বাবা আলো জ্বাললেন, চারদিকে তাকিয়ে দেখেন তাজ্জব ব্যাপার। রাত্রে নিজে হাতে ভেনটিলেটর বন্ধ করে শুয়েছেন। মাঝরাতে আর এই বাঘা শীতের মধ্যে ভেনটিলেটর খুলে চোর এল নাকি ! আর চোরই যদি হবে, এত শব্দ করে চুরি করবে কেন ! পাশের ঘরে ঢুকে সুইচ টিপেই বাবা পাঁচ হাত ছিটকে ফিরে এলেন। কী ব্যাপার? না - এক বিরাট লালমুখো কালো বাঁদর দরজার মাথার উপর তাকে সাজানো ওভালটিন, হরলিকস, বিস্কুট, চিনি, চা, আচার, মিছরি - সব ফেঁলে ছড়িয়ে একাকার করে ফেলেছে। আমরা তো জানি না এ ধরনের ব্যাপার হয় - নইলে এদেশের লোকের কাছ থেকে জব্দ করার উপায়টা শিখে নিতাম। সে এক মজার দৃশ্য। এসব দেশে বাঁদরের গায়ে হাত তোলা দায় - তোমাকেই ঠেঙিয়ে শেষ করে দেবে। তাই আত্মরক্ষার জন্যে ভারি মজার উপায় বের করেছে। সরু মুখের হাঁড়ির ভিতর কিছু খাবার রেখে দেয়, বাঁদর এসেই তার ভিতর হাত ঢুকিয়ে খাবারটা খাবলে নিয়ে হাত মুঠি করে। পর তার মুঠি-করা হাত হাঁড়ির গলা দিয়ে বেরোতে চায় না, বাঁদরও খাবারের লোভে মুঠি খোলে না। ফলে ঘটাং ঘট ঘট ঘট ঘটাং শব্দে হাঁড়িটাকে এক দিক থেকে অন্য দিকে টেনে নিয়ে যায় - অথচ মুঠিও খোলে না, হাঁড়িও ছাড়ে না। ইতিমধ্যে পাড়ার পাঁচজন জড়ো হয়ে বস্তা-টস্তা চাপা দিয়ে বাঁদরটাকে ধরে। তারপর তার মাথা কামিয়ে, সারা গায়ে লাল নীল হলদে সবুজ নানারকম রঙ করে ছেড়ে দেয়। তখন আর তার স্বজাতির মধ্যে স্থান হয় না, অন্য বাঁদরেরা দেখলে দূর থেকে ভেংচি কেটে সরে পড়ে । সে বেচারা দলছাড়া হয়ে ঘোরে। একদিন ওইভাবে একটা বাঁদর দলছাড়া হয়ে আমাদের রান্নাঘরের ছাদে এসে বসে ছিল। বড়ি দিতে দিতে হঠাৎ তার দিকে চোখ পড়তে ঠাকুমা কেমন যেন গলে গেলেন। 'আহা, অন্যায়ের শাস্তি তো পেয়েইছে, তাই বলে কি না খেয়ে মরবে কেষ্টর জীব?' তাকে কলা-টলা দেখিয়ে ডেকে নিলেন। সেও যেন কেমন বর্তে গেল। তারপর থেকে সে বাড়িতেই রয়ে গেল। ছাড়া পেলে ঠাকুমার পায়ে পায়ে ঘোরে, বাকী সময় গলায়-বকলস-বাঁধা হয়ে উঠোনের কোণে ঝিমোয়। হঠাৎ কদিন ধরে ঠাকুমা লক্ষ্য করেন তাঁর প্রসাদী সাব্জি থেকে মিষ্টিগুলো উড়ে যাচ্ছে। কী ব্যাপার ? সব্বাইকে জিজ্ঞেস করেন, ছোটদের ধমক-ধামক দেন, কেউ বলতে পারে না। একদিন সকালে শনিচরের চিৎকারে সবাই উঠোনে গিয়ে দেখি, বাঁদরটা তাড়াতাড়ি দু হাত দিয়ে বকলসটা লাগাতে চেষ্টা করছে। মুখের চারপাশে চমচম বাতাসার গুঁড়ো, পায়ের কাছে একটা গাঁদাফুল। শনিচর হাউমাউ করে যা বলল তা এই : রোজই ঠাকুমা যখন সাব্জিটা আলগোছে ঠাকুরঘরে নামিয়ে রেখে হাত-পা ধুতে যান, তখন উর্বশী ( ইতিমধ্যে তার নামকরণ হয়েছে) নিজেই বকলস খুলে মিষ্টি-টিষ্টি খেয়ে এসে আবার বকলস পরে বসে থাকে। এদিকে উর্বশীকে আমরা সবাই ভালোবেসে ফেলেছি। রোজ সকালে সে বাবার চায়ের ভাগ পায়। ওর একটা কলাই-করা কানা-উঁচু থালা আছে। বাবা চা খেতে বসলেই সে থালাটি দু হাতে ধরে কাছে এসে দাঁড়ায়, বাবা চা ঢেলে দেন, সে শুভূত হুড়ুত শব্দ তুলে চা খায় । এত কাণ্ডের পর ও যে আবার চুরি করে মিষ্টি খাবে, সে কে আর ভেবেছে! ঠাকুমা কিন্তু মোটেই রাগ করলেন না, বরং উলটে বললেন, 'তা যাকগে, দুটো মিষ্টি খেয়েছে বই তো নয় ! দোলের সময় উর্বশীকে নিয়ে মহা গণ্ডগোল । রঙ খেলা তার হু চক্ষের বিষ। আমরা বন্ধুবান্ধব জুটিয়ে উঠোনময় রঙ ছড়িয়ে ভূত সেজে দোল খেলি, আর সে রেগে চেঁচিয়ে ভেংচিয়ে পাড়া মাত করে। সবাইকে সাবধান করা আছে যে ওকে রঙ দেবে না। একবার এক দুঃসাহসী ছেলে ঘন সবুজ রঙ পিচকিরিতে ভরে দূর থেকে উর্বশীকে তাক করে ছুঁড়েছিল। বাঁধা অবস্থায় উর্বশী তার জবাব দিতে পারে নি, কিন্তু ছেলেটিকে সে চিনে রেখেছিল। এখন হয়েছে কী - উঠোনের যে দিকটায় খাড়া পাঁচিলটা ছিল, তারই গায়ে কয়েকটা চৌবাচ্চা-মতো ছিল। একটাতে গেরিমাটি, একটাতে খড়িমাটি, এইসব কী কী ভেজানো থাকত। দোলের দু-চার দিনের মধ্যেই আবার সেই দুষ্টু ছেলেটির আবির্ভাব হল । হঠাৎ উর্বশী তার বকলস খুলে দুহাত ভরে খড়িমাটিগোলা নিয়ে পিছন থেকে ছেলেটির মুখখানা চেপে ধরল সে তো প্রাণপণ চেঁচাতে শুরু করল - উর্বশী নির্বিকারচিত্তে তার মাথায় মুখে গায়ের যেখানে সেখানে খড়িমাটি মাখিয়ে ছেড়ে দিল। আদর পেয়ে মাথায়-চড়া উর্বশী যেদিন আমাদের ছেড়ে গেল সেদিন আমাদের খুব মন খারাপ হয়েছিল। কেমন করে গেল এখনও মনে আছে। ওদেশে ফল পাকবার সময় কোনো গাছ এমনি ফেলে রাখা যেত না। আম-কাঁঠালের গাছে কুসুম ধরার সঙ্গে সঙ্গে একরকম কাঁটাতারের জাল দিয়ে সব গাছ ঢেকে দিতে হত। তবু সময় বুঝে হনুমানের দল হুপহাপ করতে করতে একদিন ঠিক এসে হানা দিত। যা পারত নষ্ট করে দিয়ে অন্য বাগানে চলে যেত। তাদের এই যাওয়া-আসাটাই একটা দেখবার জিনিস। ধরো, আমাদের বাগান আর গাঙুলীদের বাগানের মাঝে হাজরা রোডের মতো চওড়া ব্যবধান । তাতে কিন্তু এদের কিছু আসে যায় না। দলপতি এক লাফে আমাদের পাঁচিল থেকে ওদের পাঁচিলে গিয়ে পিছন ফিরে বসল। এর পরে আরেকটা হনুমান লাফ দিয়ে এসে দলপতির লেজ ধরে ঝুলে পড়ল। তারপর ধাড়িগুলো এক-এক করে সব কটা ওইভাবে আগেরটার লেজ ধরে একটা ব্রিজের মতো তৈরী করল। সবশেষে হহুমতীগুলে। একহাতে বুকে বাচ্চা চেপে ধরে এই ব্রিজ পেরিয়ে ওপারে গিয়ে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে দলপতি এত বড় ব্রিজটা নিয়ে দুলতে দুলতে সময় বুঝে প্রচণ্ড লাফ দিল। সব একসঙ্গে হুড়মুড় করে আর কোনো ভালোমানুষের বাগানে গিয়ে ঢুকল। উর্বশীর যেদিন আমাদের বাড়িতে পাঁচ বছর পূর্ণ হল, সেদিন খুব ঘটা করে তাকে গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে চর্বচূষ্য দিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। ও মা! হবি তো হ, সেইদিনই কি ওই হনুমানের দলকে আমাদের বাগানে হানা দিতে হবে? খুব খানিকটা চেঁচামেচি, 'হট হট', 'মার মার', 'তাড়া তাড়া' হট্টগোলের পর তারা তো গেল। সব শান্ত হলে আমাদের হঠাৎ নজরে পড়ল - উর্বশী নেই । উর্বশী কই? খোঁজ, খোঁজ। সারা বাড়ি চষে উর্বশীকে পাওয়া গেল না। ঠাকুমা বললেন, 'আহা, বাছা আমার, অনেককাল তো সমাজছাড়া হয়ে রইল। জানিয়ে গেলে আমাদের দুঃখ হবে, তাই চুপিসাড়ে দলের সঙ্গে কেটে পড়েছে।'
pdf
f177500ead420d207312245486c0f3364b9dc6e0
সিলেট : রাত ১২টা ১ মিনিটে অর্থাৎ অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের মাধ্যমে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম। এরপর একে একে সিলেটের জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার, এসএমপি, জেলা পুলিশ, সিলেট সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকালে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় প্রভাতফেরি। যাতে সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সকাল ৯টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপির পক্ষ থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল। এছাড়া দিনভর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, সিলেট জেলা ও মহানগর শ্রমিক দল, সিলেট জেলা ও মহানগর জাসদ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষ। বরিশাল : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল-আহসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার), রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার ও পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন। এছাড়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, টুরিস্ট পুলিশ, র? ্যাব-৮, সিআইডি বরিশাল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাতীয় পার্টি, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। এদিকে সকাল ১০টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপন ও সুশান্ত ঘোষ। অপরদিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, সরকারি বি এম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন পিপিএম প্রমুখ। রংপুর : একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক আসিব আহসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ ও উপউপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। দিবসটি উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান। শেরপুর : প্রথম প্রহরে শহরের চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর-১ (সদর) আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক। এরপর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া পর্যায়ক্রমে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা হাসপাতাল, জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ, জেলা আনসার ও ভিডিপি, শেরপুর সদর থানা, জেলা বিএনপি, চেম্বার অব কমার্স, জেলা আইনজীবী সমিতি, শেরপুর প্রেস ক্লাব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, যুবলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, শ্যামলবাংলা২৪ডটকম ও সাপ্তাহিক দশকাহনীয়া পরিবার, কবিসংঘ বাংলাদেশ, রেড ক্রিসেন্ট, পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন শেরপুর জেলা শাখাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সোমবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন, বাংলা হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা এবং ভাষাশহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলসহ জেলা ও উপজেলায় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। নওগাঁ : দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। প্রথমে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। পরে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর মেয়র নাজমুল হক সনি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. এ কে এম ফজলে রাব্বী বকু, জেলা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পঞ্চগড় : রাত ১২টা ১ মিনিটে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে দিবসটির কর্মসূচির সূচনা করেন। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার, পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম, পঞ্চগড় মহিলা কলেজের অব. শিক্ষক হাসনুর রশিদ বাবু প্রমুখ। পরে সংসদ সদস্য কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। নাটোর : রাত ১২-১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, নাটোর প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় শপথ নেয়া হয়। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের কানাইখালী মাঠে ৬ দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও : রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা ও দায়রা জর্জ মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ সাদেক কুরাইশীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক রাজিউর রেজা স্বপন চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষাশহীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে বইমেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, মাহাবুবুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে প্রমুখ। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পাবনা : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তযোদ্ধা সংসদ, পাবনা প্রেস ক্লাব, অনন্দা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি, জেলা প্রশাসন, পাবনা জেলা পরিষদ, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ, হাজী জসীম উদ্দিন কলেজ, শহীদ এম মনসুর আলী কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। একুশের প্রথম প্রহরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাসৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান গোলাম ফারুক প্রিন্স, মহিলা এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ। জেলা প্রশাসন দিবসটি উপলক্ষে ভাষাশহীদদের সম্মাননা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক বিশ্বান রাসেল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, ভাষাসৈনিক রণেশ মৈত্র, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন প্রমুখ। পাবনা জেলা প্রশাসন ৮ জন ভাষাসৈনিককে সম্মাননা দেয়। এর মধ্যে শুধু রণেশ মৈত্র জীবিত আছেন। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। উপাচার্য প্রফেসর এম রোস্তম আলী, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্মসহ শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। পাবনা প্রেস ক্লাব দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে সব কর্মসূচিতে অংশ নেন সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদসহ সাংবাদিকরা। নওগাঁ : দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। প্রথমে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। পরে একে একে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর মেয়র নাজমুল হক সনি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. এ কে এম ফজলে রাব্বী বকু, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার, নওগাঁ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আবু আনসারি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অঙ্গ সংগঠন, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, এলজিইডি, বিএমডিএ, নওগাঁ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, একুশে পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বিএমএ, ডিপ্লোমা নার্স এসোসিয়েশন, জেলা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, প্রাণিসম্পদ দপ্তর, গ্রাম থিয়েটার, নওগাঁ সরকারি কলেজ, বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজ, ফয়েজ উদ্দীন মেমোরিয়াল কলেজ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, ভাষাসৈনিক ডা. মঞ্জুর রহমানের পরিবারবর্গ, ভাষাসৈনিক ময়নুল হক ভুটির পরিবারবর্গ, শহীদ পরিবার, জেলা প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়াও সকাল ৯টা থেকে শহীদ মিনার চত্বরে চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা ও ভাষার গানের প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক শহীদ মিনারের পাশে আলোচনা সভা ও জেলার ভাষাসংগ্রামী পরিবারকে একুশে পদক দেয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। দিনাজপুর : দিবসের প্রথম প্রহরে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। একই সঙ্গে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দিনাজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এসে শেষ হয়। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা। পরে আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এছাড়া শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ, শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগসহ সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়াও দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, দিনাজপুর প্রেস ক্লাব, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ক্রীড়া, সংস্কৃতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। মাভাবিপ্রবি : মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্যাম্পাসস্থ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, হল, মাওলানা ভাসানী রিসার্স সেন্টার, আইসিটি সেল, আইকিউএসি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ভাসানী পরিষদ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও ভাষাশহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এছাড়া ভোরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ভাষাশহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ধামরাই (ঢাকা) : প্রথম প্রহরে সোবাহান মডেল উচ্চ দ্যিালয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পৌর মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা। শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন এমপি বেনজীর আহমদ। উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনার না থাকায় স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন কয়েকটি সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়া গোটা উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পালিত হয় দিবসটি। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চরফ্যাশন (ভোলা) : দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামীলীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল থেকে চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, চরফ্যাশন প্রেসক্লাব, আইনজীবি সমিতিসহ সামাজিক রাজনৈতিক বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ খান ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ আহাম্মদ উল্লাহ মিয়া ভাষা শহীদদের স্মরণে। দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) : একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা চত্বরে নবনির্মিত কেদ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১১টায় মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। পরে রাত ১২টা ১মিনিটে উপজেলা চত্বরে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে ধারাবাহিকভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এতে অংশ নেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, পুলিশ, আনসার, সব স্কুল কলেজ, থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ব্র্যাক অফিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, এ্যাডরা বাংলাদেশ, প্রশিকা, পল্লীবিদ্যুৎ, পূজা উদযাপন পরিষদ। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে শহীদদের স্মরনে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম রাজা, থানা ওসি জাকারিয়া হোসেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কদ্দুস, সরকারি মতিলাল কলেজের অধ্যাক্ষ রহুল আমিন, সরকারি প্রমোদা সুন্দরী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন ভিকু, যুবলীগের আহবায়ক হুমায়ন কবির শাওন, ছাত্রলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাছির উদ্দিন প্রমুখ। শেষে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দুপুরে মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া তবারক বিতরণ ও হাসপাতালে রোগিদের উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়। তজুমদ্দিন (ভোলা) : আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রভাত ফেরী ও আলোচনা সভা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরিয়ম বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিন মাহাজন, চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরন, সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু, শম্ভুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম শিলাসহ আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতারা। বিশ্বনাথ (সিলেট) : দিবসের প্রথম প্রহরে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, থানা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি, উপজেলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, পৌর কৃষক লীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। এরপর সকাল থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন একে একে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, জাতীয় পার্টি, পৌর আওয়ামী লীগ, পৌর বিএনপি, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, ডেফোডিল এসোসিয়েশন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এদিকে, বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস শহীদ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নবীন সোহেল, উপজেলা এইও সজীব সরকার, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আমির আলী, স্বাস্থ্য সহকারি কর্মকর্তা সুদীপ রঞ্জন প্রমূখ। নাগরপুর (টাঙ্গাইল) : প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, বিএনপি, নাগরপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেরকর্মীরা। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর, কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস, নাগরপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাঙ্গাগীর আলম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. শাহ-আলম মিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : পৌর পার্ক স্মৃতিসৌধে রাত ১২. ০১ মিনিটে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ প্রশাসন, পৌর প্রশাসন, উপজেলা আ. লীগ, উপজেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। ভোরে উপজেলা প্রশাসন পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। সকাল ৮টায় পৌর পার্কের স্মৃতিসৌধে পৌর প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পনসহ সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রভাত ফেরীর দুটি র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিন করে। প্রভাত ফেরিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বরমান হোসেন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব, উপজেলা আ. লীগ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মণ্ডল ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিছির আলী মণ্ডলসহ বিভিন্ন পেশা ও সংগঠনের লোকজন র্যালীতে অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপসানলয়ে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের নাটক, কবিতা, গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। ২য় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ উপজেলা চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প মাল্য অর্পন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন এনজিও সামাজিক প্রতিষ্ঠান সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, উপজেলা আওয়ীমীলীগ সভাপতি এম মহশিন চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শহীদ দিবসে বিভিন্ন কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বোদা (পঞ্চগড়) : প্রথম প্রহরে বোদা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফারুক আলম টবি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলায়মান আলী, পৌর মেয়র এড. ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মকলেছার রহমান জিল্লু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ল²ী রানী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মো. ইমতিয়াজ হোসেন মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আজাহার আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগ, বোদা পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বোদা উপজেলা প্রেস ক্লাব, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও দুপুরে পাথরাজ সরকারি কলেজের সাংস্কৃতিক মঞ্চে অংকুর ফাউন্ডেশন দিবস উপলক্ষে একুশ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার দেয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আলম টবি প্রতিবন্ধীদর হাতে হুইল চেয়ার তুলে দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, পাথরাজ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম, বোদা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল আলম লিটন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোখলেছার রহমান জিল্লু, অংকুর ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান খাইরুল হাসান সিফাত, প্রধান শিক্ষক রবিউল আলাম সাবুল, জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মিরাজ ইসলাম মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নকলা (শেরপুর) : রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, দিনের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে পরিষদ হলরুমে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন শীর্ষক আলোচনা সভা, ভাষাসৈনিকদের সংবর্ধনা, কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা, রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কনসহ নানা প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. ইসহাক আলী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলতাব আলী, পুলিশ কর্মকর্তা (তদন্ত), বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বিদ্যুৎ, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হক রিপন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাাদক শ্যামল চন্দ্র সূত্রধর প্রমুখ। বোরহানউদ্দিন (ভোলা) : দিবসের প্রথম প্রহরে বোরহানউদ্দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আ. লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা পুলিশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, উপজেলা প্রকৌশলী, ওজোপাডিকো, নতুন বিদ্যুৎ বাংলাদেশ লিমিটেড, সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ, মহিলা কলেজ, কুতুব মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন হায়দার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ মিয়া, থানা ইনচার্জ মো. শাহিন ফকির প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এছাড়া বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রভাতফেরি করা হয়। হোমনা (কুমিল্লা) : উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে। প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেহানা বেগম। বক্তব্য দেন পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহাসিন সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রীনা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন ও মো. হুমায়ূন কবীর প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র বর্মণ। মনোহরদী (নরসিংদী) : একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে পৌর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম কাসেম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায়, পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামল মিত্র, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষা শহীদদের। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতফেরি পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। তাছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। রাণীনগর (নওগাঁ) : প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, উপজেলা প্রশাসন, থানা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে প্রভাতফেরি বের হয়ে সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধামইরহাট (নওগাঁ) : প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন সংগঠন, প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সকাল সাড়ে ৬টায় প্রভাতফেরি, ৮টায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, ১১টায় শহীদ মিনারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা এক্কা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিব্বির আহম্মেদ, ওসি মোজাম্মেল হক কাজী, আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলদার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল আজিজ প্রমুখ। কালাই (জয়পুরহাট) : প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৯টায় কাকলি শিশু নিকেতনে চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা ও শুদ্ধবাংলা বানান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার এ কে এম রওশন আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মোল্ল্যা ও সাবানা আক্তার। বক্তব্য দেন পৌর মেয়র রাবেয়া সুলতানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. হাসান আলী প্রমুখ। বকশীগঞ্জ (জামালপুর) : প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, থানা, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পেশাজীবী সংগঠন। গণগ্রন্থাগারে চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী প্রমুখ। ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন, নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন, পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন, জেলা পরিষদ, ফুলবাড়ী থানা, প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক সংগঠন শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়া প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) : দিবসটি পালনে প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। পুষ্পস্তপক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিল্পকলা একাডেমি, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, প্রেস ক্লাব, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজ, সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় গান পরিবেশন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিউর রহিম জাদিদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক অঞ্জন কুমার দের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম। পরে পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিকে দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বইমেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মো. মুসলিম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান প্রমুখ। তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) : রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা শারমীনসহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহীন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হক আকন্দ, আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ভূঁইয়া মোতাহার, সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন লাকী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল মাহমুদ শোয়েব, উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এস জামান সম্রাট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে অধ্যক্ষ আব্দুল মুমিন মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক শাহেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন- কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মেহেদী হাসান, সিনিয়র প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক আয়েশা আক্তার কবিতা প্রমুখ। ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) : প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হোসেনসহ প্রসাশনের কর্মকর্তারা। সকাল ৮টায় প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে ঘাটাইল প্রেস ক্লাব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব সভাপতি খান ফজলুর রহমান, সহসভাপতি উত্তম আর্য্য, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ প্রমুখ। বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সমবায় সমিতি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা পুলিশ, সাব রেজিস্ট্রার অফিস, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। যারা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি লিয়াকত শিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, পৌরসভার মেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান, ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম প্রমুখ। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি, আধা স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত প্রভাতফেরি অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য নিয়ে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
web
61e883ff2e801a4d2904b3782d49af3598bb36e6
তুরস্কের সাদত পার্টির উপদেষ্টা পরিষদ ও মিল্লি গুরুসের চেয়ারম্যান ওয়ুজহান আসিলতুর্ক-এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ০১ অক্টোবর ২০২১ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন। শোকবাণীতে তিনি বলেন, তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর নাজমুদ্দিন এরবাকানের ৫ দশকের রাজনৈতিক সহকর্মী এবং তুরস্কের সাদত পার্টির উপদেষ্টা পরিষদ ও মিল্লি গুরুসের চেয়ারম্যান ওয়ুজহান আসিলতুর্ক ০১ অক্টোবর ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, ওয়ুজহান আসিলতুর্ক একজন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি তুরস্কের ইসলামী ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন। তুরস্কের ইসলামী আন্দোলনের জাগরণে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি ৫ বার তুর্কি পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তুর্কি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র ও শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি একে পার্টি ও সাদত পার্টির মধ্যে কোয়ালিশন নিয়ে কাজ করছিলেন। তাঁর ইন্তিকালে বিশ্ব ইসলামী আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ দাঈকে হারাল। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর তামাম জিন্দেগীর নেক খেদমতগুলোকে কবুল করুন। তাঁর জীবনের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করুন এবং তাঁর অনন্ত সফরে রহম করুন। সেই সাথে বিগলিত চিত্তে দোয়া করি, মহান রব তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাঁর সহকর্মীদেরকে তাওফিক দিন, আমীন।
web
21e2dbc341c89dcdb77572e48aff338a8eefb31b
মাদক একটি সর্বনাশী নেশা, এটি মানুষকে শেষ করে দেয়। মাদক থেকে দেশ ও যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হল। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে আনোয়ারায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব বলেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মদ খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল জলিল ও সরকারের যুগ্ম সচিব এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ দমনে এগিয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দেশের জনগন জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এখন বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কর্মতৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিস এখন শুধু আগুন নেভায়না। এরা সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আনোয়ারা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই আনোয়ারায় ইয়াবা মহামারী আকারে রূপলাভ করেছে। তাই এখনই সময় এটি দমনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দরকার। র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিসে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। তারা দুর্যোগে মোকাবেলায় সব রকমের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
web
14b59761befb8811cf8e93fa59211f0c9e7ea91d
বুধবার ভোরে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের (South American qualifiers) ম্যাচ। মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল (Argentina vs Brazil)। নেইমারের (Neymar) দলকে হারিয়ে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ (FIFA World Cup 2022) -এর টিকিট পাকা করাই লক্ষ্য মেসিদের (Messi)। বুধবার ভোরে বিশ্ব ফুটবলের 'মহারণ'। আরও একবার মুখোমুখি হতে চলেছে চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী দুই দেশে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল (Argentina vs Brazil)। একইসঙ্গে আরও একবার সম্মুখ সমরে দুই বন্ধু ও পিএসজির সতীর্থ মেসি (Messi) ও নেইমার (Neymar)। বিশ্ব ফুটবলের এই দুই দেশ যে কোনও প্রতিযোগিতায় যখনই মুখোমুখি হয়েছে তা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের (South American qualifiers) ম্যাচ ঘিরে চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনা ও উন্মদনার পারদ। ইতিমধ্যেই লাতিন আমেরিকারপ প্রথম দেশে হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিৎ করে ফেলেছে নেইমাররা। আর্জেন্টিনা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বুধবার ব্রাজিলকে হারাতে পারলেই মেসিদেরও বিশ্বকাপের টিকিট কার্যত নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে লিগ টেবিলে ১২ ম্য়াচে ১১ জয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। অপরদিকে, ১২ ম্যাচে ৮টি জয় ও ৪টি ড্রয়ের সৌজন্যে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার একটি জয় দরকার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে। সেই ৩ পয়েন্ট ঘরের মাঠে ব্রাজিলের বিরুদ্ধেই অর্জন করতে চাইছে লিওনেল স্কালোনির দল। তবে যে বিষয়ে সকলের কৌতুহল ছিল বড় ম্যাচে মেসি খেলবেন কিনা, সেই বিষয়ও খোলসা করে জানিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। গত ম্যাচে চোটের কারণে প্রথম থেকে নামেননি মেসি। ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে ৭৫ মিনিটে মেনেছিলেন লিও। তবে ব্রাজিল ম্যাচে প্রথম থেকেই মেসি খেলবেন বলে জানিয়েছেন স্কালোনি। আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন,'স্পষ্ট করে বলে দেওয়াই ভাল যে, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই লিয়ো মেসি খেলবে। চোটের জন্য ওকে উরুগুয়ে ম্যাচে আমরা ব্যবহার করতে চাইনি। লিয়ো নিজেই জানিয়েছে সম্পূর্ণ চোটমুক্ত। ফলে ওকে সামনে রেখেই এই মর্যাদার ম্যাচ জিতে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়তে চাই। ' প্রসঙ্গত, লাতিন আমেরিকার কোয়ালিফায়ারের দুই দলের প্রথম পর্বের সাক্ষাতে কোভিড বিধি না মানার কারণে শুরু হওয়ার পরও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। অভিযোগউঠেছিল আর্জেন্টিনার ৪ প্লেয়ার লঙ্ঘন করেছেন ব্রাজিলের কোভিড বিধি। তার আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। সেবার জয়ের হাসি হেসেছিল লিওনেল মেসি। উল্লেখ্য, টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে কোপা চ্যাম্পিয়নরা । ২০১৯ সালের ৩ জুলাই থেকেই অপরাজিত তারা। ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশকে এনে দিয়েছিলেন প্রথম ট্রফি। এবার আরও একবার মেসি-নেইমার দ্বৈরথে শেষ হাসি কে হাসে তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব জুড়ে ফুটবল প্রেমিরা।
web
e9b676b0cb42281fb6456b3db47fef1b6bd02d51
মূল গল্পকারঃ মাইক রাথ (Mike Krath) অনুবাদের অভিপ্রায়টা ছিলো মোস্তাফিজ রিপনের। এর আগে কতগুলো ছড়া লিখেছিলাম পিচ্চিদের জন্য, কয়েকটা গল্প-ও লিখেছি; তবে সেইসব শিশুতোষ হয়েছে কিনা সে দ্বিধা নিয়ে প্রকাশ করা হয় নি, কম্পুতে নিদ্রা দিচ্ছে। অনুবাদ করে ফেললাম অনীক আন্দালিব বলায়। আবার দ্বিধা, শিশুতোষ হলো তো! শিশুতোষ না হলে-ও কিশোরতোষ হলেই হবে। অনুবাদের প্রয়োজনে, অনেকটা আমাদের সাহিত্যের মতো করার জন্য আমি চরিত্র, বর্ণনাভঙ্গি, এমনকি কিছু বাক্য নিজে লাগিয়েছি। গল্পটি অনুমতি নিয়ে করা হয় নি। দুঃখিত। গল্পটা পিচ্চি কাউকে উৎসর্গ করতে ইচ্ছে করছে। পারমিতাকেই করি। সে রূপকথার লাবণ্য ধরে রাখুক আজীবন। সেদিনটা ছিলো হাওয়ার দিন। ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে সামনের দরজার খুব কাছাকাছি-ও যেতে পারে নি। যখন দরজাটা খোলা হলো, গিন্নি লাবণী শুধু বলতে পারলো, 'কীহে', কিন্তু তিনি ধন্যবাদ জানানোর আগেই বাতাসের তোড়ে চিঠিটি ডাকপিয়নের হাত থেকে উড়ে গেলো ঘরের ভিতরে এবং সামনের দরজাটা যেনো তার মুখের উপরই বন্ধ হয়ে গেলো! বাড়ির গিন্নি লাবণী চিঠি তুলে নেয়ার জন্য দৌড়ে গেলেন। "অ্যাঁ আমার," তিনি বললেন। হিমু শুধু দেখছিলো দরজার ঝাপ কেবল খুলছে, বন্ধ হচ্ছে, খুলছে, আবার বন্ধ হচ্ছে। "আম্মু," সে কণ্ঠ ছাড়ে, "আমি একটু বাইরে যাই? " "সাবধানে যাহ্" তিনি বলেন, "বাইরে আজ খুব বাতাস হচ্ছে। " হিমু হামাগুড়ি দিয়ে জানলার বেদী থেকে নেমে দরজার দিকে দৌড়ায়। সে খটাশ করে দরজা খুললো। ফলে বাতাস আরো তীব্র বেগে বইলো এবং এক ঝাটকায় লাবণীর হাত থেকে সদ্য উদ্ধার করা চিঠিটি কেড়ে নিয়ে বাড়ির আরো অন্দরে নিয়ে ফেললো। "হায়, হায়। " তিনি বললেন। ততক্ষণে হিমু একদৌড়ে বাইরে, দরজার ঝাপ আবার বন্ধ হলো জোরে শব্দ করে। বাইরে হলদে সোনালি ও লাললাল পাতারা ঝরে পড়ছে দুলতে থাকা গাছগাছালি থেকে; বাড়ি ছাদে এই বসছে তো সেখান থেকে লাফ দিচ্ছে নিচে, আবার হয়তো একটি পাতা আরেকটি পাতাকে তাড়া করতে লাগলো রাস্তার উপর ঘুরপাক বাতাসের স্ফূতিতে। হিমু মুগ্ধতা নিয়ে গোল গোল চোখে দেখছে তো দেখছেই। "ইশ, আমি যদি একটা পাতা হতাম দিব্যি সারা দুনিয়া ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে বেড়াতুম। হুমম," হিমু ভাবে, তারপর হঠাৎ উঠোনে রঙের ঘূর্ণির দিকে দৌড়ে যায়। লাবণী বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। "হিমু, তোমার জ্যাকেট এনেছি, পরে যাও। " কেউ কথা বললো না। "হিমু" কিন্তু হিমু তো আর উঠোনে দাঁড়িয়ে নেই। ততক্ষণে সে একটি পাতা হয়ে গেছে! তার খেলার সাথীদের নিয়ে রাস্তার উপরে খেলছে, দৌড়াচ্ছে, হাওয়ায় হাওয়ায় খানিক উড়ছে-ও বটে। একটা কৃষ্ণচূড়াপাতা তার কাছাকাছি নেমে এলো, তাকে ছুঁয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে গেলো। হিমু তার কাছে দ্রুত চলে যায়, পাতার সাথে নিজের শরীর ঘষে নিলো মৃদু, এবং এবার সে পাতাটিকে ছাড়িয়ে গেলো। তারা ঘুরছে তো ঘুরছেই; গাড়ি, টেলিফোনের খুঁটি সবকিছুর সাথে ধাক্কা খাচ্ছে, ইচ্ছে হলে বাতাসে ঝাঁপি দিয়ে উড়ছে নামছে। "আহ্, কী মজা। " সে আনন্দে ছটফট করে। কৃষ্ণচূড়ার পাতাটি বোকা নয় মোটেই। চুপি চুপি সে হিমুকে হারিয়ে দিয়ে সামনে উড়ে গেলো। এমনিতেই ঝলমলে শিরা নিয়ে পাতাটির রঙ লাল, তার উপর সূর্যের ঝিকিমিকি আলোয় পাতাটি রূপকথার রাজকন্যার মতো মিষ্টি হয়ে উঠলো, হিমু এমনটি আর কখনো দেখে নি। "আমরা কোথায় যাচ্ছি? " হিমু দেখলো বাড়ি ছাড়িয়ে তারা অনেক দূরে। "কোনো সমস্যা? আসো আমরা খেলি, জীবনটা জলের মতো, শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। " "আমি তা মনে করি না" একটা বুড়ো পাতা গমগম কণ্ঠে বললো, এতক্ষণ তাদের পাশাপাশিই আসছিলো, তারা টেরই পায় নি! কী আশ্চর্য! "হ্যাঁ, আমাদের ভ্রমণ ছোট হতে পারে, কিন্তু শেষটাই যে শুরু! " হিমু ভেবে দেখলো একটি পাতা বড়জোর এটাই ভাবতে পারে। "তাহলে আমরা কোথায় থামবো? " "যদি বাতাস তোমাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়, এদিকে, তবে তুমি শহরের ময়লায় গিয়ে পড়বে। " "না, আমি তা চাই না। " হিমু কাঁদো কাঁদো। "আর বাতাস যদি তোমাকে ঐদিকে বয়ে নিয়ে যায়, তুমি উপরে আরো উপরে উড়ে যাবে এবং এমনসব জিনিস দেখবে যা পাতারা জীবনে-ও দেখে নি! " লাল পাতাটি হঠাৎ বাঁধা দিয়ে বলে, "হিমুসোনা, আমার পিছে পিছে আসো, আমার বন্ধুরা শহরের ময়লার কাছেই আছে, আমরা চড়ুইবাতি খেলবো। " হিমু ভাবলো খানিকটা, সে আরো খেলতে চায়, সে বাতাসের হাতে হাতে রেখে লালপাতাটির পিছনে উড়তে লাগলো। বাতাস দিক পরিবর্তন করলো, হিমু এবং লালপাতাটিকে শহরের ময়লার দিকে উড়িয়ে নিতে লাগলো। বুড়ো পাতাটি কিন্তু তাদের অনুসরণ করে নি, হ্যাঁ, সে উপরে উড়তে লাগলো, মেঘের কাছে, তারার কাছে। "এই যে তোমরা, দেখো দেখো, এখানকার দৃশ্যগুলো কেমন জমকালো। " বুড়ো পাতাটি তাদের ডাকে। তারা সাড়া দেয় না। "আমি ময়লার জায়গাটি দেখতে পাচ্ছি। আমি ধোঁয়া দেখছি, কালো ধোঁয়া, সাপের মতো। " বুড়ো পাতাটি ভয়াল সুরে বলে, "উপরে আসো, ওহ্, সেকি আমি আগুন-ও দেখছি। " "আমি তো কিছুই দেখছি না। " লালপাতাটি বলে উঠে। হিমু কেবল শহরের ময়লাখনির বেড়াটি দেখতে পারলো। যদি-ও সে খুব খুশি, এখন সে বন্ধুদের নিয়ে খেলতে পারবে। হঠাৎ একটি গাড়ি কাছে এসে দাঁড়ালো, আরে, ভিতরে তো হিমুর মা! গিন্নি লাবণী মনে হয় তার ছোট্ট বাবু ছেলেটাকে একা একা শহরের ময়লাখনিতে যেতে দিবে না। "যেও না বলছি। " তিনি গাড়ি থেকে নামতে নামতে বললেন, "ওটা তোমার খেলার জায়গা নয়। দেখো কী ভীষণ কালো ধোঁয়া। দেখছো না? " হিমু দেখলো লাল কৃষ্ণচূড়াপাতাটি দেয়ালের কাছে উড়ে গেলো, কিন্তু অনেক কষ্ট করে-ও সে দেয়াল পেরুতে পারছে না। লাবণী হেঁটে গিয়ে পাতাটিকে পাকড়াও করলেন, আলতো করে তার পকেটে ভরে রাখলেন। "এই যে, আমি তাকে ধরলাম। ও যত্নে থাকবে আমরা বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে। " তিনি বললেন। হিমু হেসে দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে প্রবেশ করলো। সে জানলার কাছাকাছি বসে, আকাশ দেখে। না জানি বুড়ো পাতাটি কোথায় গিয়েছে। সেকি আজ রাতে মায়ের কাছে চুপটি করে ঘুমালে স্বপ্নে আসবে? হয়তোবা কোনো একদিন সে ঠিকই দেখতে যাবে যা বুড়ো পাতাটি দেখেছিলো। হয়তোবা কোনো একদিন।
web
5bf8b5b24761263993f388adcf8da406
কোন এক মায়ের,বোনের কিংবা ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ, হাসপাতালে ভর্তি । জুরুরি ভিত্তিতে রক্ত লাগে । কিন্তু কোথাও সন্ধান মিলছে না রক্তের। চিন্তা নেই। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার মানুষদের এমন পরিস্থিতিতে আশা ভরসার এক নাম 'হালুয়াঘাট ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশন'। আজ মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি দ্বিতীয় বছরে পা দিয়েছে। গত এক বছরে এই সংগঠনটি অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবী প্রায় তিনশ মানুষকে বিনামূল্যে রক্তদান করেছেন। বিনমূল্যে তিনটি ধাপে শতাদিক মানুষকে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণও করেছেন এই সংগঠন। শুধু তাই নয় দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতে ২শত বিশ টি অসাহায় কর্মহীন পরিবারের পাশে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন সংগঠনের তরুণ-তরুণীরা। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে অবিরত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সচেতনতা মূলক কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছে এই সংগঠনটি। সংগঠনটির সহ-সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, মানবতার কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারি এটাই আমাদের বড় আনন্দের। আগামী দিনেও মানুষের কল্যাণে পাশে থাকতে পারি সে জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। সংগঠনের কয়েকজন সদস্য জানান, উপজেলার অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ-স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল হালুয়াঘাট ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। গত একবছরে রক্তদান কর্মসূচী, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, উপজেলা প্রশাসনের করোনাকালিন স্বেচ্চাসেবক, অসাহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে মানুষের নজরে আসে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ সুলতানুল আরেফীন খান(নিহাল) Jamunaprotidin.com is one of the popular Bangla news portal. It has begun with commitment of fearless, investigative, informative and independent journalism. This online portal has started to provide real time news updates with maximum use of modern technology from january 10th 2019. Latest & breaking news of home and abroad, entertainment, lifestyle, special reports, politics, economics, culture, education, information technology, health, sports, columns and features are included in it. A genius team of Jamuna Protidin has been built with a group of countrys energetic young journalists. We are trying to build a bridge with Bengali around the world and adding a new dimension to online news portal. The home of materialistic news. বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পূবালী মার্কেট এর ২য় তলা,রাজশাহী রেল স্টেশন সংলগ্ন,শিরোইল কাঁচাবাজার,বাস টার্মিনালের পাশে,বোয়ালিয়া,রাজশাহী।
web
cc93b7ffb2e5ac6b6f9c8f32a4a2f7a3c9d61b9f
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এর কীটতত্ত্ব বিভাগ আয়োজিত ফল ও শাকসবজির ক্ষতিকারক পোকামাকড় ব্যবস্থাপনায় কীটনাশকের সফল ও নিরাপদ ব্যবহারের কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশিক্ষণে গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৭০ জন কৃষক/কৃষানী অংশগ্রহণ করেন। এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত এর সভাপতিত্ত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ); ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ, পরিচালক (গবেষণা); ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন); ড. মো. আইয়ুব হোসেন, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ); ড. মো. সুলতান আহমেদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ব বিভাগ এবং ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহোদয় তার বক্তব্যে ক্ষতিকর পোকামাকড় দমেনর জন্য কীটনাশকের সফল ও নিরাপদ ব্যবহারের কলাকৌশল যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ সম্মত জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক দমন ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিসমূহ মাঠে প্রয়োগের জন্য উপস্থিত কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।
web
b89423e4d986cd5014ca0382de94841d
দুর্ঘটনাবশত প্রধানমন্ত্রী! কেন এমন নাম দেওয়া হল? ভাবলে অবাক হবেন, এ ঘটনার প্রস্তুতি ছিল কিন্তু প্রায় মাস আটেক। হয়ত আর একটু আগে হলে তাঁকে অনেক বেশি করে চিনত আপামর ভারতবাসী। সৌম্য, শান্ত, স্থিতধী এই ব্যক্তি যে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন দেশকে। ভুললে চলবে না, তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের অর্থনীতিতে হয়েছিল আমূল সংস্কারসাধন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রিত্বে আসার পর কেন এত সমালোচনার শিকার হলেন তিনি? মনমোহন সিংহ। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জনসংযোগ পরামর্শদাতা সঞ্জয় বারুর লেখা বই 'দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' নিয়েই তৈরী হচ্ছে ছবি। নামভূমিকায় অনুপম খের। মনমোহন সিংহের লুকে আজ তাঁর ছবি প্রকাশিত। বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি এই চরিত্রে অভিনয়ের ওয়ার্কশপ করছেন। নিজেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন বলা চলে। " ২৪ ঘণ্টা তাঁকে মিডিয়া নজরে রাখত। তা সত্ত্বেও এই মানুষটার নিজস্ব জগৎ সকলের কাছে অজানা ছিল কীভাবে, সেটাই অবিশ্বাস্য! যত গভীরে যাচ্ছি, ততই বিস্মিত হচ্ছি," জানিয়েছেন অনুপম খের। ছবির অন্যান্য কলাকুশলীদের এখনও কাস্টিং করা হয়নি। তাই এখনও জানার উপায় নেই কে হচ্ছেন সনিয়া গাঁধী! ছবির শ্যুটিং শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। লন্ডনে শুরু হবে কালকেই। ছবির পরিচালক বিজয় রত্নাকর গুট্টে। বোহরা ব্রাদার্সের প্রযোজনার এই ছবি মুক্তির আলো দেখবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। বছরের একেবারে শেষ লগ্নে। অনুরাগ বসু তাঁর মধ্যে নিজের বাবাকে দেখেছেন। রণবীর কাপুর তাঁর ফ্যান। সেই শাশ্বত আবার ক্যাটরিনাকে প্রথম দেখেই মুগ্ধ। 'জগ্গা জাসুস' স্ক্রিনে আসার আগেই নেপথ্যের জমজমাট রসালো গপ্পো নিয়ে নিজের বাড়ির ড্রয়িংরুমে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় আরও কী কী জানালেন এবেলা.ইন-কে, জেনে নিন। কিন্তু সেদিন ড্রয়িং রুমে এক সে বড়কর এক গলতি সে মিসটেক! নীল টিশার্ট আর ব্র্যান্ডেড ঘড়ি পরে তিনি সটান এসে বসলেন যে সোফাটায়, তার উল্টোদিকে বসা এবেলা.ইনের প্রতিনিধিকে বললেন, "অনুরাগ ঠিক আমার জায়গাটাতেই এসে বসেছিল আমাকে যেদিন চরিত্রটা অফার করতে আসে। আমি বসেছিলাম আপনার জায়গাটাতে। কাঁধে একটা স্কুলব্যাগ, ঠিক যেন বাচ্চা ছেলে। এসে বলল, ও এমন একজনকে খুঁজছিল যার মধ্যে নিজের বাবাকে দেখতে পায়।" অবিশ্বাস্য ব্যাপার, যেদিন ইন্টারভিউটা নেওয়া হয়, সেদিন ছিল বড় কষ্টের দিন। বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় কয়েক বছর আগে সেই দিনটিতেই চলে গিয়েছিলেন পরপারে। এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে। 'কহানি' ছবির বব বিশ্বাসের ঘোর এখনও কাটিয়ে ওঠেনি বলিউড। স্বয়ং রণবীর কাপুরই তার প্রমাণ। সেটে প্রথম দেখার দিন রণবীর এগিয়ে এসে বলেছিলেন, "দাদা আমি আপনার ফ্যান। আপনার অভিনয় দেখে ভুলতে পারিনি অনেকদিন।" দীর্ঘ শ্যুটিংয়ের সাক্ষী ছিলেন শাশ্বত। কাছ থেকে দেখেছেন রণবীর কপূর আর ক্যাটরিনা কাইফের অন্তরঙ্গতা, মিল-মিশ আর দূরে সরে যাওয়া। যদিও তাঁর বক্তব্য, দু'জনেই খুব পরিণতমনস্ক। কাজের সময়ে আঁচও লাগতে দেননি নিজেদের পেশাগত সম্পর্কে। তবু কথায় কথায় বলেই ফেললেন, তাঁর স্ত্রী মহুয়া যেমন রণবীরের অন্ধ ভক্ত, তেমনি তিনিও ক্যাটরিনাকে প্রথম দেখেই চোখ ফেরাতে পারেননি! "অনেককেইদেখেছি, ক্যামেরায় একরকম দেখতে লাগে, খালি চোখে অন্যরকম। মেক-আপ করে একরকম, মেক-আপ ছাড়া চেনাই যায় না। ক্যাটরিনাকে কিন্তু ক্যামেরার চোখ আর স্বচক্ষে দেখার মধ্যে কোনও তফাত নেই।" উত্তরে যা বললেন, তা জানার জন্য দেখতেই হবে গোটা ইন্টারভিউ! আরও বললেন, রণবীর ক্যাটরিনার বিচ্ছেদ নিয়ে। যদি বিয়ের আগেই আবিষ্কার করে ফেলা যায় যে মনের মিল নেই, তবে বিয়ে নামক ঝামেলায় না জড়ানোই ভাল। বিচ্ছেদ হলেও সে কষ্টটা সাময়িক হবে। রণবীরকে দেখে নাকি অনেক কিছু শেখার আছে, একথা বলতে দ্বিধা নেই শাশ্বতর। নিজেও তিনি কপূর পরিবারের অসম্ভব ভক্ত। রাজ কপূর, শশী কপূর, শাম্মি কাপুর থেকে শুরু করে ঋষি কপূর ও রণধীর কপূরও যে বলিউড ছবিতে মাত্রা যোগ করেছেন, সে কথা বলতে দ্বিধা করলেন না তিনি। আরও অকপটে বললেন, রণবীর আসলে তৈরি হয়েছে সবরকম ভাল গুণগুলো নিয়ে। 'জগ্গা জাসুস' নিয়ে অসম্ভব উচ্ছ্বসিত তিনি। জানালেন, এ রকম কাজ আগামী বহু বছরের সম্পদ হয়ে থাকবে। টলিউডে এখনও আটকে রয়েছে অনেকগুলো প্রজেক্ট। তবে ব্যোমকেশের পারফরম্যান্স নিয়ে দারুণ খুশি তিনি। প্রযোজকদের আরও এগিয়ে যেতে হবে, পরস্পরের ক্ষতি না করে। দেব আর জিতের ছবি একসঙ্গে মুক্তি পেলে কষ্ট পান তিনি। কারণ এতে তো ক্ষতি ইন্ডাস্ট্রিরই!
web
e2aeccf9fc263e76a2b6e0a51a4f5d3d40bbe005
অবৈধভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার জলসীমায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা। এমনই অভিযোগ বহু বছর ধরে করে আসছেন লঙ্কান জেলেরা। ভারতীয়দের ঠেকাতে সরকার কোনোদিনই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ তাদের। রবিবার (১৭ অক্টোবর) সম্মিলিতভাবে এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির জেলে ও বিরোধী দলীয় নেতারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার কালো পতাকা উড়িয়ে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুলাইত্তিভু থেকে দেশটির সর্ব উত্তরের প্রান্ত পয়েন্ট পেদ্রো পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার পাড়ি দেয় লঙ্কান জেলেদের বিশাল নৌবহর। এ সময় বিরোধী দলীয় নেতারাও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তামিল বিরোধী দল তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ) সদস্য এম এ সুমানথিরান পয়েন্ট পেদ্রোতে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সমুদের তলদেশ থেকে ভারতীয় জেলেদের অবৈধভাবে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করতে এসেছি। বিশ্লেষকদের মতে, শ্রীলঙ্কায় বটম ট্রলিং বা সমুদ্রের তলদেশ থেকে মাছ ধরা ২০১৭ সাল থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে। মূলত বটম ট্রলিংয়ে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হয় বলে জানা যায়। টিএনএ জানিয়েছে, তারা ভারতীয় জেলেদের অনধিকার প্রবেশ রোধ এবং দরিদ্র লঙ্কান মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে রক্ষায় শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লঙ্কান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কলম্বো থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা মিনেলে ফার্নান্দেজ জানিয়েছেন, ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বহু বছর যাবতই শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করে আসছেন। তিনি বলেছেন, এর মূল কারণ জীবিকা। শ্রীলঙ্কার জেলেরা চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাওয়া এবং তাদের ভাষ্যমতে লঙ্কান জলসীমায় ঢুকে ভারতীয়দের ব্যাপক হারে মূল্যবান মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয় এটি। ফার্নান্দেজ আরও জানান, ২০১৭ সালের আইন আরও শক্তভাবে প্রয়োগ এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতেই রবিবার লঙ্কান জেলেরা নৌবহর নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পুরোপুরি সরু পক প্রণালী দিয়ে বিভক্ত ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সামুদ্রিক এই অঞ্চলটিতে বিপুল পরিমাণে চিংড়ি পাওয়া যায়। সেগুলো ধরা নিয়েই মূলত দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, গেল কয়েক দশক যাবত চলা গৃহযুদ্ধের সময় লঙ্কান জেলেদের মাছ ধরতে বেরোনো পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সেই সময় ভারতীয়রা অনেকটা অবাধে পক প্রণালী থেকে মাছ নিয়ে গেছে। কিন্তু ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের অবসান ও জেলেদের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় এই উত্তেজনা। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় নিয়মিত বহু ভারতীয় জেলে আটক ও তাদের নৌকা জব্দ হয়। এরপরও লঙ্কান জলসীমায় ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে লঙ্কান বাহিনীর হাতে এক ভারতীয় জেলে প্রাণ হারানোর খবরও শোনা যায়। ১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
web
2a6b46c87ac970d6b8a7f58bc8b6a1fa
ফারাহ পাহলভি, বিবাহ-পূর্ব দিবা (ফার্সিঃ فرح پهلوی‎‎; জন্ম ১৪ অক্টোবর ১৯৩৮) ছিলেন ইরানি স্থপতি, শিল্পী এবং মুসলিম সংস্কারক, যিনি ইরানের পাহলভি রাজবংশের নির্বাসিত শাহবানু (সম্রাজ্ঞী) এবং ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির তৃতীয় স্ত্রী। মোহাম্মদ রেজা পাহলভি (বি. ১৯৫৯; মৃ. ১৯৮০) তার বাবার মাধ্যমে ফারাহ অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধ পরিবার থেকে এসেছিলেন। ১৯ শতকের শেষভাগে, তার পিতামহ রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে রোমানভ আদালতে ইরানি রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত একজন সফল কূটনীতিক ছিলেন। তার পিতা ছিলেন সার্বভৌম ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর একজন কর্মকর্তা, যিনি সেন্ট সাইরে ফরাসি সামরিক একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন। ফারাহ তার স্মৃতিতে লিখেছেন যে, তার বাবার সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং ১৯৪৮ সালে তার অপ্রত্যাশিত মৃত্যু তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।[৫] সে সময়ে তার পরিবার কঠিন আর্থিক অবস্থায় ছিল। এই পরিস্থিতিতে, উত্তর তেহরানের বৃহত্তর পারিবারিক ভিলা থেকে তার মা ফরিদহ ঘটবিয়ের ভাইদের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে বাধ্য করা হয়। তরুণ ফারাহ তেহরানের ইতালীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন, এরপর ষোল বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ফরাসি জেইন দি'আর্ক বিদ্যালয়ে চলে যান এবং পরবর্তীতে লিকি রাজি বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন।[৬] শৈশবে ফারাহ একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে তার বিদ্যালয়ের বাস্কেটবল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তেহরানের লিকি রাজির পাঠ শেষে, স্থাপত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে ফারাহ প্যারিসের ইকোলে স্পেসিয়াল ডি আর্কিটেকচারে যোগ দেন,[৭] যেখানে তিনি ফরাসি স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী আলবার্ট বেসনের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে সময়ে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক ইরানি শিক্ষার্থী রাষ্ট্র আনুদানের উপর নির্ভরশীল ছিল। অতএব, যখন শাহ রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে বিদেশে আনুষ্ঠানিক সফরে যেতেন, তিনি প্রায়ই স্থানীয় নির্বাচিত ইরানি শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাত করতেন। ১৯৫২ সালে, প্যারিসের ইরানি দূতাবাসে এমন এক বৈঠকের সময় সেই প্রথম ফারাহ দিবাকে মোহাম্মদ রেজা পাহলভির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৫৯ সালের গ্রীষ্মে ফারাহ তেহরানে ফিরে আসার পর, শাহের কন্যা রাজকন্যা শাহনাজ পাহলভির পূর্বপরিকল্পিত আয়োজনে মোহাম্মদ রেজা পাহলভি এবং ফারাহ দিবা এক আনুষ্ঠানিক নৃত্যে আংশ নেন। ১৯৫৯ সালের ২৩ নভেম্বর এই দম্পতি তাদের বাগদান ঘোষণা করেন। এই দম্পতির চার সন্তানঃ যুবরাজ রেজা পাহলভি (জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৯৬০) রাজকন্যা ফারাহনায পাহলভি (জন্ম ১২ মার্চ ১৯৬৩) যুবরাজ আলি-রেজা পাহলভি (২৮ এপ্রিল ১৯৬৬ - ৪ জানুয়ারি ২০১১) রাজকন্যা লেইলা পাহলভি (২৭ মার্চ ১৯৭০ - ১০ জুন ২০০১) ↑ "Shahbanou (Documentary)"। Farah Pahlavi's Official YouTube Page। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৭। ↑ Afkhami, Gholam Reza (২০০৯)। The life and times of the Shah (1 সংস্করণ)। University of California Press। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 978-0-520-25328-5। ↑ ক খ Shakibi, Zhand (২০০৭)। Revolutions and the Collapse of Monarchy: Human Agency and the Making of Revolution in France, Russia, and Iran। I.B. Tauris। পৃষ্ঠা 90। আইএসবিএন 1-84511-292-X। ↑ "Empress Farah Pahlavi Official Site - سایت رسمی شهبانو فرح پهلوی"। farahpahlavi.org। ১৫ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৮। ↑ Meng, J. I. (২০১৩-০৭-২৯)। Translation, History and Arts: New Horizons in Asian Interdisciplinary Humanities Research (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge Scholars Publishing। আইএসবিএন 9781443851176। ↑ Snodgrass, Mary Ellen (২০১৫-০৩-১৭)। World Clothing and Fashion: An Encyclopedia of History, Culture, and Social Influence (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781317451679।
web
7f462e1b9bc0f8d4544803bcd1817cef7ce40c39e39221308170f49511f13985
নব্যভারত। (অষ্টম খণ্ড, প্রথম সংখ্যা। লাগিল। তিনি এরূপ পরিশ্রম সহকারে দিতেন না। এক দিন পিতার নিকট বিদ্যাভ্যাসে রত হইলেন যে, অল্পদিনের । হইতে কিছু অর্থ সংগ্রহ করিয়া আমার মধ্যেই ফ্রেঞ্চ, ল্যাটিন ও জন্মান ভাষায় কয়েকটি বন্ধুকে তাহা দেখাইলাম। পয় এবং অঙ্ক বিদ্যায় পণ্ডিত হইয়া উঠিলেন। দিন আমি আমার বাক্সের তালা ভগ্ন করিয়া, কয়েক মাস অত্যন্ত পরিশ্রমের পর, তিনি যেন কতই ভীত হইয়াছি এই ভাবে, বিদ্যার্ডমেনে প্রেরিত হইলেন এবং তথাকার লয়ের অধ্যক্ষের গৃহে দৌড়িয়া গিযা বলিবিদ্যালযে প্রবেশ করিলেন। গান্ধদ্বিবৎসর লাম 'কে যেন আমার টাকা চুরি করিয়াছে !? কাল এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন কবিষা, কয়েকটী বন্ধু আমাকে উদ্বিগ্ন দেখিয়া দুঃখ মুলার চিত্র ও গ্রীকৃ ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপন্ন । প্রকাশ করিলেন এবং আমি যত টাকা হইলেন। এই সময এরূপ পরিশ্রম ! চবি গিয়াছে ভাণ করিয়াছিলাম, তত টাক। করিতেন যে, প্রভাহ প্রাতে চাবি ঘটিকার আমাকে দিলেন। এই ঘটনা উপস্থিত সময় শর্য্যাত্যাগ করিয়া বাত্রি দশ ঘটিকা হওয়ায কিছুদিন আমার উত্তমর্ণদিগের মুখ পৰ্যন্ত পুস্তক পাঠ করিতেন। বন্ধ করিবার সুন্দর উপায হইল । এক্ষণে মুলাবের বয়ক্রম বিংশতিবৎসর। মুশাব পরিণামে এইসকল দুষ্কর্ম্মের জন্য তাহার এরূপ পরিবর্তন ঘটিয়াছিল যে, অনেক কষ্ট পাইয়াছিলেন। তাঁহার পীড়ার তিনি নবজীবন লাভ করিয়াছেন বলিলেও । সময় অধ্যক্ষের পত্নী অনেক দিন তাঁহার অত্যুক্তি হয় না। তাঁহার শত শত পুস্তক শুশ্রুষা করিয়াছিলেন। সেই হেতু তিনি সমন্বিত একটি সুন্দব পুস্তকাগাব ছিল। অধ্যক্ষ-পত্নীর সম্মুখে স্বচ্ছন্দে দাড়াইতে কিন্তু তাঁহার এক খানিও ধর্মপুস্তক ছিল। পারিতেন না, কারণ তাহা হইলে তাঁহার না। তিনি অন্যান্য সহচবগণের সহিত । পূর্ব্বের প্রতাবনার কথা মনে পড়িত। যাহ। বৎসবে দুইবার খ্রীষ্টীর ভোজে ( Lords । হউক, তিনি এই বিদ্যালয় ছাড়িয়া হলSupper) উপস্থিত থাকিতেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালযে গমন করিলেন। । বাহিক পরিবর্তনে কোন ফল দর্শিপ না। তিনি স্বয়ং বলিয়াছেন : - "আমি এক্ষণে মিথ্যাবাদী ও প্রবঞ্চক হইর। উঠিলাম । অধিকন্তু আমি কতদূর দুর্বিনীত হইয়া ছিলাম, তাহার দৃষ্টান্ত স্বরূপ একটী বিষয়ের । ক্ষম। প্রাপ্ত হইয়। তিনি তাঁহার উল্লেখ করিতেছি। আমি লোকের নিকট । সংশোধনে দৃঢ়সংঙ্কর হইলেন। কারণ, হইতে অনেক টাকা ঋণ করিলাম। ঋণ । সচ্চরিত্র না হইলে কোন প্রদেশের লোক গুলি পরিশোধ করা আমার পক্ষে বড়ই তাঁহাকে যাজক কাৰ্য্যে মনোনীত করিবে কষ্টকর হইল, এমন কি সেগুলি পরিশোধ । না। প্রুসিযাতে কোন যাজক। সখানে ব করিবার আদৌ উপায় ছিল না, কারণ । সহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা উত্তীর্ণ হইতে পিতা আমাকে আমার ভরণ পোষণের না পারিলে, সচ্ছদে জীবন যাত্রা নির্ব্বাহ, উপযোগী অর্থ ব্যতীত অধিক আর কিছুই ! করিতে পারিছেন না। । বিহেমন্ জঞ্জ" মুলারের জীবনচরিত করিযা মুলার ধার্জকতা কার্বোর উপযোগী । ধর্ম প্রচারে অনুমতি পাইলেন। কিন্তু এ শিক্ষা আরম্ভ করিবার সময়ে অনেকগুলি । পর্যন্ত ধৰ্ম্মপুস্তক পাঠ করেন নাই, প্রতিজ্ঞা করিলেন। কিন্তু সে প্রতিজ্ঞ। বাস্তবিক ধৰ্ম্ম পুস্তকের সঙ্গে তাঁহার সম্বন্ধ বিফল হইল। হল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ! অতি অল্পই ছিল। তিনি বলেন, জগৎপিয়া ফরিয়াই পূর্ব্বকার কুকাৰ্য্য সকল অনুসরণ । জগদীশ্বর তাঁহাকে উদ্ধার কষিবার নিমিত্ত করিলেন। তিনি সৰ্ব্বাত্রে সমস্ত অর্থবাষ । জীবনের পাপ সকল তাঁহার সম্মুখে সাজাইয়া করিয়া ফেলিলেন, পরে বস্ত্র এবং ঘড়ি বন্ধক রাখিয়া ছিলেন, এবং তাঁহার বিবেক কে দিয়া টাকা কর্জ করিয়া পাশকাদি ক্রীভাষ । এরূপ তাড়না করিয়াছিলেন যে, তিনি প্রমত্ত হইলেন। এই ৰূপে কয়েক মাস নিশ্চিষ্ট থাকিতে পারিলেন না। এপর্য্যন্ত ফাটিয়া গেল। তিনি ধৰ্ম্মপুস্তকের উপদেশ শ্রবণ করেন কখন কখন যুলার ও কয়েকটী সহপাঠী । নাই, অথবা ধর্ম্মশাস্ত্রানুসারে জীবন অতিএঙ্কত্র হইরা সমস্ত মূল্যবান পুস্তক বন্ধক বাহিত করিতে অভিলাষী কোন ধৰ্ম্ম বাখিয়া দেশ ভ্রমণে বহির্গত হইতেন। যাজকের সহিত সাক্ষাৎ করেন নাই। একবার ভ্রমণে তাঁহারা ত্রযোশ্চত্বারিংশ দিবস । নুলার উদ্দেশ্য-বিহীন হইযা কখন সেখা অতিবাহিত করেন। মুপাষ স্বীকার করেন! পড়ায় অবহেলা করিতেন, কখন যে, তিনি নিজেব খরচ কমাইবাব জন্য পাপাচবণে প্রবৃত্ত হইতেন, আবার কোন সাধাবণের টাকা ইইতে কিছু কিছু আত্মসাৎ কোন সময় অনুষ্ঠিত অসদাচরণের বিষয় করিযাছিলেন। গৃহে প্রত্যাগমন কৰিয়া, আন্দোলন করিয়া, পরিণামে সাধু ও সজ্জন ভ্রমণকালীন ষে অর্থবার হয. তাহার ! হইবার নিমিত্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইতেন। হিসাব বুঝাইবার সময় অনেক গুলি অগত্য! এই রূপে তাঁহার বাল্য ও যৌবনের সমগ্র বলেন। ষোধ হয়, যে কষ সপ্তাহ মুলার । সহ্য অতিবাহিত হইযাছিল। তাঁহার বাল্যবাটীতে ছিলেন, সে সময় অত্যন্ত মনে জীবন কোন ক্রমেই আশাপ্রদছিল না। কষ্ট পাইষ। ছিলেন এবং অনুষ্ঠিত পাপা- । চিন্তাশীল ব্যক্তিদিগের নিকট ইহা সম্পূর্ণ চরণের জন্য অঙ্গুতাপ-দাহন অনুভৰ কবিয়া । অসম্ভব বোধ হইয়াছিল যে, এই অলস ও সৎ হইবার জন্য অন্তরের সহিত প্রতিজ্ঞ। । অনুক্রবাদী বালক, ভাই আমোদপ্রিষ করিয়াছিলেন। পরন্ত বিদ্যালয়ে প্রত্যা- দুঃশীল ছাত্র একদিন ধাৰ্ম্মিকাগ্রগণ্য, গমস্ত করিয়া সে সমুদয় প্রতিজ্ঞা ভুলিয়া সহৃদয় শ্রেষ্ঠ, ধর্মভীরু, প্রার্থনাশীল খ্রীষ্টিয়ান গিয়া পুনব্বীর পূর্বের ন্যায় দুষ্কর্ম্মে রত প্রবব ৰলিয়া পরিগণিত হইবে। মুলার হইলেন । এই সকল ঘটনা স্বকীয় দৈন এখন হইতে তাঁহার সকল পাপ । বিবরণীতে লিখিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, ও এটা সত্ত্বেও তাঁহার জীবনের যথার্থ । তাঁহার এউ সকল ঘটনাবলী উল্লেখের পরিবর্তন আরম্ভ হইল। মুলার বিংশতি । উদ্দেশ্য এই যে, তাঁহার ন্যায় অবস্থাপন্ন বর্ষে পদার্পণ করিলেন। তিনি পুরোহিত । যুবকগণ উৎসাহিত হইবে এবং ঈশ্ববাহুগ্রহে হইবার জন্য প্রস্তুত হইলেন, ইতি মধ্যেই । হতাশ হইবে না। যে মহান পরমেশ্ববা
pdf
65fcd5570e0941aa7308124167a1f6765e9d36a1
টিডিএন বাংলা ডেস্ক : প্রত্যাশা মতোই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফের ছোট ভাই তথা বর্তমানে মুসলিম লীগের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই নির্বাচন বয়কট করায় ১৭৪ জন আইনপ্রণেতার ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন মুসলিম লিগ-এন এর প্রধান নেতা শেহবাজ শরীফ। সোমবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী দৌড়ে শাহবাজের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশির। কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কোরেশি ঘোষণা দেন পিটিআইয়ের সব সদস্য জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশ নেবেন না। পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক ফারুখ হাবিব এক টুইটে বৈঠক এবং পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে লেখেন, 'আমদানি করা সরকার অস্বীকার করে আমাদের দল জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ' কোরেশিসহ পিটিআইয়ের সব সদস্য অধিবেশন বয়কট করায় কার্যত শাহবাজের জন্য মাঠ ফাঁকা হয়ে যায়। পার্লামেন্টের এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনই একমাত্র কর্মসূচি ছিল। উল্লেখ্যজে, শেহবাজ শরীফ পাকিস্তানের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের আপন ছোট ভাই। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ বিদেশে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন। ফলে তার ছোট ভাই শেহবাজ শরীফকে মুসলিম লিগ-এন এর প্রধান করা হয়। পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হয় মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
web
bd3025d5434ec5650cfcd76fe298f3e23deb6258
কী বললেন ভারতের প্রাক্তন হেডস্যর? একটা সময় ছিল যখন সতীর্থরা বন্ধু ছিল, আর এখন তারা শুধুই কলিগ, বলেছিলেন অশ্বিন। দেশ না আইপিএল, কাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত? প্রশ্ন তুলে দিলেন শাস্ত্রী। গিল ও পূজারাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুধু ওভালেই তিনটি সেঞ্চুরি স্মিথের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। দেখে নিন শাস্ত্রীর পছন্দের একাদশ। খেলার বাইরের ঘটনায় বেশি জড়িয়ে পড়ছেন কোহলি। কেন একথা বললেন শাস্ত্রী? বেন স্টোকসের পথেই হাঁটবেন হার্দিক? আগামী দিনে ক্রিকেটেও আসবে ফুটবল মডেল, দাবি টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ। ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড় সফল হবেনই, বলছেন শাস্ত্রী। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠলেও জেরেভের জন্য মন খারাপ নাদালের। কেন এমন ভাবনা? সে ব্যাখ্যাও দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ। মরিয়া লড়াই করেও সমালোচিত লখনউ অধিনায়ক রাহুল। অর্ডার বদলে ওপেন করতে নেমেও ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি। 'হিংসুটেরা চেয়েছিল আমি ব্যর্থ হই', ফের কি সৌরভকে নিশানা করলেন শাস্ত্রী? 'চামড়া মোটা করতে হয়েছিল আমাকে? ' কেন বললেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ? প্রায় আড়াই বছর ধরে বড় রান পাননি বিরাট। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। আইপিএলে খেলা নিয়ে ক্রিকেটারদেরও কটাক্ষ করেছেন শাস্ত্রী। ক্রমেই গড়াচ্ছে বিতর্কের জল। অশ্বিনের পর বোমা ফাটালেন রাহানে। শাস্ত্রীকে কি ধারাভাষ্যকর রূপেও দেখতে চাইছে না বিসিসিআই? মানসিকভাবে চাপে আছেন বিরাট, মত শাস্ত্রীর। কোহলির টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন শাস্ত্রী, বেছে নিলেন পরবর্তী অধিনায়কও! নাম না করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শাস্ত্রী। টুর্নামেন্টের ফরম্যাট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ। কী বললেন শাস্ত্রী? এর আগে রোহিতকে নয়া ওয়ানডে ক্যাপ্টেন করা নিয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন শাস্ত্রী। আগামী দিনে ভারতের টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়েও মুখ খুললেন শাস্ত্রী। যাত্রীর ছদ্মবেশে বাসে হানা কলকাতা পুলিশের, হাতেনাতে গ্রেপ্তার কুখ্যাত ল্যাপটপ চোর!
web
f856cad2f64be31db67d3341d76e98590e21ce72
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তিন খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে ড. মোহাম্মদ আবুল বাশারের ফেরদৌসির শাহনামা। বইটি প্রকাশ করেছে ইন্তিমান প্রকাশন। এবারের বইমেলায় যার স্টল নং ২৫৯-২৬১। বইটি সম্পর্কে ড. মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, মহাকাব্য শাহনামা পারস্যের মহাকবি আবুল কাসেম ফেরদৌসির অমর কীর্তি। ফারসি কবি দাকিকির হাতে শুরু হওয়া এ মহাকাব্যটি ফেরদৌসি পূর্ণতা দান করেন। তিনি দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে প্রায় ৬০ হাজার শ্লোকে এ মহাকাব্য রচনা করেন। এতে প্রাচীন ইরানের তিন হাজার আটশত চুয়াত্তর বছরের ইতিহাস, কিংবদন্তি ও লোককথার বিবরণ পাওয়া যায়। শাহনামা, দীর্ঘ এ সময়ে ইরানের উনচল্লিশটি রাজবংশের অসংখ্য রাজা-বাদশাহ, সৈন্য সামন্ত ও যুদ্ধ বিগ্রহের বীরত্বপূর্ণ ঘটনার সাবলীল বর্ণনা। এছাড়া যুগে যুগে প্রেম-ভালোবাসা, নির্মম-নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি এতদঞ্চলের সাহিত্য-সংস্কৃতি, জীবন দর্শন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। ইরানের কবি-সাহিত্যিক, গল্পকার ও চিত্রশিল্পীগণ গদ্য, পদ্য ও চিত্রের মাধ্যমে শাহনামা চৰ্চা করে আসছেন; যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন আঙ্গিকে শাহনামার চর্চা লক্ষ করা যায়। তিনি বলেন, শাহনামার বিখ্যাত কিছু গল্প নির্বাচন করে তিন খণ্ডে গদ্য গল্পাকারে ফেরদৌসির শাহনামা শিরোনামে পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি পাঠ করে যেকোন পাঠক ঐতিহাসিক গল্পগুলোকে শাহনামায় বিবৃত চরিত্রের নামকরণে সহজে আত্মস্থ করতে পারবে। পাশাপাশি দীর্ঘ সাড়ে তিন হাজার বছরের পারস্য সভ্যতার নানাদিক সম্পর্কে একটি চিত্র কল্পনার দৃষ্টিতে ভেসে উঠবে । ফেরদৌসির শাহনামার প্রথম খণ্ডে শাহনামার ৫টি গল্প গদ্যাকারে রূপান্তর করা হয়েছে। এর প্রথম গল্পে ইরানের জনসাধারণের উপর বাদশাহ জোহাকের নির্মম ও নিষ্ঠুরতার বর্ণনা, দ্বিতীয় গল্পে বাদশাহ ফারিদুনের প্রধান সেনাপতি সামের যুদ্ধ জয়ের বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস এবং তার সন্তান যালকে সি-মোর্গ নামক পাখি কর্তৃক লালন পালনের কাহিনী, তৃতীয় গল্পে সামের পুত্র যাল এবং জোহাকের উত্তরসূরী রুদাবের প্রেমকাহিনী, চতুর্থ গল্পে তুরানের বিরুদ্ধে মহাবীর এসফান্দিয়ারের তুরান বিজয় কাহিনী ও পঞ্চম গল্পে মহাবীর রুস্তম ও এসফান্দিয়ারের সাথে সংঘটিত ঐতিহাসিক যুদ্ধের বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় খণ্ডে শাহনামার ৩টি গল্প গদ্যাকারে রূপান্তর করা হয়েছে। এর প্রথম গল্পে তুরানের প্রধান সেনাপতি পিরানের কন্যা জারিরের সাথে সিয়াউশের বিয়ে হলে তাদের সন্তান ফরোদের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বর্ণনা, দ্বিতীয় গল্পে ইরানের সেনাপতি গিয়োর সন্তান বিজন ও তুরানের বাদশাহ আফরাসিয়াবের কন্যা মানিজের প্রেমকাহিনী ও তৃতীয় গল্পে বাদশাহ বাহরাম ও তার বোন গোরদিয়ে- এর জীবনমূখী কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। তৃতীয় খণ্ডে শাহনামার ৩টি গল্প গদ্যাকারে রূপান্তর করা হয়েছে। এর প্রথম গল্পে মহাবীর রুস্তমের সন্তান সোহরাবের ইরান অভিযানের সময় সেফিদ দুর্গের সেনাপতি গোজদাহমের কন্যা গোর্দআফরিদের প্রেমকাহিনী, দ্বিতীয় গল্পে মহাবীর রুস্তম ও তার সন্তান সোহরাবের সাথে সংঘটিত ঐতিহাসিক যুদ্ধের বর্ণনা ও তৃতীয় গল্পে ইরানের ভাগ্য বিড়ম্বিত রাজকুমার সিয়াউশের জীবনের উত্থান পতনের কাহিনী বিধৃত হয়েছে। (ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/এসকে) - বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন অপু বিশ্বাসই ছড়িয়েছিলেন! কিন্তু কেন? - ভাইয়ের ছাত্রীকে ভালোবেসে দুইবার বিয়ে করেন চঞ্চল চৌধুরী, জানেন সেই প্রেমকাহিনি? - চশমা পরায় টয়াকে নীল ছবির অভিনেত্রীর সঙ্গে তুলনা!
web
6ca60aac498f94774277699db741798ae6e5e10247a3da95a57f69da51ad4813
কালিয়-দমন । দাসত্বে যার অতি ভক্তি, মুক্তিকে যে বলে অযুক্তি, বিশ্বাস করে না যেন মুক্তার মাতা শুক্তি ;- দাস গোবিন্দের আনুরক্তি-বিহীন জীবন বিড়ম্বনার ॥ ওগো দূতি ! আমার মত তা হ'লে আরও অনেকে আছে গো ? বৃন্দা । ওগো ঠাকুরাণি ! তা আছে বৈ কি গো ! যে যেমন, তার দুঃখও তেমন গো ! দেখ - কেউ নর্দমার ভাত কুড়িয়ে খায়, তার মনে কোন ঘৃণা নেই - বিকার নেই - বেশ খেয়ে হজম করছে ; আবার কেউ সোনার থালে পঞ্চাশ ব্যঞ্জন দিয়ে খেয়েও বদ হজ মির চোঁয়া ঢেকুরে অস্থির হ'য়ে পড়ছে! 'এদের মধ্যে তুমি কাকে দুঃখী বল গো ! রাধা। ওগো বৃন্দে ! এদের মধ্যে দু'জনাই দুঃখী গো ! বৃন্দা। ওগো ঠাকুরাণি ! এইখানে ভুল বুঝেছ, বাছা ! এরা দু'জনেই দুঃখী নয় গো, দুঃখী একজন গো! যার ভাল খেয়েও হজম হয় না, সেই দুঃখী গো ! কেন না - তার মনের বিকার যায় নি, সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে, তাই সে দুঃখ পায় গো ! আর যে নর্দমা হ'তে পাতের ভাত কুড়িয়ে খাচ্ছে, তার কোন বিচার নেই, কাজেই তার কাছে নর্দমাও পবিত্র, তাই তার মনও পবিত্র - তাই সে নিয়তই সুখী গো! জগতে সুখ আর শান্তি ত সবাই চায় গো, কিন্তু তা পায় কে গো ? যে নিজে নিজে সেটা বুঝে নিতে পারে, সেই সুখী, সেই শান্তিতে আছে গো ! নৈলে যার দিকে চাইবে, সেই অসুখী - সেই অশান্তির মাঝথানে ডুবে আছে গো ! . : কৃষ্ণযাত্রা। গীত । সুখী হ'তে হ'লে, আগে পরকে সুখী করতে হয়। পরের ভাল না করলে কি কারু কভু ভাল হয় ॥ মনে যার শান্তি সুখ, থাকে কি তার অশান্তি, অসুখ, তার প্রমাণ সনক শুক, শারী সুখের সুখোদয় । রাবণের মন ছিল যেমন, ফলটিও তার পেলে তেমন, বিভীষণের বিশুদ্ধ মন তাই পেলে রামের পদাশ্রয় ॥ রাই তোমার যেমন মন, পাবে তুমি তেমনি ধন, দাস গোবিন্দের রত্ন-ধন শ্রীগোবিন্দের পদদ্বয় ॥ রাধা। ওগো বৃন্দে ! মনের সুখে কি সবাই সুখী হ'তে পারে গো ? আমার মনের সুখ হয় সেই মনমোহন শ্যামচাদের দেখা পেলে গো! তার বিরহে আমার অশান্তি গো ! বৃন্দে গো ! আমার সুখ-শান্তি সবই সেই কালাচাঁদ গো ! বৃন্দা । ওগো শ্রীমতি ! তা হ'লে তুমি নিষ্কাম প্রেমের সাধনা কর গো ! আচ্ছা, ঠাকুরাণি ! একটা কথা বলি- শুনবে কি গো ?
pdf
5808fbf770cf50a0a9e53a496efd1a73ddbd2f4f
কাউখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র পরীক্ষার একদিন আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে দেখতে চান ১৪ নং মধ্য সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক নাদিরা কানিজ। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে যান ওই সহকারী শিক্ষক। পরে তার স্বামীকে দিয়ে হামলা চালান প্রধান শিক্ষকের উপর। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার একদিন আগে গত ১৬ মে বিকেলে উপজেলার মধ্য সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে পৌঁছান। এরপর সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রথম দিনের ইংরেজী প্রশ্ন দেখতে চান। উল্লেখ্য, তার মেয়ে আরিবা একই বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে বিধায় প্রধান শিক্ষক প্রশ্ন দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ। পরের দিন ১৭ মে পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই তার মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তির জন্য ছাড়পত্র (টিসি) দাবি করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের নিকট টিসির জন্য লিখিত আবেদন করলেও প্রধান শিক্ষক তার মেয়ের ছাড়পত্র না দেওয়ায় এবং প্রশ্নপত্র না দেখানোর কারণে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন। এই ঘটনার জের ধরে পরীক্ষা শেষে ওই দিন বিকেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল এর উপর শিক্ষিকার স্বামী মনিরুজ্জামান হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল জানান, পরীক্ষা শেষে তিনি বাড়ি ফেরেন এবং বিকেলে বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজের স্বামী মনিরুজ্জামান অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে। কাউখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কাউখালী থানা ও প্রশাসনের নিকট আইনগত ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ জানান, সাংবাদিকের এত কিছু জানার কি দরকার। ফোনে কথা বলা যাবে না। আমি ব্যস্ত আছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম জানান, ঘটনার পর তাকে জানানো হলে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া অনৈতিকভাবে প্রশ্নপত্র দেখতে চাওয়া হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকারিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
web
31d3804a6fbdfded36e2bcfdfc53f8570069d201
নজরবন্দি ব্যুরোঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ৫০ জনের বেশি মন্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। ইমরান খানের দলেরও ওই মন্ত্রীদের গত কয়েক দিন ধরে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না বলে শুক্রবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরামর্শদাতা। ৪ জন প্রতিমন্ত্রী, ৪ জন পরামর্শদাতা ও ১৯ জন বিশেষ সহকারী। বলা হচ্ছে, এই মন্ত্রীরাই ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে চলেছেন। সেনার সমর্থন হারিয়ে প্রবল চাপে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। অবস্থা এমন যে স্বামীর গদি বাঁচাতে 'কালো জাদু'র আশ্রয় নিচ্ছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি! উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই উঠছে একের পর এক অভিযোগ। দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি কোন কিছুই তিনি সামলাতে পারছেন না। অন্যদিকে, পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক নেই ইমরান খানের। সূত্রের দাবি, কেবলমাত্র বিরোধীরাই নয়, শাসক দলের একাধিক নেতাও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপরে আর আস্থা রাখছেন না। তবে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, শক্তি মন্ত্রী হামাদ আজ়হার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ় খাট্টক সহ একাধিক মন্ত্রী ইমরান খানের পাশেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
web
67dfa1b336d5db3ed9e93e4142bd61db1197a8c0
কেবলই সুস্বাস্থ্যই নয়, শরীরকে ভেতর থেকে তরতাজা করে তুলতে নিজের যত্ন নিন, সঙ্গে বদলে ফেলুন নিত্য দিনে দিনের খাদ্য তালিকা। কী খাচ্ছেন আর কী এড়িয়ে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছুই। সেই দিকে নজর দিয়ে এই শরীরে নিস্তেজভাব ও জরতা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে দিন শুরু করার কথা ভাবুন। শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে জেনে নিন কোন কোন খাবারগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়। ১. কিসমিসঃ কিসমিস প্রতিদিন রাতে শোওয়ার সময় একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে সেই জল খেয়ে নিলে উপকার পাবেন। ২. ডিমঃ খাদ্যতালিকায় অতিঅবশ্যই একটি করে সেদ্ধ ডিম রাখুন। তা শরীরে পুষ্টির অভাব অনেকখানি মিটিয়ে দেবে। ৩. লেবুঃ শরীরের ক্লান্তি মেটাতে লেবুর গুণাগুণ অনস্বীকার্য। ফলেই ক্লান্তি কাটাতে লেবুর রস সঙ্গে টিনি ও পুদিনা দিয়ে পান করা যেতে পারে। ৪. পিঁয়াজঃ দিনের যেকোনও স্যালাডের সঙ্গে বা খাবারের সঙ্গে খানিকটা কাঁচা পিঁয়াজ খান। দেখবেন থেকে শরীরের অনেকখানি উপকার হচ্ছে। শরীরে চর্বির পরিমাণও কমিয়ে দেয়। ৫. জিরেঃ জিরে জলে ভিজিয়ে খেলে তা শরীরকে অনেকখানি হালকা ও ফুরফুরে করতে সাহায্য করে। ফলে জিরে ভেজানো জল সকালে উঠে খেয়ে ফেলতে পারেন। ৬. গ্রিন টিঃ প্রতিদিন চা পান করার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। সেই অভ্যাস কাটিয়ে এবার গ্রিন টি পান করলে শরীর অনেকখানি ফ্রি থাকে, এবং কাজের উদ্যম জাগে।
web
7249fa4f3b7a988a1a47de76872271639f2067f89f852f3348a4e71e4013a8e6
পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ। হজরত তখন ছাফা পর্ব্বতের নিকটে জনৈক ভক্তের বাটীতে বসিয়া মোছলেমবৃন্দকে উপদেশ প্রদান করিতেছিলেন। জাএদের দূরদর্শিতা দেখুন তিনি সবই বলিলেন, কিন্তু হজরত যে কোথায় আছেন, সকলের সম্মুখে তাহা ব্যক্ত করিলেন না। আবুতালেবের সন্দেহ মিটিল না। তিনি আল্লার নামে ভীষণ প্রতিজ্ঞা করিলেন, মোহাম্মদকে যদি জীবন্ত দেখিতে না পাই, তাহা হইলে আর গৃহে প্রবেশ করিব না। জাএদ কাহাকেও হজরতের অবস্থান স্থানের সন্ধান না দিয়া, নিজেই দ্রুতবেগে তাঁহার খেদমতে উপস্থিত হইয়া সমস্ত ব্যাপার নিবেদন করিলেন। হজরত অবিলম্বে আবুতালেবের নিকট আগমন করিলেন। তাঁহাকে দেখিয়া আবুতালেব ব্যস্তে ত্রস্তে তাঁহার কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। হজরতের উত্তর শুনিয়া আবুতালেব তাঁহাকে বাটীর মধ্যে গমন করিতে বলিলেন। হজরত এ সম্বন্ধে অধিক জিজ্ঞাসাবাদ না করিয়া নিরুদ্বেপে স্বগৃহে প্রবেশ করিলেন। হজরতকে গৃহে রাখিয়। আবুতালেব এই যুবকবৃন্দকে সঙ্গে লইয়া কোরেশদিগের একটী আড্ডায় গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং নিজের সঙ্কল্পের কথা বলিয়া যুবকবৃন্দের প্রতি ইঙ্গিত করিলেন। তাহারা লুক্কায়িত খড়্গগুলি বাহির করিল। তখন আবুতালেব বজ্র কঠোরস্বরে বলিলেন - 'যদি তোমরা মোহাম্মদকে হত্যা করিয়া থাকিতে, তাহা হইলে আজ তোমাদিগের মধ্যে একটীকেও বাঁচিয়া যাইতে হইত না। তাহার পর ইহার ফলে আমাদিগের সকলকে ধ্বংস হইতে হইত।' হাশেম ও মোত্তালেব বংশের সমস্ত লোক আবুতালেবের প্ররোচনায় উদ্বুদ্ধ হইয়া, মোহাম্মদের জন্য তাহাদিগকে হত্যা করিবার উদ্দেশ্যে এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন ভীষণ প্রতিজ্ঞার আবদ্ধ হইয়াছে, কি সৰ্ব্বনাশ ! কাজেই উল্লিখিত কোরেশ-প্রধানগণ বিশেষতঃ আবুজেহেল যৎপরোনাস্তি ভগ্ন হৃদয় হইয়া পড়িল। (১) এই ঘটনার পর মক্কাবাসীদিগের বিদ্বেষ ও ক্রোধের দৃষ্টি নব-দীক্ষিত মুছলমানদিগের উপর পতিত হইল। তাহারা সমবেত ভাবে স্থির করিল, যে গোত্রের নর-নারী এই নবধর্ম্মে দীক্ষা গ্রহণ করিয়াছে, সেই গোত্রের লোকেরা তাহাকে বা তাহাদিগকে শাসন করিবে। (২) এই সিদ্ধান্তের পর নব-দীক্ষিত মুছলমানদিগের উপর যে অকথ্য অত্যাচার করা হইয়াছিল এবং ভক্তগণ ঐ সকল অগ্নি পরীক্ষায় নিপতিত হইয়া যে অসাধারণ ধৈর্য্য ও মানসিক বলের পরিচয় দিয়াছিলেন, - যথাস্থানে তাহার আলোচনা করা হইবে। মোস্তফা ভরি। قالوا ربنا اللـه ، ثم استقاموا " কঠোর পরীক্ষা। যে সকল মহাজনকে আল্লাহতাআলা তাঁহার প্রিয় হবিব হজরত মোহাম্মদ মোস্তাফার মহীয়সী সাধনার সহায়করূপে নির্ব্বাচিত করিয়াছিলেন, নরনারী নির্বিশেষে তাঁহাদিগের প্রত্যেকের জীবনী এবং প্রত্যেকের জীবনের মহান্ আদর্শ, মানবজাতির পক্ষে চিরস্মরণীয় চিরবরণীয় এবং চির অনুকরণীয়। ধৈর্য্যে-বীর্য্যে, প্রেমে-পুণ্যে তাহা চির উদ্ভাসিত, স্বর্গের মঙ্গলআশীর্ব্বাদে তাহা চির অভিষিক্ত। এই সকল মহা-মানবের জীবনী স্বতন্ত্র ভাবে আলোচিত হইলে, পাঠকগণ ইতিহাসের অন্যান্য শ্রেষ্ঠতম আদর্শের সহিত সেগুলির তুলনায় সমালোচন! করিবার সুযোগ পাইবেন। হজরতের জীবনীতে তাহা সম্ভবপর নহে। আমরা পূর্ব্ব অধ্যায়ে দেখিয়াছি যে, আবুতালেবের চেষ্টা এবং মোত্তালেব ও হাশেম বংশের সহায়তার ফলে, হজরতের প্রাণহানি করা বর্তমানে নিরাপদ হইবে না বলিয়া অন্যান্য গোত্রের কোরেশগণ সম্যরূপে বুঝিতে পারিয়াছিল। তাই অগত্যা নব-দীক্ষিত মোছলেম নর-নারিগণের প্রতি তাহাদিগের হিংসা বিদ্বেষ ও ক্রোধের মাত্রা অত্যন্ত বাড়িয়া চলিল। তাহারা পরামশ করিয়া স্থির করিল, নব-দীক্ষিত বিশ্বাসীদিগকে নানা অত্যাচারে জর্জরিত করিয়া এছলাম ত্যাগ করিতে বাধ্য করিবে। বলা বাহুল্য যে, এই সঙ্কল্প কার্য্যে পরিণত হইতে বিলম্ব হইল না। এই সময় মোছলেম নর-নারিগণ যে কঠোর অগ্নি পরীক্ষার মধ্য দিয়া আপনাদিগের কর্তব্য পালন করিয়াছিলেন, এই সংক্ষিপ্ত পুস্তকে তাহার বিস্তারিত আলোচনা সম্ভবপর হইবে না। আমরা নিয়ে তাহার একটু নমুনা মাত্র প্রদান করিয়া ক্ষান্ত হইব (ক) 'ভক্তকুল চূড়ামণি হজরত বেলালের নাম অবগত নহেন, মুছলমান সমাজে এরূপে লোক বোধ হয় খুব কমই আছেন। এই বেলালের পিতামাতা কোন গতিকে ধৃত হইয়া মক্কাবাসীদিগের নিকট দাসরূপে বিক্রীত হন। দাস, বংশানুক্রমে দাস - সুতরাং বেলালও এই দাস জীবন অতিবাহন করিতেছিলেন। বেলাল আবিসিনিয়ার অধিবাশ্রী, কুরূপ ধোর কৃষ্ণবর্ণ ক্রীতদাস। সমাজে এ হেন ক্রীতদাসের স্থান নাই। বেলালের বাহিরের রং কাল ছিল বটে, কিন্তু সত্যের জ্যোতিঃ আর স্বর্গের মহিমা তাঁহার ভিতরের জগতটাকে মধুরে উজ্জ্বলে উদ্ভাসিত করিয়া তুলিল। বলা বাহুল্য যে, ইহা মোস্তফাচরিতামৃত সিন্ধুর একবিন্দু রসাস্বাদনের ফল। 'চর্মরোগ' আরোগ্য করা অপেক্ষ। একটা করুণ কটাক্ষপাতে মর্ম্ম রোগের প্রতিষেধ করিয়া দেওয়া অধিকতর মহিমময় 'অভিজ্ঞান'। বেলালের প্রভু নরাধম উমাইয়া শুনিল - তাহারই গৃহে তাহার একটী ঘৃণিত দাসীপুত্র, মোহাম্মদের মন্ত্রেরীক্ষিত হইয়া 'অহদাহু লা-শরিকা লাহু' বা একমেবাদ্বিতীয়মের জয় গান করিতেছে। - কি স্পর্দ্ধার কথা ! উমাইয়া ক্রোধে অগ্নিশর্ম্মা হইয়া বেলালের উপর নানার? অত্যাচার আরম্ভ করিয়া দিল। মানুষের মত চলা ফেরা করিতে পারিবেন না । নিকৃষ্ট পশুরঃ ন্যায় তাঁহার গলায় দড়ি বাধিয়া তাঁহাকে মক্কার বালকগণের হস্তে সমর্পণ করা হইল। নিষ্ঠুর বালকেরা বেলালের গলরজ্জু ধরিয়া টানিতে টানিতে মক্কার পথে পথে হৈ হৈ শব্দে তামাশা করিয়া বেড়াইত এবং টানিয়া হেচড়াইয়া মারিয়া পিটিয়া অর্দ্ধমৃত অবস্থায় আবার তাঁহাকে উমাইয়ার বাটীতে রাখিয়া যাইত। উমাইয়া তখন বেলালের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিত - "এখনও মোহাম্মদের ধর্ম ত্যাগ কর।" বেলাল তখন ধীর স্থির কণ্ঠে বলিতেন - "আহাদ ! আহাদ ! একস্, একস্ !!" এত বড় স্পৰ্দ্ধা ! বেলাল ইহাতেও নিবৃত্ত হইল না দেখিয়া তাহারা অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়াইয়া দিল। মধ্যাহ্ণ মার্ত্তণ্ড যখন প্রখর কিরণ বর্ষণ করিয়া উত্তপ্ত মরু প্রান্তরকে অনল হ্রদে পরিণত করিয়া তুলে, সেই সময় বেলালকে সেখানে চিতভাবে শয়ান করান হইত। এবং কোন রকমে পার্শ্ব পরিবর্তন করিতে না পারেন - এই উদ্দেশ্যে তাঁহার বুকের উপর গুরুভার প্রস্তর খণ্ড চাপাইয়া দেওয়া হইত। নরাধম উমাইয়া তখন সেখানে আসিয়া বলিত - বেলাল ! এখনও মোহাম্মদের ধর্ম্ম ত্যাগ কর, নচেৎ ইহাপেক্ষাও গুরুতর দণ্ড তোঁর জন্য স্থির করিয়া রাখা হইয়াছে। বেলাল সেই অৰ্দ্ধ-অচৈতন্য অবস্থায় যথাশক্তি চীৎকার করিয়া বলিতেন - "আহাদ আহাম্ ! একম্ একম্ !" এই সময় উমাইয়া ও কোরেশগণের কর্কশ চীৎকারের মধ্য হইতে, বেলালের এই সত্যের জয় ঘোষণায় মরু প্রান্তর মুখরিত হইয়া উঠিত। ইহাতেও যখন বেলাল সত্যভ্রষ্ট হইলেন না, তখন তাঁহার আহার বন্ধ করিয়া দেওয়া হইল। .. তিনি, যখন ক্ষুধার যন্ত্রণায় অস্থির, সেই সময় তাঁহাকে পিঠ মোড়া দিয়। ৰাঁধিয়া বেদম চাবুক মারা হইত। বেলাল তখন নামামৃত পান করিয়া তৃপ্তিলাভ করিতেন। যখন নিদারুণ বেত্রাঘাতের ফলে বেলালের গাত্র চর্ম জর্জরিত হইয়া শোণিত ধারা গড়াইয়া, পড়িত, বেলাল তখন তাহা দেখিয়া আনন্দে নৃত্য করিয়া উঠিতেন। তখনও তাঁহার মুখে সেই আহাদ আহাদ ! সেই একস্ একস্ !! মোস্তফা ডরিত। - দিবাভাগের ন্যায় রাত্রিকালেও এক সঙ্কীর্ণ নির্জন প্রকোষ্ঠে আবদ্ধ করিয়া তাহার উপর এই প্রকার লোমহর্বন অত্যাচার করা হইত; তখনও বেলাল চীৎকার করিয়া সেই একমের নামের জয় ঘোষণা করিতেন! কিছুকাল পরে, একদা হজরত আবুবাকর শেষ রাত্রে ঐ পঞ্চ দিয়া খাইতেছিলেন, বাহির হইতে অত্যাচার সম্বন্ধে যতটুকু জানিতে পারা গেল, তাহাতেই করুণ হৃদয় আবুবাকরের সমস্ত শরীর শিহরিয়া উঠিল। প্রাতে উঠিয়াই তিনি উমাইয়ার নিকট গমন করিলেন এবং বহু অর্থ বিনিময়ে বেলালকে তাহার হস্ত হইতে উদ্ধার করতঃ মুক্ত করিয়া দিলেন। হজরত বেলাল চিরজীবন উচ্চঃকণ্ঠে তকবির ও আজানধ্বনি দ্বারা সেই আহাদের নামের জয় ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন । এই সকল লোমহর্ষা ভীষণ অত্যাচারে এই আদর্শ ভক্তকে জর্জরিত করা হইল বটে, কিন্তু ইহা দ্বারা নরাধম উমাইয়া বা তাহার স্বদলস্থ লোকদিগের কোন উদ্দ্যেই সফল হইল না। বরং বেলালের ধৈর্য্য দৃঢ়তা ও বিশ্বাসের প্রভাবে তাহাদিগের সুপ্ত বিবেককে --অবশ্য তাহাদিগের অজ্ঞাতসারে - বেলালের পদতলে লুটাইয়া পড়িতে হইয়াছিল । এই সময় হজরত আবুবাকর বহু অর্থ ব্যয় করিয়া আমের, মাহদিয়া প্রভৃতি আর ছয় জন নব-দীক্ষিত 'দাসদাসী'কে তাহাদিগের প্রভুগণের অত্যাচার হইতে মুক্ত করিয়া দিলেন। (1) হজরত ওমর এই কৃষ্ণবর্ণ কাফ্রী ক্রীতদাস সম্বন্ধে বলিতেন - আমাদিগের 'প্রভু' আবুবাকর আমাদিগের প্রভু (ছৈয়দ ) বেলালকে খরিদ করিয়া মুক্ত করিয়াছিলেন। (২) এছলামে বেলালের এই অগ্নি পরীক্ষার যে কিরূপ সম্মান করা হইয়াছে, এছলাম সাম্যের যে কি অভিনব পুণ্য আদর্শ স্থাপন করিয়াছে - হজরত ওমরের এই উক্তি দ্বারা তাহার একটুকু পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। (খ) আম্মার ও তাঁহার পিতা য়্যাছের ও মাতা চুমাইয়া এছলাম গ্রহণ করিলে তাঁহাদিগের উপরও এইরূপ নানা প্রকার অত্যাচার হইতে লাগিল। আম্মার প্রহারের যন্ত্রণা সহ্য করিতে না পারিয়া অনেক সময় অজ্ঞান হইয়া পড়িতেন। কিন্তু ইহাতেও তিনি এক মুহূর্তের জন্য কর্ত্তব্যভ্রষ্ট হইলেন না, সত্যের প্রচারে একবিন্দুও কুণ্ঠিত হইলেন না। আবুবাকর ব্যতীত আর যে চারিজন মহাত্ম। সৰ্ব্বপ্রথমে (৩) নিজেদের এছলাম গ্রহণের কথা প্রকাভাবে ঘোষণা করিয়াছিলেন, আম্মার তাঁহাদিগের মধ্যে একজন। একদিন এই ভক্ত পরিবারের অত্যাচার স্বচক্ষে দর্শন করিয়া হজরত আবেগপূর্ণ ভাষায় বলিয়াছিলেন - "হে ম্যাছের পরিবার! ধৈর্য্য ধারণ করিয়া থাক, স্বর্ণ তোমাদিগের পুরস্কার।" (১) কামেল ২-২৪, হেপাম ১-১০৯, এছাবা ৭০২ নং জাহুল-মাজাদ, এপ্তিআব প্রভৃতি। (২) বোখারী। (৩) বেলাল, খাব্বাব, ছোহারব ছোমাইরা। এছাৰা ২৮২ নং। Aডুবিংশ পরিচ্ছেদ। (গ) আম্মারের বৃদ্ধ পিতা য়্যাছের দুর্দ্ধর্ব কোরেশদিগের অত্যাচারে প্রাণ হারাইলেন। স্বামীর মৃত দেহ ও পুত্রের প্রহার জর্জরিত রক্তাক্ত কলেবর দর্শনে বৃদ্ধা ছোমাইয়ার ঈমানের বল এক বিন্দুও কমিল না। তিনি পূর্ব্ববৎ দৃঢ়তার সহিত এছলামের সত্যতা ঘোষণা করিতে (ঘ) অবশেষে নরাধম আবুজেহেল একদিন ক্রোধে অধীর হইয়া বিবি ছোমাইয়ার স্ত্রী-অঙ্গে বর্ণাঘাত করতঃ তাঁহাকে শহীদ করিয়া ফেলে। মোছলেম মহিলাগণের মধ্যে বিবি ছোমাইয়াই প্রথমে সত্যের সেবায় স্বীয় শোণিত তর্পণের সৌভাগ্যলাভ করিয়াছিলেন। আম্মার অত্যাচারীর হস্তে আপনার পিতামাতাকে বিসর্জন দিলেন, নিজে অশের অত্যাচার সহ্য করিলেন, কিন্তু আমাদিগের ন্যায় 'দুরদর্শিতা বা বুদ্ধিমত্তা' প্রদর্শন পূর্ব্বক একদিনের ক্লা নিজের বিশ্বাসকে গোপন করিয়া রাখিতে প্রস্তুত হইলেন না। (১) (ঙ) খাব্বারের পরীক্ষার বিবরণও অতিশয় লোমহর্ষণ। এই মহাত্মা প্রাথমিক অবস্থাতেই স্বীয় এছলাম প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাঁহার উপর কোরেশদিগের অকথ্য অত্যাচারের অবধি ছিল না। একদিনের অত্যাচারের বিবরণ জ্ঞাত হইলে পাঠকগণ তাঁহার পরীক্ষার কঠোরতা হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইবেন। 'খাব্বাব কোন মতেই বিচলিত হইতেছেন না দেখিয়া একদিন কোরেশ দলপতিগণ মাটিতে প্রজ্বলিত অঙ্গার বিছাইয়া তাঁহাকে তাহার উপর চিৎভাবে শায়িত করাইল, এবং কয়েকজন পাবণ্ড তাঁহার বুকে পা দিয়া চাপিয়া রাখিল। অঙ্গারগুলি তাঁহার পৃষ্ঠতলে পুড়িম্বা নিবিয়া গেল, তবুও নরাধমেরা তাঁহাকে ছাড়িল না। খাব্বারের পিঠের চামড়া এমনভাবে পুড়িয়া গিয়াছিল যে, শেষ বয়স পর্য্যন্ত তাঁহার সমস্ত পিঠে ধবল কুন্ঠের ন্যায় ঐ দাহের চিহ্ণ বিমান ছিল। মহাত্মা খাব্বাব কর্মকারের কাজ করিতেন, তরবারী ইত্যাদি প্রস্তুত করিয়া জীবিকার্জন করিতেন। এছলাম গ্রহণের পর লোকের নিকট খাব্বাবের যে সকল প্রাপ্য ছিল, কোরেশগণের নির্দ্ধারণ মতে তাহা আর কেহই দিল না। (২) কি ভীষণ অগ্নি-পরীক্ষা! কি অসাধারণ মনের বল ! ঈমানের কি পবিত্র প্রভাব ! (চ) এছলামের তৃতীয় স্তম্ভ হজরত ওছমান একজন সম্রান্ত ও সম্পদশালী লোক ছিলেন। তিনি এছলাম গ্রহণ করিলে কোরেশগণ তাহার উপর একেবারে ক্ষেপিয়া উঠিল 1 তাহাদিগের সহায়তায় স্বয়ং তাঁহার পিতৃব্য দৃঢ় রজ্জুর দ্বারা তাঁহার হস্তপদ ওচমানের দৃঢ়তা। বন্ধন করিয়া তাঁহাকে নির্মমভাবে প্রহার করিত। ওছমান আল্লার নামে শক্তি সঞ্চয় করিয়া নীরবে এই সকল উপদ্রব সৎ করিয়া থাকিতেন। (১) হেপায় ১-১১০, এছাবা, কামেল, এতিভাব প্রভৃতি। (২) বোখারী, এড়াবা ২২০৬ নং-তারকা ২-০ ধাৰবাৰ।
pdf
5c5fc96d9b3362b3d5728a628b438b33fed55496
বকেয়া মজুরি, বোনাস ও পতিত জমির লিজ বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগান শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। এ সময় মহাসড়কে দুপাশে যানবাহন আটকা পড়ে। শ্রমিকরা জানান, চার সপ্তাহ ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার শ্রমিক মজুরি পাননি। এ বিষয়ে বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনো সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। শ্রমিকরা আরও জানান, মজুরি না পেলে আবারও মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
web
b08708ee4b01803400978906e482371f0a8944df
গতকাল রোববার পর্দা নেমেছে দ্বাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের। এবার ঘোষণা হয়েছে সেরা একাদশ। আর সেখানে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আসরে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেলে এই একাদশে জায়গা পান সাকিব। আইসিসির পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ গঠন করে। ইয়ান বিশপ, ইয়ান স্মিথ ও ইশা গুহ এবং ক্রিকেট লেখক লরেন্স বুথ এই কমিটিতে রয়েছেন। আর আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন আইসিসির কর্মকর্তা জিওফ অ্যালারডাইস। প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ডের চার, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দুজন করে রয়েছেন এ তালিকায়। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে সাকিবের মতো অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আর কারো নেই। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের পরিসংখ্যান ও পারফরম্যান্স এই একটি জায়গাতেই ম্লান হয়ে যায়, কারণ বাদবাকি যাঁরা সব তালিকার ওপরের দিকে আছেন, তাঁরা সবাই অন্তত সেমিফাইনাল খেলেছেন, কয়েকজন ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের চেয়ে সাকিব একটা জায়গায় এগিয়ে আছেন, সেটা হলো ব্যাটে-বলে এমন পারফরম্যান্স আর কেউই দেখাতে পারেননি। সাকিব মোট আটটি ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন, ৬০৬ রান তুলেছেন, ৮৬. ৫৭ গড়ে। সাকিবের গড় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে সাকিব আট ম্যাচে নিয়েছেন ১১টি উইকেট। অর্থাৎ ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই সাকিব দলের তিনটি জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। প্রথম দুটি জয়ের একটিতে সেঞ্চুরি করেছেন, একটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছেন। মোট আট ম্যাচ খেলা সাকিব সাতটি ইনিংসেই ন্যূনতম ৫০ রান অতিক্রম করেছেন। বিশ্বকাপে তাঁর সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৪১ রান। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৬০০-এর ওপর রান ও ১০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। অ্যালেক্স ক্যারে (অস্ট্রেলিয়া): ৩৭৫ রান, ২০টি শিকার (উইকেটরক্ষক) ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা একাদশ : জেসন রয়, বেন স্টোকস, জোফরা আর্চার, জো রুট (ইংল্যান্ড), রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), লকি ফার্গুসন (নিউজিল্যান্ড), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)।
web
a3bcb7572b91910764296183983f60726174fa55
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ট্রাফিক এজেন্ট হিসেব আরও ১২০ জন বাংলাদেশি যোগ দিয়েছেন। সাম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরে নবাগত ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্টদের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণ শেষ ১৮১ জন নতুন ট্রাফিক পুলিশ এজেন্ট চাকুরির দায়িত্বভার গ্রহন করেন। অংশ নেওয়া ১৮১ জনের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি। আর একাডেমির প্রশিক্ষনকালে সবচেয়ে বেশী নম্বর পেয়ে যিনি সেরা এজেন্ট বা ভ্যালিডিক্টোরিয়ান হবার গৌরব অর্জন করেছেন তিনিও একজন বাংলাদেশি। তার নাম রাফি কামাল। ১৮১ জন নতুন ট্রাফিক পুলিশ এজেন্ট নিউ ইয়র্কের ৫টি বোরোর বিভিন্ন অফিসে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ২ সপ্তাহ পর আরও ২৩৫ জনের একটি গ্রুপের প্রশিক্ষন শুরু হবে। সেখানেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি অংশ গ্রহন করবেন বলে জানা গেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চীফ অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট রোডনী কে হ্যারিসন। এছাড়া প্রায় ২ ডজন সিনিয়র কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। ইউনিয়ন নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিকি মরিসন, সকুনবি এলুফেমী, আলবার্ট স্লোহ, ডেরন ডেফ্রিটাস, সাঈদ ইসলাম, সৈয়দ উতবা, নিজাম উদ্দীন, কামরুজ্জামান এবং ইউনিয়নের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র এজেন্ট খান শওকত।
web
4eb8cbe562d8e3eb17ec467fb7c3666c1ccd9d78c5c3b7a35b3a3aa7c02913e9
জীবন-ত্রাতা - পেনিসিলিন বৃত্তি নির্বাচন স্কটল্যাণ্ডের নিচু অঞ্চলে লকফিল্ড গ্রাম। গোলাবাড়িতে হিউ ফ্লেমিং পরিবারের বাস। তারা এমনি নিরীহ ও নির্বিরোধ ছিল যে তাদের এক ঐ গায়ের লোক ছাড়া প্রায় কেউই চিনত না, আর বড় জোর চিনত আশ-পাশের এক আধ খানা গাঁয়ের লোক। তাদের একটি ছেলে ছিল, নাম আলেকজাণ্ডার। ১৮৮১ সালে সে জন্মায়। কিশোর আলেকজাণ্ডার ফ্লেমিং চাষী পরিবারের ছেলে। সে কী আর করবে ক্ষেত-খামারের কাজ ছাড়া? তাই সে তার বাবাকে হয়ত শস্যের রোয়া-কাট।-ঝাড়ায় সাহায্য করত, নয়ত খামারের গরু ঘোড়াগুলোর দেখাশুনো করত। কিন্তু এসব কাজের মধ্যেও তার মনটা উন্মুখ হয়ে থাকত - কখন ছুটি মেলে, কখন পাড়ার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে গিয়ে খেলতে পারবে ! গজ করতে করতে বা খেলতে খেলতে অনেক সময় হয়ত তার মনে হয়েছেআচ্ছা, বড় হয়ে আমি কী হব ? কী হলে ভাল হয় ? কিন্তু সে যে বড় হয়ে কী হবে তা কি আর সে জানত ? জানলে অবাক হয়ে যেত। যদি সে ঘুণাক্ষরেও একবার বুঝতে পারত একদিন সে সারা দুনিয়ার লোকের কী এক মহা উপকার করবে, তাহলে সে নিশ্চয়ই বেশ গর্ব অনুভব করত ! কিন্তু হায়, আমাদের এই কিশোরটির মনে এ আভাস বিন্দুমাত্রও পৌঁছায়নি। তবে সে বেশ বুদ্ধিমান ছিল, আর তার চারদিকে কী ঘটছে না ঘটছে সে সম্বন্ধে তার কৌতূহল ছিল প্রচুর । একদিন এই কিশোর আলেকজাণ্ডার পল্লীর নির্জন পথ ধরে আনমনে একা এক! চলেছে, এমন সময় দেখে কি, ঐ অঞ্চলের ডাক্তার যাচ্ছেন তাঁর বগি-গাড়ি হাঁকিয়ে। অমনি তার মাথায় খেলে গেল-আচ্ছা, ঐ রকম ডাক্তার হলে কেমন হয় ? আর তার মন চলে গেল ডাক্তার যে সব রোগী দেখতে যাচ্ছেন তাদের চিন্তায়, আহা! সে বেচারারা কতই না ভুগছে ! ডাক্তারও কতই না চেষ্টা করছেন তাদের সারাতে ! তার মনে পড়ল -
pdf
69b8632389cff4a1c7aa21fee2828032076904df
এম জিয়াবুল হক,,চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষ মোহনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। সভায় বিভিন্ন বক্তারা চকরিয়া উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পৌরশহরের চিরিঙ্গায় লাগানো কোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অনেক ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। এমনকি এসব ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে কারা রয়েছে তাও নিশ্চিত নয়। এই পরিস্থিতিতে পৌরশহর চিরিঙ্গা ছিনতাইকারী, মাদক কারবারি, টোকাইসহ উঠতি বয়সের অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে সামনে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে সকলকে। সভাপতির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোন মূল্যে স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। কোন সংস্থা বা দপ্তর একার পক্ষে এতবড় উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন। ইউএনও বলেন, আগামী চকরিয়া পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। এজন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। এছাড়াও অচল হয়ে পড়া চকরিয়া পৌরশহরের সিসি ক্যামেরাগুলোও সচল করা হবে। এসব ক্যামেরা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করারও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। চকরিয়া উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্টু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, চকরিয়া প্রেস কাবের সভাপতি এম আর মাহমুদসহ সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা।
web
4ec8a0cffa9518f9e31916514a34c49297505d88
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠীকে বাংলাদেশে এনে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এ শিল্পিকে এ দেশে আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতিও নেয়নি আয়োজক প্রতিষ্ঠান মিরর মিডিয়া অ্যান্ড প্রোডাকশন লিমিটেড। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের তদন্তে এ অনিয়ম ধরা পড়েছে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কর ফাঁকির বিষয়ে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল তদন্তে নামে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে মিরর মিডিয়া অ্যান্ড প্রোডাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শাজাহান ভূঁইয়া রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ফাঁকি দেয়া আয়কর আদায়ের চেষ্টা চলছে। এনবিআর সূত্র বলছে, শিল্পা শেঠীকে গত ৩০ জুলাই ঢাকার হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আনতে অনুমতি চেয়ে গত ২২ মে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে 'মিরর লাইফস্টাইল ও বিজনেস ম্যাগাজিন'। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কৃতি মন্ত্রাণালয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামত চেয়ে চলতি বছরের ১ জুন পত্র প্রেরণ করে। এনবিআরের সাথে আয়োজকদের আলোচনা চলমান অবস্থায় ২৭ জুলাই আয়োজকরা লিখিতভাবে অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ার কথা জানান। কিন্তু কোনো রকম আয়কর প্রদান বা অনুমতি না নিয়েই ৩০ জুলাই শিল্পা শেঠীর উপস্থিতিতে হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর কর ফাঁকির বিষয়ে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল তদন্ত শুরু করলে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মেলে। শিল্পা শেঠী গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় মিরর ম্যাগাজিন ম্যাক্স শপার্স প্রেজেন্স আয়োজিত বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় পৌঁছান অভিনেত্রী। এরপর রাজধানীর হোটেল শেরাটনে রাত ৮টায় মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
web
595d6c252cf14ad64c808d82ea0968969b95a327
জার্মানির একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জোগাড় করেছিল প্যারিস হামলায় মূল অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলাম। বেলজিয়ামের সীমান্তের কাছে এই পরমাণু কেন্দ্রটিতে পারমাণবিক বর্জ্য জমিয়ে রাখা হয়। যদিও এই কথা স্বীকার করেনি কেন্দ্রটি। তবে জার্মানির সংবাদপত্রগুলি জানাচ্ছে, এই পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রটি সম্পর্কে অনেক দিন ধরেই খবরাখবর নিচ্ছিল আবদেসলাম। ইন্টারনেট ঘেঁটে এই বিষয়ে বেশ কিছু প্রিন্টও বার করে সে। তার ব্রাসেলসের ফ্ল্যাট থেকেই সেগুলি পরে উদ্ধার করে গোয়েন্দারা। পরমাণু কেন্দ্রটির চেয়ারম্যানের ছবিও পাওয়া গিয়েছে সেখানে। সংবাদপত্রগুলি এও জানিয়েছে, আবদেসলাম যে পরমাণু কেন্দ্রটির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছিল তা জানত জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা বিএফফাইভ। সংসদীয় কমিটির কাছে সংস্থাটি তা জানিয়েওছিল। তবে সংবাদপত্রের এই রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। গত মাসে ব্রাসেলস থেকে গ্রেফতার হয় প্যারিস হামলায় প্রধান অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলাম। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ব্রাসেলস হামলার পিছনেও হাত ছিল তার। যদিও আবদেসলামের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই হামলায় জড়িত ছিল না তার মক্কেল।
web
0c436c855dbddfbeef64614267042fab3d197c72
টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের বিভিন্ন ছট ঘাট পরিদর্শনে যান পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তেওয়ারি । আসানসোলের কুলটিতে লোকো ট্যাঙ্ক এলাকায় একটি ছট ঘাটের পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, প্রতিবছর রেল এখানে কিছু না কিছু কাজ করে। এ বছর এখানে কিছু কাজ করেনি। রেলের যারা কর্তাব্যক্তিরা আছেন,তারা জানেন প্রতি বছর প্রচুর মানুষ এখানে আসেন ছট পুজা করতে। ভোটের আগে ছট ব্রতিদের ভোট চাই। ভোট পেরিয়ে গেলে তাদের খোঁজ রাখে না বলেও অভিযোগ করেন জিতেন্দ্র বাবু। তিনি আরো বলেন, বিহারে ছট পুঁজির পারমিশন দিলো না। আর এখানেও কেন্দ্রীয় যে সংস্থা আছে তারা যে পরিষেবা দিত সেগুলো থেকেও মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।
web
2fd16201247d22aafa21d55d30504d22bcab732e
গত শুক্রবার থেকে তৈরি হয়েছে রাজ্যে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। শনিবার রাতে মহানগরী ভিজেছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে। এরপর আজ সকাল থেকেই রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। আপাতত তাপপ্রবাহের চোখ রাঙানির সতর্কতা নেই। তাই স্বস্তির বৃষ্টি নামতেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চেনা ছন্দে ফিরতে চলেছে। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল গোটা রাজ্যের। তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছিল 40 ডিগ্রি। তাই জরুরি ভিত্তিতে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই তড়িখড়ি সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা ঘোষণা করেছিলেন খোদরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শুধু সরকারি নয়, বেরসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে উত্তর এবং দক্ষিণের কোন জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই। বরং, ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আগামী 25 এপ্রিল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। রবিবার সকাল থেকেও গোটা দক্ষিণবঙ্গেরই আকাশ মেঘলা রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির দেখাও মিলেছে। সেক্ষেত্রে আগামী মঙ্গলবারের পর থেকে বৃষ্টি কমলেও ফের অস্বাভাবিক গরম পড়ার তেমন সম্ভাবনা কম। তাই আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ছুটি বাড়ানো হচ্ছে না। ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরের পূর্ববর্তী নির্দেশিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আগামীকাল, সোমবার থেকেই পড়ুয়াদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠনের চেনা ছন্দে ফিরতে হবে। যদিও ছুটি থাকলেও গত সপ্তাহে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাল থেকেই পড়ুয়ারা ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, এবছর গরমের তীব্রতা বিচার করে আগামী 24 মে-র পরিবর্তে 2 মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়বে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। তারই মধ্যেই তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস মেনে গত সপ্তাহে অস্থায়ী ছুটি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যদিও তাপমাত্রার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় নির্ধারিত গরমের ছুটির দিনক্ষণের কোনো পরিবর্তন করা হবে কিনা, সেবিষয়ে এখনো কোনা তথ্য জানা যায়নি।
web
12d31a5381fb5e06faf92cdee77f8442285218ba
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে পূর্ণিমায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো। বুধবার দুপুর নাগাদ এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং ওড়িশার পারাদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল পেরিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে। তখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন ভারতের আবহাওয়াবিদরা। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে; পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোকিমটার পর্যন্ত বাড়ছিল। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে। এর মানে হল, বন্দর ও বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরইমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোর নদনদীর পানি ফুলে ওঠার খবর আসছে। খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর এবং কুষ্টিয়া নদী বন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত এবং দেশের অন্যান্য নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার এই সংকেত পাওয়ার পর সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ার প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ পর্যায়ের সব সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহও প্রশমিত হতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সন্দ্বীপে দেশের সর্বোচ্চ ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার। সোমবার সীতাকুণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ঢাকায় ছিল ৩৮. ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
web
debe4c0ac1b2c9a3f07486423163289322c441ca
দুই দুইবার পেনাল্টি শট মিস করার পর অধোবদনে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ম্যাচের আগে থেকেই ছিল না নেইমার। তাই পুরোটাই দায়িত্ব পড়ে মেসির ওপর। ফুটবল জাদুকর সেই দায়িত্ব খুব ভালভাবেই পালন করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। মেসির নেতৃত্বে দারুণ সব আক্রমণে মোঁপেলিয়েকে তাদের মাঠেই ৩-১ গোলে হারিয়েছে দলটি। তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। পাঠকের মতামতঃ
web
a58a551afa2cbcdcbbd03b6fb9d28521c1aa252b
একাদশ জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও তত বাড়ছে। বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় হামলা, সংঘর্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মামলা, গ্রেফতার এমনকি বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থীতা স্থগিতসহ কয়েক প্রার্থীর কারাগারে থাকার বিষয়গুলো জনমনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী মাঠের সর্বিক পরিস্থিতি যখন এমন, তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ক্রমাগত বলে চলেছেন, 'নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে', 'নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে' এবং সর্বশেষ বলেছেন, 'দেশে নির্বাচনের সুবাতাস বইছে'। যদিও গত সপ্তাহে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, নির্বাচনে প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু নেই। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, তার কথা সত্য নয়। এর জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেছেন, আমার কথা অসত্য, একথা বলে সিইসি একজন নির্বাচন কমিশনারের অস্তিত্বে আঘাত হেনেছেন। দুইজনের এই পারস্পরবিরোধী বক্তব্য ও বিতর্ক নির্বাচন কমিশনের ভেতরকার অবস্থা উন্মোচিত করেছে। ওদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রগুলোতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন বিষেশজ্ঞরাও এ নিয়ে প্রতিদিন শঙ্কা প্রকাশ করে মন্তব্য প্রতিবেদন লিখছেন। নির্বাচনের সার্বিক এই পরিস্থিতিকে অনেকটা দেখে না দেখার মতো করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে বারবার বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, তার এ কথার সাথে অনেকটা সুর মিলিয়ে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে পরিবেশ আছে, সেরকম শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। তার এ বক্তব্যও নির্বাচনী যে পরিস্থিতি তার সাথে সাংঘর্ষিক বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তারা বলছেন, আইজিপি একজন সজ্জন ও ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত। তার উচিত বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বক্তব্য দেয়া। তা না হলে, তার এ বক্তব্যকে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক বক্তব্যের সাথে মানুষ তুলনা করবে। বলা বাহুল্য, নির্বাচনের যে পরিবেশ এখন বিরাজমান তা সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব দলের জন্য যে সমান সুযোগ থাকা প্রয়োজন তা এখনও অনুপস্থিত। নির্বাচনকালীন এ সময়ে প্রধান বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধা ও হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অধিকমাত্রায় মামলা ও গ্রেফতার নির্বাচনের পরিবেশকে সংঘাতপূর্ণ ও ভীতিকর করে তুলছে। অনেক জায়গায় বিরোধী দলের প্রার্থীদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে যে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানো দূরে থাক ভয় ও আতঙ্কে মাঠেই নামতে পারছে না। প্রায় প্রতিদিনই তাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জামিন নিতে আদালতে হাজির হতে হচ্ছে। যারা গ্রেফতার হচ্ছে তাদের অনেককে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ থেকে প্রার্থীও বাদ যাচ্ছে না। আবার আদালতের আদেশে অনেকের প্রার্থীতাও আটকে যাচ্ছে। এক হিসেবে আদালতের আদেশে বিএনপির ১৭ প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ২ প্রার্থীর নির্বাচন করা আটকে গেছে। নির্বাচনের সার্বিক এ পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল নয় বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। সাবেক এক নির্বাচন কমিশনার তার এক মন্তব্য প্রতিবেদনে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে লিখেছেন, বিরোধী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধা আসছে। প্রায় প্রতিদিনই এ ধরনের বাধার অভিযোগ আসছে। এবারের মতো প্রার্থীদের ওপর এত হামলা আগে কখনো হয়নি। সারাদেশে বিরোধী প্রার্থীর সমর্থকদের আটক ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রার্থীদের ওপর এসব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এটি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এমন চলতে থাকলে চূড়ান্তভাবে ক্ষতির শিকার হবেন ভোটাররা। তারা ভীত ও শঙ্কিত হয়ে পড়বে। শুধু নির্বাচনী পর্যবেক্ষকই নন, দেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এএফপি তার এক প্রতিবেদনে বলেছে, হুমকি বাড়ায় বিরোধীরা আত্মগোপনে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতির কারণে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী বিদেশিদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের বাংলাদেশে আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তার আগে নির্বাচন কমিশনের সচিব দেশি পর্যবেক্ষকদের 'মূতির মতো দাঁড়িয়ে' ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন। ভোটকেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ার কথাও বলেছে নির্বাচন কমিশন। দেখা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচন অবাধ ও স্বতঃস্ফূর্ত করার প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে যত ধরনের পদক্ষেপ, তার সবই নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের এ পরিবেশ কি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা বহন করে? প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিনিয়ত নির্বাচনের যে সুষ্ঠু পরিবেশের কথা বলছেন, বাস্তবতার সাথে তার কোনো মিল নেই। একজন সাধারণ মানুষের মধ্যেও এখন এ ধারণা বদ্ধমূল, আগামী নির্বাচনটি ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণে হতে যাচ্ছে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তার কথাবার্তা ও আচার-আচরণে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব প্রতীয়মাণ হচ্ছে। একইভাবে আইজিপিও বক্তব্য দিয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নির্বাচনের চলমান পরিবেশে পুলিশের ভূমিকা যে সমালোচিত হচ্ছে, তা তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা মনে করি, তার যে ভাবমর্যাদা ও সুনাম, এর সাথে তার বক্তব্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার এ বক্তব্যে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা আরও প্রশ্রয় পাবে, যা নির্বাচনের পরিবেশকে আরো অসমতল করে তুলতে পারে। তাই আশা করব, আইজিপি তার বক্তব্য সংশোধন করে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে পুলিশ বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে নির্দেশ দেন। বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মনোযোগী হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
web
b1bb3b32e3d8d42c0e22456012d9f696481e4fe9c9b0c8ba2f1c1c759722ef24
দ্বিতীয় অঙ্ক । ] [ দ্বিতীয় দৃশ্য। চিরদিনের জন্যও যদি তোমার মুখ দেখা রহিত করতে হয়, তাতেও আমার কোনও আপত্তি নেই। রাণী ! ঘর থেকে বেরিয়ে এস কেন না তোমার ঘরের রেণু পায়ে স্পর্শ করতে আমার প্রবৃত্তি হচ্চে না।' বেরিয়ে এস - ধিক্ দুর্ব্বল-চিত্তা! কথার উত্তর পর্য্যন্ত দিতে তোমার সাহস নেই! রাণী ! ( জয়সিংহ ও রাজসিংহের প্রবেশ ) রাজ় । কেনু মিছে চীৎকারে গলা ভাঙছে। সুজাতা - রাণী ধরে নেই। সুজাতা। তবে কোথয় রাণী? রাজ। বলছি সরে এস। (গৃহদ্বার রুদ্ধ করিয়া ও চাবী জয়সিংহের হস্তে দিয়া ) এই নাও এ গৃহ এইরূপই রুদ্ধ রাখবে প্রতিজ্ঞা কর । জয় । আমি তা পারবো না পিতা! ( জয়সিংহের প্রস্থান ) রাজ। সুজাতা! রাণীকে তিরস্কার করতে এসেছিলে। আমি তৎপরিবর্তে তোমাকে তার চির নির্ব্বাসনের ভার দিচ্ছি (চাবী করিয়া) গ্রহণ কর।. সুজাতা। 'আমি পারবনা রাণা। কোথায় রাণী আমাকে বলুনব্ললুন রাণা!, দয়া করে বলুন। রাজ। পুত্রদ্রোহিত। অপরাধের সমস্ত ভার সে আমার স্কন্ধে চাপিয়ে চলে গেছে। যেখানেই যাক্, শোন সুজাতা, রাজসিংহের দ্বৈণতা আর তার গতি ফেরাতে চাটুবাণী দিয়ে তাকে আকর্ষণ করবে না। যদি সে ফেরে, এই গৃহদ্বার থেকে ফিরিয়ে দিতে, এই অর্গল হাতে আমি নিজেই প্রহরী হয়ে দাড়িয়ে রইলুম।
pdf
958bf41f9f07a08782367ca5dbfc942961ea8b33
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে নিয়ে জনগণের কল্যাণে সারা জীবন আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। শিল্পমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন- বিসিকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। হাতে সময় খুব কম উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এগিয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে সাথে নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। শিল্পমন্ত্রী এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অলাভজনক শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহকে লাভজনক করার জন্য কলকারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর স্থাপিত বিসিককে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্থানীয় কাঁচামালের ভিত্তিতে দেশের সর্বত্র গুচ্ছ শিল্পাঞ্চল স্থাপন করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। দেশের শিল্পখাতকে উত্তরোত্তর উন্নতির পথে নিয়ে গেলে জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।
web
a8de8f8e2d3719fda24954cd90dd0cd4
এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শহরটি অবরুদ্ধ হয়ে আছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। ফলে ফুটপাতে পথচারীর সংখ্যা হাতেগোনা। আবার যারা পাশ দিয়ে যাচ্ছেন কেউ ভয়েও কাছে যাচ্ছেন না। উহান শহরের পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ এই ছবি তারই প্রমাণ। চীনের উহান শহরের গ্রাউন্ড জিরোতে মুখে মাস্ক ও হাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে ফুটপাতে এক বৃদ্ধের নিথর দেহ পড়ে আছে। এক কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর উহানে অন্য সময় হলে হয়তো এমন দৃশ্য দেখে মুহূর্তেই অনেক মানুষ তাকে উদ্ধার করতে আসতো। কিন্তু এখন ভয়ে কেউই তার কাছে যাচ্ছে না। এই বিষয়ে আজ শুক্রবার ছবিসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহরের বাসিন্দাদের এমন নিষ্ঠুর আচরণের কারণ এই শহরেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি। প্রত্যক্ষদর্শী একজন এএফপি'র সাংবাদিককে জানান,একটি জরুরি পরিসেবার গাড়ি আসার আগ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহটি এভাবেই পড়েছিল। পরে সুরক্ষামূলক জামা পরিহিত চিকিৎসাকর্মীরা মরদেহটি গাড়িতে তুলে নেয়। এএফপির ছবিতে দেখা যায়, একটি বন্ধ ফার্নিচার দোকানের সামনের ফুটপাতে চিৎ হয়ে পড়েছিল মরদেহটি। চিকিৎসাসেবার বিশেষ জামা পরিহিত হাসপাতালকর্মীরা একটি নীল কম্বল জড়িয়ে আলতো করে মরদেহটি গাড়িতে তুলে নেয়। প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে তা চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের ১৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ভাইরাসে ২১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন ও এতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো হলো- জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট।
web
daae7e7fab57e4596665cf705b7fd057e5b70848
- #Supreme CourtMohammad Shami-Hasin Jahan Case: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাসিনের স্বস্তি, গ্রেফতার হবেন শামি? গণধর্ষণ ও তার পরিবারকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ১১ অভিযুক্তের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করেছিলেন বিলকিস বানো। কিন্তু বিলকিস বানোর সেই আবেদ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। গুজরাত নির্বাচনের আগে সরকার ১১ জন ধর্ষক-অভিযুক্তের মুক্তি দিয়েছিল। তা নিয়ে কম সমালোচনার হয়নি। গুজরাত নির্বাচনের পরে এই মর্মে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন বিলকিস বহানো স্বয়ং। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি ধাক্কা খেলেন সুপ্রিম কোর্টে। ২০০২ সালে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃস্ংশ হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত হয় ১১ অভিযুক্ত। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর তাঁরা কোনও অদৃশ্য কারণে মুক্তি পেয়ে যায়। তাদের সেই মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিলকিস বানো। সেই রিভিউ পিটিশন এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ২০০৮ সালে দোষীসাব্যস্ত হয় ১১ জন। গুজরাত সরকার তাদের ক্ষমা নীতির অধীনে তাদের মুক্তি দেয়। ১৫ অগা্স্ট তারা গঝধরা সাব জেল থেকে বেরিয়ে আসে। তাদের এই মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে বিলকিস বানোকর আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় গুজরাত সরকারের কী মত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাত সরকার এই মর্মে হলফনামা দিয়ে জানায়, কোন আঙ্গিকে ১১ জন দোষীসাব্যস্তকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের ভালো আচরণের জন্য ১৪ বছর জেল পূর্ণ করার পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এই হলফানামা পেশের পর সুপ্রিম কোর্ট বিলকিস বানোর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯২ সালের শাস্তি মকুবের নিয়ম প্রয়োগ করে মুক্তির অনুমোদন দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিলকিস বানো পিটিশনে লিখেছিলেন, ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে এভাবে মুক্তি দেওয়া যায় না। তারপর মহারাষ্ট্রে রাজ্যের মকুব নীতিও মানা উচিত। কারণ শীর্ষ আদালত ২০০৪ সালে আমেদাবাদ মুম্বইয়ের একটি আদালতে বিচার স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিল। বিলকিস বানো বলেন, তিনি সমস্ত দোষীদের অকালমুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র বা সম্পূর্ণ ফাইলের অনুরোধ জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সাহায্য আসেনি। অপরাধের বিচার হওয়ার পর ক্ষমা বা অকাল মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তারা কোনও ধারণা পায়নি। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিলকিস বানো। কিন্তু সেখানেও আবেদবন খারিজ হয়ে গেল এদিন।
web
121535c011e7210d223cb26b753bff36
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ জন্মের সময় মাকে হারায় আয়েশা। বয়স যখন আটদিন তখন আয়েশাকেও চলে যেতো হলো না ফেরার দেশে। তবে অভিযোগ রয়েছে, আয়েশা মারা গেলো বিনা চিকিৎসায়, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে। কোনোভাবেই যেন নিজেদের সান্ত্বনা দিতে পারছে না স্বজন হারানো এই পরিবারটি। সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল লিমিটেডে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারা যায় এ শিশুটি। শিশুটির স্বজনরা বলছেন, মৃত্যুর পর ছাড়পত্র দিয়ে অবস্থা গুরুতর বলে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মা রেশমা খাতুনের গর্ভ থেকে শিশু আয়েশা খাতুন পৃথিবীর আলো দেখে গেল ১৬ সেপ্টম্বর রাত একটায়। সাতক্ষীরার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে নানা সালাউদ্দীন সরদারের বাড়িতে শুধু হয় আনন্দ। তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মা রেশমা খাতুন। ওই রাতেই রেশমাকে ভর্তি করা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেশমা। সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল শিশু আয়েশা। নানা বাড়িতেই বেড়ে উঠছিল শিশুটি। শিশুটির মামা রাসেল সরদার জানান, মায়ের মৃত্যুর পর আমরা আয়েশার দেখভাল করছিলাম। হাসি খুশি ও সুস্থ স্বাভাবিক ছিল। শনিবার একটু অসুস্থবোধ করছিলো। তখন একজনের পরামর্শে নেওয়া হয় সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে শিশুটির রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তিনদিন রক্ত দিতে হবে। ভর্তির সময় আমি বলেছি, যদি আপনারা ভালো চিকিৎসা দিতে না পারেন তবে বলে দিন, আমরা খুলনায় নিয়ে যাবো। কর্তৃপক্ষ জানায়, ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে এখানে, অসুবিধা নেই। এরপর বিকেল ৫টার দিকে সেখানে ভর্তি করি। রাসেল সরদার আরও জানান, ভর্তির পর কোনো নার্স-চিকিৎসক আসেনি। আমি রক্ত রেডি করে বসে ছিলাম। কিন্তু শিশুর গায়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি হাসপাতালের কেউ। ডাকাডাকি করলেও পাশে কেউ আসেনি। এমনকি শিশুর হাতে ক্যানোলা পরানোর মতো কোনো ডাক্তার বা নার্সও তাদের ছিল না। পরবর্তীতে আমি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশুকে নিয়ে ক্যানোলা লাগিয়ে আনি। তখনও ক্লিনিকের কেউ পাশে আসেনি। রাত ১০টার দিকে আয়েশা ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে। তখন আমি চিৎকার শুরু করি। এ সময় ক্লিনিকে থাকা অন্য রোগীর স্বজনরা পাশে আসেন। এরপর তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন। ছাড়পত্র দিয়ে বলে বাচ্চার অবস্থা গুরুতর খুলনায় নিয়ে যান। ততক্ষণে আয়েশা মারা গেছে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করে রাসেল বলেন, জন্মের সময় মাকে হারানোর পর এখানে বিনা চিকিৎসা অবহেলায় মারা গেল। শিশুটিকে তারা হত্যা করেছে। আমি এদের সবার বিচার চাই। যেন এমন ঘটনা আর কারও ভাগ্যে না ঘটে। আয়েশার বাবা দিনমজুর আনারুল গাজী। কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি গ্রামের ক্ষেত্রপাড়ার বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী ও সদ্যজাত সন্তান হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন এই কৃষক। এসব ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের এডমিন আনোয়ার হোসেন বলেন, বাচ্চাটাকে বাসায় চিকিৎসা করাচ্ছিল, সে কারণে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আমাদের এখানে নিয়ে আসলে চিকিৎসা শুরু হয়। তবে ক্যানোলা করতে গিয়ে করতে পারেনি। পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল থেকে ক্যানোলা করে নিয়ে আসে। ফাইলটা সেখানে রেখে আসায় চিকিৎসা দিতে দেরি হয়। তখন আরও খারাপ অবস্থা হয়। পরবর্তীতে বাচ্চাকে তারা নিয়ে চলে যায়। আমাদের এখানে কোনো বাচ্চা মারা যায়নি। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়ত বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। তবে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে যদি কেউ অভিযোগ দেয় তবে ইসলামী হাসপাতালে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটির তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
web
274a80aa96aded42cd22ef16fa077513
রাষ্ট্রই একমাত্র ইনস্টিটিউশন নয়। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্ম প্রতিষ্ঠান- সবগুলিই একেকটা ইনস্টিটিউশন। সুতরাং রাষ্ট্রের মতো এইসব প্রতিষ্ঠানেও আতঙ্ক তৈরি করা যেতে পারে। এবং এই বলপ্রয়োগকারীই হল সন্ত্রাসবাদী। কেউ হয়তো বলতে পারেন, উত্তর হবে 'না'। কেননা পরিবারের 'সাধারণ ইচ্ছা' এই থাকে যে, সন্তানটি বড় হয়ে সুনাগরিক হয়ে উঠুক এবং পরিবারের সম্মান বজায় রাখুক। সেক্ষেত্রে একে কার্যকর করে পিতা, এটি সাধারণের ইচ্ছারই প্রকাশ।
web
576aee2a47a780524edd68e420a0f7312b01f1c9
আর্ডের্ন বলেছিলেন, দেশবাসী যেন নিজের বাড়িতেই থাকেন। এক জন মা হিসেবে তিনিও বোঝেন, বাচ্চাদের পার্কে না নিয়ে গেলে কী হয়। কিন্তু একইসঙ্গে সতর্ক করেন যে, খোলা জায়গায় ৭২ ঘণ্টা অবধি জীবিত থাকে কোভিড জীবাণু। এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন। করোনা অতিমারি বিশ্ব জুড়ে প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের কাছেই অগ্নিপরীক্ষা। এক এক জন নেতা এই সমস্যার মোকাবিলা করছেন ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আপন করে নিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারো যদিও সে পথে হাঁটেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়মিত ব্রিফ করেছেন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার হেঁটেছেন দীর্ঘ লকডাউনের পথে। সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন। দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ নিজের পথ অনুসরণ করেছেন ৩৯ বছর বয়সি এই রাষ্ট্রপ্রধান। দেশবাসীর প্রতি তিনি যে ভাবে বার্তা দিয়েছেন, তা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। সেই বার্তায় আবেগ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি ছিল অভিভাবকের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গিও। নিউজিল্যান্ডবাসীর কখনও মনে হয়নি প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জ্ঞানগর্ভ বাণী শোনাচ্ছেন। বরং, তাঁদের মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পাশে আছেন সবসময়। সে রকমই মনে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ অবধি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ক্লার্ক। লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে আর্ডের্নের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ক্লার্কের নেতৃত্বেই। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি নিউজিল্যান্ডের ৪০তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। ক্লার্ক আরও মনে করেন, আর্ডের্ন শুধু সুদক্ষ রাজনীতিকই নন। তিনি সংযোগ রক্ষা করার বিষয়েও পটু। করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী আর্ডের্ন নিয়মিত ফেসবুক লাইভ করেছেন। আটপৌরে ভাবে বলা তাঁর তথ্যবহুল বার্তা মন জয় করেছে দেশবাসীর। মার্চের শেষ দিকে লকডাউনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। সে সময় সাধারণ একটি সোয়েট শার্ট পরে নিজের শিশুকন্যাকে পাশে বসিয়ে বাসভবন থেকে বার্তা দেন আর্ডের্ন। দেশবাসীর সমস্যা যে প্রধানমন্ত্রীরও সমস্যা, তিনি স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নিজের আচরণে। আর্ডের্ন বলেছিলেন, দেশবাসী যেন নিজের বাড়িতেই থাকেন। এক জন মা হিসেবে তিনিও বোঝেন, বাচ্চাদের পার্কে না নিয়ে গেলে কী হয়। কিন্তু একইসঙ্গে সতর্ক করেন যে, খোলা জায়গায় ৭২ ঘণ্টা অবধি জীবিত থাকে কোভিড জীবাণু। সাংবাদিকদের সঙ্গে আর্ডের্নের আচরণ ছিল সৌজন্যমূলক। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নে তিনি মেজাজ হারাননি। বরং, কোনও সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করতে ভুলে গিয়েছে, মজা করে আর্ডের্ন বলেছেন, তাঁর ঘুম কম হচ্ছে! মার্চ থেকেই নিউজিল্যান্ড সরকারে লক্ষ্য ছিল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি দেশ থেকে কোভিড ১৯ জীবাণুকে তাড়ানোর। পরিবেশরক্ষার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক এই প্রশান্ত মহাসাগারীয় দেশটি সফল তাদের উদ্দেশ্যপূরণে। নিউজিল্যান্ড সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১৫৪ জন। পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও কোভিডে সম্ভাব্য আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আরও ৩৫০ জন। সব মিলিয়ে এই ১৫০৪ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪৮২ জন। মারা গিয়েছেন ২২ জন। গত কয়েক দিনে নতুন কোনও আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি এই দেশে। নিজেদের কোভিডমুক্ত ঘোষণা করেছে তারা। তার জন্য সিংহভাগ কৃতিত্ব পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। আর্ডের্নের জন্ম ১৯৮০-র ২৬ জুলাই নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টন শহরে। তাঁর বড় হয়ে ওঠা মরিন্সভিলের মোরমোন শহরে। বাবা ছিলেন পুলিশকর্মী। মা কাজ করতেন স্কুলের কেটারিং সংস্থায়। স্কুলে পড়তেই প্রথম কাজ স্থানীয় ফিশ অ্যান্ড চিপসের দোকানে। পরবর্তীতে তিনি ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিউনিকেশন স্টাডিজে স্নাতক হন। আত্মীয়া মেরি আর্ডের্নের হাত ধরে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জেসিন্ডা যোগ দেন নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টিতে। তার পর ধাপে ধাপে তাঁর উত্তরণ ঘটেছে রাজনীতির আলিন্দে। প্রথমে দাপুটে বিরোধী নেত্রী। তার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী। গোঁড়া পরিবেশে বড় হওয়া জেসিন্ডা কয়েক বছর আগে নিজেকে নিরীশ্বরবাদী বলে ঘোষণা করেছেন। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, গির্জার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্ঘাত হচ্ছে। বিশেষ করে, সমকামীদের প্রতি গির্জার বৈষম্যমূলক আচরণ তিনি মেনে নিতে পারছেন না। ২০১২ সালে চলচ্চিত্র সঞ্চালক ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে আলাপ হয় জেসিন্ডার। দু'জনে দীর্ঘ দিন লিভ ইন সম্পর্কে আছেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে জন্ম হয়েছে তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তানের। বিশ্বে জেসিন্ডাই দ্বিতীয় মহিলা যিনি রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকাকালীন মা হয়েছেন। তাঁর আগে ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মা হন বেনজির ভুট্টো। জেসিন্ডা এবং ক্লার্ক তাঁদের মেয়ের নাম রেখেছেন নেভ তে আরোহা। আইরিশ শব্দ থেকে 'নিমাহ' থেকে তৈরি নেভ কথার অর্থ উজ্জ্বল। 'তে আরোহা' নামে নিউজিল্যান্ডে একটি পাহাড় আছে। স্থানীয় মাওরি উপজাতির ভাষায় 'আরোহা' শব্দের অর্থ ভালবাসা। একরত্তি নেভকে বড় করার পাশাপাশি তাঁর মা আগলে রেখেছেন গোটা দেশের মানুষকে।
web
2748e1b3c2a5db13da9a557edba40ee4770838e9
নগরের সার্কিট হাউজে গতকাল রোববার নগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানালেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। হানিফ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ সংগঠন। এ দেশের সকল অর্জন এ সংগঠনের হাত ধরে এসেছে। স্বাধীনতা অর্জন, মুক্তিযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সবই এ সংগঠনের অর্জন। এ সংগঠনের মূল শক্তি তৃণমূল নেতাকর্মী। এ সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটি ধাপে ধাপে সাজানোর কাউন্সিলের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর থানা ওয়ার্ড এবং ইউনিট কমিটিকে ঢেলে সাজিয়ে ধাপে ধাপে আগাবো। আমাদের লক্ষ্য আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিটগুলো সম্পূর্ণ করা। নভেম্বরের মধ্যে থানা কমিটি শেষ করতে চাই। ডিসেম্বর বা তার পরবর্তী সময়ে সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগরের সম্মেলন শেষ করবো। মতবিনিয়ময় সভার বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের সাথে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। তাদের কথা শুনছি। তাদের এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে কি-না তা জানার চেষ্টা করছি। সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে তা সমাধান করে সংগঠনকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেই লক্ষ্যে সকলের সাথে আমরা কথা বলেছি। সকলের অভিমত আমরা নিয়েছি। সকলে তাদের এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছে। তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, জুন থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। নেতৃত্বের জট নিয়ে তিনি বলেন, যে কোন জিনিসের ধারাবাহিকতার ব্যর্থতা ঘটলে, এতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংগঠন ধারাবাহিতকভাবে চললে নতুন নেতৃত্ব সুযোগ পায়। নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পায়। অনেকদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ার কারণে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হতে পারে। হেফাজত আন্দোলনে বিভিন্ন এলাকার নেতৃবৃন্দের মাঠে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে হেফাজতের যে তাণ্ডব তা মোটেও কাম্য ছিল না। তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ তাণ্ডব করেছে। আর স্বাধীনতা দিবসে এমন কিছু করতে পারে বলে কারো ধারণা ছিল না এবং এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের ধারণা ছিল না বা প্রস্তুতিও ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে সংগঠনের সকলে মাঠে ছিল। সারা দেশের সব জায়গায় ছিল। তবে সহিংসতা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এটা তাদের রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি ছিল না। তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দমন করেছে। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ খুবই শক্ত সংগঠন। কারণ এ অঞ্চলের অতীত দেখলে দেখা যাবে সকল আন্দোলনে চট্টগ্রামের নেতারা ছিলেন। মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ থেকে সরকার পতন আন্দোলন শুরু হয়। যার কারণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সবসময় শক্তিশালী। এ শক্তিকে মোকাবেলা করার মত শক্তি বাংলাদেশে অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠন রাখে না।
web
d17817b2f99135d2e8e477d0380aa6abbcabfec8
গোপালগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নসিমন থেকে পড়ে কামরুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কামরুল এক ঠিকাদারের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সকালে তিনি মালপত্র নিয়ে নসিমনে করে কর্মস্থলে (সাইটে) যাচ্ছিলেন। পথে কংশুর নামক স্থানে একটি পিকআপ ভ্যান ওই নসিমনকে ধাক্কা দিলে কামরুল ছিঁটকে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল। তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
web
993c4f546a8d2dcabd5683b33a96e69bb7b03df6
ডিসেম্বর মাসের চূড়ান্ত যুদ্ধের আগেই মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদারদের কার্যত বিভিন্ন সুরক্ষিত ক্যাম্পে কোণঠাসা করে রাখে। যৌথবাহিনী সীমান্ত পোস্টগুলো এড়িয়ে গভীরে আঘাত করার জন্য এগিয়ে যেতে থাকে। চৌদ্দগ্রামের থানা ক্যাম্প এড়িয়ে ভারতীয় বাহিনী এবং ১০ ইস্ট বেঙ্গলের যৌথ বাহিনী রাধানগর (ভারতীয় থানা) দিয়ে লাকসাম অভিমুখে যেতে থাকে। যুদ্ধকালীন সম্পূর্ণ সময় চৌদ্দগ্রামের আশপাশ এলাকার গ্রামগুলো জনমানব শুন্য ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের পূর্ব দিকের লোকেরা ভারতে শরণার্থী হয়। সম্ভাব্য যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে সবাই আরও পশ্চিমে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতের বেলায় ভয়াবহ গোলাগুলি। কোথায় কি হচ্ছে বুঝে উঠতে পারলাম না। সকাল হল। আলো হওয়ার পর দেখি আমরা চৌদ্দগ্রাম ছেড়ে পরিকুট (লাকসাম চৌদ্দগ্রাম থানার সীমা রেখা) এর কাছাকাছি। দেড়কোটা ও ছাতিয়ানি গ্রাম আমার পরিচিত। আমার খালার বাড়ি। ছোটবেলায় কত দূর মনে হতো। এটাই ছিল যুদ্ধক্ষেত্র। পাকিস্তানি সেনাদের লাশের ছড়াছড়ি একের উপরে অনেকগুলো। এভাবে মারা গেলো কিভাবে? অনেকের গায়ে কাপড় নেই। কারো গায়ে সিভিল পোশাক। তারা কি সিভিল পোশাক পরে আপাতত জান বাচাতে ব্যস্ত ছিল? কারও মুখ ও চোয়াল ভাঙা, হাত পা নেই । গ্রামের দু'একজন লোকের দেখা পেলাম। বাকিরা কোথায় গেছে কেউ জানেনা। স্থানীয় লোকেরা লাশ দেখছে আর মন্তব্য করছে। এক জটলায় দেখলাম কয়েকটি উলঙ্গ লাশ নিয়ে কথা বার্তা হচ্ছে। একজন মন্তব্য করলো দেখ দেখ কয়েকটা লাশের পুরুষাঙ্গে গুলি লেগেছে। হারামির পুত মনে হয় মেয়েদের উপর বেশি অত্যাচার করেছে। এ কথা বলেই একটা বাঁশ দিয়ে লাশগুলোকে পেটাতে শুরু করলো। জানিনা তার হয়তো ক্ষোভ আছে। আমাদের কমান্ডার সামনে এগিয়ে যেতে বললেন। আবার শুরু হল চলা। একে একে সীমান্ত শহরগুলো শত্রু মুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ও লাকসামে জয় বাংলার পতাকা উড়ছে। পথে ঘাটে লাশ ছড়িয়ে আছে। রাস্তাঘাট ভারতীয় সেনাদের তদারকিতে মেরামত চলছে। পাবলিককে ধরে ধরে এনে বাধ্যতামূলক শ্রমে লাগানো হচ্ছে। যুদ্ধের সাপ্লাই রুট ঠিক রাখতে রাস্তা, সেতু মেরামত জরুরি। গ্রামে গঞ্জের জঙ্গলে যে সব পাকিস্তানি সেনারা লুকিয়ে ছিল তারা বের হয়ে আসছে। জনতা ধরে এদের লাঠি পেটা করছে। যাহোক সচেতন জনগণের সহায়তায় তাদেরকে ভারতীয় সেনাদের হাতে তুলে দেয়া হল। কোন যুদ্ধবন্দী ক্যাম্প নেই। এদেরকে স্কুলের মাঠে বা কোন খোলা যায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। শীতের সকালের রোদ পোহাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পালালে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জীবন দিতে হবে। প্রশিক্ষণকালে আমাদেরকে শেখানো হয়েছিল যুদ্ধবন্দী কিভাবে হ্যানডলিং করতে হয়। তারা জেনেভা কনভেনশনের কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে ইত্যাদি। তাদেরকে কিভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে। এক ঘরে কতজন থাকবে, তাদের খাবার কি হবে তারা দৈনন্দিন কি কি কাজ করবে ইত্যাদি। যুদ্ধবন্দীদের দ্বারা অনেক দেশে অনেক বড় বড় স্থাপনা তৈরি হয়েছিল। আমাদের খুব কাছেই থাইল্যান্ডে 'ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই' ব্রিটিশ যুদ্ধবন্দীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মস্কোর রেড স্কয়ারে যে দর্শনীয় গির্জা আছে সেগুলোও যুদ্ধবন্দীদের দ্বারা নির্মিত। এরূপ আরও অনেক আছে। যুদ্ধবন্দীদের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাওয়ারও নিয়ম আছে। বিশেষ করে নিরাপত্তার বিবেচনায়। গাড়ী, ট্রেন, জাহাজ ও পদব্রজে যাওয়ার ভিন্ন ভিন্ন নিরাপত্তা নির্দেশ আছে। পদব্রজে গমনকাররীরা দলবদ্ধ হয়ে মার্চ করে এগোতে থাকে। কয়েকজন অস্ত্র হাতে চারিদিকে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। এরূপ একটি দলের সাথে আমরা যাচ্ছিলাম। পাকিস্তানি সেনারা ক্লান্ত ও পরাজয়ের গ্লানিতে মৌন। এদের সাথে সাথে উৎসুক জনতাও চলছে। কয়েকজন যুবক এসে তাদের মারধর করতে চাইছে। এক বুড়ো বটি নিয়ে এগিয়ে আসছে আর বলছে, এই বেটা আমার সব ডাব মুরগি খেয়ে শেষ করেছে। আমার মুরগির টাকা দে, ছাগলের টাকা দে। ভারতীয় সেনারা ওদেরকে সরিয়ে দিচ্ছে। যুদ্ধবন্দীরা মার্চ করে এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনের গ্রামের লোকেরা সরে যাচ্ছে। আবার নতুন গ্রামের লোকেরা যোগ দিচ্ছে। কিছু উৎসাহী যুবকেরা দৌড়ে এসে যুদ্ধবন্দীদের কাছে এসে জোর গলায় জয় বাংলা বলে সুর তুলছে আর দূর থেকে থুথু দিচ্ছে। এমন সময় যুদ্ধবন্দীদের মাঝে থেকে এক সেনা বলে উঠলো, 'কেয়া জয় বাংলা? ইয়েতো হিন্দুস্তান হো গিয়া'। (প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
web
eca2969f83f0d21977dd08ce9963b34678335c7a
কলকাতাঃ মাঝে আর একদিন। এরপরই আগামী ২৩ তারিখ কোচিতে বসতে চলেছে আইপিএলের মেগা নিলাম পর্ব। কলকাতা নাইট রাইডার্সও তাঁদের পছন্দের প্লেয়ারের তালিকা হয়ত তৈরি করে ফেলেছে। এরই মাঝে কেকেআরের মালিক বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের একটি মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। ট্যুইটারে একটি প্রশ্ন-উত্তর পর্বে শাহরুখকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ হয়, আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ক্রিজে ব্যাট করেন, এই মুহূর্তে কেমন অনুভূতি হয় তাঁর। সেই প্রশ্নেরই ছোট্ট তিন শব্দের উত্তর দিয়েছেন কিং খান। কী বলেছেন শাহরুখ? ধোনিকে কতটা সমীহ করেন শাহরুখ তা বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই দেখা গিয়েছে। আর বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাঠে থাকেন যখন, তখন প্রতিপক্ষের দল যে আলাদা মানসিক চাপে থাকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শাহরুখও সেই সুরেই উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, "হা হা. . . স্নায়ুর চাপ থাকে"। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২ বছর আগে অবসর নিলেও এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন ধোনি। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে এবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ফের মাঠে নামবেন ক্যাপ্টেন কুল। তাই আগ থেকেই সতর্ক শাহরুখ। এদিকে, চাপ সহ্য করতে না পারা ক্রিকেটারদের খেলা ছেড়ে দিয়ে কলা, ডিম বিক্রি করার পরামর্শ দেন ক্ষুব্ধ কপিল দেব। কপিল দেবের মতে জাতীয় দল বা আইপিএল (IPL) খেলার সময় যাঁরা অত্যাধিক চাপ অনুভব করেন এবং সেই নিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁদের খেলা চালিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, 'আমি প্রায়শই খেলোয়াড়দের বলতে শুনি যে আমরা আইপিএল খেলছি, প্রচুর চাপ থাকে আমাদের। এটা বলাটা তো খুবই সহজ। আমি ওদের বলব সম্পূর্ণভাবে খেলে ছেড়ে দিতে। কে ওদের খেলার জন্য জোর করছে? এই পর্যায়ে খেললে চাপ তো থাকবেই। ভাল করলে লোকজন প্রশংসা করবে, আবার খারাপ পারফর্ম করলে মন্দ কথা বলতেও ছাড়বে না। যদি সমালোচনা সহ্য নাই করতে পার, তাহলে খেলার কোনও দরকার নেই।
web
b4178da55dc3b19fc3e7bf8fc4a0999d
পেরুর কুস্কোর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েই গেছে কারন বৃষ্টি এখনও কমেনি (পহেলা ফেব্রুয়ারী, ২০১০)। তবে এটাই একমাত্র সমস্যা না যা এই এলাকা সম্মুখীন হচ্ছে। এমন দোষারোপ আর গুজব বেরিয়েছে যে পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করা হয়েছে তাদের উদ্ধারের জন্য যা অবশ্য কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন। ২১শে জানুয়ারী চিলির সরকার বিশাল একটা হারকিউলিস বিমান পাঠিয়েছে চিলির নাগরিকদের তুলে আনার জন্য। যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ছবি পাবেন এখানে। হুয়াকারপেইয়ের বন্যা প্লাবিত রাস্তা। ছবি জেনেবিও ভালেঞ্চিয়ার তোলা (অনুমতিক্রমে ব্যবহৃত)। খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে অন্যান্য রিপোর্ট সামনে এসেছে আগুয়াস ক্যালিন্টেস এলাকায়, মাচু পিচু শহরের প্রবেশদ্বারে। এটর্নি জেনারেল তদন্তের হুকুম দেন যাচাই করে দেখতে যে রেস্টুরেন্ট আর দোকানে দাম কেমন আছে। যেমন আশা করা হয়েছিল, শীঘ্রই খবর বের হয় আক্রান্তদের মধ্যে সাহায্য বিতরণে স্বচ্ছতার অভাব সম্পর্কে । অনেকে আশা করছেন যে সরকার ব্যাপারটা দেখবেন। এর সাথে ভূমি ধস যখন শুরু হয় যেসব পর্যটক সেক্রেড ভ্যালিতে ইঙ্কা ট্রেলে হাটছিলেন তাদের নিয়ে চিন্তা আছে। ধারণা করা হচ্ছে সেই সময়ে এলাকায় প্রায় ১৫০০ পর্যটক ছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত জানা যায় নি তারা নিরাপদ আছেন কিনা। মাচু পিচুর চারিদিকে মোট পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ২০০০ বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুস্কোর চারিদিকে কি হচ্ছে তা নিয়ে টুইটারা ব্যবহারকারীরা তথ্য জানাচ্ছেন। কিছু কিছু টুইট মানবিকতার দুই দিক দেখাচ্ছেঃ লিন মোরা @লিন্মোরাঃ কুস্কোতে বয় স্কাউটদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয় আক্রান্তদের সাহায্য করতে। তারা বলছে যে হুয়াকারপায় আর পিসাকে চোর সব লুট করছে, স্বেচ্ছাসেবীরা দয়া করে তাদের সনাক্ত করেন, ঝামেলা এড়াবার জন্য। মারকো মোস্কোসো তার টুইটপিক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ছবি পোস্ট করছেন, আর তিনি বন্যাদুর্গত এলাকা দেখানোর ইন্টার অ্যাক্টিভ মানচিত্র তৈরির পিছনের একটি চালিকা শক্তিঃ ব্লগ ক্যাম্বিয়ান্ডো এল মুন্ডো (বিশ্বকে পরিবর্তন করা) এর এই পোস্টে হুকারপায়ের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীর একটি তালিকা পাওয়া যাবে (ইংরেজীতে)। এই গোত্রটি বন্যায় খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
web
73c9d505758d0a2169618c3b50220cb7cc733b703012f6ef5b07be381e286728
শাক্যসিংহের জন্ম ও বাল্যজীবন। লুম্বিনীবনে কণিত প্রকারে আশ্চর্য শিশু ভূমিষ্ঠ হইলে রাজ। ওছোদনের নিকট সংবাদ গেল। তৎশ্লষণে রাজা শুদ্ধোদন যারপর নাই -হইলেন। দানক্রিয়। সমাবন্ধ হইল, লোক সকল হৃষ্ট তুই ও প্রফুল্ল হইরা বিবিধ আনন্দ চেষ্টায় নিমগ্ন হইল; কুমারের পরিচর্য্যার্থ ও রক্ষণাবেক্ষণাৰ শত শত দাস দাসী ও রক্ষিপুরুষ সেই লুম্বিনীবনে প্রেরিত হইল। রাজা শুদ্ধোদন এখন আনন্দ মগ্ন-চিত্তে ভাবিতেছেন, - "কিমহংকুমারসা নাম ধেয়ং করিষ্যামি ?" কুমারের কি নাম রাখিব ? কিয়ৎক্ষণ পরেই তাঁহার মনে হল যে, অস্য হি জাতমাত্রেণ মম সৰ্ব্বার্থ সমৃদ্ধাৎ সংসিদ্ধ । অতোঽহমলা "সৰ্ব্বাথ সিদ্ধ" ইতি নাম কুৰ্য্যাম্ যে ক্ষণে আমার এই কুমার জন্মিয়াছে, আমি দেখিতেছি, সেই ক্ষণেই আমার সকল অর্থ সকল কামনা, সকল অভীষ্ট লুসিদ্ধ হইয়াছে। অতএব কুমারের "সর্ব্বাণ সিদ্ধ" এই নাম রাখিৰ । অনত্তর রাজা শুদ্ধোদন মহা সমারোহের সহিত কুমারের নামকরণ নির্ব্বাহ করিলেন, "সর্ব্বার্থসিদ্ধ" এই নাম রাখা হল ; আজ হইতে শাক্যগণ কুমারকে "সর্ব্বার্থসিদ্ধ" নামে ডাকিয়া আনন্দ করিতে লাগিল। বুদ্ধদেবের জন্মগ্রহণের সাত দিবস পরে তাঁহার জননীর মৃত্যু হয়। ঐ সাতদিন নগরে ও বনে কোথাও অনুংসব ছিল না। মায়া দেবীর মৃত্যু সম্বন্ধে বৌদ্ধগণের মধ্যে এইরূপ তর্ক বিতর্ক আছে। যথা - "সপ্তরাত্র জাতস্য বোধিসত্ত্বস্য মাতা মায়াদেবী কালম করোৎ। সা কাল গত। ত্রয়স্ত্রিংশদ্দেবের পপদ্মাস্যাৎ। খলু পুনর্ভিক্ষয়ে। যুগ্মাকমেবং বোধি সত্ত্বাপরাধেন মায়াদেবী কাল গভেতিন খল্লেরং দ্রষ্টব্যম। তৎকন্মাছেতোঃ ? এবং পরমং হিতস্যারঃ প্রমাণমভূৎ । অতীহানামপি বোধিসত্ত্বানাং সপ্ত রাত্র ছাতানাং জনয়্যিঃ কালন কুৰ্ব্বন্। তৎকৰ্ম্মাছেতো? বিবৃদ্ধস্য হি বোধিসত্ত্বস্য পরিপূর্ণেঞ্জিস্যাভি নিজামতো মাতৃহৃদয় মৎ।" বোধিসত্ত্বের জন্ম দিবস হইতে সপ্তম দিবসে তাঁহার 'মাতা মায়াদেবী কার্লসতা হইয়াছিলেন। সেই কালগতা মায়াদেবী পুগল দেহ পরিত্যাগ করিয়া দেবলোকে গমন করিয়াছিলেন। হে ভিক্ষুগণ! তোমরা মনেকরিতে পার যে, বোধিসত্ত্বের অপরাধে তাহার 'জননী মায়াদেবীর মৃত্যু হুইরাছিল, (প্রসষের দোষেই মৃত্যু হইয়াছিল;, এরূপ মনে করিও না; কেন না মায়াদেবীর ঐরূপ মায়ুঃ প্রমাণ অবধারিত ছিল। কেবল মায়াদেবী নহে, পূর্ব্ব পূর্ব্ব বুদ্ধের জননীরাও প্রসবের পর সপ্তম দিবসে প্রাণত্যাগ করিয়া স্বর্গগামিনী হইয়াছিলেন। তাঁহাদের মৃত্যুর উপলক্ষ এই যে, বোধিসত্ত্বগণ পূর্ণ-ইন্দ্রিয় না হইয়া, পূর্ণজ্ঞান নাইয়া, ভূমিষ্ঠ হন না। তাঁহারা পূর্ণোশ্রয় ও পূর্ণাবয়ব হইরা নির্গত হন, তাই তাঁহাদের জননীদিগের হৃদয় স্ফটিত হয় ; তৎকারণে তাঁহারা কালগতা হন। শাক্যসিংহের জন্মের পর সপ্তম দিবসে তাহার জননী মায়াদেবী পরলোকগামিনী হইলে, কাষেই তাঁহার আর লুম্বিনী উদ্যানে থাকা হইল না; সেই দিবসেই তাঁহাকে রাখভবনে আনয়ন করিবার উদ্যোগ। হইতে লাগিল। পঞ্চ সহস্র সজ্জিত পুরুষ পূর্ণকুন্ত লম্বা অগ্রগামী হইছে, তৎপশ্চাৎ পঞ্চ সহস্র পুরষ্কন্যা ময়ুরপুচ্ছের ব্যজন করিয়া যাইবে, তৎপরে তালবৃত্তাধরিণী কনগ্যাণ যাইবে, তৎসঙ্গে অন্যান্য কন্যাগণ গন্ধোদক পূর্ণ ভৃঙ্গার হস্তে অবস্থান করিবে, রাজপথ জলসিক্ত করা হইবে, পঞ্চ সহস্র বালিকা পতাকা' ধারণ করিবে, পঞ্চ সহস্র কন্যা বিচিত্র প্রলম্বন মালায় বিভূষিতা হইয়া সঙ্গে যাইবে; পঞ্চশত ব্রাহ্মাণ ঘণ্টাবাদ্য করিতে করিতে সঙ্গে বাইবেন; বিংশতি সহস্র হস্তী, বিংশতি সংস্র অশ্ব, অশীতি সহস্র রথ, তদ্ভিন্ন চত্বারিংশ সহস্র পদাতি সৈন্য সজ্জীভূত হইয়া কুমারের অনুগমন করিবে । নগরবাসীরা সবলেই স্বস্ব গৃহের দ্বারদেশ ও অন্তগৃহ সজ্জিত ও শোভিত করিতে লাগিল, তাহাদের সকলেরই ইচ্ছা যে, কুমারকে তাহারা এক একদিন নিজ নিজ গৃহে রাখিবে। অভিযান সজ্জা সমাপ্ত হইল; রাজপুরুষগণ কুমারকে লইয়া লুম্বিনী বন পরিত্যাগ করিলেন। নগরবাসীগণের অনুরোধে, প্রার্থনায়, কুমারকে ● গণিত বিষয়ের এই বর্ণনা সত্য কইলে কপিলঝুত্ব, নগরকে মহানগর বলায় দোষ হইবে না এবং ইহার দ্বারা তৎকালের শ্রীসমৃদ্ধির ও সভ্যতার পরিমাণ, হইবে।
pdf
c173a6f9e7aedf62b3d590513b5f95c84376d7ae
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এ রায় প্রদান করেন। রায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হেলিম মিয়া, আবুল বাদশা, মামুন মিয়া। এর মধ্য আবুল বাদশা পলাতক রয়েছেন। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা জাহাঙ্গীরপাড়া গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ির পাশেই আসামিদের হাতে খুন হন সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলার জাহাঙ্গীর পাড়া গ্রামের শওকত আলী। পরে তার ভাই আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী নিহতের ভাই আব্দুল বাতেন বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা আশা করেছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। যাবজ্জীবন রায়ে আমরা হতাশ। এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। প্রসঙ্গত, এই মামলার ৯ জন আসামির মধ্যে আবুল কাশেম নামের এক আসামি তিন বছর আগেই মারা গেছেন।
web
aabeaa8abfc0bc0707a7df26ce95de8f26a8fe7f
অ্যাসপারাগাস (Asparagus) গাছের ডাল ব্যবহার করে একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ ভবিষ্যতদ্রষ্টা জেমিমা প্যাকিংটন বা মিস্টিক ভেজ। ২০২২ সালের জন্য কী ভবিষ্যদ্বাণী করলেন তিনি? ভবিষ্যত (Future) সকলে দেখতে পান না। তবে মানব সভ্যতায় বছরে পর বছর ধরে, একেকজন বিশেষ ক্ষমতাবান ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়, যাঁরা ভবিষ্যত দেখতে পান। কেউ হস্তরেখা গণনা করেন, কেউ রাশি-নক্ষত্র বিচার করেন। তবে, ব্রিটেনে এমন এক ব্যতিক্রমী ভবিষ্যতদ্রষ্টা আছেন, যিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন ভারি অদ্ভুত পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাঁকে, ভবিষ্যতের কাহিনি বলে অ্যাসপারাগাস (Asparagus) গাছের ডাল। আর আশ্চর্যের হল, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর অধিকাংশই সত্যি হয়। ২০২২ সালের জন্য কী ভবিষ্যদ্বাণী করলেন তিনি? ৬৫ বছরের জেমিমা প্যাকিংটন (Jemima Packington) একজন সাইকিক (Psychic), অর্থাৎ তাঁর বিশেষ মানসিক শক্তি রয়েছে। তিনি 'মিস্টিক ভেজ' নামেই বেশি পরিচিত। কীভাবে ভবিষ্যত দেখেন তিনি? বাতাসে তিনি অ্যাসপারাগাসের ডাল ছুঁড়ে দেন। সেগুলি যেভাবে মাটিতে পরে, তার নকশা দেখে তিনি ভবিষ্যতে উঁকি দিতে পারেন। গত কয়েক বছরে একের পর এক সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করে, এই জগতে এখন তিনি খুবই খ্যাতি লাভ করেছেন। কী কী সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি? গত কয়েক বছরে ব্রেক্সিট, হ্যারি এবং মেগান মর্কেলের ব্রিটিশ রাজপরিবার ত্যাগ করা, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী, প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু - একেবারে অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী। এছাড়াও বহু বিষয়ে তিনি একেবারে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। জেমিমা নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সবসময় ১০০ শতাংশ সঠিক হয় না। তবে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে তাঁর পূর্বভাস সঠিক হয়। ফলে বর্তমানে তাঁর ক্ষমতা নিয়ে কারোর মনে কোনও প্রশ্নই নেই। এখন, নতুন বছরের শুরুতেই ২০২২ সালের জন্যও বেশ কিছু আকর্ষণীয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। বর্তমানে দারুণ চাপে আছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। কোভিড মোকাবিলার ব্যর্থতার অভিযোগ, সেইসঙ্গে নিজের দলেই বিদ্রোহ - জোড়া চাপে বরিসের আসন এখন টলোমলো। তবে, জেমিমা প্যাকিংটনের মতে, ২০২২ সালেও বরিস জনসনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের (British Royal Family) কপালে অবশ্য আরও দুঃখ আছে। জেমিমার পূর্বাভাস অনুযায়ী ব্রিটিশ রাজপরিবারকে, আরও 'কেলেঙ্কারি'র মোকাবিলা করতে হবে। ক্রীড়া জগতে নিয়েও এই সাইকিক কিছু দারুণ আকর্ষণীয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আর তাঁর গণনা সঠিক হলে, এবারও টি২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022) জেতা হবে না ভারতের (Team India)। জেমিমার মতে, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) আয়োজিত টি২০ বিশ্বকাপ ২০২২ জয়ী হবে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies)। এই বছর আবার ফুটবল বিশ্বকাপও (FIFA World Cup 2022) রয়েছে। এবারই লিওনেল মেসির (Lionel Messi) কাপ জেতার শেষ সুযোগ। তবে, জেমিমা প্যাকিংটনের মতে, মেসির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। কাতার (Qatar) বিশ্বকাপ ফুটবলকে এক নতুন চ্যাম্পিয়ন দেবে, ক্রোয়েশিয়া (Croatia)! অন্যদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (EPL 2022) চ্যাম্পিয়ন হওয়া হবে না ম্যানচেস্টার সিটির (Manchester City), বরং তাঁদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান ইউনাইটেড (Manchester United) লিগ জেতার কালো ঘোড়া হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করা শুরু করেছিলেন জেমিমা প্যাকিংটন। তিনিই বিশ্বের একমাত্র ভবিষ্যৎদ্রষ্টা যিনি অ্যাসপারাগাসের ডাল বাতাসে ছুঁড়ে ভবিষ্যত দেখে থাকেন। তবে, তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এক মাসির কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে এই ক্ষমতা পেয়েছেন তিনি। তাঁর মাসি অবশ্য অ্যাসপারাগাসের বদলে চা পাতা ব্যবহার করতেন ভবিষ্যত দেখার জন্য। জেমিমা আরও জানিয়েছেন, ৮ বছর থেকে ৬৫ বছর বয়সে চলে এলেও, তাঁর কৌশল কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও অ্যাসপারাগাসের ডাল নিক্ষেপ করে সেগুলি যেভাবে মাটিতে পড়ে, তা দেখে ভবিষ্যতের সন্ধান পান তিনি। প্রথমে অনেকক্ষণ সময় লাগত, অ্যাসপারাগাসের ডালগুলি কী বলছে তা বুঝতে। তবে, বহু বছরের অনুশীলনের ফলে, এখন এক ঝলক দেখেই তিনি পুরোটা বুঝে যান।
web
db95ac451101fe4fd89072501f0d4cfc365e126d
৬ ডিসেম্বর, বিবিসি : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে বোধবুদ্ধি লোপ পাওয়া বৃদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মন্ত্রিসভার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন-হুই। উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ট্রাম্প 'রকেটম্যান' বলে সম্বোধন করায় তিনি এ মন্তব্য করলেন। এসবের মধ্য দিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের কথার লড়াই। যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে 'রকেটম্যান' বলে সম্বোধন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের অধিকার রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় দেয়া এক বিবৃতিতে কিমের পক্ষে দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন-হুই হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের কারণে দুই বছর আগের 'বাগযুদ্ধ' আবার শুরু হতে পারে। উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন-হুই দেশটির নেতার পক্ষে আরও বলেন, 'এখনকার এমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো ভাষা ও অভিব্যক্তির কারণে মারমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, তা হলে অবশ্যই সেটি বয়সের কারণে বোধবুদ্ধি লোপ পাওয়া বৃদ্ধের আচরণ হিসেবেই গণ্য হবে। ' উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথমবার উত্তর কোরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'বৃদ্ধ ও দুর্বল' ব্যক্তি বলে অভিহিত করে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প কিমকে 'খুদে রকেটম্যান' ও 'পাগলা' বলেন। অন্যদিকে কিম মার্কিন প্রেসিডেন্টকে 'মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দুর্বল বৃদ্ধ' বলে মন্তব্য করেন।
web
e379aaeb2b079ea01e18ada80a475a57a015e43f
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বারংবার ধাক্কা খাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক মন্ত্রীর নাম সামনে আসছে প্রায় প্রতিনিয়ত। ফলে দলের অন্দরেও দাবি উঠছে এমন নেতাদের মন্ত্রিসভা বাদ দিয়ে দিতে হবে। এখন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করার পর সেই পুরনো দাবি আরও জোরালো হয়েছে। দলের একাংশের বক্তব্য যে সমস্ত মন্ত্রী ইস্তফা দিন। তারপর মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত এই ধরনের দাবি তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনুগামী নামে পরিচিত নেতারা। জানা গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে তাঁরা একটি প্রেসার গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করছেন যা কলুষহীন এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মন্ত্রিসভা গঠন করতে সাহায্য করবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, অতীতে বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রী না করার দাবি তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আপত্তি ছিল মূলত সেই সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে যারা কোনো না কোনো সময় দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিল। তবে দল সেই বক্তব্য না মানায় ২০১৬ সালে সরকার গঠনের সময় শপথ গ্রহণে অংশগ্রহণ করেননি অভিষেক। এরপর অবশ্য ৫ বছর কেটে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছেন তৃণমূল দলের সাংসদ এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির প্রেক্ষিতে অভিষেকের এমন মনোভাব আবার দলের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু করেছে। অন্যদিকে এসএসসি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দীর্ঘদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। প্রথমে ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু গতকাল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা এবং বিপুল সম্পত্তি হাতেনাতে ধরা পরার পর কার্যত তৃণমূল কংগ্রেস পার্থর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূলত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। গত শুক্রবার সেই ইস্যুতেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তদন্তকারীরা। আর তারপর শুক্রবার রাতেই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয় এবং অর্পিতা মুখার্জির নামে বাংলার বুকে ব্যাপক পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এই টাকা কোথা থেকে এসেছে তার যুক্তিসঙ্গত উত্তর না দিতে পারায় আপাতত গ্রেপ্তার অর্পিতা মুখার্জি সহ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
web
096d484fd91666beac64307872b606dc
আরব সাগরে, কেরালার উপকূলের কাছে, ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত রাজ্য লাক্ষাদ্বীপে, নৌকাপথে সাত আট ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত অগত্তি ও বিত্রায় বাস করেন সব ওস্তাদ মৎস্যজীবীরা। মালায়লম এবং সংস্কৃত, উভয় ভাষাতেই, 'লাক্ষাদ্বীপ' মানে এক লক্ষ দ্বীপ। বস্তুত, আমরা দেখি ৩৬টি দ্বীপ যা ৩২ বর্গ কিলোমিটার স্থান জুড়ে আছে। জলজ প্রাণী ও সম্পদে সমৃদ্ধ এই দ্বীপপুঞ্জের জলরাশি যদিও ৪০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার স্থান জুড়ে বিস্তৃত। এই এক-জেলা বিশিষ্ট কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন মৎস্যজীবী এবং মোট জনসংখ্যার ৬৪,৫০০ জনের মধ্যে মৎস্যজীবী ৯,০০০ জন (জনগণনা ২০১১)।
web
f81828a76e3c5cdddcd11115f3582b8a5ccffa20
Bengali Panjika ৪ অগ্রহায়ন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, সোমবার, ইংরেজীঃ ২১ নভেম্বর ২০২২, ৫৩৬ চৈতনাব্দ, কলিঃ ৫১২৩, সৌরঃ ৫ অগ্রহায়ন, চান্দ্রঃ ২৭ কেশব মাস, ১৯৪৪ শকাব্দ /২০৭৯ বিক্রম সাম্বৎ, ২৫৬৬ বুদ্ধাব্দাঃ, বাংলাদেশঃ ৬ অগ্রহায়ন ১৪২৯, ভারতীয় সিভিলঃ ৩০ কার্ত্তিক ১৯৪৪, মৈতৈঃ ২৭ হিয়াঙ্গৈ, আসামঃ ৪ অঘোন, সূর্য উদয়ঃ সকাল ০৫ঃ৫৫ঃ২৭ এবং অস্তঃ বিকাল ০৪ঃ৪৮ঃ৪১। চন্দ্র উদয়ঃ শেষ রাত্রি ০৩ঃ৫৭ঃ১৮(২১) এবং অস্তঃ বিকাল ০৩ঃ৩৫ঃ৩৩(২২)। কৃষ্ণ পক্ষ ।তিথিঃ ত্রয়োদশী ( জয়া) কাল ঘ ০৭ঃ০৬ঃ০৫ দং ২/৫৪/৪০ পর্যন্ত নক্ষত্রঃ চিত্রা রাত্রিঃ ১১ঃ০৮ঃ৪৩ দং ৪৩/২/৫৫ পর্যন্ত পরে স্বাতী করণঃ গর রাত্রিঃ ০৭ঃ২৩ঃ২২ দং ৩৩/৩৯/৩২. ৫ পর্যন্ত পরে বণিজ যোগঃ আয়ুষ্মান রাত্রিঃ ০৮ঃ৪৬ঃ১০ দং ৩৭/৬/৩২. ৫ পর্যন্ত পরে সৌভাগ্য অমৃতযোগঃ দিন ০৫ঃ৫৫ঃ৩৩ থেকে - ০৭ঃ২২ঃ৩৯ পর্যন্ত, তারপর ০৮ঃ৪৯ঃ৪৫ থেকে - ১১ঃ০০ঃ২৩ পর্যন্ত এবং রাত্রি ০৭ঃ২৬ঃ০৮ থেকে - ১০ঃ৫৫ঃ৫৬ পর্যন্ত, তারপর ০২ঃ২৫ঃ৪৫ থেকে - ০৩ঃ১৮ঃ১২ পর্যন্ত। কুলিকবেলাঃ দিন ০১ঃ৫৪ঃ৩৫ থেকে - ০২ঃ৩৮ঃ০৮ পর্যন্ত। কুলিকরাত্রিঃ ০১ঃ৩৩ঃ১৮ থেকে - ০২ঃ২৫ঃ৪৫ পর্যন্ত। বারবেলাঃ দিন ০২ঃ০৫ঃ২৮ থেকে - ০৩ঃ২৭ঃ০৮ পর্যন্ত। কালবেলাঃ দিন ০৭ঃ১৭ঃ১২ থেকে - ০৮ঃ৩৮ঃ৫১ পর্যন্ত। কালরাত্রিঃ ০৯ঃ৪৩ঃ৪৯ থেকে - ১১ঃ২২ঃ১০ পর্যন্ত। গ্রহস্ফুট (সূর্য উদয় কালীন): রবিঃ ৭/৪/৫৭/৫৭ (১৭) ১ পদ চন্দ্রঃ ৬/৯/৩০/১ (১৫) ১ পদ মঙ্গলঃ ১/২৩/৫৪/৩৮ (৫) ১ পদ বুধঃ ৭/১৪/৪৬/৭ (১৭) ৪ পদ বৃহস্পতিঃ ১১/৫/৩৫/৪৫ (২৬) ১ পদ শুক্রঃ ৭/১২/৩৪/২ (১৭) ৩ পদ শনিঃ ৯/২১/৫০/৬ (২২) ৪ পদ রাহুঃ ০/২০/২৬/৯ (২) ৩ পদ কেতুঃ ৬/২০/২৬/৯ (১৬) ১ পদ মঙ্গল বক্রি বৃহস্পতি বক্রি ।
web
fa80300d07481501ea5418a87a95d9bb6ed57a77
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই তালিকা তৈরির কাজ চলবে এবং শিগগিরই তালিকায় আসাদের সংখ্যা জানানো হবে। ওই তালিকা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রসমূহ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব তথ্য জানান। গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্র বলতে কাদের বুঝাচ্ছেন এবং কীভাবে তাদের কাছে তথ্য পাঠাচ্ছেন জানতে চাইলে রিজভী বলেন, সেই সকল রাষ্ট্র যারা এই কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলছে। আমরা ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে এ তালিকা দেবো। তাছাড়া, দূতাবাসগুলোরও তো নিজস্ব সোর্স রয়েছে। মায়ের ডাক (গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন)-এর মতো সংগঠনগুলো থেকেও তো অনেকে অনেক কিছু জানতে পারছেন। নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে এসব তথ্য বা তালিকা পাঠানোর বিষয়টি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিংবা যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা পলিসিকে কেন্দ্র করে নেয়া- এমন বক্তব্য মানতে নারাজ রিজভী। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন এবং জনপ্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা একেবারে মাঠ পর্যায়ে উপস্থিত থেকে এসব নির্দেশ দিচ্ছেন বা বাস্তবায়ন করছেন, তাদের চিহ্নিত করাটা তো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে পাওয়া যায়। আজকাল তো অনেকের মুঠোফোনে ধারণ করা ছবি বা ভিডিও থেকেও পাওয়া যায়। আমরা তো নিয়মিতভাবেই এগুলো সংগ্রহ করে থাকি, সংবাদ সম্মেলনেও তুলে ধরি। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পলিসির কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা যেভাবে এবং যে পরিমাণ অত্যাচারিত হচ্ছেন, এরকম আগে কখনো হয়নি। ভিসা পলিসির মতো পদক্ষেপও তো আগে কখনো নিতে দেখা যায়নি। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, এর মাধ্যমে বিএনপি বিদেশিদের কাছে নিজ দেশের সম্মানহানি করছে। এগুলো নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার অপকৌশল। রিজভী ১৯৭১ সালের প্রসঙ্গ টেনে উল্টো প্রশ্ন করেন, তখন কি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক দেশ সমর্থন দেয় নি? ভারত কি সাহায্য করে অন্যায় করেছে? এখন কি দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি হয়েছে বলে মনে করেন? রিজভীর উত্তরঃ ভৌগোলিক স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়তো চলছে না, কিন্তু নাগরিক স্বাধীনতার যুদ্ধ তো নিঃসন্দেহে চলছে। বরং, 'অমুককে অনেক কিছু দিয়েছি' প্রধানমন্ত্রীর এ জাতীয় বক্তব্যই আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে। আপনাদের এই তথ্য সংগ্রহ বা তালিকা তৈরির কাজ কতোদিন বলবৎ থাকবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যতদিন ওরা নিপীড়ন চালাবে। যতদিন পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালাবে। তবে, তাদের মনে রাখা উচিত, আমরাও বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী। ক'টি ঘটনার জন্য ঠিক কতোজন পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে তালিকা করা হয়েছে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, এরকম নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। আমরা তো প্রতিদিনই এটা জানাচ্ছি। কারণ, মাসখানেক ধরে কাজটি শুরু হওয়ার পর প্রতিদিনই হালনাগাদ করা হচ্ছে। তবে, আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে সবমিলিয়ে একটি সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
web
77db107cc075b6d9d80859b363b0c25240dbb11ecbcd70a6ff989915c320a9cc
শ্রীল পরমহংস ঠাকুরের বক্তৃতার চুম্বক স্থান-~~ঐভাগবত-নানন্দ মঠ, চিরুলিয়া কাল - ২রা এপ্রিল, ১৯২৬ [ নিত্যলীলা-প্রবিষ্ট শ্রীভাগবত-জনানন্দ-প্রভুর প্রথমবার্ষিক বিরহ-মতামহোৎসব-উপলক্ষে-শ্রীভাগবত-জনানন্দমঠে মহতী সভা-মধ্যে শ্রীল প্রমহংস ঠাকুর "মহাপ্রসাদ", "গোবিন্দ", "নাম" ও "বৈষ্ণন" সম্বন্ধে ড়ই দিবসে'যে বক্তৃতা প্রদান করিয়াছিলেন, নিম্নে তাহারই চুম্বক পদত্ত হইল ।। "বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ রূপাসিন্ধুভ্য এব চ। পতিতানাং পাবনেভ্যো বৈষ্ণবেভ্যো নমো নমঃ।" "গতা প্রসাদে গোবিন্দে নাম-ব্ৰহ্মণি বৈষ্ণনে। স্বল্পপুণ্যবতাং বাজন বিশ্বাসো নৈব জায়তে ।" শ্রীমদ্বৈষ্ণবগণের নিকট হইতে অনেক কথা শ্রবণ করিলাম। বৈঞ্চবগণের শেষবাক্যে শুনিলা, তাঁহারা রূপ'-প্ৰসাদ ভিক্ষু। বৈষ্ণবের ইহাই বিশেষত্ব যে, তাহারা প্ৰসাদক্ষি - 'প্রসাদ' অর্থাৎ অনুগ্রহ। উপক্রম ও উপসংহারে তাঁহারা বৈষ্ণবের নিকট রূপা প্রার্থনা করেন। মহাভাগবত-বৈষ্ণণ-শ্রেষ্ঠ সমগ্র জগৎকে ভগবানের প্রসাদরূপে দর্শন করেন, প্রসাদরূপে গ্রহণ করেন। যাঁহার সম্পত্তি আছে, তিনিই আমাদিগকে সম্পত্তি দান করিতে পারেন । যে ভগবানের সমস্ত সম্পত্তি, সেই ভগবানের সেবাব্যতীত যাহাদের অন্য কোন কৃত্য নাই - সমগ্র জগৎ যাঁহাদের নিকট প্রসাদ (optimist সম্প্রদায় যেরূপ বিচার করেন, সেইরূপ কথা বলিতেছি না) - সেইরূপ ভগবদ্ভক্তগণ সমগ্র জগৎকে প্ৰসাদৰূপে প্রদান করিতে পারেন। সমগ্র জগৎ ভগবদ্ভক্তগণের জন্য লালায়িত । কে ভগবানের প্রিয়তম, কে ভগবানের প্রসাদের মালিক - এ বিষয়ে আমাদের ভাগহীনতা ও ভাগ্যযুক্ততার উপরই নির্ভর করে। যদিও ভগবানের প্রসাদ আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়, ভগবানের প্রসাদ যাহারা লাভ করেন [ ৪র্থ খণ্ড ভগাস্ত র্যাহাদের সম্পত্তি, তাঁহাদের প্রসাদও আমাদের অপ্রয়োজনীয় নহে। ভগবৎপ্রসাদকে "মহাপ্রসাদ" ভগবানের প্রসাদ লাভ করিয়া যাহারা মহান্ হইয়াছেন, তাঁহাদের প্রসাদই "মহা-মহাপ্রসাদ" । ভগবদ্ভক্তের প্রসাদ-সম্বন্ধে সঙ্কীর্ণচেতাদের মধ্যে মতভেদ উপস্থিত হয়। এমন কি ভারতীয় সামাঙ্গিক বিচারে দুই প্রকারে মতভেদ লক্ষ্য করি - (১) যাহারা কৰ্ম্মফলপ্রভাবে জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন, তাঁহারা প্রকৃত প্রস্তাবে শ্রেষ্ঠতা লাভ না করিলেও তাঁহাদিগকে অবৈধরূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া তাঁহাদেরই প্রসাদ বাঞ্ছনীয় বলিয়া স্বীকৃত হয়, ২) যার যাঁহারা প্রকৃত প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠিত, শ্রেষ্ঠ, তাঁহাদের প্রসাদ গ্রহণই নিত্য শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যলাভের উপায় বলিয়া বিশ্বাস করা হয়। একপ্রকার বিচার এই যে, হাজার হাজার বিমূঢ় লোক যেরূপ মতপোষণ করিয়াছেন, করিতেছেন ও করিবেন, তাঁহাদের সঙ্গে তভেদ করা উচিত ন'হ। দ্বিতীয় প্রকার বিচার এই যে, মতভেদের দিকে লক্ষ্য না করিয়া প্রকৃত সত্য বিচার করা আবশ্যক। ভগবানের প্রসাদ ও ভগবদ্ভক্তের প্রসাদই গ্রহণীয়। ভগবস্তুক্তের অনুগ্রহ যাঁহারা লাভ করিয়াছেন, তাঁহাদের কোনও অভাব নাই। সত্য হউক, অসত্য হউক-- তাহা বিচার করিব না, অনেকগুলি লোক যাহাতে অসন্তুষ্ট হয়, তাহা করিব না - এইরূপ জনপ্রিয়তা অনুসন্ধান করিতে গিয়া আমরা যেন নিত্য 'সৌভাগ্য' বা 'সুক্কতি' হইতে বঞ্চিত না হই। "জনপ্রিয়তা"ই - প্রয়োজনীয়ত। - এইরূপ বিচার মায়াবিমুগ্ধবুদ্ধি মূর্খের বিচার। ঈশ্বর-বস্তু - পরমসত্যবস্তু । 'জনপ্রিয়তা'কে প্রয়োজনীয় ব্যাপার মনে করিলে সত্যস্বরূপভগবানের অমর্যাদা করা হয়। জনপ্রিয়তার জন্য ভগবৎপ্রসাদের অবজ্ঞার ফলে আমরা গোপনে অমেধ্যবস্তু গ্রহণ করি। ভগবৎপ্রসাদের প্রতি আমাদের অবজ্ঞা ও ভগবৎপ্রসাদ যাহা নহে - তাহাতে আমাদের অনুরাগ বৃদ্ধি হয়। ভগবানের ভুক্ত।বশেষ ভাল না লাগিলে, 'ভগবান্' নয় যাহা - 'সত স্বরূপ" নয় যাহা অর্থাৎ যাহা অজ্ঞান, সেই অজ্ঞানের প্রসাদের জন্যই আমরা লালায়িত হই। আমরা তখন, "মৎস্তাদঃ" হইয়া পড়ি, 'পশুহিংসা' করি। ঐগুলি (মৎস্তমাংস অমেধ্য।দি) ভগবানের ভোগ্য নগে, কারণ, উহা ৩৯ সংখ্যা ] হিংসামূলে উৎপন্ন । আর্য্য-বিধ^া-স্ত্রীগণের আচরণ বা চতুর্থাশ্রমিগণের আচরণের মধ্যেও আমরা ঐ সকল অমেধ্যগ্রহণ দেখিতে পাই না। পতিসুখে বঞ্চিত আৰ্য্যস্ত্রীগণ বিষ্ণুকে যাহা দেওয়া চলে না, তাগ কখনও গ্রহণ করেন না - ইহা সামাজিকগণের মধ্যেও দেখিতে পাই। বশির দ্বারা অর্পিত বস্তু যদি "প্রসাদ" হইত, তবে চতুর্থাশ্রমী বা বিদবাদিগকে উহা দেওয়া যাইতে পারিত । কোনও ভাললোক কোনও হিংসার প্রশ্রয় দেন না। যদি পূৰ্ব্বপক্ষ হয়, "তাবে কেন শাস্ত্রে বিধিমূলে ঐরূপ হিংসা-কার্গোর প্রশোধিকার দেখিতে পাওয়া যায়?" তদুত্তরে সান্ত্বত - শাস্ত্র বলেন, যাহাদের অত্যন্ত শুরুশোণিতের জন্য লোভ রহিয়াছে, তাহাদের গুরুশোণিতের প্রবলাবুভুক্ষা ক্রমশঃ গর্ব্ব করাই ঐ সকল বিধির উদ্দেশ্য । কিন্তু যেখানে নিরপেক্ষ বিচার উপস্থিত হইয়াছে, সেখানে "অমেণ্য" "ভগবৎ প্রসাদ" বলিয়া গৃহীত হয় না । ভগবানের প্রসাদ ভগবদ্দাসগণ গ্রহণ করেন। "ভগবানের দাস" বলিয়। যাঁহারা অভিমান করেন না অর্থাৎ গাঁহারা ভূতগুদ্ধির পূর্ব্বেই ভগবানের নৈবেদ্য বা ভোগ্যবস্তুতে লোভ করিয়া বসেন, যাঁহাদের বিচার -"ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য, মাঝে একটা ঠাকুর খাড়া করাইয়া ভগবৎপ্ৰসাদ বলিয়া লোককে ভোগা দিব - ভোগের আগেই 'প্রসাদ' বলিব - এইরূপ কাৰ্য্য দ্বারা সভাস্বরূপ-ভগবান ও ভগবদ্ভক্তকে ফাঁকি দিতে পারিব" - তাঁহারা ভগবান ও ভগবদ্ভক্তের অপ্রাকৃত প্রসাদ লাভে বঞ্চিত। একটী 'বিশেষ-অনুগ্রহ' আর একটী 'বিশেষ-বিশেষ-অনুগ্রহ' । 'বিশেষ-বিশেষ-অম্বুগ্রতে' সকলের ভাগ্য বা শ্রদ্ধা হয় না অর্থাৎ মহামহাপ্রসাদে বিশেষ সৌভাগ্যবান্ ব্যক্তি ব্যতীত অপরের অপ্রাকৃত বুদ্ধির উদয় হয় না। আচাৰ্যবৰ্য শ্রীলগোপালভট্ট গোস্বামীর 'হরিভক্তিবিলাস' নামক বৈষ্ণব-স্থতি-নিবন্ধ গ্রন্থের সহিত মহামহোপাধ্যায় রঘুনন্দন ভট্টাচার্য্যের স্মৃতিনিবন্ধে গভেদ উপস্থিত হইয়াছে । 'একজনের বিচার-সম্মত-বিধি আর একজনের দণ্ডবিধি। একজন বলেন, ঈশ্বরপরায়ণ হইয়া ঈশ্বরসেবার অনুকূল বস্তু গ্রহণ করাই কৰ্ত্তব্য। সর্বদা বিষ্ণুহণই 'বিধি', বিষ্ণুবিস্মরণই 'নিষেধ'। বিষ্ণুস্মৃতির প্রতিকূল কৰ্ত্তব্যগুলি দেশ, সমাজ বা সংসারের কার্য্যনির্ব্বাহের অনুকূল ৮০১ গোড়ায় হইলেও উহাই নিষেধ। আর একজন বলেন, ঈশ্বর কেহ মামুক্ আর নাই মাহুক, দেশজ পদ্ধতি মানিয়া চলাই বিশেষ প্রয়োজনীয় ব্যাপার । Vox populi Vox Dei" - এই ন্যায়ে সাংসারিক-কার্য্য-নিব্বাহের সুবিধা হইলেও তাহাতে সত্যের অপলাপ হইতে পারে। অনেকগুলি লোক বিচারে ভুল কবিয়াছে বলিয়া সকলেই তাহা গ্রহণ করিব' - এইরূপ ন্যায় মনোধস্মিসমাজে আদরণীয় বা প্রচলিত থাকিলেও উহা আত্মবঞ্চনার প্রকার ভেদ মাত্র। বহুপূর্ব্বে জনসাধারণের বিশ্বাস ছিল যে, পৃথিবীর চতুদ্দিকে সূর্য্য পরিভ্রমণ করে--কোন কোন দৃশ্মশাস্ত্রে ও এইরূপ মতই লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। পাশ্চাত্যদেশীয় জনৈক মনীষী যখন সমস্ত লোকের বিশ্বাস ও দৰ্ম্মশাঙ্গের মতের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া সত্য প্রচার করিলেন যে, সূর্যের চতুর্দিকে পৃথিবী পরিমাণ করে, তখন এইরূপ জনসাধারণের মতবিরোধী সত্যকথা প্রচারের ফলে তাঁহাকে জলম্ভ মগ্নিতে দগ্ধীভূত হইয়া প্রাণ পরিত্যাগ করিতে হইয়াছিল। সত্যকথা প্রকাশিত হইবার পূর্ব্বে অনেক সময়ে 'অসত্য' বাধ্য হইয়া গ্রহণ করিতে হয়। কিন্তু সত্যকথা প্রকাশিত হইবার পরে ? "জনপ্রিয়তা"র জন্য 'মমতা'ই গ্রহণ করিব" - এইরূপ বিচার নীতি-বিগঠিত। পারমার্থিককুল বলেন, - ভগবৎ প্রসাদ ব্যতীত অন্য ব্য 'স্থূল'বস্তু হইলে - - 'বিষ্ঠা', 'তরণ' হইলে - 'শুরু'। মহামহোপাধ্যায় ভট্টাচার্য্য দ্রব্যের শুদ্ধাশুদ্ধি বিচার করিয়াছেন, ভগবৎপ্রসাদ হউক আর নাই হউক, তাড়াতে তাঁহার বিশেষ আগ্রহ দেখা যায় না, কিন্তু বৈষ্ণবাচাৰ্যাগণ বলেন, - দ্রব্য শুদ্ধাশুদ্ধির বিচার ভোগোন্মথ, মনের বিচার। শ্রীগৌরসুন্দরের লীলায় পয়ঃপানকারী ব্রহ্মচাৰী, । চৈঃ ভাঃ ২/২৩ ) ভক্তপ্রবর শ্রীধর প্রভৃতির চরিত্রে। চৈঃ ভাঃ ২।২৩) আমরা উক্ত বাক্যের সার্থকতা দেখিতে পাই। ভগবান্কে কে দিতে পাবেন ? আর কে-ই না দিতে পারেন না? শ্রীমদ্ভাগবত (১৮।২৬ ) বলেন "জন্মৈশ্বর্যশ্রুতঐভিরেধমানমদঃ পুমান্ । নৈবার্হত্যমভিসাতুং বৈ ত্বাকিঞ্চন গোচরঃ ॥" ভগবানকে ডাকিয়া ত' গাওয়াইবেন, তাঁকে ডাকৃতেই যে পারে না। এইজন্য শাস্ত্র বলেন, "গৃহীয়াদ বৈষ্ণবাদ জলস্"-- পাচিত অন্ন না পাইলেও বৈষ্ণবের নিকট হইতে অস্ত প্রসাদ জল ও লইতে হইবে। কর্মজন্মার্ত্তের বিচার - জড়ঙ্গগতের শ্রীমদ্ভাগবত (ভাঃ ১০/৮৪/১৩) বলেনবস্তুগত । [ ৪থ খণ্ড মনোধর্মী অসৎকে 'নৎ' ও সৎকে 'অসৎ' ব ি"য়া গ্রহণ করেন। তাঁহার বিচারের 'ভাল' ও 'মন্দ' উভয়ই সমান অর্থাৎ উভয়ই ভ্রমযুক্ত মনোধৰ্ম্ম। একটী গল্প আছে যে, একদ! একজন ব্যবসায়ি গুরু শিষ্যের বাড়ী গমন করিয়াছিলেন। গুরুর ভোজন সমাপ্তির পর শিষ্য গুরুকে একটী হরীতকী প্রদান করিবার জন্য উপস্থিত হইলে গুরু হরীতকীটী ছাড়াইয়া দিবার জন্য শিষ্যকে আদেশ করেন। শিষ্য মহোদয় হরীতকীর উপরের অংশটী 'খোসা' ভাবিয়া উহাকে ছাড়াইয়া গুরুদেবকে হরীতকীর মধ্যভাগ অর্থাৎ কেবল বীজাংশটী প্রদান করিলেন। গুরুমহাশয় হরীতকী ভক্ষণ হইতে বঞ্চিত হইয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন। পরদিন গুরুভক্ত শিষ্যমহোদয় পূর্ব্বদিনের কার্য্যে অনুতপ্ত হইয়া গুরুদেবকে একটা এলাচি প্রদান করিতে আসিলে গুরুদেব দেখিলেন, শিষ্য-পবর এলাচের শ্যটা বাদ দিয়া কেবল খোসাগুলি লইয়া গুরুর নিকট উপস্থিত হইয়াছে ! মনোধর্মীর বিচারও এইরূপ। মনোধৰ্ম্মী বস্তুকে "অবস্তু" বলিয়া পরিত্যাগ করেন, 'অবস্তু'কে "বস্তু" বলিয়া গ্রহণ করেন। "গন্যাত্মবৃদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে স্বধীঃ কলৱাদিমু ভৌমইজ্যধীঃ। যতীর্থবৃদ্ধিঃ সলিলে ন কঠিচি ভ্রুনেষভিজ্ঞেস্ স এস গোখরঃ ॥" এই রূপেই বৈষ্ণবসম্প্ৰদায় ও অবৈষ্ণব সম্প্রদায়ের বিচারপ্রণালীতে পরমার্থ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরমার্থ প্রতিহত হইবার বিচার গৃহীত হইয়াছে বলিয়াই সাম্প্রদায়িক ভেদ উৎপত্তি লাভ করিয়াছে । তবে পারমার্থিক রুবগণের আচরণ দর্শনে "পরমার্থ সতোর বিচার ভ্রমযুক্ত" - এইরূপ বিচার সুষ্ঠু-বিচার-প্রণালী নহে । কোনও বন্ধ আমার দর্শনে আসে নাই বলিয়াই যে তাহার কর্ত্রসত্তাগত অধিষ্ঠানের অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে হইবে, এরূপ নহে । "তাতস্য কৃপঃ" - এই ন্যায়ানুসারে "আমার ঠাকুর দাদা এই কূপের জল পান করিয়াছিলেন, স্নতরাং পঙ্কোদ্ধার না করিয়া আমিও সেই জল পান করিব এবং উক্ত জল পান করিয়া মৃত্যুর করাল করলে আমাকে উৎসর্গ করিয়া মুর্খজন প্রিয়তারূপ বীরত্বের নিদর্শন প্রদর্শন করিব"-এরূপ বিচার বুদ্ধিমানের বিচার নহে। "ধামা চাপার" গল্প অনেকেই জানেন । কোনও গৃহস্থের বাড়ীতে অত্যন্ত বিড়ালের উৎপাত হইয়াছিল। উক্ত গৃহস্থের পুলবিবাহ-বাসরে একটী বিড়াল বিশেষ উৎপাত আরম্ভ করিলে গৃহকর্ত্রী উহার উৎপাত হইতে রক্ষা পাইবার জন্য একটী ধামা দ্বারা উহাকে চাপা দিয়াছিলেন। তাহার দৃষ্টান্তে সেই দেশের গৃহস্থ মাত্রেই বিবাহ-বাসরে "ধামা চাপা"র ব্যবস্থা আরম্ভ করিলেন। এমন কি র্যাহার বাড়ীতে বিড়ালের অসদ্ভাব হইল, তিনি অন্য জায়গা হইতে বিড়াল ভাড়া করিয়া বিধি পালনে সচেষ্ট হইলেন। জনপ্রিয় অনভিজ্ঞ লোকের আচার দেহ ও মনোধর্ম্মের বিচারে বা অবিচারে গ্রহণ করা উচিত নহে। মনোধর্মী ব্যক্তিগণ - ভারবাহী, তাহারা সারগ্রাহী নহেন। ভারবাহীহুত্রে শাস্ত্রের মর্ম্ম অধিগত হওয়া যায় না। 'বিপ্রলিপ্সা' বলিয়া মানবের এক প্রকার দুর্ব্বলতা আছে। 'আমর। জ্ঞানকৃত পাপের জন্যও প্রায়শ্চিত্তাই। কোনও ব্যক্তি ইচ্ছা করেন না যে, তিনি যে যানে আরোহণ করিয়াছেন, তাহাতে চাপা পড়িয়া কেহ মৃত্যুমুখে পতিত হউক্। কিন্তু যদি কেহ তাঁহার গাড়ীর নিম্নে চাপা পড়ে, তাহ! তইলে তাঁহাকে প্রায়শ্চিত্তাই হইতে হয়। "নৈবেগুং জগদীশ্য অন্নপানাদিকঞ্চ যৎ। ভক্ষ্যাভক্ষ্যবিচারশ্চ নাস্তি তদ্ভক্ষণে দ্বিজাঃ॥" ( হঃ ভঃ বিঃ ৯ম বিঃ ১৩৪ সংখ্যা ধৃত বৃঃ বিঃ পুঃ বাক্য ) - মহামহোপাধ্যায় শ্রীরঘুনন্দন তাঁহার গ্রন্থের এই বাক্যটী উদ্ধার করিয়া ইহা "বৈষ্ণবপর" বলিয়া উক্তি করিয়াছেন । অপ্রসাদের উপর যে বিচার-প্রণালী দেওয়া হইয়াছে, তাহা যদি প্রসাদের উপরও গ্রহণ করি, তাহা হইলেই আমরা প্রায়শ্চিত্তাই । একটী বিশিষ্ট ব্রাহ্মণের কাছে শুনিয়াছি যে, জনৈক ব্রাহ্মণ-তনয় মহাপ্রসাদ গ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া তাঁহাকে তাঁহার পিতৃদেব 'চান্দ্রায়ণ ব্রত' করাইয়াছিলেন। ঐরূপ প্রায়শ্চিত্ত করিবার ফলে উক্ত ব্রাহ্মণকুমারের কুক্কুট ভোজনের স্পৃহা বলবর্তী হয় এবং তিনি রাজধানীর বিলাসভোজনাগারে - কুক্কুট ভোজনে অত্যন্ত অনুরক্ত হইয়া
pdf
1ae57ac64941edc9f42c2850c6ca8bde98e8d63f
মাস্ক পরা, অত্যধিক ভিড়ে পারতপক্ষে না যাওয়া, বার বার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি বিধিগুলি আবার ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জ্বর, সর্দি-কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক শিশুর। বাচ্চাদের হাসপাতালে ভর্তির পর এ বার করোনার পরীক্ষা আরটি পিসিআর টেস্ট করা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতার সরকারি-বেসরকারি, প্রায় সমস্ত হাসপাতালই অসুস্থ শিশুদের ভিড়ে পরিপূর্ণ। অসুস্থতার কারণ কি শুধুই অ্যাডিনোভাইরাস? না কি, এর পেছনে আরও কোনও গুরুতর রোগ রয়েছে? এই নিয়ে কোনও স্থির প্রমাণ না মেলায় এবার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরা, অত্যধিক ভিড়ে পারতপক্ষে না যাওয়া, বার বার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি বিধিগুলি আবার ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে যেসমস্ত শিশু এখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তাদের ফুস্ফুস অতি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে মত চিকিৎসকদের। ভাইরাসের সংক্রমণে এই অসুস্থতার ঘটনায় খুবই উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অসুস্থ শিশুদের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকা জারি করেছে যে, প্রত্যেক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটরগুলি সচল আছে কি না, তা বারবার পরীক্ষা করতে হবে। অক্সিজেন সরবরাহ, অক্সিজেন প্লান্ট-সহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে। প্রত্যেকটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা রাখতে হবে, পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে জায়গা না থাকলে স্ত্রীরোগের মেডিসিন ওয়ার্ডে শিশুদের শয্যার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। 'অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন' (এআরআই), 'ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস' (আইএলআই) অর্থাৎ, ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার মতো উপসর্গ থাকলে এবং 'সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন'-এ (এসএআরআই) আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে আরটি পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, করোনার সঙ্গে অন্যান্য সংক্রমণও থাকতে পারে। শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগলেই মনে করা হচ্ছে তারা অ্যাডিনো বা অন্য কোনও ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। সেই অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। হতেই পারে যে, তারা কেউ কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, আবার কারোর শরীরে অ্যাডিনো আর কোভিড-১৯, দু'টো ভাইরাসেরই একসঙ্গে আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সেজন্যই করোনা পরীক্ষা করা আবশ্যিক। ভাইরোলজিস্টদের মতে, অ্যাডিনোভাইরাসের সবচেয়ে ক্ষতিকর সেরোটাইপের (অ্যাডিনো-৭) সঙ্গে কোভিডের ভাইরাস সার্স কোভ-২ এর যথেষ্ট মিল রয়েছে। দুটোই শ্বাসনালি ও ফুসফুসের কোষে প্রদাহ সৃষ্টি করে। নিউট্রোফিল, বেসোফিল, ম্যাক্রোফ্যাজের মতো প্রতিরোধী কোষগুলি এক জায়গায় জড়ো হয়ে শরীরে প্রদাহ তৈরি করে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক করে তোলে। শুক্রবার কতটা বদলে গেল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, ভারতের কোন শহরে কত হল লেটেস্ট দর? হু হু করে বেড়ে চলেছে কলকাতার তাপমাত্রা, বাতাসে জলীয় বাষ্পের জেরে কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?
web
4a3c0494f9193507e0048d5a9e64241806e04476
প্রতিবারের মত এবারের ঈদেও দর্শক মাতাতে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। সাতদিনের ঈদ আয়োজনে বাংলাভিশনে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক 'পলিসি কাশেম'। নাটকটিতে জাহিদ হাসানের বিপরিতে রয়েছেন অভিনেত্রী তিশা। নাট্যকার পলাশ মাহবুবের লেখা এই নাটকটি পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। জাহিদ-তিশা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন- আমীরুল হক চৌধুরী, কচি খন্দকার, 'মীরাক্কেল' খ্যাত জামিল, সুজাত শিমুলসহ অনেকে। সাত পর্বের ধারাবাহিকটি ঈদের দিন থেকে ঈদের সপ্তম দিন পর্যন্ত রাত ৮টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে।
web
930aa870ec076e626c429a0ce3bdeb6d
শেষরক্ষা হয়নি। তীরে এসেও ডুবেছে তরী। তবু চন্দ্রযান ২ লিখে গিয়েছে গর্বের ইতিহাস। দুটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে ইসরো। একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছে একটি। এতিদন চন্দ্রাভিযানে চাঁদের উত্তর মেরু আর বিষুবরেখা ঘিরেই ছিল যত তৎপরতা। কিন্তু চন্দ্রযান গিয়েছে চাঁদের উল্টো পিঠে, দক্ষিণ মেরুতে। এতদিন যেখানে কেউ যেতে পারেনি। সেখানে একটি রোভারকে ধীরে নামানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। এতাবৎ আমেরিকা, চিন আর রাশিয়া, মাত্র তিনটি দেশ যা করতে পেরেছে। এর আগে চন্দ্রযান-১ ২০০৮ সালেও পৌঁছেছিল সেখানে। তবে সেবার সফট নয়, হয়েছিল হার্ড ল্যান্ডিং। এবারও শেষপর্যন্ত ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের পিঠে নামল বটে, তবে তা বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনামাফিক নয়। মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপর থেকে তার সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। তার নামাটা ঠিকঠাক হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি এখনও। এখন পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তা হল, বিক্রম আস্ত রয়েছে। তবে বেঁকানো অবস্থায়। গোটা চন্দ্রাভিযান নিখুঁত কাজ করেছে অরবিটার। বস্তুত অরবিটার কাজ করে চলেছে এখনও। ঘটনাচক্রে এটা ইসরোর ৫০ বছর। এই পাঁচদশকে ইসোরর মহাকাশবিজ্ঞানীরা একের পর এক সাফল্য ছুঁয়েছেন। গর্বিত করেছেন দেশবাসীকে। তাঁদের প্রথম সাফল্য ছিল আর্যভট্ট। ৩৬০ কেজির এই উপগ্রহ উৎক্ষেপনে সাহায্য নিতে হয়েছিল রাশিয়ার। দিনটা ১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল। মাত্র ৬ মাসের আয়ুর এই উপগ্রহই ভারতের চোখে বিশাল স্বপ্ন তৈরি করে দিয়েছিল, আমরাও পারি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ইসরো মহাকাশে উৎক্ষেপন করেছে ১০৫টি উপগ্রহ। নিজেদের উৎক্ষেপন ব্যবস্থা। সেকান থেকেই উৎক্ষেপন করেছে ৭৫ বার। দুবার পৌঁছেছে চাঁদে। এমনকী, মঙ্গলেও পাঠিয়েছে নিজেদের তৈরি মঙ্গলযান। সেখানেই শেষ নয়, অন্য ৩৩টি দেশের ২৯৭টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরোই। তৈরি করে দিয়েছে ১০টি স্যাটেলাইট। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, যে ৭৫টি উৎক্ষেপন করেছে ইসরো, তার মধ্যে মাত্র ৮টি ব্যর্থ হয়েছে। সফল উৎক্ষেপনের পরেও কক্ষচ্যুত হয় ২টি উপগ্রহ। ইসরোর পরের লক্ষ্য মিশন গগনায়ণ। ২০২২ সালে তিন মহাকাশচারীকে নিয়ে মহাকাশে যাবে ইসরোর মহাকাশযান।
web
e5d259efd8759194aa038fcf5ac24f45237644a0
স্পোর্টস রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সর্বশেষ ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদকে শেষ পর্যন্ত অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রোববার ফেডারেশনের পাঁচ সহ-সভাপতি এবং এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফকে নিয়ে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেন ফেডারেশনের সভাপতি বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। এক বছর আগে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকেই আত্মগোপনে ওই সময়ের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি মমিনুল হক সাঈদ। ওই অভিযানের পর থেকেই মমিনুল হক সাঈদের নাম হয়ে যায় 'ক্যাসিনো সাঈদ'। গত বছরের ৬ মে নির্বাচিত নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছিল। এরপর গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফেডারেশনের কার্যক্রমে অনুপস্থিত ফকিরেরপুল-আরামবাগ এলাকার সাবেক এ ওয়ার্ড কমিশনার। ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা টানা তিনটি নির্বাহী কমিটির সভায় অনুপস্থিত এবং অনুমতি ছাড়া ছয় মাসের বেশি বিদেশে অবস্থান করলে তিনি পদ হারাবেন। মমিনুল হক সাঈদ চারটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ফেডারেশনের কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকায় তাকে অবস্থান জানাতে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মমিনুল হক সাঈদ চিঠির জবাবে উল্টো আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন ফেডারেশনকে। তারপর থেকে এটা অনুমেয় ছিল যে, নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দিতে যাচ্ছে ফেডারেশন। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাহী কমিটির সভা। সেই সভায় সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি কমিটির সবাইকে অবহিত করবেন সভাপতি। আপাতত মমিনুল হক সাঈদকে চিঠি দিয়ে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সহসভাপতি আব্দুর রশিদ শিকদার।
web
808259df766496c8c74ce128a197dabdfead29f4
আপনিও কী ভুলে গিয়েছেন আপনার আধার কার্ডে কোন মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে । এবার আপনি মাত্র ২ মিনিটেই জেনে যাবেন কোন মোবাইল নম্বর রেজিস্টার্ড করা রয়েছে । বর্তমানে একাধিক কাজের জন্য আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক । ফলে কোন ফোন নম্বর রেজিস্টার্ড রয়েছে সেটা জেনে রাখা বেশ জরুরি । কোন ফোন নম্বর রেজিস্টার্ড রয়েছে দেখে নিন এইভাবে- UIDAI এর ওয়েবসাইট https://uidai. gov. in/ লগইন করতে হবে এই ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডে একাধিক ক্যাটাগরি রয়েছে এখানে My Aadhar ক্যাটাগরিতে যেতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে Aadhar Services অপশন থাকবে এই অপশনে ক্লিক করার পর Verify Email/Mobile Number এর একটি নতুন উইন্ডো খুলে যাবে এই উইন্ডোতে আপনার আধার নম্বর ও নীচের বক্সে মোবাইল নম্বর এন্টার করতে হবে এরপর ক্যাপচা কোড দিয়ে ওটিপি জেনারেট করতে হবে । আপনার নম্বর প্রথম থেকে রেজিস্টার্ড থাকলে মেসেজ আসবে The Mobile you have entered already verified with our records । অর্থাত্ আপনার নম্বর আধারের সঙ্গে রেজিস্টার্ড রয়েছে । আর যদি মোবাইল নম্বর আগে থেকে রেজিস্টার্ড না থাকে তাহলে The Mobile number you had entered does not match with our records এই মেসেজ আসবে । অর্থাত্ অন্য কোনও মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা রয়েছে । মোবাইল নম্বরের মতো ই-মেল আইডি চেক করার জন্যেও এই পদ্ধতি ফলো করতে হবে । UIDAI এর তরফে নতুন আধার কার্ড জারি করা হয়ে থাকে ।
web
e2adf3bf65af1c55f3d25e5951dd78b00c655d96
গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় প্রোমো অফার নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের প্রোমো অফারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলো ক্রয়ে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট নিতে পারবেন। হুয়াওয়ের এ অফারের আওতায় হুয়াওয়ে ওয়াই৭ প্রাইম, এর নিয়মিত দাম ১৯,৯০০ টাকার পরিবর্তে পাওয়া যাবে ১৭,৯০০ টাকায়। জনপ্রিয় হুয়াওয়ে জিআর৩ ২০১৭ এখন পাওয়া যাবে মাত্র ১৭,৯০০ টাকায়। এমনিতে যার বাজারমূল্য ১৯,৯০০ টাকা। ১৬,৯০০ টাকা মূল্যের হুয়াওয়ে ওয়াই৬ টু প্রাইম, এ অফারের আওতায় পাওয়া যাবে মাত্র ১৪,৯০০ টাকায়। হুয়াওয়ে ওয়াই৫ ২০১৭ থ্রিজি ফোনটি এর নিয়মিত দাম ১০,৪৯০ টাকার পরিবর্তে পাওয়া যাবে মাত্র ৯,৯৯০ টাকায়। স্টাইলিশ ডিজাইন ও মাল্টি টাস্কিং ফিচারের জন্য তরুণদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফোন হুয়াওয়ে ওয়াই৩ ২০১৭, এর দাম এ অফারের কারণে ৭,৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাওয়া যাবে মাত্র ৭,৫৯০ টাকায়। যাদের সময় কাটে অত্যন্ত কর্মব্যস্ততায়, তাদের জন্য হুয়াওয়ে ওয়াই৭ প্রাইম স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সাথে স্মার্ট পাওয়ার সেভিং প্রযুক্তি। আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক নকশায় সজ্জিত হুয়াওয়ে জিআর৩ ২০১৭ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৩ জিবি র্যাম ও ১৬ জিবি রম যেটা বাড়ানো যাবে ১২৮ জিবি পর্যন্ত। উচ্চ মানসম্পন্ন দারুণ ছবি ও সেলফির জন্য ফোনটির পেছনে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। হুয়াওয়ে ওয়াই৬ ২ প্রাইম ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড মার্শম্যালো ৬. ০, সাথে আছে হাই-সিলিকন কিরিন ৬২০ চিপসেট এবং ১. ২ গিগাহাটর্জ অক্টাকোর প্রসেসর। ফোনটিতে রয়েছে ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম। যেটা বাড়ানো যাবে ১২৮ জিবি পর্যন্ত। হুয়াওয়ে ওয়াই৫ ২০১৭ থ্রিজি ফোনটিতে চমৎকার ছবির জন্য রয়েছে ক্যামেরার সাথে সংযুক্ত এলইডি ফ্ল্যাশ। এ ফোনটির পেছনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সামনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ সংযুক্ত ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। হুয়াওয়ে ওয়াই৩ ২০১৭ ফোনটিতে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য রয়েছে ১ জিবি র্যাম এবং সাথে আছে ৮ জিবি রম ও কোয়াড কোর প্রসেসর। ফোনটির ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে দিচ্ছে সূর্যের আলোতে সর্বোচ্চ দৃশ্যমানতা। এ ফোনটিতে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সলের ব্যাক ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। হুয়াওয়ে প্রোমো অফারের আওতায় ক্রেতারা দেশের ৬৪ জেলায় হুয়াওয়ের যেকোন ব্র্যান্ড শপ এবং নিবন্ধিত মোবাইল আউটলেট থেকে ওয়াই৭ প্রাইম, হুয়াওয়ে জিআর৩ ২০১৭, ওয়াই৬ টু প্রাইম, ওয়াই৫ ২০১৭ থ্রিজি এবং ওয়াই৩ ২০১৭ বিশেষ ছাড়ে কিনতে পারবেন। ক্রেতাদের জন্য হুয়াওয়ের আকর্ষণীয় প্রোমো অফারের মেয়াদ থাকছে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত। কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
web
dc9fec214018fcc18b91e9f20552a8db4203be7d
হাবিবুর রহমান, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের রামুতে শুক্রুবার সকালে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা লামার পাড়া ৯নং ওয়ার্ডে আধারমানিকের সামনে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই পথচারীরা। সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে স্থানীয় লোকজন তাদের দৈনিক কাজের জন্য বের হলে এই লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন। নিহত যুবকের নাম হাবিব উল্লাহ(২৫ )তাকে অনেকেই ফজর আলি নামেও চিনেন। সে উখিয়ারঘোনা লামারপাড়া নুরুল ইসলামের ২য় পুত্র। একটি মামলায় সে দীর্ঘ ২ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আসার দুই সপ্তার মধ্যেই এঘটনা ঘটেছে। একইদিন পৃথকস্থানে সকাল ১০ টার দিকে একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের লট উখিয়ারঘোনা এলাকার হাফেজ আহমদের পুত্র আব্দুল করিম ৩২ পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্নহত্যা করেন বলে জানা যায়। রামু থানা পুলিশকে অবহিত করলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ গুলো উদ্ধার করেন বলে জানা যায়। জানা যায়, ভোর সকালে কাজের উদেশ্যে বের হলে রাস্তার ধারে নিহত হাবিব উল্লাহর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। লাশের মুখে এতো পরিমাণ আঘাত যে তাকে চিনতেই কস্ট হচ্ছিলো। মুখ একেবারেই ক্ষতবিক্ষত। তার শরীরের ভিতরের কিছুটা অংশও মাঠিতে পড়ে রয়েছে। নিথর হয়ে পড়ে থাকা মাথার চারপাশেই বইছিলো রক্তের স্রোত। ধারণা করা হচ্ছে গভীর রাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন জানান,আমরা লাশ দুটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন প্রেরণ করেছি,আমাদের সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে,ক্লো উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
web
d302782f569c1f23cf44b1b5a5e39e0c6524128d
স্পোর্টস রিপোর্টার : হেড কোচের পরীক্ষা দিতে গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রিচার্ড পাইবাস। সাক্ষাৎকারে টাইগারদের নিয়ে তিনি ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যা সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। পাপন আকৃষ্ট হয়েছেন বটে কিন্তু তাকে চূড়ান্ত করেননি। কেননা আরও দুই কোচকে পরখ করে দেখা বাকি আছে। এ দু'জনের একজন ক্যারিবীয় ফিল সিমন্স এবং অপরজন জিওফ মার্শ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছান ৫৩ বছর বয়সী ইংলিশ বংশোদ্ভূত আফ্রিকান কোচ পাইবাস। আগামী ৯ ডিসেম্বর আসবেন ফিল সিমন্স। তার আগে আরেকজন আসার কথা জানালেন পাপন। কিন্তু তিনি কে তা স্পষ্ট বলেননি। যেহেতু জিওফ মার্শ সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন তাই ধরেই নেয়া যায়, তিনিই সেই কোচ প্রার্থী যিনি সিমন্সের আগেই পরীক্ষা দিতে আসবেন। তাদের সাথে সাক্ষাৎকারের পরে ১০ ডিসেম্বরের বোর্ড সভায় হয়তো কোচের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। পাপনের কথায়, ৯ তারিখে আসবে ফিল সিমন্স। তার আগেও একজন আসার কথা। তার নাম এখন বলছি না। কারণ, যেহেতু এখনও তারিখ ঠিক হয়নি, তেমন নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। আরও কয়েক জনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাদের এর মাঝেই আসতে হবে। ১০ তারিখে আমাদের যে বোর্ড মিটিং আছে সেখানে আমরা মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাচ্ছি। কী হবে বিসিবি'র সেই সিদ্ধান্ত? ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন, পাইবাসই হচ্ছেন বিদায়ী চন্ডিকা হাথুরুসিংহের উত্তরসূরি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুধুই তো আর সাক্ষাৎকার দিতে তিনি এতদূর উড়ে আসেননি। পাইবাস আগেও একবার বাংলাদেশে কাজ করে গেছেন। ২০১২ সালে স্টুয়ার্ট ল'র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, বিসিবির সঙ্গে তিক্ততায় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যেতে পারেননি। মাত্র সাড়ে চার মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ হয়ে যায় তার।
web
de1c04231133ae0a0bf3c9f96858a237
অনলাইন ডেস্ক : রসুন নিঃসন্দেহে একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। রসুনের মধ্যে রয়েছে সালফার উপাদান। এই উপাদানটি অ্যালাইসিন নামেও পরিচিত।এটি প্যাথোজেনেটিক ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, প্যারাসাইট, ছত্রাকের সংক্রমণ, ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, রসুন প্রায় ১৫০টির মতো দীর্ঘমেয়াদে রোগ কমাতে উপকারী। রসুন প্রতিরোধ করতে পারে এমন কিছু অসুখের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট কিং ডেমিক। ১. রসুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ২. এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৩. ভাসকুলার প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করে। ৪. শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। ৫. রসুন হৃদপিণ্ডের পেশি ভালো রাখতে উপকারী। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। ৬. আর্টারির কার্যক্রম ভালো রাখে। ঘুমানোর আগে দুটি রসুনের কোয়া কুচি করে নিন। কিছুক্ষণ একে রেখে দিন অ্যালাইসিন নামক উপাদানটি উদ্দীপ্ত হওয়ার জন্য। এর পর রসুন কুচিকে পানি দিয়ে গিলে খান।
web
01ac71de5da70c90df5236898dcd452d52432380
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ সরকারি আমলা ও বিচারপতিদের মামলার হাত থেকে বাঁচাতে অধ্যাদেশ আনল রাজস্থান সরকার। এই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় সরকারি বাবু ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। এমনকি আদালতও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিতে পারবে না। প্রকাশ করা যাবে না অভিযুক্ত বাবুদের নাম ও ছবি। গত ৭ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশটি তৈরি হয়। রাজস্থানে আসন্ন বিধানসভার অধিবেশনে তা নিয়ে আলোচনা হবে। ফৌজদারি আইন অর্ডিন্যান্সে ফৌজদারি প্রক্রিয়া ধারা ১৫৬-কে সংশোধন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোনও বিচারপতি বা ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিরত আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিতে পারবেন না। চাকরি ছাড়ার পরই তা সম্ভব হবে। কোনও মামলায় অভিযুক্ত আমলা বা বিচারপতির ছবি ও নাম প্রকাশ করা যাবে না। আইন ভাঙলে জরিমানা অথবা ২ বছরের হাজতবাস করতে হতে পারে। আইনজ্ঞরা বলছেন, এই অধ্যাদেশে আইনে পরিণত হলে সাধারণ মানুষের সুবিচার পাওয়ার অধিকার চলে যাবে। দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন না তাঁরা। পাশাপাশি ছবি ও নাম প্রকাশ বাধা দেওয়ার অর্থ সংবাদমাধ্যমও খবর করতে পারবে না। এটা তো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরকারি আমলাদের সমালোচনা করার অধিকার থাকবে না। সরকারি তদন্তকারী সংস্থারাই আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে, সেক্ষেত্রে বছর খানেক লেগে যায় আইনিপ্রক্রিয়া সারতে। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ৬ মাস পেরিয়ে গেলে আমলারা অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন। দুর্নীতিকেই কার্যত প্রশয় দেওয়ার বন্দোবস্ত করছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে, মত আইনজ্ঞদের।
web
4265110c8de8cd5882569a529537f2ce1a8920ed8695aa167959b5c74f3739d8
শ্যামাপ্রসাদ ও সুভাষচন্দ্র ঃ জহরলাল নেহরুর ক্ষমতা লালসার শিকার ১৯৫৩ সালের ২৩শে জুন যে ভয়ংকর রহস্যজনকভাবে ডঃ শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু ঘটান হল, তার তদন্তের দাবী করেছিলেন বৃদ্ধা জননী যোগমায়া দেবী। কিন্তু সচেতন অপরাধীর হৃদয় কেমন করে সেই ন্যায্য দাবী মেনে নেবে? তাঁর এই বর্বর হৃদয়হীনতাই প্রমাণ করে যে তিনি ও শেখ আব্দুল্লা এক জঘন্য ষড়যন্ত্র করে এক পরম সম্ভাবনাময় মহান্ নেতাকে বেঁচে থাকতে দেননি। ইতিহাস তাঁদের এই হীন চক্রান্তকে কোন দিন ক্ষমা করবে না। নেতাজী সুভাষচন্দ্র ও শ্যামাপ্রসাদ। বাংলা মায়ের দুই নয়ন মণি। ভারত মাতার কণ্ঠ হারের দুটি শ্রেষ্ঠ মণি। দেশের জন্য দু'জনই জীবন দিয়ে গেলেন, একজন স্বদেশে, আরেকজন বিদেশে। কিন্তু দু' জনের অকালে জীবনদীপ নির্বানের সঙ্গেই নেহরু প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। একজনের মৃত্যুর কারণ, স্থান ও কাল উদ্ঘাটন করতে নয়, চাপা দিতে একেএকে তিনটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। আরেকজনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সারা দেশব্যাপী দাবী উঠলেও নেহরুজী তাতে রাজী হননি। কারণ, বিচারকর্তা নিজেই যে আসামীর কাঠগড়ায়। যা হোক, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকে তাঁর মৃত্যু কাল পর্যন্ত সারা দেশে সঙ্ঘটিত রাজনৈতিক ঘটনাবলী এবং তাতে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার নিম্নরূপ সার সংক্ষেপ করা যায় শ্যামাপ্রসাদ ও বঙ্গ-বিভাগ ; বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষায় শ্যামাপ্রসাদ ১৯৪০ সালে মুসলিম লিগ লাহোর অধিবেশনে দেশভাগের দাবি তোলে । মন্ত্রণাদাতা অবশ্যই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা। কমিউনিস্টরা দুহাত তুলে জিন্নার দাবি সমর্থন করল - "The Pakistan is a just progressive and national demand." এই দাবির সূদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করার দূরদর্শিতা তৎকালীন কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ছিলই না। তখন সুভাষচন্দ্রকে দল থেকে তাড়িয়ে কংগ্রেসি বৃদ্ধের দল আত্মপ্রসাদে মশগুল। আরেক দল পূর্বাপর বিবেচনা না করে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করার দরুণ মনমরা। মুসলিম লিগের বিভাজন নীতির বিষময় পরিণতি অনুধাবন করার মতো মানসিকতাই তাদের ছিল না। একমাত্র শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বাধীন হিন্দু মহাসভাই ১৯৪০ সালেই মুসলিম লিগের লাহোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। ঢাকার মিউনিসিপাল ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় শ্যামাপ্রসাদ দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য ডাক দিয়েছিলেন। ১৯৪০-৪৩ সালে অমৃতসর, লায়ালপুর, মহাকোশল, বিলাসপুর ভাগলপুর, লক্ষ্ণৌ প্রভৃতি স্থানে অনুষ্ঠিত হিন্দু মহাসভার বিভিন্ন সম্মেলনে পাকিস্তান প্রস্তাবের অযৌক্তিকতা নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ নিপুণ বিশ্লেষণ করেন। ব্রিটিশগোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে তার সাক্ষ্য মেলে - "It was only the Hindu Mahasabha...which reacted sharply against Pakistan." এই ডামাডোলে ১৯৪৩ সালে মাদ্রাজের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাজা গোপালাচারী ভারত বিভাগের পরিকল্পনা পেশ করেন। গান্ধী প্রকারান্তরে সি আর ফর্মুলাতেই সম্মতি জানান। ১৯৪৪ সালে জেল থেকে বেরিয়েই তিনি অযাচিতভাবে জিন্নার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ছুটলেন। শ্যামাপ্রসাদ প্রমাদ গুনলেন। তিনি জানতেন, গান্ধীজি জিন্নার কাছে গিয়ে অপমানজনক শর্তে আত্মসমর্পণ করবেন। কার্যত ঘটেছিল তাই। শ্যামাপ্রসাদ তাঁকে বলেছিলেন তিনি যেন লিগের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য না করেন। এবং প্রয়োজন হলে তিনি গান্ধীজির বিরুদ্ধেও জনমত গঠন করবেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারি গোপন রিপোর্টে বলা হয়েছেঃ - It seems clear that Dr. Shyama Prasad Mukherjee puts his case very strongly to Gandhi and did not mince matters. Former is the most determined character who will stick at nothing and I shall say he will get a good deal of support from many Congressmen, especially in Bengal." ১৯৪৪ সালের ১৯ জুলাই শ্যামাপ্রসাদ গান্ধীজিকে এক পত্রে লেখেন - "সত্যি কথা বলতে কি রাজা গোপালচারী জিন্নার কাছে যে সূত্র ( Formula) দিয়েছেন, তাতে আমি বিচলিত হয়ে পড়েছি। আমরা হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধানে আগ্রহী। কিন্তু গোপালাচারী যেভাবে বিষয়টির ইতি টানতে চাইছেন আমরা তাঁর সাথে একমত নই।.... আমরা আপনাকে কংগ্রেস থেকে আলাদা মনে করি, কিন্তু এ বিষয়ে আপনার অঙ্গীকার আমাদের প্রচণ্ড অস্বস্তিরমধ্যে ফেলেছে।" কিন্তু এসব হিতকথা শোনার মতো মানসিক অবস্থা তখন গান্ধীজি বা কংগ্রেস নেতাদের ছিল না। নেতাজি সুভাষচন্দ্র এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের ভয়ে ভীত কংগ্রেস নেতারা যে কোনও শর্তে মুসলিম লিগের সঙ্গে মিটমাট করে সুভাষচন্দ্রের ভারতে আগমনের আগেই দিল্লির গদিতে বসে পড়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ক্ষুব্ধ দুঃখিত শ্যামাপ্রসাদ বেদনাহত হৃদয়ে তাঁর রোজনামচায় লিখলেনঃ১০৪ "মুসলিম লীগের শক্তি শুধু ইংরেজ তোষনে বাড়েনি কংগ্রেস ও তার নেতৃবৃন্দ অনেক সময় লীগের অন্যায় আবদার সহ্য করেছেন,তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, জিন্নার পায়ের তলায় গান্ধীজি প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা লুটিয়ে পড়েছেন। এই সর্বনাশা তোষণ নীতির ফলে লিগের শক্তি আরও বেড়েছে। ....কংগ্রেস একটা খুব বড় ধাপ্পার আশ্রয় নিয়েছিল। মুখে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা "Self-determination for territorial unity" মানতে প্রস্তুত এবং কাউকে তারা জোর করে ভারতে রাখতে চায় না।.... কংগ্রেস আত্মনিয়ন্ত্রণ হিসেবে পুরো Sind, N. W.F., আধা পাঞ্জাব এবং Bengal দিতে রাজী - আমরা এর ঘোর প্রতিবাদ করি। কারণ তা হলে দেশ যে টুকরো করা যাবে - এটা মেনে নেওয়া হল।" দেখা যাচ্ছে যে, বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে কংগ্রেসের কোনও মাথাব্যথা নেই। গান্ধীজি সমেত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ পুরো বাংলা পাকিস্তানে গেলেও তজ্জন্য উদ্বিগ্ন নন। বরং আপদ বিদায় হলেই তারা বাঁচেন। ৬ জানুয়ারি ১৯৪৬ কংগ্রেসের তরফ থেকে কেবিনেট মিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে যে মন্তব্য করা হয়েছিল সেখানে অসম, সীমান্ত প্রদেশ এবং শিখদের প্রসঙ্গ থাকলেও বাংলার ৪৫% হিন্দুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা নীরব। এর পরেই ঘটল কলকাতা ও নোয়াখালির প্রলয়ঙ্কর দাঙ্গা। হিন্দুর ধনপ্রাণ গেল, নারীজাতির মান ইজ্জত গেল। ধূর্ত মাউন্টব্যাটনের দূতিয়ালি ও কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমতা লোলুপতা দেখে শ্যামাপ্রসাদ আঁচ করতে পেরেছিলেন দেশভাগ হচ্ছেই। দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক দাঙ্গা শুরু হবে বাংলা ও পাঞ্জাবে। এ সম্পর্কে তিনি নিঃসন্দেহ হলেন। তাই তিনি দাবি করলেন, দেশভাগ হলে বাংলা এবং পাঞ্জাবও ভাগ করতে হবে। জিন্না বঙ্গবিভাগ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন - "What is the use of Bengal without Calcutta? সুরাবর্দি বলেছিলেন বাংলা ভাগ হতে দেওয়া চলবে না। তাঁকে মদত দেন গভর্নর ফ্রেডেরিক ব্যারোজ, সহযোগী হলেন কমিউনিস্ট পার্টি ও তফসিলি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ - মুখ্যত যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল। ১৫ মার্চ ১৯৪৭ সালে শ্যামাপ্রসাদ কলকাতায় এক সম্মেলন আহ্বান করেন। এই সম্মেলনে বাঙালি হিন্দুদের জন্য আলাদা হোমল্যান্ডের দাবি করে বাংলাভাগের প্রস্তাব নেওয়া হল । ওই সভায় বিশিষ্ট বাঙালিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডঃ মাখনলাল রায়চৌধুরী, ভাষাতত্ত্ববিদ ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বাঙালি ভদ্রসমাজ যে বর্বর মুসলিম লিগ শাসনে বাস করতে অনিচ্ছুক বক্তারা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা ঘোষণা করেন। শ্যামাপ্রসাদ বাংলা ভাগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, পূর্ব অভিজ্ঞতায় এটা পরিষ্কার প্রমাণিত হয়েছে পাকিস্তানে হিন্দুরা সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। সেই জন্য তাদের আলাদা হোমল্যান্ড তৈরি না হলে অত্যাচারিত হয়ে তারা অন্য কোথাও আশ্রয়ের অধিকার দাবি করতে পারবে না। শ্যামাপ্রসাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন ডঃ মেঘনাদ সাহা, ডঃ যদুনাথ সরকারের মতো মহান বাঙালিরাও। কংগ্রেসের বহু সমর্থক এবং নিচুতলার কর্মীরা শ্যামাপ্রসাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন। গান্ধীজী কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন - Condemn the movement of which Syama Prosad Mukherjee and Hindu Mahasabha are chief protagonists." বঙ্গবিভাগ অনিবার্য দেখে আসরে নামলেন লিগ নেতা, কলকাতার দাঙ্গার নায়ক সুরাবর্দি। তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন কংগ্রেসের কাছে অবাঞ্ছিত শরৎচন্দ্র বসু। সুরাবর্দি প্রস্তাব দিলেন বঙ্গভঙ্গ না করে বাংলা হোক "An independent undivided sovereign Bengal in divided India." হিন্দুরা সুরাবর্দির ভালমানুষিতে ভুলল না। তাঁর শাসনকালে ব্রিটিশের অধীনে বাংলার হিন্দুদের যে দুর্দশা ঘটেছে, ব্রিটিশের অবর্তমানে ভারতের বাইরে সেই সুরাবর্দির মতো লোকেদের শাসনে হিন্দুদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ সহজেই অনুমেয়। তা ছাড়া সুরাবর্দির মতলবও ভাল ছিল না। দিল্লিতে যখন সাংবাদিকরা সুরাবর্দিকে জিজ্ঞাসা করে যে ইংরেজ চলে যাওয়ার পর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাকিস্তানে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নেবে না তো? তখন সুরাবর্দি কোনও জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকেন। তিনি চেয়েছিলেন আগে স্বাধীন বাংলা হোক, পরে ছলে বলে কৌশলে তাকে পাকিস্তানে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল ১৯৪৭ তারিখে তারকেশ্বরে Bengal Partion Convention শুরু হয়। শ্যামাপ্রসাদ এই সম্মেলনে বলেন বাংলা ভাগ করা ছাড়া হিন্দু বাঙালির বাঁচার কোনও উপায় নেই। এটা হল বাঙালির জীবন-মরণের প্রশ্ন "It is a question of life and death for us, the Bengalee Hindus, .... We want our homeland and we shall have it-let this be our motto. Now or Never-let this be our slogan." ১৯৪৬ এর ১৬ আগস্ট মুসলিম লিগের ডাকা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম (Direct Action) এর সমর্থনে কমিউনিস্টরা পথে নেমেছে, গান্ধীবাদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা কংগ্রেসিরা অহিংসার মাহাত্ম্য কীর্তন করছে। নেহরু দিল্লিতে সরকার গঠনে ব্যস্ত। গান্ধীজি হিন্দু মন্দিরে কোরান পাঠ করছেন, আর এই সুযোগে মুসলিম লিগের গুণ্ডাবাহিনী 'কাফের' হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদে নেমেছে। তখন লিগের আক্রমণ প্রতিহত করতে এগিয়ে এসেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। আর কোনও দল বা নেতার টিকি সেদিন দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত ডায়েরিতে শ্যামাপ্রসাদ লিখেছিলেন - "Force must in the last analysis be met with force. An iternal policy of non-resisteance to armed violence would eventually condemn any society to dissolution." সেদিন 'যেমন কুকুর তেমন মুগুর' নীতি ছাড়া কলকাতার হিন্দুর আর বাঁচার পথ ছিল না। সুতরাং বাংলা ভাগের পক্ষে জনমত গঠনে শ্যামাপ্রসাদের অগ্রণী ভূমিকার কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। শেষ পর্যন্ত এমন দাঁড়াল যে জনমতের চাপে পড়ে দুই কংগ্রেস, নেতা ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় ও কিরণশঙ্কর রায় শ্যামাপ্রসাদকে জানালেন, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিকে তাঁরা বঙ্গবিভাগের দাবি মেনে নিতে বলবেন। তাঁরা তা করেও ছিলেন। ফলে পঃবঃ সৃষ্টির নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে শ্যামাপ্রসাদের অবদান খাটো করে দেখাতে চাওয়া ইতিহাস সম্মত নয় ।
pdf
81a636e08b065d1313fba5017166e76c50c0bc54
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কার্যালয় থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাত থেকে তিনি মনোনয়ন ফরম কেনেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি প্রমুখ। মনোনয়নপত্র কেনার পর মাশরাফি বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে নড়াইলকে সুন্দর আধুনিক করে সাজাতে চাই। সঙ্গে দেখা করে তার দোয়া নেন। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য নাজিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ফরম সংগ্রহ করতে আসার খবরে কার্যালয়ের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেয় মাশরাফির সমর্থকেরা।
web
e69778f75f6b8544218d0460bf16fefa5ae31438
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (CWI) মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরুষ দলের বিশ্বকাপ পরবর্তী হোম সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের হোম সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতার পর ডিসেম্বরে ক্যারিবিয়ান সফরে যাবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেখানে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ খেলবে তারা। এরপর পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে তারা। আগামী ৩ ও ৬ ডিসেম্বর অ্যান্টিগুায়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। England will ramp up their preparations for the ICC Men's @T20WorldCup 2024 in the Caribbean. ১২ ডিসেম্বর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর পরের দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হবে গ্রেনাডায়। ক্রিসমাসের আগের সপ্তাহে সফর শেষ হবে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। ১৯ ও ২১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
web
600ff6a75878bd9b77642e1b9cd75708a2d0194c
'ঢেকে যাবে এ দেশ আঁধারে' ধরা খেলে হবে নুলা-টুণ্ডা! মাথা তুলে একদিন দাঁড়াতে পারব । ওপর থেকে পৃথিবীকে দেখতে ভালোই লাগে । অন্য মানুষদের কেমন খাটো বলে মনে হয় । আজ লেখবার স্পর্ধার কথা ভাবি।
web
277fb4a87cb038db6205de512a9a71d4
Cold এর শীতল ঘূর্ণায়মান প্রক্রিয়া থ্রেড রোলিং মেশিন বর্তমানে একটি আরও উন্নত অ-কাটিয়া প্রক্রিয়া, যা ওয়ার্কপিসের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক গুণমানকে আরও উন্নত করতে পারে, এবং প্রক্রিয়াকরণের সময় দ্বারা উত্পন্ন রেডিয়াল সংবেদনশীল চাপ ওয়ার্কপিসের ক্লান্তি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে। শক্তি এবং পরিবর্তনের শক্তি, সাধারণভাবে, একটি দক্ষ, শক্তি-সঞ্চয়, স্বল্প ব্যয়, অ-কাটিয়া প্রক্রিয়া। Of এর প্রধান কাজ থ্রেড রোলিং মেশিন হ'ল ঠান্ডা অবস্থার অধীনে ওয়ার্কপিসের থ্রেড, সরলরেখা এবং দ্বৈত রোলিং বন্ধ করা এবং তারপরে সোজা দাঁত, হেলিকাল দাঁত এবং তির্যক স্প্লাইন গিয়ারের উপর ঘূর্ণায়মান বন্ধ করা এবং তারপরে কেউ সোজা, হ্রাস, ঘূর্ণায়মান, এবং বিভিন্ন গঠন অংশ। এর অপারেশনটি মূলত নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য শক্তির উপর নির্ভর করে। এর প্রধান সিস্টেমে তরল এক্সিকিউশন সিস্টেম এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। ম্যানুয়াল, আধা-স্বয়ংক্রিয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনটি কার্যচক্র ফর্ম রয়েছে। Two এখানে দুটি প্রধান প্রকার রয়েছে থ্রেড রোলিং মেশিন বাজার, এক হ'ল দুটি অক্ষের থ্রেড রোলিং মেশিন, যা সস্তা দামের কারণে বেশি সাধারণ। অন্যটি হ'ল একটি তিনটি অক্ষ, তিন অক্ষের মেশিন যা মূলত একটি পাকা প্রাচীরযুক্ত নলাকার ইঞ্জিনিয়ারিং অংশগুলিতে প্রক্রিয়াজাত করে, যেমন একটি প্রকৌশল ভবনের ফাঁকা স্ক্রু। Used থ্রেড রোলিং মেশিনটি ব্যবহার করার সময় আরও কার্যকর প্রভাবিত করতে, ইনস্টল করার সময় সচেতন থাকার অনেক দিক রয়েছে। তাহলে আপনার কী মনোযোগ দেওয়ার দরকার? 1. থ্রেড রোলিং মেশিন ইনস্টল করার সময়, নিশ্চিত করুন যে এর গ্রাউন্ডিং নির্ভরযোগ্য। থ্রেড রোলিং মেশিন প্রস্তুতকারকের পরামর্শ দেয় যে নেতৃত্বাধীন পাওয়ার সাপ্লাইতে একটি উপযুক্ত ফিউজ ডিভাইস ইনস্টল করা উচিত। ব্যবহারের সময় অপারেটরটিকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য, ফুটো সুরক্ষা ডিভাইসটি ইনস্টল করা ভাল। তদাতিরিক্ত, ইনস্টলেশনটিতে কবর দেওয়ার জন্য একটি পাওয়ার কর্ড প্রবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ২. বৈদ্যুতিক বাক্স সরঞ্জাম চালু করুন এবং সাবধানে পরীক্ষা করে দেখুন যে ভিতরে সমস্ত টার্মিনাল আলগা হয়েছে। যদি আপনি সমস্যাটি খুঁজে পান, অবিলম্বে এগুলি শক্ত করুন। থ্রেড রোলিং মেশিন প্রস্তুতকারক আপনাকে মনে করিয়ে দেয় যে তারগুলি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং ভাঙা ত্বকের কোনও সমস্যা হবে না তা নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে তারগুলির স্থিতি পরীক্ষা করতে হবে। সমস্যাগুলি পাওয়া গেলে তাদের যথাসময়ে প্রতিস্থাপন করা উচিত। ৩. পাওয়ার চালু হওয়ার পরে পরীক্ষার চলাকালীন, জলবাহী মোটরটির কার্যক্রমের দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন এবং এটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরানো অবস্থায় রয়েছে তা নিশ্চিত করা দরকার। উপরন্তু, শীতল জল পাম্প একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কুল্যান্টটি বিপরীত হলে শীতলটি বেরিয়ে আসবে না, বা এটি খুব অল্পই বেরিয়ে আসবে। প্রধান মোটর অবহেলা করা যেতে পারে। এটি ওয়ার্কপিস এবং প্যানেলে বাম বা ডানে ঘোরানোর জন্য ব্যবহৃত রোলিং ছাঁচের নির্বাচন সুইচ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। যদি পর্যায়ের ক্রমটি ভুল হয় তবে কেবল পাওয়ার কর্ডটি ছেড়ে দিন। দুটি ফেজ লাইনের অবস্থান পরিবর্তন করা ঠিক আছে। আমাদের সংস্থা বিভিন্ন থ্রেড রোলিং মেশিন এবং বার নমন মেশিন এবং বড় রোলিং মেশিন সরবরাহ করে। আপনি যদি আরও পণ্যের তথ্য জানতে চান, দয়া করে বুঝতে আমাদের পণ্য ইন্টারফেসে লগ ইন করুন, আমরা আপনার পরিচিতির অপেক্ষায় রয়েছি।
web
2d67cc41775ada5640642d53c1f71fd6c46f4be2
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে তুঙ্গে উঠেছে সংক্রমণ। আর, অতিমারীর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কৌশলকেও তুঙ্গে নিয়ে গেছে প্রতারকরা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (RBU) তিন জন অধ্যাপিকার সেরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছে। Panchayat Election: স্পর্শকাতর বুথে থাকবে না বাড়তি বাহিনী, আপনার বুথের পাহারায় কারা? Panchayat Elections 2023 Live Updates: পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথে থাকবে না কোনও বাড়তি বাহিনী! Weather Update: কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টি, আবারও সেই ভ্যাপসা গরম কলকাতায়?
web
01bc5e9ced80b0eb54875fb9b86d1151cc9c38d6e38cea59737ae4d2525b8d79
সৈন্যেব সহিত সিংহলাধিকানীকে বাজাচ্যুত কবিয়াছিলেন। ইহাদ্বাৰা স্পষ্ট প্রমাণ পাওয। যাহাতছে যে, তৎকালে সমুদ্রযাত্রা 'নষেধ বা যা গণ্য ছিল না "স জাতু দেবী" সংবী •-নিংহলাংশুব-কঞ্চবাম হেম পাদা ঙ্ক ৩ কুচাং দৃষ্ট । জজ্বাল মন।ন' । স°হ লবু নবেন্দ্ৰ। জ্জ্ব-নাঙ্কঃ ক্রিযতে পটঃ । হতি বঞ্চুকিনা পৃ-ইনোক্তো যাত্রা° ব্যবান্তঃ তংসেনা-কুন্তিদানান্তে •নিম্নগাক্ব •-সঙ্গঃ মুনা লঙ্গন-প্ৰী ৩° প পদে দ খণাণবঃ ॥ সসিংহতে দেণ সম° ।°ন্তোদুদপাটষত। চিনে চব^স্পৃষ্টঃ 'প।{শেবনজা কৃষম ( শ্রীধুক্ত ঈশ্ববচন্দ্ৰ ।বদ্যাসাগর মহাশান গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত) রাজমহিণ সিংহ ।দেশা বগুনিস্মিত বাঁচুলা পয়িছিলেন, তাহার গুনোগান স্বর্ণনষ পদচিহ্ন দখিয়া জা মিহিকু । কোপানলে জ্বলিত হইলেন। কঞ্চুরীকে জিজ্ঞাস! করাতে সে কহিল, 'সহুল দেশের বন্ধে সেই দেশের রাজাব পদাচহ্ন মু দ্রত করে । হহা শুনিয। যুদ্ধযাত্রা কবিলেন। তদীয সেনা সংক্রান্ত হস্তিগণের গণ্ডস্থল নির্গত নদীপ্রবাহেব ন্যায় অনববত পতিত হওযাতে,
pdf